তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সিলেট বোর্ড ২০১৭

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

জয়িতা চৌধুরী পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রজেক্ট পেপার তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকে। সে নিয়ম মেনে প্রতিটি তথ্যের উৎস উল্লেখ করে । ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে সে এমন একটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছে যা দিয়ে অণুর গঠন দেখা সম্ভব। তৰে জয়ন্ত ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফাইলের সফটকপি সংগ্রহ করে কোনোরূপ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ছাড়াই নিজের নামে প্রকাশ করে ।

উত্তরঃ

জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়োইনফরমেটিকস।

উত্তরঃ

‘বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব’- এটি শুধুমাত্র সম্ভব হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখতে, সেই সাথে বাস্তবের মতো শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজি। ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমেই অণুর গঠন দেখা সম্ভব। Nano শব্দটি গ্রিক Nanos থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ Duearf (বামন বা জাদুকারী ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্রাকৃতির প্রাণী) কিন্তু এটি মাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলো এক ন্যানোমিটার আর এ ন্যানোমিটার স্কেলের সাথে যে সমস্ত টেকনোলজি সম্পর্কিত সেগুলোকেই ন্যানো টেকনোলজি বলা হয়। ন্যানো টেকনোলজি হলো একক অণু পরমাণু দেখা এবং নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য। ন্যানো প্রযুক্তির ফলে কোনো উপকরণকে এতটাই ক্ষুদ্র করে তৈরি করা যায় যে, এর পর আর ক্ষুদ্র করা সম্ভব হয় না।

ন্যানোটেকনোলজির ক্ষেত্রে দুটি প্রক্রিয়া আছে। একটি হলো উপর থেকে নিচে (Top-wown) ও অপরটি হলো নিচ থেকে উপর (Bottom-up)। টপ-ডাউন পদ্ধতিতে কোনো জিনিসকে কেটে ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্র সাধারণত Etching প্রক্রিয়াটি সম্পর্কিত। আর বটম-আপ হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা। আমাদের বর্তমান ইলেকট্রনিক্স হলো, টপ-ডাউন প্রযুক্তি। আর ন্যানোটেকনোলজি হলো, বটম-আপ প্রযুক্তি। ন্যানোটেকনোলজিতে ন্যানোমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি করা হবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বস্তু।

উত্তরঃ

তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী ও জয়ন্তের আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত। জয়িতা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি নির্দেশ এবং নিয়ম কানুন মেনে নৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে। আর জয়ন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে।

১৯৯২ সালে প্রণিত ‘কম্পিউটার এথিকস ইন্সটিটিউট’-এর কম্পিউটার এথিকস এর নির্দেশনা অনুসারে, অন্যের বুদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি করা যাবে না। অন্যের তথ্য বা গবেষণা লব্ধ ফলাফল ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই মূল লেখক বা মূল কর্মের স্রষ্টার নাম অবশ্যই সংযোজন করতে হবে এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে তা অবশ্যই নৈতিকতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা ‘প্লেজিয়ারিজম’ অপরাধের আওতাভুক্ত। উদ্দীপকে জয়িতা চৌধুরী এ নৈতিকতা মেনে কাজ করলেও জয়ন্ত তা করে না। অর্থাৎ জয়ন্তর আচরণ ‘প্লেজিয়ারিজম’ অপরাধের আওতাভুক্ত অর্থাৎ নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী নীতি, আদর্শের অধিকারী হলেও জয়ন্ত নীতি, আদর্শহীন একজন অপরাধী।

Question 2

উত্তরঃ

এক কম্পিউটার থেকে দূরবর্তী কোনো কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিট করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাই ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।

উত্তরঃ

স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব। যেমন- বুটুথের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে তারবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর করা যায়। ব্লুটুথ সমন্বিত যন্ত্রপাতি সুইচ অন করার সাথে সাথে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম হয়। বুটুথ 10 সেন্টিমিটার থেকে 100 মিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত Students Information table এর তথ্য খোঁজার জন্য Roll কী ফিল্ড ব্যবহার করব। কারণ এখানে Roll ফিল্ড হচ্ছে প্রাইমারি কী। ফাইল বা ডেটাবেজের রেকর্ড খুঁজে বের করার জন্য যে অদ্বিতীয় ফিল্ড ব্যবহার করা হয়, তাকে কী ফিল্ড বলে। আর যে অদ্বিতীয় কী ফিল্ডের সাহায্যে কোনো ডেটাবেজ ফাইল বা টেবিলের রেকর্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় তাকে প্রাইমারি কী বলে। এ জাতীয় ফিল্ডের প্রতিটি ডেটা ভিন্ন হতে হয় অর্থাৎ কোনো ডুপ্লিকেট ডেটা থাকতে পারে না, তাই Students Information table এর তথ্য খোঁজার জন্য রোল নং (Roll) ফিল্ডটি প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। Name বা Address কে প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। সুতরাং Roll ফিল্ড দিয়ে সহজে students Information Table এর যে কোনো তথ্য খুঁজে বের করা যায়।

উত্তরঃ

স্বল্প ব্যয়ে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য উদ্দীপকের চিত্র-১ অর্থাৎ বাস টপোলজিটি অধিকতর উপযোগী। কারণ এ নেটওয়ার্ক পদ্ধতিতে একটি অভিন্ন ডেটা চলাচলের পথ বিদ্যমান। সহজেই নতুন কম্পিউটার/ডিভাইস-এ ডেটা চলাচলের ডেটা বাসের সাথে সংযুক্ত করে নেটওয়ার্কভুক্ত করা যায়। আবার কোনো কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিলে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে ডেটা বাস থেকে খুলে নিলেই হয়। এতে নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় না। নতুন কম্পিউটার সংযোগের প্রয়োজন হলে মূল বাসের সাথে সংযোগ দিলেই হয়, সিস্টেমের পরিবর্তন হয় না। এতে অতিরিক্ত খরচ বেঁচে যায়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে বাস টপোলজি সম্প্রসারণ করা যায়।’ পক্ষান্তরে উদ্দীপকের চিত্র-২ স্টার টপোলজি নির্দেশ করে। স্টার টপোলজিতে হাব বা সুইচের সাথে ক্যাবলের মাধ্যমে সকল কম্পিউটার যুক্ত থাকে। প্রচুর ক্যাবল প্রয়োজন হয় বলে এখানে খরচও বেশি। ট্রি টপোলজি হলো স্টার টপোলজির বর্ধিত রূপ। এখানেও খরচ বেশি।

উপর্যুক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, স্বল্প ব্যয়ে ল্যাবরেটরিতে বাস টপোলজি ব্যবহার অধিকতর উপযোগী।

Question 3

সুপর্নার অফিসে একটি নেটওয়ার্ক চালু আছে যেখানে একটি মূল ক্যাবলের সাথে ১০টি কম্পিউটার সরাসরি যুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি তিনি বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ পান। কিন্তু তার অফিসে উক্ত কাজের উপযোগী ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার নেই। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি কাজটি যথা সময়ে সম্পন্ন করা নিয়ে চিন্তিত । তাই তিনি অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন ।

উত্তরঃ

যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম বা ট্রান্সমিশন সিস্টেম বা যন্ত্রের মাধ্যমে মডুলেশন ও ডিমডুলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রেরক ও প্রাপক কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে সাহায্য করে তাই মডেম।

উত্তরঃ

“IP Address এর চেয়ে Domain Name ব্যবহার সুবিধাজনক । কারণ IP Address এর জন্য সংখ্যা মনে রাখা কষ্টকর। তাই IP Address কে সহজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য ইংরেজি অক্ষরের কোন নাম ব্যবহার করা হয়। ক্যারেক্টার ফর্মের দেয়া কম্পিউটারের এরূপ নামকে ডোমেইন নেম বলে। যেমন আইপি এ্যাড্রেস 173.248.140.183 এর পরিবর্তে www.facebook.com ডোমেইন নেম ব্যবহার করা যায় ।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হচ্ছে হাজার হাজার কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান- প্রদান করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইডথ বলা হয়। অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ডউইডথ 100 Mbps – 2Gbps । অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে 100 Mbps ডেটা স্থানান্তরিত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী সুপর্নার অনলাইন ভিত্তিক সেবা গ্রহণের প্রযুক্তিটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং একটি ইন্টানেট ভিত্তিক কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা ইন্টারনেট ও একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার, ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিং সাধারণত কম্পিউটিং শক্তি, অনলাইন পরিসেবা, ডেটা অ্যাক্সসেস এবং ডেটা স্পেস প্রদান করে। সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং একটি সমন্বিত প্রয়াস। ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থায়-

১. নিজস্ব কোনো হার্ডওয়্যার প্রয়োজন হয় না।

২. এটি সব সময় ব্যবহার করা যায়।

৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয়।

৪. এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতি সম্পন্ন।

৫. ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা যায়।

৬. IBM এর ক্লাউড কম্পিউটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করার সুবিধা পায়।

৭. ক্লাউড কম্পিউটিং নিরাপদ। কারণ এতে কোনো ডেটা হারানো বা নষ্টা হওয়ার ভয় নেই।

৮. এ প্রযুক্তিতে স্টোরেজ, মেমোরি, প্রসেসিং এবং ব্যান্ড ইউডথ অনেক বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন, এতে চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার, রিসোর্স ও তথ্যগুলো শেয়ার বা বিনিময় করা যাবে। উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, সুপর্নার গৃহীত সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক।

Question 4

উত্তরঃ

কোনো বাইনারি সংখ্যাকে ১ এর পরিপূরক বা উল্টিয়ে লিখে তার সাথে ১ যোগ করে যে বাইনারি সংখ্যা গঠন করা হয় তাকে ২ এর পরিপূরক বলে।

উত্তরঃ

বাইনারি যোগের ক্ষেত্রে ১+১ ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১+১=০ এবং ক্যারি ১ হয়। বুলিয়ান যোগের ক্ষেত্রে ১ + ১ = ১ হয়। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, বুলিয়ান যোগ (+) চিহ্ন সাধারণত + চিহ্নকে বুঝায় না। বুলিয়ান যোগকে বলা হয় Logical Addition অথবা Logical OR operation। এ থেকে বুঝা যায় যে, বাইনারি ১ + ১ ও বুলিয়ান ১+১ এক নয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপক অনুসারে y এর সরলকৃত মান নির্ণয় করা হলো-

উত্তরঃ

উদ্দীপকের 2 ও 3 নং চিহ্নিত গেইটদ্বয়ের পারস্পরিক পরিবর্তনে যে লজিক সার্কিট পাওয়া যায় তা বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী নিচে তা মূল্যায়ন করা হলো-

উদ্দীপকের 2 ও 3 নং গেইটদ্বয়ের (NAND গেইটের স্থলে OR গেইট) পারস্পরিক পরিবর্তনে X-OR গেইট পাওয়া যায়।

X-OR গেইটের সত্যক সারণি:

X-OR গেইটের সত্যক সারণি বাইনারি যোগের বর্তনীর সাথে মিলে যায়। তাই এটি বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী।

Question 5

প্রমিতা একটি ওয়েবসাইট তৈরির জন্য Home.html, Admission.html এবং Result.html নামে ৩টি পেইজ তৈরি করল ।

Result.html পেইজে নিম্নরূপ ফলাফল প্রদর্শিত হয়:

        Roll

       Name

       GPA

        101

       Karim

       5.00

        102

        Afrin

       4.75

        103

        Zakia

       4.50

অতঃপর সে Home পেইজ থেকে অন্যান্য পেইজে যাওয়ার ব্যবস্থা করল।

উত্তরঃ

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য একটি পরিস্তিত্ব। বা আইডেন্টিটি থাকে যা IP অ্যাড্রেস নাম পরিচিত।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে ওয়েবের ফাইলগুলো কোনো সার্ভারে রাখাকে ওয়েঙ্গ হোস্টিং বলা হয়। ওয়েব হোস্টিং হলো স্থান (অর্থাৎ সার্ভার শেষ)। যেখানে টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও সংবলিত ওয়েব পেইজে রাখা। হয়। ওয়েব হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হয় না তাই হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিকেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

উত্তরঃ

Result.html পেইজের টেবিলটি তৈরির HTML কোড নিয়ে দেওয়া হলো-

< !DOCTYPE html >

       < html >

       < body >

               < table border=”1″ >

                       < tr >

                               < th>Roll < /th >

                               < th > Name < /th >

                               < th > GPA < /th >

                       < /tr >

                       < tr >

                               < th >101< /th >

                               < th > Karim < /th >

                               < th > 5.00 < /th >

                       < /tr >

                       < tr >

                               < th > 102 < /th >

                               < th > Afrin < /th >

                               < th > 4.75 < /th >

                       < /tr >

                       < tr >

                               < th >103 < /th >

                               < th > Zakia < /th >

                               < th > 4.50 < /th >

                       < /tr >

       < /table >

       < /body >

       < /html >

উত্তরঃ

প্রমিতার সর্বশেষ গৃহীত ব্যবস্থাটি হচ্ছে লিঙ্ক স্থাপন করা। লিঙ্ক ব্যবস্থাটিকে হাইপারলিঙ্ক বলা-হয়।

বিভিন্ন ধরনের তথ্যাবলির ভেতর ভার্চুয়াল সংযোগ স্থাপন করার ব্যবস্থাই হচ্ছে হাইপারলিঙ্ক। বর্তমানে এটা ছাড়া ওয়েবসাইট কল্পনাও করা যায় না। কারণ বর্তমানে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট-এর মূল টপিক্স লিস্ট অথবা মেনু তৈরি করে এর থেকে সাব-টপিকস তৈরি করা হয় যেখানে নির্দিষ্ট Topics সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ স্ট্রাকচারের ক্ষেত্র মূল বিষয় দিয়ে মেনু বা লিস্ট তৈরি করতে হয়। অতঃপর এ মূল বিষয় এর লিস্ট বা মেনু থেকে একটিকে সূচনা বা পথ প্রদর্শক ধরে আর একটি সাব টপিক্স তৈরি করতে হয় যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আলোচনার সূচনা হিসেবে কাজ করে। এ ধরনের ডিজাইন ব্যবহারের মাধ্যমে ইউজারদের তথ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্বাধীনতা প্রদান করা যায়। ফলশ্রুতিতে ইউজাররা পেইজটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। লিঙ্কের মাধ্যমে ইউজাররা প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই ওয়েবের এক পেইজ থেকে অন্য পেইজে অনায়াসে যেতে পারবে এবং ওয়েব পেইজটির কোন অংশে ইউজার-অবস্থান করছে, তা জানা তার জন্যে সহজবোধ্য হবে। ট্রি ডিজাইনের ক্ষেত্রে হোম পেইজটিতে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য হোম পেইজে লিঙ্ক ব্যবহার করে ট্রি-র পরবর্তী পেইজগুলোতে যাওয়া যায়।

হাইপারলিঙ্ক-এর ব্যবস্থা না থাকলে ওয়েবসাইটের পেইজের অবস্থা অনেক বড় হবে। তাতে অনেক সমস্যা দেখা দেবে। একটি বড় ফাইল ডাউনলোড করতে সময় বেশি লাগবে। তাতে ইউজাররা বিরক্ত হবে তাছাড়া কোনো বিষয়কে খুঁজে পেতে স্ক্রোল করতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট পয়েন্টে নেভিগেট করা অনেক কষ্টের ব্যাপার অথবা হাইপারলিঙ্কের মাধ্যমে সহজেই সেটি করা যায়। তাছাড়া একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে যেতেও হাইপারলিঙ্ক ছাড়া সম্ভব নয়। সুতরাং বলা যায় ওয়েবসাইটে হাইপারলিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

Question 6

#include<stdio.h>

# include <conio.h>

main ()

{

int i. s = 0;

for(i=1;i<=100; i++)

s = s+i;

printf(“Total is %d”, s);

getch ( ) ;

}

উত্তরঃ

যে অনুবাদক প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ উৎস প্রোগ্রামকে এক সাথে অনুবাদ করে বস্তু প্রোগ্রামে পরিণত করে এবং প্রোগ্রামের ভুলগুলো এক সাথে প্রদর্শন করে তাই কম্পাইলার।

উত্তরঃ

সি ভাষায় সাধারণত সব প্রোগ্রাম ছোট হাতের অক্ষরে লেখা হয়। অর্থাৎ সি প্রোগ্রামে ছোট হাতের অক্ষর ও বড় হাতের অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এজন্য সি ল্যাংগুয়েজকে গ্রেট sensitive ভাষাও বলা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির প্রবাহ চিত্র নিচে অঙ্কন করা হলো-

উত্তরঃ

উদ্দীপকের কোডে ব্যবহৃত for লুপের পরিবর্তে do লুপ ব্যবহার করে একই ফলাফল পাওয়া যাবে। do লুপ ব্যবহার করে কোডটি নিচে দেখানো হলো-

#include < stdio.h >
main( )
{
int s=0,i;
i=1;
do
{
s = s + i;
i++;
} while(i<=100);
printf(“Total is=%d”,s);
}

Question 7

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের বললেন, কম্পিউটার A-কে সরাসরি বুঝতে পারে না, বরং একে একটি লজিক সার্কিটের সাহায্যে ৮-বিটের বিশেষ সংকেতে রূপান্তর করে বুঝে থাকে। তিনি আরও বললেন, উক্ত সংকেতায়ন পদ্ধতিতে বাংলা কম্পিউটারকে বোঝানো যায় না। এজন্য ভিন্ন একটি সংকেতায়ন পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।

 

উত্তরঃ

ডিকোডার এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা ডিভাইস যা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।

উত্তরঃ

মেমোরি ডিভাইসের ক্ষুদ্রতম একক হলো ফ্লিপ-ফ্লপ গেইট। একটি ফ্লিপ-ফ্লপ ডেটার এক বিট ধারণ করতে পারে। একাধিক ফ্লিপ- ফ্লপের সমষ্টি-ই হলো রেজিস্টার। রেজিস্টার একগুচ্ছ ফ্লিপ ফ্লপ-এর গেইট এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যেখানে প্রত্যেকটি ফ্লিপ ফ্লপ একটি করে বাইনারি বিট ধারণ করে থাকে। -বিট রেজিস্টারে n সংখ্যক ফ্লিপ-ফ্লপ থাকে এবং n-বিট বাইনারি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এজন্য চারবিট রেজিস্টারে চারটি ফ্লিপ-ফ্লপ থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের বললেন যে, কম্পিউটার A-কে সরাসরি বুঝতে পারে না বরং একে একটি লজিক সার্কিটের সাহায্যে ৮-বিটের বিশেষ সংকেতে রূপান্তর করে বুঝে থাকে এই পদ্ধতিটি হলো এনকোডার:

এনকোডার এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে। একটি এনকোডারে সর্বোচ্চ 2″ সংখ্যক ইনপুট এবং n সংখ্যক আউটপুট থাকে।

নিচে ৮টি ইনপুট থেকে ৩টি আউটপুট পাওয়া যায় এমন ধরনের একটি অকটাল এনকোডারের লজিক সার্কিট, সত্যক সারণি দেওয়া হলো-

বুলিয়ান সমীকরণ:

A=4+D5+D6+D7

B=D2+D3+D6+D7

C=D1+D3+D5+D7D

লজিক সার্কিটঃ

উত্তরঃ

উদ্দীপকের 2 ও 3 নং চিহ্নিত গেইটদ্বয়ের পারস্পরিক পরিবর্তনে যে লজিক সার্কিট পাওয়া যায় তা বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী নিচে তা মূল্যায়ন করা হলো-

উদ্দীপকের 2 ও 3 নং গেইটদ্বয়ের (NAND গেইটের স্থলে OR গেইট) পারস্পরিক পরিবর্তনে X-OR গেইট পাওয়া যায়।

X-OR গেইটের সত্যক সারণি:

X-OR গেইটের সত্যক সারণি বাইনারি যোগের বর্তনীর সাথে মিলে যায়। তাই এটি বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী।

Question 8

উত্তরঃ

SQL এর পূর্ণরূপ Structured Query Language. এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ডেটা ম্যানিপুলেশন ও ডেফিনেশন ল্যাঙ্গুয়েজ।

উত্তরঃ

ডেটাবেজ থেকে ব্যবহারকারী কোনো ডেটা যাতে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে পারে সেজন্য ডেটাকে একটি বিশেষ অর্ডারে সাজিয়ে রাখা হয়। ডেটাবেজের টেবিলের রেকর্ডসমূহকে এরূপ কোনো লজিক্যাল অর্ডারে সাজিয়ে রাখাকেই ইনডেক্স বলে। ইনডেক্স ফাইল মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোনোরূপ পরিবর্তন না করে Alphabetically বা Numerically এবং আরোহী বা অবরোহী অনুসারে ক্রমানুযায়ী বিভিন্নভাবে সাজানো যায়। ইনডেক্স করার পরে ডেটাবেজ ফাইলে নতুন কোনো রেকর্ড ইনপুট করা হলেও ইনডেক্স ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়। এতে মূল ফাইলের কোনো পরিবর্তন হয় না।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত ১ম টেবিলটির ফিল্ডগুলো হলো- Roll, Name, DOB। টেবিল-1 এর ডেটা ফিল্ডের ডেটা টাইপ নিচে বর্ণনা করা হলো-

Roll ডেটা টাইপ Number: যে ফিল্ডে গাণিতিক ডেটা ব্যবহার করা হয়, সেই ফিল্ডকে প্রকাশ করার জন্য Number ব্যবহৃত হয়। Number ফিল্ডে যোগ বা বিয়োগ চিহ্নসহ পূর্ণসংখ্যা ও ভগ্নাংশ মিলিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। এ ফিল্ডের ডেটার উপর গাণিতিক অপারেশন (যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ) করা যায়। ডেটা টাইপ Number হলে মোবাইল নাম্বারের প্রথম ডিজিট ০ (শূন্য) ব্যবহার করা যায় না। ডেটার মানের ব্যাপ্তির (Range) উপর ভিত্তি করে Number ফিল্ডকে সাধারণত বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যেমন- ১. বাইট, ২. ইন্টিজার, ৩. লং ইন্টিজার, ৪. সিংঙ্গল, ৫. ডাবল, ৬. এছাড়া রেপ্লিকেশন আইডি ইত্যাদি। এছাড়াও অটো নাম্বার (Auto Number) নামে আরও একটি Number ডেটা টাইপ আছে। সিরিজ জাতীয় বা ধারাবাহিক Number টাইপ

ডেটা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ট্রি হয় তাকে Auto Number বলে।

Name ডেটা টাইপ Text: Text ডেটা টাইপ বিশিষ্ট ফিল্ডে অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। এ ফিল্ডে সর্বোচ্চ ২৫৫ টি বর্ণ/অঙ্ক/চিহ্ন এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা যায়।

DOB ডেটা টাইপ Date/Time: ডেটাবেজে শুধুমাত্র Date/Time সম্পর্কিত ডেটা এন্ট্রি করা বা সংরক্ষণ করার জন্য Date/Time নির্বাচন করতে হয়। Date/Time টাইপ ফিল্ডে তারিখ অথবা সময় বা তারিখ ও সময় উভয়ই এন্ট্রি করা যায়। 100 থেকে 9999 বছরের তারিখ ও সময়ের জন্য এ ফিল্ড ব্যবহৃত হয়। এ ফিল্ডের জন্য ৪ byte জায়গার প্রয়োজন হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত টেবিল দুটির মধ্যে One to One রিলেশনশিপ তৈরি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে নিচের শর্তগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে-

১. রিলেশন ডেটা টেবিলগুলোর মধ্যে কমপক্ষে একটি কমন ফিল্ড

থাকবে এবং প্রাইমারি কী ফিল্ড ও ফরেন কী ফিল্ড হিসেবে

নির্বাচিত ফিল্ডের তথ্য অবশ্যই অদ্বিতীয় বা ইউনিক হতে হবে। ২. কমন ফিল্ডকে অবশ্যই প্রাইমারি কী ফিল্ড ও ফরেন কী ফিন্ড হতে হবে।

৩. কমন ফিল্ডের নাম, ডেটা টাইপ, ফিল্ড সাইজ, ফরম্যাট ইত্যাদি একই হতে হবে এবং একই সময় টেবিল দুটি খোলা থাকতে হবে। উদ্দীপকে উভয় টেবিলের মধ্যে একটি কমন ফিল্ড হলো Roll নং এ কমন ফিল্ডটি উপরের শর্তগুলোকে সমর্থন করে বলে One to One রিলেশন তৈরি করা সম্ভব।