তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রাজশাহী বোর্ড ২০১৭
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
মি. “Y” তার বাবার ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় একটি বিশেষ সেন্সরের দিকে তাকানোর ফলে দরজা খুলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলো প্রথম কক্ষে জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে ইনফরমেশন • সিস্টেম তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা এবং দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ (DNA) তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়।
উত্তরঃ
ন্যানো টেকনোলজি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস (যেমন- রোবট) তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তি হচ্ছে তথ্য ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি আর যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি। সুতরাং একটি ছাড়া অপরটি অচল। মানুষ এখন, যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেকোনো সময়ে যেকোনো সঠিক তথ্য পেতে চায়। যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া শুধু তথ্য প্রযুক্তি মানুষের এ চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উভয়ের উন্নয়নের ফলে মানুষের এ চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এ দুই প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তাই বলা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটি আরেকটির পরিপূরক, তবে প্রতিযোগী নয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ল্যাবরেটরির দরজায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স এর আইরিস বা রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি। আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। আইরিস বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ক্যামেরা সম্পন্ন ডিভাইসের সামনে দাড়াতে হয়। এতে প্রায় ১ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। আগে থেকে ধারণ করা চোখের আইরিসের প্যাটার্নের সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়।
এ পদ্ধতির প্রয়োগে পাসপোর্টবিহীনভাবে এক দেশের সীমা অতিক্রম করে অন্য দেশে গমন করা যেতে পারে যা বর্তমানে ইউরোপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, মিলিটারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে আইরিস পদ্ধতি শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ল্যাবরেটরির ১ম কক্ষে জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তিটি হলো বায়োইনফরমেটিক্স সিস্টেম এবং দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ (DNA) তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। নিচে এদের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য বিশ্লেষণ করা হলো:
১. বায়োইনফরমেটিক্স হলো এমন একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত ক্ষেত্র যা জীব সংক্রান্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে বুঝার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি এবং সফটওয়্যার টুলস উন্নয়ন করে। অন্যদিকে বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোনো প্রাণীর জিনোমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেওয়াই হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
২. বায়োইনফরমেটিক্সের উদ্দেশ্য হলো জৈবিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুধাবন করা। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রিকম্বিনেন্ট DNA তৈরি করে বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের DNA অণু থেকে পৃথক করে কাজে লাগানো।
৩. বায়োইনফরমেটিক্সের প্রধান কাজ হচ্ছে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় তথ্য ও জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য সফটওয়্যার সামগ্রী তৈরি করা। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ বা পরিবর্তিত জিনযুক্ত কোষে অন্য জীব থেকে কর্মক্ষম বা ভালো জিন সংস্থাপন করে কর্মক্ষমহীন জীবটিকে কর্মক্ষম করে তোলা।
৪. বায়োইনফরমেটিক্স প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গবেষণা যেমন- সিকুয়েন্স, এলাইনমেন্ট, ডিএনএ ম্যাপিং, ডিএনএ এনালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং জিনোম সমাগম, ড্রাগ নকশা, প্রোটিনের গঠন ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে। চিকিৎসা, গবেষণা, শিল্প এবং কৃষিসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে।
Question 2
মি. “X” কম্পিউটারে বসে একটি ব্রাউজার সফটওয়্যার ওপেন (Open) করে প্রথমে তার অ্যাড্রেস বারে একটি অ্যাড্রেস লিখে এন্টার (Enter) চাপলো । ফলে একটি মেইল সার্ভিস ওপেন হলো। তারপর সে মেইল সার্ভিস থেকে একটা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করলো ।
উত্তরঃ
টপোলজি হলো এমন একটি নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা যেখানে একটি কম্পিউটারের সাথে অপর একটি কম্পিউটার কিভাবে, কি কৌশলে যুক্ত হবে তা নির্দেশ করে।
উত্তরঃ
ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা EMI মুক্ত। ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই EMI মুক্ত থাকে।
উত্তরঃ
মি. “X” এর ব্যবহৃত সেবাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। নিচে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো:
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট এবং কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম। এতে ওয়েবে সকল ধরনের কার্যক্রম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে ক্লায়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ক্লাউড শব্দটি ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আকাশে সর্বত্র যেভাব মেঘ ছড়িয়ে আছে, ইন্টারনেটও ঠিক তেমনি সর্বত্র জালের মত ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের এই ক্লাউড থেকে সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার উপায় হিসেবেই ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণাটির উৎপত্তি। এ ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্ক এর আওতাভুক্ত সকল কম্পিউটারই একই হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে এবং কম সময়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন অন-লাইন কম্পিউটিং সেবা লাভ করে।
উদ্দীপকে দেখা যায় যে, মি. ‘X’ ইন্টারনেট থেকে একটি অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করে। ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করাও ক্লাউড কম্পিটিং এর আওতাভুক্ত।
উত্তরঃ
মি. “X” উপরোক্ত কর্মকাণ্ডে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করনে তা হলো হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ডেটা ট্রান্সমিশন মেথডটি হলো সিনক্রোনাস।
হাফ-ডুপ্লেক্স মোড হলো এমন একটি ডেটা ট্রান্সমিশন মোড যেখানে প্রেরক ও প্রাপক উভয় পক্ষ থেকেই ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ হাফ-ডুপ্লেক্স হলো একটি দ্বিমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন মোড। তবে হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একই সময়ে প্রেরক ও প্রাপক ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না। উদ্দীপকে মি. ‘X’ এর ওয়েবে সার্চ দেওয়ার পর যে অ্যাড্রেসটি ওপেন হয় তা হাফ-ডুপ্লেক্স মোডেই সম্পন্ন হয়। ওয়েব ব্রাউজিং এর সময় কোন সাইট দেখার জন্য ওয়েব সার্ভারকে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। সার্ভার তখন রিকোয়েস্টটি গহণ কর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য প্রেরণ করে। কিন্তু একই সময়ে তা হয় নি। অতএব এটি হাফ- ডুপ্লেক্স মোডেরই প্রক্রিয়া।
আবার মি. “X” এর ই-মেইল সার্ভিস থেকে একটা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক থেকে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
১. প্রেরক যেকোনো সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারবে এবং গ্রাহক তা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করবে। যেমন- যখন কীবোর্ডের কীতে চাপ দেওয়া হয় তখন প্রসেসর তা গ্রহণ করে এবং মনিটরে প্রদর্শিত হয়।
২. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।
৩. যখন ডেটা চলাচল বন্ধ থাকে তখন মাধ্যমটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।
Question 3
উত্তরঃ
বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছে। এ মানই ইউনিকোড।
উত্তরঃ
1 + 1 = 1 এটি একটি লজিক্যাল বা যৌক্তিক যোগ যা OR(+) গেইট দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়। OR (+) গেইট ইনপুটগুলোর মধ্যে যে কোনো একটি ইনপুটের মান । হলেই আউটপুট 1 হয়। অপরদিকে 1 + 1 = 10 কারণ এটি বাইনারি যোগফল। পার্থক্য হলো দশমিক যোগে 1+1=2 হয়। এখানে দশমিক পদ্ধতির 2 এর সমান বাইনারি পদ্ধতির দুই (10) হয়েছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের সত্যক সারণি ১ হলো
NAND গেইটে দুটি সুইচ এক সাথে অন করলে বাতিটি নিভে যাবে। তাছাড়া যেকোনো একটি সুইচ অফ করলেই বাতিটি জ্বলবে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত সত্যক সারণি-২ হলো
সত্যক সারণিটি
XNOR গেইট নির্দেশ করেছে।
উদ্দীপকে উল্লেখিত সত্যক সারণি-২ দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী গেইট দিয়ে সত্যক সারণি-১ দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী
গেইট বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অর্থাৎ NAND গেইট দিয়ে XNOR গেইট বাস্তবায়ন সম্ভব।
Question 4
আদনান জামী তার মামার কাছে (E)16, (7)8সংখ্যা দুটির যোগফল জানতে চাইল । মামা আদনান জামীকে যোগফল দেখলো এবং বললো কম্পিউটারের অভ্যন্তরে সমস্ত গাণিতিক কর্মকাণ্ড যেমন— যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ হয় একটি মাত্র অপারেশনের মাধ্যমে, তাছাড়া যোগের ক্ষেত্রে এক ধরনের সার্কিটও ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হলো টেলিমেডিসিন।
উত্তরঃ
প্রেরক স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় বলে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল। যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা ব্লক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট করে তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলে। এক একটি ব্লকে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টার থাকে। এ পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপককে একই সময় ও গতিতে বজায় রাখতে হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের সংখ্যা দুটি হচ্ছে (E)16 এবং (7)8
(E)16 = (1110)2
(7)8 = (111)2
এখানে ক্যারি বিট 1। অর্থাৎ ক্যারি বিট বিবচনা করা হয় না। চিছু বিট ০ তাই ফলাফল ধনাত্মক।
(+7)10 = (00000111)2
উত্তরঃ
মামার বলা সার্কিট হচ্ছে অ্যাডার। নিচে অ্যাডার দিয়ে সংবা দুটির যোগের প্রক্রিয়া দেখানো হলো-
প্রথম সংখ্যা (E)16 = (1110)2
দ্বিতীয় সংখ্যা (7)8 = (111)2
সংখ্যা দুটির যোগ প্রক্রিয়া হবে প্যারালাল বাইনারি অ্যাডার প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ
এখন প্রথম সংখ্যা (E)16=(1110)2
এর বিটগুলোকে যথাক্রমে Ab A2, A3, A4
দ্বিতীয় সংখ্যা (7)8=(0111)2 এর বিটগুলেকে B1, B2, B3 , B4
ধরি। তাহলে নিচে অ্যাডার প্রক্রিয়াটি হবে-
∴(1110+0111)2=(10101)2
Question 5
মি. “Z” স্যার ক্লাসে html
প্রোগ্রামিং দেখাচ্ছিলেন । তিনি একটি ওয়েব পেইজে C ড্রাইভের পিকচার (picture) ফোল্ডারের মধ্যে রাখা Logo.jpg নামক একটি ইমেজ যুক্ত করলেন যার সাইজ 500 × 300 পিক্সেল। অতঃপর তিনি ছাত্রদের বললেন, তোমরা এমন একটি html কোড লেখ যাতে উক্ত ইমেজের উপর ক্লিক করলে www.xeducation board.edu.bd ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করা যায়। তারপর তিনি নিচের টেবিলটি
তৈরির html কোড লিখলেন :
উত্তরঃ
একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েব পেজের সমষ্টিই হল ওয়েবসাইট।
উত্তরঃ
ফন্ট সিনট্যাক্স হচ্ছে –
<font face=”fontname”size=”sizenumber”color=”colorname>Text
</font>
এখানে font ট্যাগের অ্যাট্রিবিউট হচ্ছে face, size ও color
face এট্রিবিউট বিভিন্ন ফন্টের নাম বহন করবে এবং size ফন্টের সাইজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। colorফন্টের রং নির্ধারণ করে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ছাত্রদের html কোড নিম্নরূপ:
<!DOCTYPE html>
<html>
<body>
<a href=”www.xeducationboard.edu.bd”>
<img src=”C:\picture logo.jpg” width=”500″ height=”300″></a>
</body>
</html>
এখানে, লিংকের এট্রিবিউট হচ্ছে href.যা href এট্রিবিউট লিঙ্ক এর ঠিকানা নির্ধারণ করে। url অংশের সম্পূর্ণ অ্যাড্রেসটি এর লিখতে হয়। <img> ট্যাগের এট্রিবিউট হল, src এবং <img> ট্যাগটি empty অর্থাৎ এটি কেবল এট্রিবিউট বহন করে এবং এর কোন ক্লোজিং ট্যাগ নেই।
src হলো source যা পেজে ইমেজটির প্রদর্শন করা হবে। পেয়েছি ইমেজ যুক্ত করার সময় সোর্স এট্রিবিউট এর সাথে উচ্চতা (height)এবং প্রশস্ততা (weidth) কত পিকচার হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া যায়। এখানে logo.jpg তে ক্লিক করে http://www.xeducationboard.edu.bd নামক ওয়েবসাইটিতে সহজে যাওয়া যাবে।
উত্তরঃ
যদি উদ্দীপকের টেবিলের সকল সারিকে (ROW)স্তম্ভে (column) এবং সকল স্তম্ভকে (column) সারিতে পরিণত করা হয় তাহলে যে টেবিল তৈরি হবে তা নিম্নরূপ:
উক্ত তৈরিকৃত টেবিলটির html কোড নিম্নরূপ:
<!DOCTYPE html>
<html>
<body>
<table border=”1″>
<tr>
<th>Student Name</th>
<td colspan=”3″ align=”center”>Harry portar</td>
</tr>
<tr>
<th rowspan=”3″>compulsory</th>
<td colspan=”3″ align =”center”>Bangla</td>
</tr>
<tr>
<td colspan=”3″ align =”center”>English </td>
</tr>
<tr>
<td colspan=”3″ align =”center”>Ict</td>
</tr>
<tr>
<th>Optional </th>
<td>Physics </td>
<td>Math</td>
<td>Biology </td>
</tr>
<table>
</body>
</html>
Question 6
ধারাটি দেখ এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : 10, 20, 30, ………., 100
উত্তরঃ
প্রোগ্রাম হলো কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে কতকগুলো কমান্ড বা নির্দেশের সমষ্টি।
উত্তরঃ
printf (“%d %x; &a, &b);
এখানে, printf স্টেটমেন্টটি আউটপুট ফাংশন। printf () ফাংশনটি বিভিন্ন ডেটা টাইপের ‘পরিবর্তনশীল ডেটা ফলাফল হিসেবে প্রদর্শন করে। সি প্রোগ্রামে ফরম্যাটে স্পেসিফায়ারে চলকের মান গ্রহণ এবং প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এখানে ফরম্যাট স্পেসিফায়ার হচ্ছে %d, % x, %d, int টাইপ মানের ফলাফল a নামক চলকে প্রদর্শন করবে এবং %x হচ্ছে হেক্সাডেসিমেল টাইপ মান। যা চ ভেরিয়েবলে ফলাফল প্রদর্শন করবে। &a 3 &b হলো যথাক্রমে Address of a এবং Address of b. যা নির্দেশ করে ইন্টিজার টাইপের a ও b চলকের মেমোরি লোকেশন যেখানে ডেটা সংরক্ষিত হবে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের ধারাটি তৈরির প্রোগ্রামের প্রবাহচিত্র নিচে দেওয়া হলো:
উত্তরঃ
if-goto ব্যবহার করে উদ্দীপকের মত আউটপুট পাওয়ার জন্য সি ভাষায় প্রোগ্রাম নিচে দেওয়া হলো।
Question 7
মায়ের বয়স পুত্রের বয়সের তিনগুণ। পিতার বয়স মায়ের বয়স অপেক্ষা 5 বছর বেশি। পুত্রের বয়স x বছর ।
উত্তরঃ
ডেটা সিকিউরিটির জন্য ডেটাকে এনক্রিপ্ট করা হয় অর্থাৎ নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোড ব্যবহার করা হয়। অননুমোদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার থেকে ডেটাকে নিরাপদ রাখাই ডেটা এনক্রিপশন।
উত্তরঃ
যে সকল ওয়েব পেইজে আপডেট তথ্য প্রদর্শন করা হয় যে সকল ওয়েব পেইজকে ডাইনামিক ওয়েব সাইট বলে। ডাইনামিক ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব পেইজে লোডিং বা চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়। রান টাইমের সময় পেইজের ডিজাইন বা কনটেন্ট পরিবর্তন করা যায়। ডেটাবেজ কুয়েরির মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবর্তনশীল কনটেন্ট তৈরি করা যায়। তাছাড়া আকর্ষণীয় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ লে-আউট তৈরি করা যায়। এজন্যই ডাইনামিক ওয়েব পেইজে ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপক অনুসারে,দেওয়া আছে,
পুত্রের বয়স x বছর
মাতার বয়স = 3x বছর .. পিতার বয়স মায়ের বয়স অপেক্ষা 5 বছর বেশি। .. পিতার বয়স = (3x + 5) বছর ধরি, মাতার বয়স, M = 3x বছর পিতার বয়স, P = 3x + 5 বছর ‘মাতা ও পিতার বয়স নির্ণয় অ্যালগরিদম নিম্নে দেওয়া হলো :
অ্যালগরিদম :
ধাপ-১: প্রোগ্রাম শুরু করি। ধাপ-২: ইনপুট হিসেবে পুত্রের বয়স x বছর নেই। ধাপ-৩: মাতর বয়স, M = 3x বছর এবং পিতার বয়স, P = 3x + 5 বছর নির্ণয় করি। ধাপ-৪: মাতার বয়স M এবং পিতর বয়স P ছাপাই। ধাপ-৫ : প্রোগ্রাম শেষ করি।
উত্তরঃ
উদ্দীপক হতে,
পুত্রের বয়স = x বছর
মাতার বয়স, M = 3x বছর
পিতার বয়স, P = 3x + 5
.. তিনজনের বয়সের সমষ্টি, S = x + 3x +3x+5 = (7x + 5) বছর
.. উদ্দীপকে উল্লিখিত পিতা, মাতা ও পুত্রের একত্রে বয়সের সমষ্টির
সি ভাষায় প্রোগ্রামটি নিচে দেওয়া হলো:
Question 8
উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
উক্ত টেবিলদ্বয় থেকে যাদের বেতন 40,000 বা তার চেয়ে বেশি তাদের নাম ও পদবী দেখাতে বলা হলো। “খ” নামক ব্যক্তি শর্ত সাপেক্ষে কমান্ড দিয়েই উক্ত কাজটি করে দিল কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় একটু বেশি সময় নিচ্ছির। ‘গ’ নামক ব্যক্তি বললো, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তৈরি করলে উক্ত কাজটি অনেকটা দ্রুত হবে তবে ডেটা এন্ট্রিতে একটু বেশি সময় নেবে।
উত্তরঃ
RDBMS এর পূর্ণনাম Relational Database Management System. RDBMS হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য ও সেই তথ্যগুলো পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল প্রোগ্রামের সমষ্টি।
উত্তরঃ
SQL এর পূর্ণনাম Structured Query Language. SQL একটি শক্তিশালী ডেটা ম্যানিপুলেশন, ডেটা ডেফিনিশন, ট্রানজেকশন, কন্ট্রোল, ডেটা কন্ট্রোল। SQL ডেটাবেজ, টেবিল, ভিউ, ইনডেক্স তৈরিতে ব্যরহৃত হয়। SQL বিভিন্ন শ্রেণির কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় তা হলো- ডেটা কুয়েরি করা, ডেটা সন্নিবেশ করা, পরিবর্তন ও মুছে ফেলা, ডেটাবেজে অবজেক্ট (টেবিল, ভিউ, ইনডেক্স, সিকুয়েন্স) তৈরি করা, সংশোধন ও মুছে ফেলা, ইউজার একসেস নিয়ন্ত্রণ করা, ডেটাবেজ consistency এর নিশ্চয়তা প্রদান করা। এজন্য SQL কে ডেটাবেজের হাতিয়ার বলা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত টেবিলদ্বয়ে প্রয়োজনীয় কলাম যুক্ত করে ডেটাবেজ রিলেশন তৈরি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে Table-2 তে ID নামক নতুন একটি ফরেন কী ফিল্ড তৈরি করে উক্ত টেবিল দুটির মধ্যে one to one রিলেশনশীপ তৈরি করা সম্ভব হলো:
উক্ত টেবিলদ্বয়ের মধ্যে
one to one রিলেশনশীপগুলোর মধ্যে কমপক্ষে একটি কমন ফিল্ড থাকবে এবং প্রাইমারি কী ফিল্ড
ও ফরেন কী ফিল্ড হিসেবে নির্বাচিত ফিল্ডের তথ্য অবশ্যই অদ্বিতীয় বা ইউনিক হতে হবে।
কমন ফিল্ডকে অবশ্যই প্রাইমারি কী ও ফরেন কী হতে হবে। কমন ফিল্ডের নাম, ডেটা টাইপ, ফিল্ড
সাইজ, ফরম্যাট ইত্যাদি একই হতে হবে এবং একই সময় টেবিল দুটি খোলা থাকতে হবে।
সুতরাং Table-2 তে যখন ID নামক ফরেন কী ফিল্ড যুক্ত করা হয়েছে তখন টেবিলদ্বয়ের মধ্যে কমন ফিল্ড হলো ID, এ
কমন ফিন্ডটি উপরের শর্তগুলোকে সমর্থন করে বলে one to one রিলেশনশীপ তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং Tabl-1 ও Table-2 এর one to one রিলেশনশীপ নিচে টেবিলের মাধ্যমে দেখানো হলো।