তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৩

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

A, B ও C এর নিকট যথাক্রমে (1001000)2 ,(67)10 ও (502)8টাকা আছে।

উত্তরঃ

সংখ্যাকে প্রকাশ এবং গণনা করার পদ্ধতি হচ্ছে সংখ্যা পদ্ধতি। #1

উত্তরঃ

4 বিটের কোড হলো BCD কোড। BCD কোড এর পূর্ণ নাম হচ্ছে binary coded decimal। দশমিক পদ্ধতির সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য এই কোড ব্যবহার করা হয়। (#1)

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি অংক কে সমতুল্য চার বিট বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করাকে বিসিটি কোড বলে। এই কোডের মাধ্যমে 0-9 পর্যন্ত মোট 10 টি সংখ্যাকে 4 বিট বাইনারি সংখ্যা দ্বারা নির্দেশ করা হয়।(#2)

উত্তরঃ

A এর নিকট টাকা আছে = (1001000)2 = (72)10

B এর নিকট টাকা আছে = (67)10 = (?)

যোগফলের নবম বিটে (1) অঙ্কটি ওভারফ্লো হিসেবে এসে পড়েছে। তাই সেটি বিবেচনা করা হয় না। অর্থাৎ A ও B এর টাকার পার্থক্য (5)10 বা (101)2(#3)

উত্তরঃ

যোগফলের নবম বিটে (1) অঙ্কটি ওভারফ্লো হিসেবে এসে পড়েছে। তাই সেটি বিবেচনা করা হয় না। অর্থাৎ A ও B এর টাকার পার্থক্য (5)10 বা (101)2

Question 2

হিমেল ড্রাইল্যাব জৈবসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিল। একদিন তার বন্ধু তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে তারা মহাশূন্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করল

উত্তরঃ

বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হলো রোবটিক্স। (#1)

উত্তরঃ

আচরণের মাধ্যমে ব্যক্তি সনাক্তকরণের পদ্ধতিটি হল বায়োমেট্রিক। মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো বায়োমেট্রিক্স। (#1)

আচরণগত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছে- কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাই করণ, হাতে কলা স্বাক্ষর যাচাই করণ এবং কণ্ঠস্বর যাচাই করণ।এসব বৈশিষ্ট্য গুলোর সাহায্যে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা যায়। (#2)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে হিমেল জৈব সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। নিচে প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা করা হলো-

জৈব তথ্য বিজ্ঞান তথা বায়োইনফরমেটিক্স এমন একটি কৌশল যেখানে ফলিত গণিত,তথ্য বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যা সমূহ সমাধান করা হয়। (#1)

এখানে ব্যবহৃত ডেটা সমূহ হলো ডিএনএ, জিন, অ্যামিনো এসিড এবং নিউক্লিক অ্যাসিড। এসব ডেটা কে ব্যবহার করে জৈব ও জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং একত্রি করনের কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়,যা জিনভিত্তিক নতুন ঔষধ আবিষ্কার এবং উন্নয়নের কাজে লাগে।(#2)

বায়োইনফরমেটিক্স বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হলো বিশাল জৈব ভান্ডার কে সুশৃংখলভাবে সংরক্ষণ, এত সহজ বিচরণ এবং নির্ভরযোগ্য যেটা প্রদানের দায়িত্ব পালন করা হয়। যেকোনো ডাটার বিশ্লেষনের পূর্বে একেবারে অর্থহীন যেটাকে অর্থপূর্ণ জৈব তথ্য প্রদানের উপযোগী করতে কম্পিউটারের ডেটা প্রসেসিং টেকনিক ব্যবহার করা হয়। একটি বায়োইনফরমেটিক্স ডিভাইস সাধারণত তিনটি প্রধান কার্য সম্পাদন করে থাকে। যথা-

১. ডিএনএ ক্রম থেকে প্রোটিন সিকোয়েন্স নির্ণয় করা।

২. প্রোটিন থেকে প্রোটিন স্ট্রাকচার নির্ণয় করা।

৩. প্রোটিন স্ট্রাকচার থেকে প্রোটিনের কাজ নির্ণয় করা। 

উত্তরঃ

উদ্দীপকে মহাশূন্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করার কক্ষে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এই প্রযুক্তির ভূমিকা নিচে মূল্যায়ন করা হলো-

১. বিনোদন ক্ষেত্রে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। আজকালকার প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে নানা ধরনের কম্পিউটার গেইম তৈরি করা হচ্ছে। মিউজিয়াম ও ঐতিহাসিক স্থানের দৃশ্যও তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।(#1)

২. যানবাহন চালান ও প্রশিক্ষণে: বিমান, মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণের সংশ্লিষ্ট সিমুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

৩. শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন-শেখানো কার্যক্রমের জটিল বিষয়গুলো সিমুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবদ্ধ ও চিত্রকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণা লব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ-র গঠন সিমুলেশন এর মাধ্যমে দেখা যায়।(#2)

৪. চিকিৎসার ক্ষেত্রে: জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রতঙ্গ সংযোজন, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদি সহ রোগ নির্ণয়ে ব্যাপকহারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়। ৫. সামরিক প্রশিক্ষণে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকারের যুদ্ধক্ষেত্রের আবহাওয়া তৈরি করে সৈনিকদের উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়।(#3)

৫. ব্যবসা-বাণিজ্য: উৎপাদিত ও প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিবরণ কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, আমাদের প্রাত্তাহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির ভূমিকা অপারেশন।(#4)

Question 3

উত্তরঃ

IP Address এর পূর্ণরূপ হলো Internet Protocol Address। নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটারের একটি নির্দিষ্ট আইডেন্টিটি অ্যাড্রেসকে আইপি অ্যাড্রেস বলে।(#1)

উত্তরঃ

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রতিটি পেইজের জন্য একটি লে-আউট ডিজাইন করতে হয়। লে-আউট বলতে বোঝানো হচ্ছে পেইজের কোন স্থানে কী দেখানো হবে।(#1)

এই ডিজাইনটি প্রাথমিকভাবে কাগজে-কলমে করা যেতে পারে। এ জাতীয় কাগজ- কলমে আঁকা ডিজাইনকে বলা হয় Wireframe.(#2)

উত্তরঃ

চিত্র-১ এ হাইব্রিড বা কম্বিনেশন বা মিশ্র ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে।(#1)

যখন একাধিক কাঠামো (লিনিয়ার কাঠামো, ট্রি কাঠামো) ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন করা হয় তখন তাকে হাইব্রিড বা কম্বিনেশন বা মিশ্র কাঠামো বলে। অনেক সময় লিনিয়ার কাঠামো ও হায়ারার্কিক্যাল কাঠামোর মাধ্যমে মিশ্র কাঠামো তৈরি করা হয়।(#2)

উদ্দীপকের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাঠামো তৈরি করা হয়ে থাকে। এ ধরনের কাঠামোতে অনেক দিক থেকে লিঙ্ক করা থাকে। ফলে তথ্য খুঁজে পেতে সহজ হয়। এ ধরনের কাঠামো ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ও মেমোরি স্পেস কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ: www.google.com.(#3)

উত্তরঃ

চিত্র-২ ওয়েব ব্রাউজারে প্রদর্শনের জন্য HTML কোড নিচে দেওয়া হলো:<!DOCTYPE html>

<html>

      <body>

             <table border=”1″ cellspacing=”0″ cellpadding=”2″>

                    <tr>

                          <td colspan=”2″ align=”center”>Bangladesh</td>

                    </tr>

                    <tr>

                          <td>

                                 <img src=”Photo.jpg” width=”100″ height=”80″ align=”center”>

                          </td>

                          <td align=”left”>

                                 <ol type=”1″>

                                        <li>Dhaka</li>

                                        <li>Dinajpur</li>

                                        <li>Rangpur</li>

                                 </ol>

                          </td>

                    </tr>

                    <tr>

                          <td colspan=”2″ align=”center”>Welcome</td>

                    </tr>             

             </table>

      </body>

</html>

মার্ক নীতিমালা :

(<html>..</html>, <body>…</body> লিখার জন্য মার্ক #1)

(<table>, <tr>… এর ট্যাগ উত্তরে সঠিক লিখলে সবমিলে মার্ক #2)

(<td> ১ম এর কোডের জন্য সব মিলে মার্ক #3)

(<td> ২য় এর কোডের জন্য সব মিলে মার্ক #4)

Question 4

‘X’ কলেজে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে তৈরি মাধ্যম ব্যবহার করে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কলেজটি 40 km দূরে অবস্থিত ‘Y’ কলেজের সাথে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট কমিউনিকেশন ডিভাইস দ্বারা যুক্ত।

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডাটা একই স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই হলো ব্যান্ডউইথ।(#1)

উত্তরঃ

ভিন্ন প্রটোকল এ নেটওয়ার্ক যুক্ত করতে গেটওয়ে ডিভাইস এর প্রয়োজন। যন্ত্রের ভিন্নধর্মী প্রোটকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় সেটি হচ্ছে গেটওয়ে। (#1)

এটি একই বা ভিন্ন প্রোটকল বিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদানের সুযোগ করে দেয়। এটি মূলত নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস। সাধারণত ওএসআই মডেলের একেবারে উপরের স্তরে অবস্থান করে।

(#2)

উত্তরঃ

“X” কলেজের নিজস্ব নেটওয়ার্ক এ ব্যবহৃত মাল্টি কম্পনেন্ট কাজ দিয়ে তৈরি মাধ্যমটি হল ফাইবার অপটিক ক্যাবল। (#1)

হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডাটা আদান প্রদান করা হয় তাকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বলে। এই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে এটাই স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। ফাইবার অপটিক কেবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু, যদিও বিশেষায়িত কাজের জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের তৈরি ফাইবার অপটিক ক্যাবল ও পাওয়া যায়। (#2)

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্ব নেওয়া যায়। এবার অপটিক ক্যাবলের কেন্দ্রের অংশটুকু প্রতিসরাঙ্ক বাইরের অংশের প্রতিসরাঙ্ক থেকে বেশি। যে অংশের প্রতিসরাঙ্ক বেশি তাকে কোর (Core) বলে এবং যে অংশের প্রতিসরাঙ্ক কম থাকে ক্লাড (Clad) বলে। প্রতিসরাঙ্কের পার্থক্যের কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে লস ছাড়াই কোরের ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে। এখানে কোন তড়িৎ সিগন্যাল প্রবাহিত হয় না ফলে এর চারপাশ দিয়ে কোন তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি হয় না। তাই মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তড়িৎ চৌম্বক প্রভাব মুক্ত। (#3)

উত্তরঃ

“X” কলেজের সাথে “Y” কলেজের যুক্তের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কমিউনিকেশন ডিভাইস ছিল IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড। এটি হলো WiMAX প্রযুক্তি।(#1)

উপরের কলেজ দুটি পরস্পর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী। অর্থাৎ তাদের মধ্যে দূরত্ব যথেষ্ট বেশি। বৃহৎ দুরত্বে ডেটা আদান প্রদানের জন্য তার বিহীন মাধ্যমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ওয়াইম্যাক্স। উদ্দীপকে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয়েছে।(#2)

WiMAX দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রচলিত DSL (digital subscriber line) এবং তার যুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়ারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে। প্রযুক্তিতে একটি এক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়। ওয়ারলেস হওয়ায় পোর্টেবিলিটির সুবিধা পাওয়া যায় এবং রিসিভার সহজে বহণযোগ্য। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে। এটি একটি টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ মোবাইল, সেলুলার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তারবিহীন ব্যবস্থায় তথ্য আদান প্রদান করা।(#4)

Question 5

উত্তরঃ

নিজস্ব ছোট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশাল আকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারের সংরক্ষণের ধারণাটি হল ক্লাউড কম্পিউটিং।  #1

উত্তরঃ

সর্বোচ্চ গতির মাধ্যমটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। #1

ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল হল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাঁচের তৈরি অত্যন্ত সুখ ও তন্তু বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। কোর,ক্লেডিং এবং জ্যাকেটের সমন্বয়ের ফাইবার অপটিক্যাল কেবল তৈরি। ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন এর ডেটা প্রেরণের জন্য আলোক উৎস হিসেবে এলইডি বা লেজার ব্যবহার করা হয়।#2

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-৩ এর নেটওয়ার্ক টপোলজটি হলো ট্রি টপলোজি। #1

ট্রি টপোলজিতে কম্পিউটার বা নোডগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা প্রশাখার ন্যায় বিন্যস্ত ও যুক্ত থাকে। এতে একাধিক স্তরের কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় হোস্ট কম্পিউটার বা সার্ভার এর সাথে যুক্ত থাকে। এই হোস্ট কম্পিউটারের সাথে স্তরবিন্যাস বা হায়ারার্কি অনুসারে বিভিন্ন স্তরের ডিভাইস নেটওয়ার্ক হাব বা সুইচ এর মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এজন্য এটিকে হায়ারার্কিকেল টপলোজিও বলা হয়। এ ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি স্তরের কম্পিউটার তার পরবর্তী স্তরের কম্পিউটারের জন্য অন্তর্বর্তী হোস্ট কম্পিউটার হিসেবে কাজ করে। #2

যে কম্পিউটারের পরে আর কোন কম্পিউটার যুক্ত হয় না সে কম্পিউটারকে পেরিফেরাল টার্মিনাল বা প্রান্তীয় কম্পিউটার বলে। ট্রি টপোলজি নেটওয়ার্ক সহজেই সম্প্রসারণ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহ দ্বিমুখী হয়। বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠনে অন্যান্য টপলোজির তুলনায় ট্রি টপোলজি বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ডেটা নিরাপত্তাও সবচেয়ে বেশি। 

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ এর টপোলজিটি হল বাস টপোলজি এবং চিত্র-২ এর টপোলজিটি হলো স্টার টপোলজি। #1

বাস টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্ক স্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। যার প্রধান ক্যাবলটিকে ব্যাকবোন বলে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়। ফলে খরচ ও সাশ্রয় হয়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়। এ সংগঠনের কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না।

এ সংগঠনের কোন কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ব্যাহত হয় না। #2

অপর দিকে স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাব বা সুইচে কোন প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্কে অকেজো করে দেয় এবং

স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।  #3

অতএব উপরিউক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, সহজে ডেটা আদান প্রদানের জন্য বাস টপোলজি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। #4

Question 6

রমিজের বাবা তাকে ১,০০০ টাকার একটি নোট দিয়ে বাজার করতে পাঠালেন। রমিজ ২০০ টাকার ১ কেজি মাছ ও মাছের তিনগুণের চেয়ে পঞ্চাশ টাকা বেশি দিয়ে ১ কেজি মাংস কিনল এবং ৫০ টাকা দিয়ে তার নিজের জন্য খাতা কিনল ।

উত্তরঃ

সি প্রোগ্রামিং ভাষায় ব্যবহৃত বেশ কিছু সংরক্ষিত শব্দকে কী-ওয়ার্ড বলে। (#1)

উত্তরঃ

Mark [5][4] স্টেটমেন্টটি একটি দ্বিমাত্রিক অ্যারের সেল নির্দেশ করে। যে আ্যারেতে একাধিক সারি ও একাধিক কলামে ডেটা উপস্থাপন করা হয় তাকে দ্বিমাত্রিক অ্যারে বলা হয়।(#1)

Mark [5][4] দ্বারা Mark নামের একটি অ্যারে যার 5th রো এবং 4th কলাম দ্বারা গঠিত সেল এর ডাটা নির্দেশিত হচ্ছে। (#2)

উত্তরঃ

মাছ এবং মাংস কেনার পরে রমিজের কাছে কত টাকা রইল তা নির্ণয়ের ফ্লোচার্ট নিচে দেওয়া হলো:

পুরো প্রোগ্রাম নির্ভুল লিখলে ফুল ৩ পাওয়া যাবে।

উত্তরঃ

বাজার পরবর্তী রমিজের কাছে কত টাকা রইল তা নির্ণয়ের জন্য C প্রোগ্রাম নিচে লিখা হলো:

#include<stdio.h>     (#1)

main()

{

     int i,f,m,k;

     i=1000;

     f=200;

     k=50;      (#2)

     m=3*f+50;

     i=i-f-m-k;      (#3)

     printf(“%d”,i);

     return 0;

}

(#4)

Question 7

নিচের ফ্লোচার্টটি লক্ষ কর-

উত্তরঃ

সুডো কোড হলো এমন কোড যা কোনো কোড নয় কিন্তু প্রোগ্রাম রচনার সময় প্রোগ্রামকে বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়।→#1

উত্তরঃ

K++ : K++ এর ক্ষেত্রে কম্পাইলার প্রথমে প্রোগ্রামে K এর পুরাতন মান ব্যাবহার করে অতঃপর ভেরিয়েবলের মানের সাথে যথাক্রমে এক যোগ করে।

++K : ++K এর ক্ষেত্রে কম্পাইলার প্রথমে K এর প্রারম্ভিক মানের সাথে যথাক্রমে এক যোগ করে অতঃপর একই স্টেটমেন্ট এ বর্ধিত মান ব্যবহার করে।

এখানে,

১.K++ এর বর্ণনা দিলে #1

2.++k এর বর্ণনা দিলে #2

উত্তরঃ

উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধানের জন্য অ্যালগরিদম নিম্নরূপ-

ধাপ-১ : শুরু করি।

ধাপ-২ : a, b, c এর মান ইনপুট নেই।

ধাপ-৩ : যদি a>b এবং a>c হয় তবে ধাপ-৭ এ যাই অন্যথায় ধাপ-৪ এ যাই।

ধাপ-৪ : যদি b>a এবং b>c হয় তবে ধাপ-৬ এ যাই।

ধাপ-৫ : c+9 ছাপাই এবং ধাপ-৮ এ যাই।

ধাপ-৬ : b+6 ছাপাই এবং ধাপ-৮ এ যাই।

ধাপ-৭ : a+5 ছাপাই।

ধাপ-৮ : শেষ করি।

এখানে,

১.ধাপ-১ থেকে ধাপ-৪ এর বর্ণনা দিলে →#1

২.ধাপ-৫,ধাপ-৬ পর্যন্ত বর্ণনা দিলে →#2

৩.ধাপ-৭,ধাপ-৮ পর্যন্ত বর্ণনা দিলে →#3

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্ণিত সমস্যাটি সমাধানের সি ভাষায় প্রোগ্রাম নিচে দেওয়া হলো-

#include

int main()

{

int a, b, c;

printf(“Enter three number:”);

scanf(“%d%d%d”,&a,&b,&c);

if(a>b&&a>c)

{

printf(“%d\n”,a+5);

}

else

{

if(b>c&&b>a)

}

printf(“%d\n”,b+6);

{

else

}

printf(“%d\n”,c+9);

}

}

return 0;

}

এখানে,

1.#include

int main() কোড লিখলে →#1

2.int a, b, c;

printf(“Enter three number:”);

scanf(“%d%d%d”,&a,&b,&c); কোড লিখলে →#2

3.if(condition){….}else{..…} কোড লিখলে →#3

4.return 0;কোড লিখলে →#4

Question 8

উত্তরঃ

যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ আনকোডেড (Uncoded) ডেটাকে কোডেড (Coded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার বলে।#1

উত্তরঃ

NOT গেইটে Output হলো Input -এর যৌক্তিক বিপরীত।

যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটে একটি ইনপুট দিয়ে একটিমাত্র আউটপুট পাওয়া যায় এবং আউটপুটটি ইনপুটের কমপ্লিমেন্টের সমান হয় তাকে NOT গেইট বলে। NOT গেইটের ইনপুট ১ হলে আউটপুট হয় ০ এবং ইনপুট ০ হলে আউটপুট হয় ১। তাই বলা হয়, NOT গেইটে Output হলো Input -এর যৌক্তিক বিপরীত।

উত্তরঃ

চিত্র-২ এর দ্বারা নির্দেশিত গেইটটি হলো NAND গেইট। নিচে NOR গেইট দ্বারা NAND গেইটটি বাস্তবায়ন করে দেখানো হলো: