তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যশোর বোর্ড ২০২৩

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

উত্তরঃ

নিজস্ব ছোট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশাল আকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারের সংরক্ষণের ধারণাটি হল ক্লাউড কম্পিউটিং।#1 

উত্তরঃ

802.15 প্রযুক্তি টি হল ব্লুটুথ প্রযুক্তি। ব্লুটুথ হলো স্বল্প দূরত্বের (১০ মিটার বাদ ৩৩ ফিট এর কাছাকাছি) ভেতরে বিনা খরচের ডাটা আদান-প্রদানের বহু প্রচলিত ওয়ারলেস পদ্ধতি। #1

ব্লুটুথ এর সাহায্যে বিনা খরচের স্বল্প দূরত্বে থাকা আধুনিক প্রায় সকল ডিভাইসে নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। বর্তমানে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ট্যাব, মেডিকেল ডিভাইস এবং বাসা বাড়ির বিনোদনের অনেক ডিভাইসের ব্লুটুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্পদুরুত্তের এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসের ছবি, ভিডিও, অডিও আদান-প্রদান সম্ভব।#2

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ডট বেষ্টিত ডিভাইসটি হলো 3 to 8 লাইন ডিকোডার। #1

ডিকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী, যা ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য কোড কে মানুষের বোধগম্য ফরম্যাট এ রূপান্তর করে। ডিকোডার ইনপুট এর সংখ্যা n হলে তার আউটপুট সংখ্যা 2n হবে এবং আউটপুট লাইনে যেকোনো একটি আউটপুট 1 হলে বাকি সব আউটপুট 0 পাওয়া যাবে। আউটপুট অবস্থা সর্বদা ইনপুট অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।

উদ্দীপকের ডিকোডারটির ক্ষেত্রে n=3 এর জন্য সত্যক সারণিটি নিম্নরূপ:

3 to 8 সার্কিট ডায়াগ্রাম:

ডিকোডার হলো এমন এক ধরনের ধরনের সার্কিট যার ইনপুট হিসেবে কোন বাইনারি সংখ্যা দিলে আউটপুটে তার বিপরীতে সিগন্যাল প্রদান করে। কম্পিউটার আউটপুট ইউনিটে কোডিংকে সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় প্রকাশ করার জন্য ডিকোডারের প্রয়োজন হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্রে ৪র্থ, ৫ম ও ৭ম Clock pulse এর প্রয়োগে X, Y ও Z এর মান কী হবে? বিশ্লেষণ করা হলো: 

অর্থাৎ ,উদ্দীপকের চিত্রে ৪র্থ Clock Pulse এর প্রয়োগ X, Y, Z এর মান হবে 0 0 1, ৫ম Clock Pulse এর প্রয়োগে X, Y, Z এর মান হবে 1 0 1 এবং ৭ম Clock Pulse এর প্রয়োগ X, Y, Z এর মান হবে 1 1 1. #4



Question 2

স্যার আইসিটি ক্লাসে দু’জন ছাত্রকে দুটি দশমিক সংখ্যা লিখতে বলায় একজন (+63) এবং অন্যজন (+70) লিখলো। তখন স্যার বললেন আমি 0, 1, 2, 3 ও 4 দিয়ে নতুন একটি সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি।

উত্তরঃ

পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যার পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশকে যে চিহ্ন দ্বারা আলাদা করা হয় তাই রেডিক্স পয়েন্ট। #1

উত্তরঃ

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 9+7=16  যা অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে হয় 20।#1

(9)10+(7)10= (16)10

এখন,

(16)10= (10000)2

এখানে, (10000)2= 010 000= 20

সুতরাং (10000)2= (20)8

উত্তরঃ

উদ্দীপকের নতুন সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3 ও 4 মোট 5টি সংখ্যা রয়েছে সুতরাং এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি 5।

Question 3

একজন ফল ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নেয়। যেখানে ফলের বিবরণের জন্য একটি ওয়েবপেজ আছে যার আউটপুট চিত্র-১ এর ন্যায়। তার ওয়েবসাইটে ফলের দাম নিয়মিত আপডেট হয় না। ফলে ক্রেতারা ভুল তথ্য পায় ।

উত্তরঃ

অ্যাট্রিবিউট হচ্ছে কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারক নির্দেশন। #1

উত্তরঃ

আইপি ঠিকানা যেহেতু সংখ্যা দিয়ে লেখা হয় সেই কারণে একসাথে অনেকগুলো address পৃথকভাবে মনে রাখা বেশি কষ্টকর। মনে রাখার সুবিধার্থে সংখ্যার পরিবর্তে ডোমেন নেইম ব্যবহার করা হয়।(#1)

যেমন- আইপি ঠিকানা 2002.48.228.2 এর পরিবর্তে circle.net ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায় যে, আইপি ঠিকানা হচ্ছে ডোমেন নেইম এর গাণিতিক রূপ। (#2)

উত্তরঃ

চিত্র-১ এর ন্যায় ফলাফল পেতে নিচে HTML কোড লিখা হলো:

<!DOCTYPE html>

<html>

     <body>

          <dl>

                 <dt>Mango:</dt>

           </dl>

           <dd>

                 <p>Seasonal Fruit</p>

                 <ol type=”A”>

                       <li>Green</li>

                       <li>Red</li>

                 </ol>

           </dd>

           <dt>Jack Fruit:</dt>

           <dd>

                 <p>National Fruit</p>

                 <ul type=”square”>

                       <li>Green</li>

                       <li>Yellow</li>

                 </ul>

           </dd>

     </body>

</html>

উত্তরঃ

উদ্দীপকের স্বপক্ষে গ্রাহকদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে ব্যবসায়ীর স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর বদলে ডায়নামিক ওয়েবসাইট ব্যবহার প্রয়োজন।#1

উদ্দীপকে ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত আপডেট হয় না। অর্থাৎ ব্যবসায়ের ওয়েবসাইটটি হলো স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট। যেসব ওয়েব পেজের ডাটার মান ওয়েবপেজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েব পেজ বলে।#2

পক্ষান্তরে যেসব ওয়েব পেজ যেটার মান পেজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় তাকে ডায়নামিক ওয়েবপেজ বলে। ডায়নামিক ওয়েবসাইটের যেটার মান ওয়েবপেজ লোডিং বা চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়। এতে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট দিতে পারে এবং সেই ইনপুট অনুসারে বিভিন্ন আউটপুট তৈরি করা হয়।#3

তাই উদ্দীপকে ব্যবসায় যদি তার স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটটিকে ডায়নামিক ওয়েবসাইটের পরিণত করেন তবে তিনি প্রতিনিয়ত ফলের দাম আপডেট করতে পারবেন। এর ফলে গ্রাহকদের কাছে সঠিক তথ্য প্রেরিত হবে। তাই বলা যায়, গ্রাহকদের সঠিক তথ্য প্রদানের ব্যবসায়ীকে তার ওয়েবসাইটটিকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট এ রূপান্তরিত করতে হবে।  #4

Question 4

#include<stdio.h>
int main ()
{
int a, b = 0;
for (a=5; a<=100; a+=5)
b=b+a;
}
printf (“%d”, b);
return 0;
}

উত্তরঃ

কতগুলো অপারেন্ড, অপারেটর ও কনস্ট্যান্টের অর্থবোধক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ উপস্থাপনই হলো এক্সপ্রেশন। (#1)

উত্তরঃ

লোকাল ও গ্লোবাল ভেরিয়েবল এক নয়। কারণ-

১. লোকাল ভেরিয়েবল যে ফাংশনে ঘোষণা করা হয় শুধু ওই ফাংশনেই কাজ করে। কিন্তু গ্লোবাল ভেরিয়েবল প্রোগ্রামের সর্বত্রই কার্যক্রম থাকে। (#1)

২. কোন ফাংশনের ভেতর লোকাল ভেরিয়েবল ঘোষণা করা হয়। পক্ষান্তরে যে কোন ফাংশনের বাইরে গ্লোবাল ভেরিয়েবল ঘোষণা করা হয়। 

৩. ফাংশন কল করার সময় লোকাল ভেরিয়েবল মান ধরে রাখতে পারেনা। কিন্তু গ্লোবাল ভেরিয়েবল ফাংশন কল করার সময় মান ধরে রাখতে পারে। (#2)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে প্রোগ্রামটির অ্যালগরিদম নিম্নরূপ-

ধাপ-১: শুরু করি।

ধাপ-২: b=0 ধরি।

ধাপ-৩: a=5 ধরি।(#1)

ধাপ-৪: a>100 হলে ধাপ-৭ এ যাই,অন্যথায় ধাপ ৫ও ৬ এ যাই।

ধাপ-৫: b=b+a.(#2)

ধাপ-৬: a=a+5(a এর মানকে ৫ করে বৃদ্ধি করি এবং পুনরায় ধাপ-৪ এ যাই)

ধাপ-৭: যোগফল প্রিন্ট করি।

ধাপ-৮: শেষ করি।(#3)

উত্তরঃ

do loop ব্যবহার করে উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি নিচে দেওয়া হলো-

#include<stdio.h>

int main() (#1)

{

      int a=5,b=0;

      do

      {

      b= b+a;

      a= a+5;

      }

      while(a<=100);

      printf(“%d”,b);

      return 0;

}

(#2)

While লুপ ব্যবহার করে উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি নিচে দেওয়া হলো-

#include <stdio.h>

int main()

{

      int a=5,b=0;

      while (a,=100) (#3)

      {

      b= b+a;

      a= a+5;

      }

      printf(“%d”,b);

      return 0;

}

Question 5

ICT শিক্ষক দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে। প্রোগ্রামিং বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন যে, “যেসব সংখ্যা। এবং ঐসব সংখ্যা ভিন্ন অন্য কোনো সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য নয়” এমন 30 পর্যন্ত সংখ্যাসমূহ নির্ণয়ের জন্য একটি প্রোগ্রাম লেখ।

উত্তরঃ

কি-ওয়ার্ড হলো সি প্রোগ্রামিং ভাষায় ব্যবহৃত বেশ কিছু সংরক্ষিত শব্দ। #1 

উত্তরঃ

“x=y+i;” স্টেটমেন্টটি সি ভাষায় একটি গাণিতিক অপারেশন সঞ্চালিত করে। #1

এটি ভেরিয়েবল “i” এর মানের সাথে ভেরিয়েবল “y” এর মান যোগ করে এবং “x” ভেরিয়েবলের ফলাফল নির্ধারণ করে। মূলত এটি “y” এবং “i” এর যোগফল গণনা করে এবং ফলটিকে “x” ভেরিয়েবলে সংরক্ষণ করে। #2

উত্তরঃ

উদ্দীপকে স্যারের দেয়া সমস্যাটি সমাধানের ফ্লোচার্ট নিচে দেওয়া হলো:

উত্তরঃ

উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধানের জন্য C প্রোগ্রাম নিচে দেওয়া হলো:

#include

int main()

{

      printf(“Prime number between 1 and 30:\n”);

      int i,n;

      for(n=2;n<=30;n++)

      {

      for(i=2;i<n;i++)

      {

      if(n%i=0)

      {

      break;

      }

      }

      if(i==n)

      {

      printf(“%d\n”,n);

      }

      }

      return 0;

}

Question 6

ডাঃ রাজিব মেডিকেল কলেজের ব্যবহারিক ক্লাসে রোগী ছাড়াই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে হার্টের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন । তিনি লং টেনিস খেলতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন অন্যান্য বলের তুলনায় এ বলের স্থায়িত্ব অনেক বেশি ।

উত্তরঃ

ক্রায়োপ্রোব হলো ক্রায়ো সার্জারিতে ব্যবহৃত এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত- আল্টাথিন সুচ ও মাইক্রো ক্যামেরাযুক্ত নল যা দিয়ে ক্ষতস্থান শনাক্ত ও প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। 

উত্তরঃ

বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। যেমন: কয়লা খনি, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, ভূমিকম্প বা দুর্যোগপূর্ণ এলাকা, যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, ভূমি মাইন শনাক্তকরণ, কলকারখানায় অগ্নিসংযোগস্থল থেকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা ইত্যাদি।(#1)

এসব ক্ষেত্রে মানুষের পক্ষে যে কাজ করা সম্ভব নয় তাই করে যন্ত্র তথা রোবট। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের সব কাজ সম্পাদন করতে পারে। (#2)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে টেনিস বল তৈরির প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি। 

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে 1-100 ন্যানোমিটার আকৃতির কোন কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তি হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি। ন্যানো প্রযুক্তির দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় জিনিস তৈরি করা হয়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির কিছু থেকে শুরু করে তাকে ভেঙ্গে ছোট করতে করতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকৃতিতে পরিণত করা হয়।

 

এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও হালকা হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামীতে দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি, প্রতিরক্ষায় ন্যানো রোবট, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকরী ও সস্তায় শক্তি উৎপাদন সহ পানি ও বায়ু দূষণ কমানোর সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।(#1)

দক্ষ জনবল তৈরিতে এ প্রযুক্তির ভূমিকা নিচে বর্ণনা করা হলো:

যেকোনো কাজ সফলতার জন্য দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে বর্তমান ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য পেশাজীবীদের বাস্তবসম্মত ও নিরাপদ প্রশিক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।(#2)

বিশেষ করে চিকিৎসা, গাড়ি বা বিমান চালনা, সামরিক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রগুলোতে বিভিন্নভাবে শারীরিক কিংবা রিসোর্স গত যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেগুলো সহজেই নিরাপদ করে তোলা সম্ভব। যেমন- বাস্তবে বিমান চালনা বা গাড়ি চালানায় দুর্ঘটনার শঙ্কা, চিকিৎসায় পরীক্ষা মূলক অপারেশন রোগীর প্রাণ সংহারের আশঙ্কা কিংবা সামরিক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণে সরাসরি আহত বা নিহত হওয়ার শঙ্কাগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটের মাধ্যমে পরাবাস্তব পরিবেশে একেবারেই নেই।(#3)

কেননা এখানে সম্পূর্ণ কৃত্রিম পরিবেশ বা উপাদান ব্যবহার করে বাস্তবের ন্যায় অবিকল দৃশ্য, মডেল ও পরিবেশ তৈরি করা হয়, যেগুলো কোন কিছুই বাস্তব নয় আবার বাস্তব না হলেও এগুলো পুরোপুরি বাস্তবের মত বিধায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার অভাবে প্রশিক্ষণটি অসম্পূর্ণ বা বিফলতার পর্যবসিত হয় না। আর এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। সুতরাং সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

(#4)

Question 7

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডাটা একই স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।(#1)

উত্তরঃ

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়।

যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক ষ্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের এটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটার ক্যারেক্টার সম্পর্কে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরোধীদের প্রতিভার একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।(#1)

এই পদ্ধতিতে প্রথমেই ডাটাকে প্রাইমারি স্টোরেজ তথা পিরিয়ডিক ফ্রেম কম্পিউটারের ব্যবহৃত র‌্যাম, ক্যাশ অথবা সিপিইউ মেমোরিতে সংরক্ষণ করে অতঃপর তাকে ব্লক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে 80 থেকে 132 টি ক্যারেক্টার থাকে।(#2)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ এ উল্লেখিত টপোলজিটি হলো স্টার টপোলজি এবং D ডিভাইসটি হলো স্টার টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস। স্টার টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে হাব বা সুইচ ব্যবহার করা হয়।(#1)

একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটার বা ডিভাইসের নেটওয়ার্কিং করার জন্য হাবব্যবহৃত হয়।

নেটওয়ার্কিং করার জন্য বর্তমানে হাবের পরিবর্তে ব্যাপকভাবে সুইচ ব্যবহৃত হয়। কার্যক্রমের দিক থেকে হাব এর সাথে সুইচের তেমন কোনো পার্থক্য নেই তবে সুইচের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে।

নিচে স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে উক্ত ডিভাইসের ভূমিকা আলোচনা করা হলো:

১. এর সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্ত থাকে।(#2)

২. প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডাটা সকল পোর্টে প্রেরণ করে।

৩. উক্ত টপোলজিতে ডিভাইসটি LAN ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।

৪. স্টার টপোলজিতে হাব নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে পারে। (#3)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ হলো স্টার টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো মেশ টপোলজি। এদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রেই নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইস হিসেবে গেটওয়ে বা রাউটার ব্যবহার করা হয়।

তবে এদের মধ্যে সংযুক্তি ঘটাতে গেটওয়ে ডিভাইসটা বেশি উপযোগী। রাউটারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় কারণ রাউটার একই প্রটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। কিন্তু উদ্দীপকে দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। গেটওয়ে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। যেহেতু উদ্দীপকে চিত্র দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের, তাই এদের জন্য রাউটার থেকে অধিক শক্তিশালী ডিভাইস ব্যবহার করা উপযোগী। আর এই ডিভাইসটি হচ্ছে গেটওয়ে।

গেটওয়ে হচ্ছে ইন্টারনেটের প্রবেশ পথ অর্থাৎ এমন একটি ডিভাইস যা দুটি ভিন্ন প্রকৃতির নেটওয়ার্ক যেমন নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর মধ্যে ডেটা বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয় না, যা রাউটার, সুইট বা হাব এ সকল ডিভাইস দ্বারা সম্ভব নয়।উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য গেটওয়ে ডিভাইসটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এর ফলে ডেটার সংঘর্ষ বা কলিশন সম্ভাবনা কম হয় এবং বিভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। এর ফলে গেটওয়ে ডিভাইসটি উপযোগী।

Question 8

উত্তরঃ

কাউন্টার সর্বাধিক যতগুলো সংখ্যা গুনতে পারে, তাই কাউন্টারের মোড নম্বর।

উত্তরঃ

ডি মরগ্যানের প্রথম উপপাদ্য: দুই বা ততোধিক বলিয়ান চলকের যোগফলের পূরক ওই চলক গুলোর পূরকের গুণফল এর সমান। #১

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্তনীটি হলো হাফ অ্যাডার। নিচে NOR গেইট দিয়ে হাফ অ্যাডার বাস্তবায়ন দেখানো হলো- 

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্তনীতে একটি ইনপুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করলে নতুন যে বর্তনীটি হবে ফুল অ্যাডার। নিচে হাফ অ্যাডার দিয়ে ফুল অ্যাডার বাস্তবায়ন করে দেখানো হলো:

হাফ অ্যাডার দ্বারা পূর্ণ যোগের বর্তনী করা সম্ভব। নিচে তা দেখানো হলো:

প্রথম হাফ অ্যাডারের ক্ষেত্রে-                                         দ্বিতীয় হাফ অ্যাডারের ক্ষেত্রে

S1=AꚚB  এবং                                                               S2=S1ꚚCi এবং

C1=A.B                                                                          C2=S1.Ci

ফুল অ্যাডারের ইনপুট A, B ও Ci  এবং আউটপুট যোগফল S ও ক্যারি Co হলে ফুল অ্যাডারের ক্ষেত্রে,

S = S1+S2                                                            Co=C1 +C2

     = S1+ S1ꚚCi 

   = S1ꚚCi = AꚚBꚚCi
চিত্রঃ হাফ অ্যাডারের সাহায্যে ফুল অ্যাডারের সার্কিট বাস্তবায়ন