তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যশোর বোর্ড ২০১৯

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

ঝুমি ও রুমি টেস্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর যথাক্রমে  (920)10 (920)8 । তাদের ক্লাস রোল যথাক্রমে  (37)8   (3A)16

উত্তরঃ

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি অংককে সমতুল্য চার বিট বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করাকে বিসিডি কোড বলে।

উত্তরঃ

বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়। কম্পিউটারের সাহায্যে কোন তথ্যকে লিখিত আকারে প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন এনকোডিং পদ্ধতির মধ্যে ইউনিকোডকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ। ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিট কোড। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ও টেক্সটকে প্রকাশ করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়। এ কোডের মাধ্যমে ২১৬ বা ৬৫৫৩৬টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। তাই ইউনিকোডের মাধ্যমে বিশ্বের সকল ভাষাকে কোডভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

উত্তরঃ

ঝুমুর টেস্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর (920)10 এবং রুমির টেস্ট পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (920)8। কিন্তু অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 8 এবং এর সঙ্গে পদ্ধতিতে 0-7 পর্যন্ত সংখ্যাগুলির ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ (920)8 সংখ্যাটি সঠিক নয়। তাই ঝুমী ও রুমে প্রাপ্ত নম্বর দুটির পার্থক্য যৌগের মাধ্যমে নিরূপণ করা সম্ভব নয়।

Question 2

রাজ আইসিটি ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনা হতে জানতে পারে যে, ডেটা কমিউনিকেশনে একটি পদ্ধতিতে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। সে তার বাসায় তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ নেয়। ফলে সে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। 

উত্তরঃ

ক্লাউড কম্পিউটিং হলো সাবক্রিপশন ভিত্তিক পরিসেবা বা সার্ভিস, যা নেটওয়ার্ক স্টোরেজ স্পেস এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করে।

উত্তরঃ

আলোক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। এটি হাজার হাজার কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আলোক রশ্মির পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা পরিবহন করে থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো Wi- Fi। Wi-Fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়‍্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযোগ্য কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগসমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে তাকে Wi-Fi বলে। এটি ওয়‍্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য ৮০২.১১ প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। একটি নির্দিষ্ট কভারেজ এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। বিগত কয়েক বছরে Wi-Fi প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ISP প্রতিষ্ঠান প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে Wi-Fi সংযোগ দিলেও পরবর্তীতে মাসিক চাঁদার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা সেলফোনের মতো কাজ করে। পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেইম, স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ারে Wi-Fi এডাপ্টার থাকে তবে এটি অডিও প্লেয়ার ইন্টারনেটের সাথে Wi-Fi যুক্ত করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ট্রান্সমিশন পদ্ধতিদ্বয় হলো এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ও সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার এবং সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়। এ পদ্ধতিদ্বয়ের মধ্যে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি।

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্নও হতে পারে। ক্যারেক্টারসমূহের ট্রান্সমিশনের সময় বিরতি সমান না হওয়ায় এর ডেটা স্থানান্তরের সময় বেশি লাগে।

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রকৃত ডেটা =8 bits

মোট ডেটা =11 bits

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা ​=  (প্রকৃত ডেটা /মোট ডেটা) ​×100= (8Bits/​11Bits) ×100=72.73% (প্রায়) ​

অন্যদিকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের প্রতি দুটি ব্লকের মাঝখানের সময় বিরতি (যেমন কয়েক মিনিট বা মাইক্রো বা ন্যানো সেকেন্ড) একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকে। প্রতি ব্লকে ৮০ থেকে ১৩২ ক্যারেক্টারের একটি ব্লক তৈরি করে ট্রান্সমিট করা হয়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে 80 Bytes পরিমাণের একটি ক্যারেক্টার ব্লক স্থানান্তরে 2 Bytes হেডার এবং 2 Bytes টেলার ইনফরমেশন যুক্ত করতে হয়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর। ব্লক ডেটা = 2 Bytes হেডার + 80 Bytes +2 Bytes = 84 Bytes

এখানে, প্রকৃত ডেটা = 80 Bytets এবং

মোট ডেটা = 84 Bytes

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা =  (প্রকৃত ডেটা/ মোট ডেটা) ​×100

= (80 Bytes /84 Bytes)​×100

=95.24% (প্রায়) ​

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা এসিনক্রোনাস এর তুলনায় বেশি।

Question 3

# include<stdio.h>

void main()

{

int i;

for(i= 20; i<=50; i=i + 5)

{

printf(“%d”, i);

}

 

}

উত্তরঃ

প্রোগ্রামের ধরন ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কিত কিছু সংখ্যক নির্দেশ বা স্টেটমেন্টের সমন্বয়কে সুডোকোড বলে।

উত্তরঃ

variable ++ ও ++ variable এক নয়। কারণ-

++ যদি Operator এর পরে থাকে তবে তাকে post increment or postfix. বলে। যেমন: variable + +

+ + যদি Operator এর আগে থাকে তবে তাকে pre increment or prefix বলে। যেমন: ++ variable

উত্তরঃ

উদ্দীপকের for loop স্টেটমেন্টের গঠন:

for (expression 1; expression 2; increment/ decrement)

{

statement;

}

এ স্টেটমেন্টে- (i) Initialization অংশে চলকের একটি প্রাথমিক মান দেওয়া হয়।

(ii) Condition অংশে চলকের চূড়ান্ত মান নির্ধারণের শর্ত দেওয়া থাকে। অর্থাৎ কতবার লুপে আবর্তিত হবে তার শর্ত দেওয়া থাকে।

 

(iii) increment / decrement অংশে চলকের মান হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি হলো-

এখানে। একটি ইন্টিজার ভেরিয়েবল। for লুপের মধ্যে। এর প্রাথমিক। মান ধরা হয়েছে 20 এবং প্রতিবার 5 করে বৃদ্ধি পাবে। এভাবে বৃদ্ধি পেতে পেতে 50 পর্যন্ত এসে থেমে যাবে।

সবশেষে printf (“%d”, i);

স্টেটমেন্টটি দ্বারা উক্ত চলকের মান আউটপুট দেখাবে।

 

অর্থাৎ, প্রোগ্রামটির আউটপুট হবে 20 25 30 35 40 45 501

Question 4

উত্তরঃ

ব্রাউজার হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব রিসোর্স থেকে তথ্য খুঁজে বের করা, একসিস করা এবং উপস্থাপন করার একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

উত্তরঃ

আইপি ঠিকানা যেহেতু সংখ্যা দিয়ে লেখা হয় সে কারণে একসাথে অনেকগুলো Address পৃথকভাবে মনে রাখা বেশ কষ্টকর। মনে রাখার সুবিধার্থে সংখ্যার পরিবর্তে ডোমেইন নেইম ব্যবহার করা হয়। যেমন- আইপি ঠিকানা 2003.91.139.2 এর পরিবর্তে bijoy.net ডোমেইন নেইম ব্যবহার করা যায়। তাই বলা যায় যে, আইপি ঠিকানা হচ্ছে ডোমেইন নেইম এর গাণিতিক রূপ।

উত্তরঃ

দৃশ্যকল্প-৩ এর ওয়েব পেজ প্রদর্শনের HTML কোড:

<!DOCTYPE html>

      <html>

      <body>

             <caption>Student-Info</caption>

             <table border=”1″ width=”100″>

                    <caption>Available Honor’s Subject</caption>

                    <tr>

                    <th>Roll</th>

                    <th>Name</th>

                    <th>Address</th>

                    <th>Result</th>

                    </tr>

                    <tr>

                    <td>5001</td>

                    <td>Rima</td>

                    <td>Dhaka</td>

                    <td>3.5</td>

                    </tr>

                    <tr>

                    <td>5002</td>

                    <td>Moon</td>

                    <td>Sylhet</td>

                    <td>4.7</td>

                    </tr>

                    <tr>

                    <td>5003</td>

                    <td>Jui</td>

                    <td>Dhaka</td>

                    <td>5.0</td>

                    </tr>

                    <tr>

                    <td>5004</td>

                    <td>Koli</td>

                    <td>Cumilla</td>

                    <td>3.8</td>

                    </tr>

             </table>

      </body>

      </html>

উত্তরঃ

দৃশ্যকল্প-১ হলো লিনিয়ার কাঠামো এবং দৃশ্যকল্প-২ হলো টি কাঠামো এ দুটি স্ট্রাকচারের মধ্যে দৃশ্যকল্প-২ অর্থাৎ ট্রি বা কায়ারেমার্কক্যাল স্ট্রাকচারটি ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। এ কাঠামোতে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য হোম পেইজে লিঙ্ক ব্যবহার করে পরবর্তী পেইজগুলোতে যাওয়া যায়। ওয়েবসাইটের কাঠামোর মধ্যে হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়। বেশির ভাগ অনলাইন সিস্টেমে এ ধরনের কাঠামো ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কাঠামোতে মূল বিষয়ের তালিকা বা মেনু তৈরি করে সাব-মেনু তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই লিংকের মাধ্যমে ভিজিটররা সহজেই এক পেইজ থেকে অন্য পেইজ ভিজিট করতে পারে।

অপরপক্ষে যখন কোনো ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ক্রমানুসারে দেখার প্রয়োজন পড়ে তখন লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। পেইজের সংখ্যা কম হলে এ ধরনের কাঠামো উপযোগী। এ ধরনের কাঠামোতে মূল পেইজ থেকে শুরু হয়ে ডকুমেন্টের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করে। এ ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, Fast, Last ইত্যাদি লিঙ্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে এই কাঠামোর মাধ্যমে ইচ্ছেমতো নির্দিষ্ট পেইজে ভিজিট করা যায় না। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, দৃশ্যকল্প-১ এবং দৃশ্যকল্প-২ এর মধ্যে দৃশ্যকল্প-২ এর ওয়েব কাঠামো অধিক সুবিধাজনক।

Question 5

#include (stdio.h)

void main()

{

Int i, S = 0;

Printf (“Enter last number=”)

Scanf(“%d”, &n)

I = 10;

while (i<=n)

{

S=S+i

i=i+10

}

Printf(“Sum = %d”,s)

}

উত্তরঃ

কম্পাইলারের যে সকল ফাইলের বর্ধিত নাম (.h) তাদেরকে হেডার ফাইল বলা হয়।

উত্তরঃ

C এবং C++ এর মধ্যে ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। যেমন-

১। C একটি জেনারেল পারপার্স প্রোগ্রামিং ভাষা। C থেকে C++ এর উৎপত্তি।

২। C ভাষাকে প্রোগ্রামিং ভাষার জনক বলা হয়। C এর উন্নত ভার্সন C++1

৩। C হলো প্রসিডিউরাল বা স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রামিং ভাষা। C ++ হলো অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা।

৪। C হচ্ছে উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। C++ মধ্যস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের প্রোগ্রামটিতে যেসব বাগ রয়েছে তার নিচে দেওয়া হল –

#Include(stdio.h): Include ও I বড় হাতের ব্যবহৃত হয়েছে এবং stdio.h এ (

) ব্যবহৃত হয়েছে।

print (“Enter last number =”):printf এর P বড় হাতের ব্যবহৃত হয়েছে এবং স্টেটমেন্ট শেষের সেমিকোলন (;)ব্যবহার করা হয়নিScan f(“%d”,n):Scanf এর S বড় হাতের ব্যবহৃত হয়েছে এবং nওf এর মধ্যে ফাঁকা স্পেস রয়েছে। n এর পূর্বে & অপারেটর ব্যবহৃত হয়নি স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন (;)ব্যবহৃত হয়নি।

I=10 ; :ভেরিয়েবল i প্রথমে ডিক্লেয়ার করা হয়েছে কিন্তু ব্যবহৃত হয়েছে I.

While(i<n):প্রথমে ভেরিয়েবল n দেখলে আর করা হয়নি।

S=S+i:স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন(;) ব্যবহৃত হয়নি।

i=i+10:i:স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন(;) ব্যবহৃত হয়নি।

Print &(“sum=℅d”s):Print f এর P বড় হাতের এবং iও এর মধ্যে ফাঁকা স্পেস রয়েছে। ” “এরপরে কমা (,)ব্যবহৃত হয়নি স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন (;)ব্যবহৃত হয়নি।

উদ্দীপকের প্রোগ্রাটির ডিবাগিং বা ভূল ঠিক করে লেখা হলো

উত্তরঃ

উদ্দীপক প্রোগ্রামটি goto লুখ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হলো:

#include<stdio.h>

     void main ()

{

     int i,S=0;

     printf(“Enter last number=”)

     scanf(“%d”,n);

     i=10;

     again: s=s+i;

     i=i+10

     if(i<=n)goto again;

     printf(“Sum=%d”s);

     return 0;

}

Question 6

উত্তরঃ

ডেটার ধরনকে ডেটা টাইপ বলে।

উত্তরঃ

আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এক ধরনের ডেটাবেজ সফটওয়ার ব্যবহার করে। সেই ডেটাবেজকে কর্পোরেট ডেটাবেজ বলে। কর্পোরেট ডেটাবেজ ইন্টারনেট ভিত্তিক। ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কর্পোরেট ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয়। অনেক বিল্টইন কর্পোরেট ডেটাবেজ ডিজাইন করা থাকে যেগুলো বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শাখা অফিসগুলোর সাথে তাদের কর্পোরেট লেনদেন করে থাকে।

 

উত্তরঃ

উদ্দীপকের stu_Result টেবিলের ফিল্ডগুলোর ডেটা টাইপ নিচে বর্ণনা করা হলো-

Field Name

Data Type

Roll

Number

Name

Text

GPA

Number

Remark

Number

নিচে ডেটা টাইপের বর্ণনা দেওয়া হলো:

Number : সংখ্যা ডেটার জন্য এ ডেটা টাইপ ব্যবহার করা হয়। এ জাতীয় ফিল্ডের ডেটার উপর বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক অপারেশন করা যায়। ডেটার মানের ব্যাপ্তির উপর ভিত্তি করে Number ফিল্ডকে সাধারণত বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যেমন- বাইট, ইন্টেজার, লং ইন্টেজার, সিংঙ্গেল ইন্টেজার, ডাবল ইন্টেজার ইত্যাদি।

Text: Text: ডেটা টাইপ বিশিষ্ট ফিল্ডে অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। এ ফিল্ডে সর্বোচ্চ ২৫৫ টি বর্ণ/অঙ্ক/চিহ্ন এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের একটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের
Stu-Result ও Stu- InFo নামে দুটি এনটিটি সেট আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের Stu-Result সেটে
Roll, Name, GPA, Remarks মিলে চারটি অ্যাট্রিবিউট আছে।

Stu-Info এনটিটি সেটে Roll,
Address মিলে দুইটি অ্যাট্রিবিউট আছে।

 

 

এখন অ্যাট্রিবিউটসমূহের উপর ভিত্তি
করে একটি এনটিটি রিলেশনশিপ মডেল তৈরি করা হয়েছে। উভয় এনটিটি সেটের মধ্যে রোল কমন অ্যাট্রিবিউট
হওয়ায় রোলের উপর ভিত্তি করে এনটিটি সেটদ্বয়ের মধ্যে রিলেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

Question 7

উত্তরঃ

যে সকল গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় তাদের সার্বজনীন গেইট বলে।

উত্তরঃ

কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় রূপান্তরের ডিভাইস হলো ডিকোডার। ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করার পদ্ধতিকে ডিকোডার বলে। কম্পিউটারের আউটপুট ইউনিটে কোড ভাষায় লেখা তথ্যকে সাধারণ আকারে প্রকাশ করতে ডিকোডারের প্রয়োজন হয়। কন্ট্রোল ইউনিটে বিভিন্ন নির্দেশ, মেমোরি অ্যাড্রেস, কাউন্টারের বাইনারি সংখ্যা ইত্যাদি ডিকোড করতে ডিকোডারের সাহায্য লাগে। ডিকোডার মেমোরি নয় কিন্তু মেমোরির মতো কাজ করে।

উত্তরঃ

চিত্র-১ XOR গেইট এবং চিত্র-২ AND গেইট। এই দুটি গেইট মিলে হাফ অ্যাডার তৈরি হয়। যে অ্যাডার দুটি বিট যোগ করে যোগফল ও হাতে থাকে অঙ্ক বা ক্যারি বের করতে পারে তাকে হাফ অ্যাডার বলে। দুটি বিটের যোগফল এবং ক্যারি বের করার জন্য হাফ অ্যাডার ব্যবহার করা হয়।

মনে করি, দুটি ইনপুট A ও B। এদের যোগফল ১ ও ক্যারি C। সত্যক সারণি থেকে S ও C এর শুধু ১ বিবেচনা করে নিচের সমীকরণ দুটি লেখা যায়।

উত্তরঃ

হাফ অ্যাডার দ্বারা পূর্ণ যোগের বর্তনী করা সম্ভব। নিচে তা দেখানো হলো:

প্রথম হাফ অ্যাডারের ক্ষেত্রে-                                         দ্বিতীয় হাফ অ্যাডারের ক্ষেত্রে

S1=AꚚB  এবং                                                               S2=S1ꚚCi এবং

C1=A.B                                                                          C2=S1.Ci

ফুল অ্যাডারের ইনপুট A, B ও Ci  এবং আউটপুট যোগফল S ও ক্যারি Co হলে ফুল অ্যাডারের ক্ষেত্রে,

S = S1+S2                                                            Co=C1 +C2

     = S1+ S1ꚚCi 

   = S1ꚚCi = AꚚBꚚCi
চিত্রঃ হাফ অ্যাডারের সাহায্যে ফুল অ্যাডারের সার্কিট বাস্তবায়ন 

Question 8

সূর্য পড়াশুনা শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়। কয়েক বছরের মধ্যে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পরবর্তীতে তার এলাকার অনেকেই এ পথ অনুসরণ করে স্বাবলম্বী হয়। তার ভাই প্রতাপ বাড়িতে থেকে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে

উত্তরঃ

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহিত্য, গবেষণা বা সম্পাদনা কর্ম হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাই হলো প্লেজিয়ারিজম।

উত্তরঃ

বায়োইনফরমেটিক্সে ব্যবহৃত ডেটাসমূহ হলো ডিএনএ, জিন, অ্যামিনো এসিড এবং নিউক্লিক এসিড। এসব ডেটাকে ব্যবহার করে জৈব ও জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং একত্রীকরণের কাজ কম্পিউটারের মাধমে করা হয়, যা জিনভিত্তিক নতুন ঔষধ আবিষ্কার এবং উন্নয়নের কাজে লাগে।

উত্তরঃ

প্রতাপের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে।

ডিসটেন্স লার্নিং হলো এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে কোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্জন করতে পারে। এর জন্য সর্বাগ্রে যা প্রয়োজন তা হলো ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট-এ সংযুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্বের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা এবং ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা অর্জন অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ের। যেসব উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশের শিক্ষার্থীগণ আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিদেশ গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনা তারা ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণ করে।

তাই বলা যায় যে, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমেরিকা গিয়ে শিক্ষার্জন করতে না পারলেও প্রতাপ ডিসটেন্স লার্নিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সূর্য এর আর্থিক সচ্ছলতার কারণ হলো আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়া।

আউটসোর্সিং এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠী এখন অর্থ উপার্জন করতে পারছে। আউটসোর্সিং এখন অনেকেরই পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর আউটসোর্সিং হতে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে। শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এই শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছে। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেকে এই খাতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে বহু লোক সম্পৃক্ত হচ্ছে বিভিন্ন কাজে, সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান।

অর্থাৎ বাংলাদেশের বাস্তবতায় সূর্যের কার্যক্রম আউটসোর্সিং অদূর ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করবে।