তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

অধ্যায় -২

Question 1- (ঢাকা বোর্ড ২০২৪)

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন শেখাচ্ছেন। মনির আইসিটি স্যারের কাছে ব্ল¬ক আকারে সমান বিরতিতে ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলো। সাদিয়া আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সমিট হয় এমন ক্যাবল দিয়ে বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে ইউটিউব দেখে ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতি সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান অর্জন করলো।

উত্তরঃ

কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন এপি¬কেশন চালানো এবং নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য উপযুক্ত নেটওয়ার্কই হলো ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক।

উত্তরঃ 

মোবাইল ফোনের সেল নেটওয়ার্কের সেল আকৃতি নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মাপকাঠি যেমন- ষড়ভুজাকার, বর্গাকার, সমবাহু ত্রিভুজাকার, বৃত্তাকার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। তবে সেল বৃত্তাকার বা চতুর্ভুজাকার হলেও কিছু এলাকা ওভারলেপিং হয় অথবা কিছু এলাকা কভারেজ থেকে বাদ পরে যায়। শুধুমাত্র সেলের আকৃতি ষড়ভুজ হলেই তা সম্পূর্ণ সেল এরিয়াকে কভার করতে পারে, এ সকল কারণে মোবাইল ফোনের সেল নেটওয়ার্ক সর্বদা ষড়ভুজাকৃতির হয়ে থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬¬খিত সাদিয়ার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল।
যে ক্যাবলটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি এবং আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটাকে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে সেটিই ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল তার মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা–
কোর (Core): অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের একেবারে ভিতরের অংশ হলো কোর। যার মধ্য দিয়ে আলোক সিগন্যাল সঞ্চালন করে। এটি সিলিকা মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ বা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি।
ক্ল্যাডিং (Cladding): কেন্দ্রের অপটিক্যাল ফাইবারকে আচ্ছাদিত করে আছে ক্ল্যাডিং (Cladding) বা কেভলার (Cavler)। এটি এমন এক পদার্থ দিয়ে তৈরি যে আলোক প্রতিফলন করতে পারে। এর প্রতিসরাংক কোরের চেয়ে কম।
জ্যাকেট (Jacket): ক্যাবলের উপর প্ল¬াস্টিক দিয়ে মোড়ানো আবরণটিকে জ্যাকেট (Jacket) বলা হয়। এটি ঘর্ষণ, মরিচা, ঘষামাজা, জলীয় বাষ্প থেকে রক্ষা করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত ট্রান্সমিশন মেথড দুইটি হলো অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। ট্রান্সমিশন মেথড দুইটির মধ্যে কোনটির দক্ষতা বেশি তা গাণিতিকভাবে নি¤েœ প্রমাণ করা হলো–
আমরা জানি, 1 বাইট = 8 বিট
1 কিলোবাইট = 1000 বাইট
10 কিলোবাইট = 1000 X 10বাইট = ১০০০ X ১০ X
বিট = 80000 বিট
∴ প্রকৃত ডেটা = 80000 বিট।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে:
8 বিটের সাথে অতিরিক্ত প্রয়োজন হয় 3 বিট
(1 টি স্টার্ট বিট ও 2 টি স্টপ বিট)
80000 বিটের সাথে অতিরিক্ত প্রয়োজন হয়
= (3 X 80000)/8বিট
= 30000বিট
মোট ডেটা = (80000+ 30000) বিট
= 11000 বিট
সুতরাং অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন দক্ষতা, η = 8000011000 X 100% 
   = 72.2%
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে:
ধরি, ব্লক সাইজ 80 বাইট।
80 বাইট বা 80 X 8 = 640বিটের জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজন
      = ৪ বাইট বা ৩২ বিট
(হেডার 2 বাইট এবং টেইলার 2 বাইট)
80000 বিট ডেটা ট্রন্সমিশনের জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজন
= (32 X 80000)/640
= 8000 বিট
মোট ডেটা = 80000 + 4000 = 84000বিট
সুতরাং সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন দক্ষতা, η = 8000084000 X ১০০%
= 95.24%

Question 2- (ঢাকা বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

সুইচ একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের ডেটাকে বিভক্ত করে নেটপ্যার্কের সকল সিস্টেমে না পাঠিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়।

উত্তরঃ

এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে বা এক নেটওয়ার্ক থেকে অপর নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করতে হলে কতোগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম- নীতি মেনে চলতে হয়। এই সকল নিয়ম-নীতিকে নেটওয়ার্কিং এর ভাষায় প্রটোকল (Network protocol) বলে। অর্থাৎ প্রটোকলের মূল কাজ হলো নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার কিভাবে এক অপরের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করবে তার নিয়ম-কানুন ঠিক করা।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে নেটওয়ার্ক-১ এর টপোলজিটি হলো হাইব্রিড টপোলজি।
বাস ও রিং টপোলজির সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়েছে। অর্থাৎ বাস ও রিং টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে হাইব্রিড টপোলজি বলে। যখন একটি মাত্র টপোলজির সাহায্যে নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করা যায় না সেখানে হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধান করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ-ইন্টারনেটকে এ ধরনের টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়। অনেক ধরনের টপোলজি থাকার ফলে হাইব্রিড টপোলজিতে তথ্য প্রেরণ অনেক দ্রুত করা যায়। হাইব্রিড টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। হাইব্রিড টপোলজিতে কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়ে যায়। এ টপোলজিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা যায় অর্থাৎ হাইব্রিড টপোলজিতে ত্রুটি সংশোধন করা খুব সহজ। এছাড়াও টপোলজিতে খুব সহজেই নতুন কোনো নোড যুক্ত করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত নেটওয়ার্ক-২ হলো স্টার টপোলজি এবং নেটওয়ার্ক-৩ হলো রিং টপোলজি। রিং ও স্টার টপোলজির মধ্যে কোনটি অধিক উপযোগী তা সম্পর্কে তুলনামূলক বিশ্লে¬ষণ করা হলো–
যে নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার তার নিকটবর্তী দুটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকে রিং টপোলজি বলে। এই টপোলজিটি দেখতে বৃত্তাকার বা চক্রাকারে আবন্ধ থাকে। এ সংগঠনের কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত নিদিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ না করে। কোনো একটি কম্পিউটার হলে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। নেটওয়ার্ক হতে কোনো কম্পিউটার সরিয়ে নিয়ে কিংবা নতুন কম্পিউটার যোগ করলে নেটওয়ার্কের কাজ বিঘিœত হয়। অপরদিকে, যে নেটওয়ার্কের প্রত্যেকটি কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক কাঠামো তৈরি করে তাকে স্টার টপোলজি বলে। স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার দ্বারা যুক্ত থাকে। স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কের কোনো একটি কম্পিউটার বিকল হয়ে গেলে তা নেটওয়ার্কের উপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলে না। নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যাক কম্পিউটার সহজে সংযুক্ত করা যায়। এটি নির্ভর করে হাব অথবা সুইচে কয়টি পোর্ট আছে তার ওপর।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা বলা যায় যে, সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখে নেটওয়ার্কে নতুন ডিভাইস যুক্ত করার ক্ষেত্রে স্টার টপোলজি অধিক উপযোগী।

Question 3- (ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৪)

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরের মধ্যে ২ কিলোমিটার (প্রায়) প্রস্থ ও ৭ কিলোমিটার দৈঘ্ের্যর একটি দ্বীপকে ব্যবসায়িক জোন তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঐ দ্বীপের সমস্ত ব্যবসায়ীকে তারবিহীন প্রযুক্তির মাধ্যমে নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠের সাথে উক্ত নেটওয়ার্কটির সংযুক্তিতে ঊগও প্রভাবমুক্ত ফিজিক্যাল মাধ্যম ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উত্তরঃ

যে মোবাইলটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটির কভারেজ এরিয়ার বাইরে গিয়েও অনবরত ডেটা সার্ভিস পাওয়াকে রোমিং বলা হয়।

উত্তরঃ

উৎস ও গন্তব্যে ব্যবহৃত একই যন্ত্রটি বিপরীতধর্মী কাজ করে যন্ত্রটি হলো মডেম।
মডেম (Modem) একটি ডেটা কমিউনিকেশন ডিভাইস যা ডেটাকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে পৌঁছে দেয়। মডেম (Modem) শব্দটি Modulator(মডুলেটর) এর Mo এবং Demoduletor -এর Dem-এর সমন্বিতরূপ। মডুলেটর ডিজিটাল সিগনালকে অ্যানালগ সিগনালে এবং ডি-মডুলেটর অ্যানালগ সিগনালকে ডিজিটাল সিগনালে রূপান্তর করে। প্রত্যেক মডেমে একটি মডুলেটর ও একটি ডিমডুলেটর থাকে। প্রেরক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম মডুলেটর হিসেবে মডুলেশন (Modulation) এর কাজ করে। প্রাপক কম্পিউটারের মডেম ডি-মডুলেটর হিসেবে ডিমডুলেশন (Demodulation) এর কাজ করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দ্বীপের নেটওয়ার্কটি হলো WiMAX।
WiMAX-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoprbility for Microwave Access। এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) প্রটোকল যা ফিক্সড এবং মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়। তারযুক্ত নেটওয়ার্কের পরিবর্তে দ্রুতগতির তারবিহীন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করতে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। ওয়াইম্যাক্সের মাধ্যমে অনেক বেশি ব্যবহারকারী বহুদূর পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে সাধারণত ব্রডব্যান্ড সেবার কথা কল্পনাও করা যায় না, সেখানেও বিনা তারে ওয়াইম্যাক্স এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সেবা দেয়া যায়। বিশেষ করে উঁচু-নিচু পাহাড়ি অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা যেখানে ক্যাবল স্থাপন করা যায় না সেখানে ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানের জন্য ডরগঅঢ হলো সর্বোৎকৃষ্ট প্রযুক্তি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দ্বীপের নেটওয়ার্কটি তৈরিতে ব্যবহৃত তারবিহীন মাধ্যম ও দ্বীপের সহিত ভূ-পৃষ্ঠের যোগাযোগের তার মাধ্যমের তুলনামূলক আলোচনা নি¤œরূপ–
i. তার মাধ্যম উচ্চ গতিসম্পন্ন। অপরদিকে, তারবিহীন মাধ্যম তার বা ক্যাবল মাধ্যমের তুলনায় নি¤œগতিসম্পন্ন। তবে সর্বাধুনিক কিছু কিছু ওয়্যারলেস মিডিয়া ক্যাবল মিডিয়ার মতোই দ্রুত গতিসম্পন্ন ডেটা পরিবহন নিশ্চিত করছে।
ii. তার মাধ্যমে মাধ্যম উচ্চ ব্যান্ডউইডথের ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে। অপরদিকে, তারবিহীন মাধ্যম এর ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় এটির ব্যান্ডউইডথ তার মাধ্যমের তুলনায় কম।
iii. তার মাধ্যমে খরচ বেশ কম। তারের মূল্য, সংশি¬ষ্ট ডিভাইস সুলভ এবং সহজপ্রাপ্য। অপরদিকে তারবিহীন মাধ্যম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তারবিহীন ব্যবহৃত ওয়্যারলেস সাবস্ক্রাইবার স্টেশন, রাউটার, একসেস পয়েন্ট ও অ্যাডাপ্টারসমূহ বেশ দামি এবং সংশি¬ষ্ট ডিভাইসগুলো সহজপ্রাপ্য নয়।
iv. তার মাধ্যমের ট্রান্সমিশন মাধ্যম হলো- কপার তার, অপটিক ফাইবার ক্যাবল এবং ইথারনেট। আর তারবিহীন মাধ্যমের ট্রান্সমিশন মাধ্যম হলো- ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ, রেডিও ওয়েড এবং ইনফ্রারেড।
v. তার মাধ্যমে মাধ্যমে হাব ও সুইচ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজের এরিয়া বৃদ্ধি করা যায়। অপরদিকে, তারবিহীন মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক ওয়্যারলেস বেজ স্টেশন এর মাধ্যমে বিশাল এলাকাকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের মধ্যে আনা সম্ভব।
vi. LAN(ইথারনেট), MANহলো তার মাধ্যমের উদাহরণ। অপরদিকে WPAN, WLAN(ব্লুটুথ), ইনফ্রারেড, সেলুলার (জিএসএম, সিডিএমএ, এলটিই ইত্যাদি) তারবিহীন মাধ্যমের উদাহরণ।
vii. তার মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রাকৃতিক কোন বাধা নেই। এক তার নেটওয়ার্কের সাথে অন্য তারের নেটওয়ার্ক এর সংযোগ ঘটে না বিধায় এটি ডেটা ট্রান্সমিশনে বাধার সৃষ্টি করে না। অপরদিকে, তারবিহীন মাধ্যমে ওয়্যারলেস সিস্টেমের রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের মধ্যে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলেই তা ডেটা ট্রান্সমিশনে বিঘœ ঘটায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিরূপ পরিবেশ, বাতাসে থাকা বিভিন্ন আয়ন এবং গ্যাসসমূহও ওয়্যারলেস ডেটা ট্রান্সমিশনে বাধার সৃষ্টি করে।

Question 4- (রাজশাহী বোর্ড ২০২৪)

শ্রেণিকক্ষে আইসিটি শিক্ষক এমন একটি টপোলজি সম্পর্কে ধারণা দেন যেখানে একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস ব্যবহৃত হয় যা নির্দিষ্ট ডিভাইসে ডেটা প্রেরণে সক্ষম। পরবর্তীতে তিনি আরেক ধরনের টপোলজির ধারণা দেন যেখানে ডিভাইসসমূহ পরস্পরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটের গতি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়ামের উপর নির্ভর করে। রাউটার, মডেম, ক্যাবল এবং ওয়াই-ফাই প্রটোকলের গুণমান এবং ক্ষমতা উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতএব, উচ্চ গতি এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে সঠিক যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়াম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে স্টার টপোলজি সম্পর্কে ধারণা দেন। স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে সবগুলো কম্পিউটার যুক্ত থাকে। কেন্দ্রীয় এই ডিভাইসটি হাব বা সুইচ হয়।
হাব ও সুইচ উভয়ই স্টার টপোলজির সবগুলো কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে রাখে। তবে হাবের সাথে সুইচের পার্থক্য হলো, সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। সুইচের দাম হাবের দামের কাছাকাছি বিধায় বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী হাবের পরিবর্তে সুইচকে নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করে। সুইচের মাধ্যমে ডেটা কমিউনিকেশনে সময় কম লাগে। এতে হাবের তুলনায় পোর্ট বেশি থাকে। সুইচ একাধিক প্রটোকলের নেটওয়ার্ককেও সংযুক্ত করতে সক্ষম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে শিক্ষকের টপোলজিটি হলো স্টার টপোলজি এবং দ্বিতীয় টপোলজিটি হলো মেশ টপোলজি। টপোলজি দু’টির মধ্যে মেশ সুবিধাজনক মেশ টপোলজি। নিম্নে মতামত প্রদান করা হলো–
মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের প্রত্যেক নোড অন্য সব নোডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের মধ্যে আলাদা আলাদা লিংক থাকে। মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। অন্যদিকে, স্টার টপোলজিতে প্রত্যেকটি নোড একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে। কোনো নোড বা কম্পিউটার হতে ডেটা ট্রান্সফার করতে হলে তা প্রথমে কেন্দ্রীয় ডিভাইস হাব বা সুইচে পৌছায়। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় ডিভাইস যদি কোনো কারণে অকেজো হয়ে পড়ে তাহলে পুরো নেটওয়ার্কই বিকল হয়ে যাবে।
সুতরাং উপরে উল্লিখিত আলোচনা হতে বলা যায় যে, স্টার টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

Question 5- (রাজশাহী বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

গেইটওয়ে হলো এক প্রকার নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, যা ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলবিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

স্মার্টফোন বা মোবাইলে ডেটা ট্রান্সমিশন হয় প্যাকেট আকারে। এক্ষেত্রে মোবাইলে সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড ব্যবহৃত হয়। যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস সংরক্ষণ করা হয়, অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক (যাকে প্যাকেট বা ফ্রেমও বলা হয়) আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্ল¬ক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। যেহেতু এই ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্ল¬ক আকারে ট্রান্সমিট হয় এবং ট্রান্সমিশন কার্য অনবরত চলতে থাকে ফলে এই ট্রান্সমিশনের গতি ও দক্ষতা অত্যন্ত বেশি। সুতরাং মোবাইলে সিনক্রোনাস পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-১ হলো কো-এক্সিয়াল ক্যাবল। নিচে ক্যাবলটির গঠন বর্ণনা করা হলো–
কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করে একটি সলিড কপার তার। এ তারকে ঘিরে জড়ানো থাকে প্লাস্টিক ফোমের ইনসুলেশন। এ ইনসুলেশনের উপর আরেকটি পরিবাহী তার প্যাঁচানো থাকে বা তারের জালি বিছানো থাকে। এ তার বা জালি বাইরের বৈদ্যুতিক ব্যতিচার থেকে ভিতরের সলিড কপারকে রক্ষা করে। ফলে ডেটা বা সিগনাল সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারে। বাইরের পরিবাহককে প্ল¬াস্টিক জ্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এ ক্যাবল সাধারণত বাইরের বৈদ্যুতিক ব্যতিচার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এ কারণেই এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তবে উচ্চ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে এর ব্যতিচার লক্ষ করা যায়। এ ধরনের ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে ডেটা ট্রান্সফার রেট তারের দৈঘ্ের্যর উপর নির্ভর করে। সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে এক কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট ২০০ Mbps পর্যন্ত হতে পারে এবং ট্রান্সমিশন লস্ অপেক্ষাকৃত কম হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ এবং চিত্র-২ হলো যথাক্রমে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এবং অপটিক্যাল ফাইবার। এক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার এর ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। এর কারণ নি¤েœ দেওয়া হলো–
i. উচ্চ ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন।
ii. বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব (EMI) হতে মুক্ত।
iii. নির্ভুল ডেটা আদান-প্রদান করে।
iv. পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
v. আকারে ছোট, ওজন অত্যন্ত কম এবং সহজে পরিবহনযোগ্য।
vi. শক্তির ক্ষয় কম।
vii. ডেটা সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বেশি।
viii. রিপিটারসমূহ অনেক দূরে দূরে স্থাপন করতে হয় না।
অতএব, উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা বলতে পারি অধিক দূরত্বে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলটি অধিক সুবিধাজনক।

Question 6- (দিনাজপুর বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

মডুলেশন হলো ডিজিটাল সিগনালকে অ্যানালগ সিগনালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া

উত্তরঃ

ডেটা ট্রান্সমিশনের সিমপেক্স মোডটির যোগাযোগ ব্যবস্থা একমুখী হয়। অর্থাৎ একই সময় একটি ডিভাইস কেবলমাত্র ডেটা প্রেরণ করতে পারে অথবা গ্রহণ করতে পারে। অন্যদিকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা একই সময়ে উভয় দিকে প্রবাহিত হয়। উভয় স্টেশন একইসাথে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে। ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে দুটি সিমপেক্স চ্যানেল থাকে। যার একটি চ্যানেলের ট্রাফিক একদিকে প্রবাহিত হয় এবং অন্য চানেলে ট্রাফিক বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। এ কারণেই ফুল-ডুপ্লেক্স মোড সিমপেক্সের চেয়ে উন্নতর।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এর আলোকে সর্বশেষ প্রজন্ম হলো পঞ্চম প্রজন্ম।
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ককে ওয়্যারলেস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (Wireless World Wide Web) বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়্যারলেস ওয়েব (World Wide Wireless Web) বা সংক্ষেপে wwww বলা হয়। এ ধরনের মোবাইল ফোনের স্ট্যান্ডার্ডগুলোর মধ্যে 5GNR (New Radio Technology ), RAT(Radio Access Technology), MIMO(Mltiple Input Multiple Output) অন্যতম। পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের পারফরম্যান্স চতুর্থ প্রজন্মের ফোনের তুলনায় অনেকগুণ বেশি এবং অনেক দ্রুত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে। পঞ্চম প্রজন্মের ফোনের মাধ্যমে 4K  টিভি বা ভিডিও (4000 X 2000) উপভোগ করা যায়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের অলিম্পিক গেমস-এ দক্ষিণ কোরিয়া 5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে প্রদর্শন করে সফলতা দেখিয়েছে। নিম্নে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো–
i. ১ থেকে ১০ গিগাবিট/ সেকেন্ড ডেটা ট্রান্সফার গতি প্রদানে সক্ষম।
ii. মাল্টিপল ইনপুট মাল্টিপল আউটপুট প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ফলে ৪এ এর তুলনায় ১০ গুণ বেশি কর্মক্ষমতা প্রদানে সক্ষম।
iii. ৫এ নেটওয়ার্ক প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারবে যেখানে ৪এ এর ক্ষেত্রে মাত্র ১,০০,০০০।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এর ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ডিভাইসটি হলো গেটওয়ে।
নিম্নে গেটওয়ে ও সুইচের তুলনামূলক আলোচনা দেওয়া হলো–
ক্স গেটওয়ে ভিন্ন আর্কিটেকচার, ভিন্ন প্রটোকল, ভিন্ন অ্যাড্রোসিং এর নেটওয়ার্কের সাথে আরেক নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে পারে। অন্যথায়, সুইচ কলিশন ডোমেইনকে সীমিত করে দেয়। একাধিক সেগমেন্টের মাঝে ব্রিজিংয়ের কাজ করে। ব্রডকাস্ট ডোমেইনকেও সীমিত করে।
 ইনস্টল ও কনফিগার করা জটিল। অতিরিক্ত প্রসেসিং- এর কারণে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে। অন্যথায়, সুইচের কনফিগারেশন জটিল। তবে ডেটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমায়।
i. সুইচের তুলনায় গেটওয়ে ডিভাইসের মূল্য বেশি।
ii. গেটওয়ে ও সুইচ উভয় ডেটা লিল্টারিং করতে পারে।
iii. গেটওয়ের ফায়ারওয়াল থাকে কিন্তু সুইচের ফায়ারওয়াল থাকে না। তবে, কোনো নেটওয়ার্কের জন্য কোন ডিভাইসটি প্রয়োজন বা উপযুক্ত হবে সেটি নির্ভর করে চাহিদার উপর যদি একই নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইসগুলো সংযুক্ত করতে হয় তাহলে সুইচ উপযুক্ত হবে। অন্যথায়, যদি দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কে মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হয় তাহলে গেটওয়ে উপযুক্ত হবে। এজন্য গেটওয়ে ও সুইচের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক তা সঠিকভাবে নির্ধারণ সম্ভব নয়।

Question 7- (দিনাজপুর বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটার হতে অপর কম্পিউটারের সাথে সংযোগ ব্যবস্থা এবং সংযোগের ধরনই হলো নেটওয়ার্ক টপোলজি।

উত্তরঃ

Wi-Fi এর পূর্ণরূপ হলো Wireless-fidelity। Wi-Fi  হলো একটি তারবিহীন প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। একটি ডর-ঋর নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবেinternet speed তত কম হবে। তাই শুধু প্রকৃত ব্যবহারকারীরাই যেন Wi-Fi ব্যবহার করে এবং নিরাপত্তার সহিত কাঙ্খিত মানের সেবা পায়। সেজন্য Wi-Fi জোনে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা আবশ্যক।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র: ১ এর ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিসটির সুবিধাসমূহ নি¤œরূপ–
i. অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম থাকে।
ii. নিজস্ব হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না। ফলে খরচ কম।
iii. সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা যায়।
iv. যেকোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আপলোড বা ডাউনলোড করা যায়।
v. তথ্য কীভাবে প্রসেস বা সংরক্ষিত হবে তা জানার প্রয়োজন হয় না।
vi. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট করা হয়ে থাকে।
vii. যেকোনো ছোট বা বড় হার্ডওয়্যার-এর মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
viii. সহজে কাজকর্ম মনিটরিং এর কাজ করা যায় ফলে বাজেট, ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র: ২ এর আলোকে কমিউনিকেশন সিস্টেমটি হলো ব্লুটুথ। স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত একটি ওপেন ওয়্যারলেস প্রোটোকল হচ্ছে ব্লুটুথ। ব্লুটুথ এর কার্যকরী পাল্লা হচ্ছে ১০ মিটার। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে এর পাল¬া ১০০ মিটার (৩৩০ ft) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.15.01। সাধারণত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, ভিডিও গেমস কনসোল ইত্যাদি ডিভাইসসমূহের মধ্যে তথ্য আদান- প্রদানে এটি বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত হয়। ব্লুটুথ থেকে আমরা যেসব সুবিধা পেতে পারি তা নিম্নরূপ:
ব্লুটুথ কনফিগার করতে হয় না। বিদ্যুৎ খরচ কম। ডিভাইসগুলোর মধ্যে কোনো বাধা থাকলেও যোগাযোগে কোনো অসুবিধা হয় না। ব্লুটুথের নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় ও খুব সহজে PAN নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়। এজন্য বলা যায়, উদ্দীপকের ল্যাপটপ থেকে ব্লুটুথের মাধ্যমে কমিউনিকেশনে ব্লুটুথের বিকল্প নেই।

Question 8- (কুমিল্লা বোর্ড ২০২৪)

মিলির বাসায় ডিশ সংযোগ রয়েছে। তার বাসায় টেলিভিশনে কীভাবে ডেটা সম্প্রচার হয় তা তার বড় ভাই তুহিন মিলিকে বুঝিয়ে বলল। তুহিন মিলিকে নেটওয়ার্কিং এর জন্য এক ধরনের ক্যাবলের গুরুত্বের কথা বলল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
 

উত্তরঃ

ব্যান্ডউইথ হলো ডেটা স্থানান্তরের হার।

উত্তরঃ

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্ল¬ক বা প্যাকেট আকারে স্থানান্তর হয়। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে প্রেরক-স্টেশনে প্রথমেই ডেটাকে প্রাইমারি স্টোরেজে সংরক্ষণ করে ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্ল¬ক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করা হয়। প্রতিবার একটি করে ব্ল¬ক বা ফ্রেম ক্লকের সাথে সমন্বয় করে সমান বিরতি নিয়ে প্রেরণ করা হয়। এটি একটি বিরতিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন। এই পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে তথ্য পাঠানো যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের মিলির বাসায় ডেটা ট্রান্সমিশন মোডটি হলো ব্রডকাস্ট। ব্রডকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের যেকোনো একটি নোড (যেমন: কম্পিউটার) থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোড গ্রহণ করে। উদাহরণ হিসেবে রেডিও-টেলিভিশন সম্প্রসারণের কথা বলা যেতে পারে। চিত্রে A নোড থেকে কোনো ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোড (B, c, D ও E কম্পিউটার) গ্রহণ করবে। এটিকে 1 to all মোডও বলা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে নেটওয়ার্কিং এর জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের গঠন নিম্নে দেওয়া হলো–
যে ক্যাবলটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি এবং আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটাকে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে সেটিই ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল তার মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা–
কোর (Core): অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের একেবারে ভিতরের অংশ হলো কোর। যার মধ্য দিয়ে আলোক সিগনাল সঞ্চালন করে। এটি সিলিকা মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ বা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি।
ক্ল্যাডিং (Cladding): কেন্দ্রের অপটিক্যাল ফাইবারকে আচ্ছাদিত করে আছে ক্ল্যাডিং (Cladding) বা কেডলার (Kevlar)। এটি এমন এক পদার্থ দিয়ে তৈরি যে আলোক প্রতিফলন করতে পারে। এর প্রতিসরাংক কোরের চেয়ে কম।
জ্যাকেট (Jacket): ক্যাবলের উপর প্ল¬াস্টিক দিয়ে মোড়ানো আবরণটিকে জ্যাকেট (Jacket) বলা হয়। এটি ঘর্ষণ, মরিচা, ঘষামাজা, জলীয় বা®প থেকে রক্ষা করে।
 
চিত্র: ফাইবার অপটিক ক্যাবল
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ব্যবহার–
1) টেলিকমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পৃথিবীর সকল মহাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়।
2) বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক সেন্সর তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
3) সীমিতভাবে কিছু কিছু কিছু বি বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। 
4) বিভিন্ন মেডিক্যাল ডিভাইস যেমন এন্ডোস্কোপ ইত্যাদি তৈরিতে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ব্যবহার দেখা যায়।

Question 9- (কুমিল¬া বোর্ড ২০২৪)

মুগ্ধ তার অফিসে ১০টি কম্পিউটার ও ৫টি ল্যাপটপকে নেটওয়ার্কে এমনভাবে স্থাপন করতে চায় যেখানে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় ডিভাইসের উপর কম্পিউটারগুলো নির্ভরশীল। তবে সে বাসায় মাঝে মাঝে IEEE 802.11স্ট্যান্ডার্ড এর একটি প্রযুক্তির সাহায্যে সকলের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে।

উত্তরঃ

মডেম হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব, সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা প্রেরণে হাবের চেয়ে সুইচ সুবিধাজনক।

উত্তরঃ

যেহেতু উদ্দীপকে মুগ্ধ-এর বাসায় তথ্য শেয়ারের জন্য IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। আর উক্ত স্ট্যান্ডার্ডটি হলো Wi-Fi-এর। সুতরাং উদ্দীপকের মুগ্ধর বাসায় তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো Wi-Fi ।
Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ Wi-Fi হচ্ছে LAN (Local Area Network)-এর ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এর সাহায্যে পোর্টেবল বা বহনযোগ্য ডিভাইসকে (ল্যাপটপ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন) সহজে। ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করা যায়। ডর-ঋর-এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.11, যা একটি ওয়্যারলেস বা তারবিহীন LAN স্ট্যান্ডার্ড। বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইস ও ফিক্সড ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। Wi-Fi এর কভারেজ এরিয়া কয়েক মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। Wi-Fi নেটওয়ার্কভুক্ত এলাকা বা অঞ্চল Wi-Fi হটস্পট (Hotspot) নামে পরিচিত। Wi-Fi নেটওয়ার্কের জন্য কোনো ধরনের ক্যাবলিংয়ের প্রয়োজন নেই। ডর-ঋর নেটওয়ার্কে সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো যায়। কভারেজ এরিয়া সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে ৩২ মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মধ্যে হয়ে থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত মুগ্ধ-এর অফিসের স্থাপিত নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো স্টার টপোলজি।
স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচ এর সাথে অন্যান্য কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত থাকে। হাবের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। হাব কম্পিউটারগুলোর মাঝে ডেটা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের জন্য প্রথমে ডেটাকে হাবে প্রেরণ করতে হয়। এরপর হাব ডেটা গ্রহণকারী কম্পিউটারে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। হাবের ক্ষমতা যত বেশি হবে নেটওয়ার্কে তত বেশি কম্পিউটার সংযোগ দেয়া যাবে। এ সংগঠনে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। ফলে খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেয়া যায়।

Question 10- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪)

‘ক’ প্রতিষ্ঠানের মালিক রাকিব সাহেব দেশের বাইরে অবস্থান করায় তিনি তাঁর অফিসের কর্মচারীদের সাথে একটি ভিডিও কনফারেন্সের প্রয়োজন অনুভব করলেন। কিন্তু কর্মচারী শফিক সাহেবের কাছে ইন্টারনেটের সুবিধাসহ মোবাইল ফোন থাকলেও ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তির সুবিধা নেই। তাই তিনি ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা সম্বলিত একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করলেন। তবে মোবাইল ফোন ক্রয়ের পর জানতে পারলেন যে, বর্তমানে বাজারে MIMO সুবিধা-সম্বলিত আরও উচ্চ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন রয়েছে।

উত্তরঃ

WMAN এর পূর্ণরূপ হলো মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক। এটি এমন একটি নেটওয়ার্ক যা বেতার প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি বিস্তৃত এলাকা কভার করে।

উত্তরঃ

যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গলে তোলে তাকে স্টার টপোলজি বলা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস বা হাব বা সুইচের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে। স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপ হলো ট্রি টপোলজি। এতে একাধিক স্তরের কিম্পউটার একাধিক হাব বা সুইচের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার বা রুট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের শফিক যে ফোনটি ক্রয় করলেন সেটি হলো চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন। মূলত চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইলে প্রথম ভিডিও কনফারেন্সিং চালু হয়। এর গতি ৩য় প্রজন্মের চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি। নিচে চতুর্থ প্রজন্মের ফোনের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো–
i. মোবাইল ফোন সিস্টেমে আলট্রা-ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
ii. প্রকৃত ডেটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ 20 Mbps।
iii. এই প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিংয়ের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার।
iii. প্রজন্মে ত্রি-মাত্রিক (3D) ব্যবহারিক প্রয়োগের ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
iv. এ প্রজন্মের মোবাইল ফোন LTE (Long Term Evolution) স্ট্যান্ডার্ড।
v. উন্নতমানের (হাই-ডেফিনেশন) মোবাইল টিভি দেখার উপযোগী হবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের শফিক সাহেব পূর্বে যে ফোনটি ব্যবহার করতেন তার স্ট্যান্ডার্ড হলো মোবাইল ফোনের ৩য় প্রজন্ম এবং তার নতুন ফোনটি ক্রয়ের পরে বাজারে যে আরো উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত ফোন আসে তার স্ট্যান্ডার্ড হলো ৫ম প্রজন্মের। নিচে ৩য় ও ৫ম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের মধ্যে প্রযুক্তিগত পার্থক্য তুলে ধরা হলো–

Question 11- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪)

আসাদ সাহেব তাঁর অফিসের কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এমন এক ধরনের তার ব্যবহার করলেন যা বাঁকালে ডেটা লস হয়। তিনি দুইটি শাখা অফিসের জন্য IEEE 802.11 এবং IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লে¬াবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা প্রেরণে সুইচের ক্ষেত্রে কম সময় লাগে। সুতরাং হাব ও সাইচের মধ্যে সুইচ ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬খিত তারটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। এটি বাঁকালে ডেটা লস হয়।
যে ক্যাবলটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি এবং আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটাকে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে সেটিই ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল তার মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা–
কোর(Core): অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের একেবারে ভিতরের অংশ হলো কোর। যার মধ্য দিয়ে আলোক সিগনাল সঞ্চালন করে। এটি সিলিকা মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ বা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে তৈরি।
ক্ল্যাডিং (Cladding): কেন্দ্রের অপটিক্যাল ফাইবারকে আচ্ছাদিত করে আছে ক্ল্যাডিং (Cladding) বা কেডলার(Kevlar)। এটি এমন এক পদার্থ দিয়ে তৈরি যে আলোক প্রতিফলন করতে পারে। এর প্রতিসরাংক কোরের চেয়ে কম।
জ্যাকেট(Jacket): ক্যাবলের উপর প্ল¬াস্টিক দিয়ে মোড়ানো আবরণটিকে জ্যাকেট ((Jacket)) বলা হয়। এটি ঘর্ষণ, মরিচা, ঘষামাজা, জলীয় বা®প থেকে রক্ষা করে।

চিত্র: ফাইবার অপটিক ক্যাবল

উত্তরঃ

উদ্দীপকের উল্লি¬¬খিত স্ট্যান্ডার্ড দুইটির একটি ডরঋর এবং অপরটি ডরগঅঢ। আসাদ সাহেবের অফিসের অভ্যন্তরে Wifi (IEEE 802.11) ব্যবহৃত হয়েছে এবং বিভিন্ন শাখাগুলোর মধ্যে WIMAX(IEEE 802.16) ব্যবহৃত হয়েছে। Wi-Fi এবং Wi-MAX এর মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লে¬ষণ হলো-
Wi-Fi
i. LAN ব্যবহার করে বাসাবাড়ি, অফিস, হোটেল, ক্যাফে, বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
ii. IEEE 802.11b ও 802.11g স্ট্যান্ডার্ডে ভালো ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়া যায়।
iii. Wi-Fi নেটওয়ার্কের জন্য সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
iv. ডেটা ট্রান্সফার বেশ ধীরগতি সম্পন্ন।
v. বিস্তৃত এলাকাব্যাপী ডেটা আদান-প্রদান করা যায় না।
vi. নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।
Wi-MAX
i. অধিক মানসম্মত ও নিরাপত্তা সংবলিত ওয়্যারলেস প্রটোকল।
ii. বর্তমানে ডরগঅঢ ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানকারী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
iii. শতাধিক ব্যবহারকারী একক বেস স্টেশন ব্যবহার করতে পারে।
iv. ডেটা ট্রান্সমিশন রেট  80 Mbps – 1 Gbps পাওয়া যায়।
v. অন্যান্য ওয়্যারলেস যন্ত্রপাতিতে বাধার সৃষ্টি করে।
vi. বিভিন্ন ধরনের ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহৃত হয়।
vii. Wi-MAX এ বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
viii. অধিক ব্যয়বহুল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
সবদিক বিবেচনা করে বলা যায় যে, ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য ডর-ঋর সুবিধাজনক এবং বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য ডর-গঅঢ-বেশি সুবিধাজনক।

Question 12- (সিলেট বোর্ড ২০২৪)

সুমন স্যার শ্রেণিকক্ষে ক্যারেক্টার-বাই-ক্যারেক্টার আকারে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দিলেন। তার ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মন্ডলীকে অবগত করানোর জন্য তিনি ই-মেইল পাঠাতে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করলেন।

উত্তরঃ

WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network। যে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কগুলি পরম্পর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে যার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় তাই হলো ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN )।

উত্তরঃ

ফুল-ডুপ্লে¬ক্স পদ্ধতিতে একইসময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে। যে কোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে। চিত্রের ফুল-ডুপ্লে¬ক্সের ক্ষেত্রে, ক যখন খ এর দিকে ডেটা প্রেরণ করবে খ ও তখন ক এর দিকে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে।
উদাহরণ- টেলিফোন,মোবাইল।
মাধ্যম (Medium)

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬¬খিত ডেটা ট্রান্সমিশন মেথডটি হলো অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে গ্রাহক পর্যন্ত ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার আকারে ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে পর পর দুটি ক্যারেক্টার প্রেরণের মাঝের বিরতির সময় সকল ক্ষেত্রে সমান হয় না। এ কারণে নামকরণ করা হয়েছে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড। এই ট্রান্সমিশনে ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলো ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। তাই প্রাপক কম্পিউটারকে বোঝানোর জন্য ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলোর শুরুতে একটি অতিরিক্ত স্টার্ট বিট যুক্ত করে দেয়া হয়। এই স্টার্ট বিট পেলেই প্রাপক কম্পিউটার বুঝতে পারে ক্যারেক্টার ডেটা বিট আসা শুরু হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী তার অভ্যন্তরীণ সিস্টেমের ক্লক পালসকে চালু করে। ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলো পুরোপুরি স্থানান্তরিত হবার পর এর শেষে আবার অতিরিক্ত একটি বা দুটি স্টপ বিট যোগ করা হয়। উত্ত স্টপ বিট পেলে প্রাপক কম্পিউটার বুঝতে পারে ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলো আসা শেষ হয়েছে। ডেটা স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়ায় স্টার্ট বিট ও স্টপ বিট অপরিহার্য হওয়ায় এই ট্রান্সমিশনকে স্টার্ট/ স্টপ ট্রান্সমিশনও বলা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে সুমন স্যার তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তিনি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডবিশিষ্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। সুতরাং উক্ত কমিউনিকেশন সিস্টেমটি হলো WiMAX|WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) প্রটোকল যা ফিক্সড এবং মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়। WiMAX সিস্টেমের দুটি প্রধান অংশ থাকে। একটি WiMAX বেস স্টেশন যা ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অন্যটি এন্টেনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে। সুমন স্যারের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিচে বিশ্লে¬ষণ করা হলো:
i. নেটওয়ার্ক সংস্থাপন ক্যাবলিংয়ের তুলনায় সহজ এবং সুবিধাজনক। 
ii. ব্যান্ডউইডথ বা ডেটা ট্রান্সফার রেইট ওয়্যারেড নেটওয়ার্ক বা ক্যাবলিংয়ের তুলনায় বেশি।
iii. একইসাথে ওয়্যারেড এবং ওয়্যালেস উভয়ই নেটওয়ার্কের সুবিধা প্রদান করে।
iv. কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কি.মি. থেকে শুরু করে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে।
v. নেটওয়ার্ক interference বা signal noise কম।
vi. ফুল-ডুপ্লেক্সিং মোড ব্যবহার করা হয়।
vii. একই সাথে মাল্টিফাংশনাল সুবিধা প্রদান করে।

Question 13- (সিলেট বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লে¬াবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি তৈরি হয় সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্ল¬াস্টিক দিয়ে। কাঁচের মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে ইলেকট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট করে। লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট এর বড় সুবিধা হলো এটি চৌম্বকীয় প্রভাবমুক্ত। সুতরাং ফাইবার অপটিক ক্যাবলটি চৌম্বক প্রভাবমুক্ত।

উত্তরঃ

চিত্র-১ নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি।
সাধারণত বাস নেটওয়ার্কে সচরাচর একটি মাত্র ক্যাবল কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস (যেমন– রিপিটার বা অ্যামপ্লি¬ফায়ার) ছাড়া ব্যবহৃত হয় যাতে এক কম্পিউটারের সিগন্যাল আরেক কম্পিউটারে সরাসরি যেতে পারে। এই মূল ক্যাবলকে ব্যাকবোন বলে। কেননা প্রতিটি কম্পিউটার মূল ক্যাবলের সাথে যুক্ত থাকে। যখন একটি কম্পিউটার অন্য কোনো কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে মেসেজ পাঠায় তখন সেই মেসেজ সিগন্যাল ক্যাবলের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে সবগুলো কম্পিউটারের নিকট পৌছায়। যে কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে সেটি পাঠানো হয় কেবল সেটিই সে মেসেজ গ্রহণ করে, আর অন্যরা পাঠানো প্যাকেটকে বাতিল করে দেয়। বাস টপোলজিতে একসাথে কেবল একটি কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারে। কোনো কম্পিউটার যখন মেসেজ পাঠাচ্ছে তখন অন্যদের অপেক্ষা করতে হয় তার পাঠানো শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তার মেসেজ পাঠানো শেষ হলে অন্য কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারে। অন্যান্য টপোলজির তুলনায় বাস টপোলজি কম ব্যয়বহুল।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-২ মেশ টপোলজি এবং চিত্র-৩ রিং টপোলজি।
যে টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে এবং সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে তাকে রিং টপোলজি বলে। আর যে টপোলজিতে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সংযোগ লাইন দ্বারা সরাসরি যুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলে। তবে ডেটা আদান-প্রদানে উক্ত নেটওয়ার্ক টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি উত্তম।
কারণ মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অর্থাৎ নেটওয়ার্কে খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায়। মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে যেকোনো দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায় না। রিং টপোলজিতে নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময়ও বেড়ে যায়। সুতরাং বলা যায়, কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উদ্দীপকের মেশ ও রিং টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি উত্তম।

Question 14- (যশোর বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন এপ্লিকেশন এবং নেটওয়ার্ক চালানোর একটি উপযুক্ত নেটওয়ার্কই হলো ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক।

উত্তরঃ

হাব নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট যন্ত্রে তথ্য পাঠাতে পারে না। কিন্তু সুইচ গঅঈ এড্রেস ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট যন্ত্রে তথ্য পাঠাতে পারে। হাবে ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভারনা থাকে, কিন্তু সুইচে ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে না। হাবে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হাফ-ডুপ্লে¬ক্স। কিন্তু সুইচে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ফুল-ডুপ্লে¬ক্স। হাবে পোর্ট সংখ্যা কম থাকায় অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরিতে ব্যবহার করা যায় না। অপরদিকে সুইচে পোর্ট সংখ্যা বেশি থাকায় বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-১ এর টপোলজিটি হলো রিং টপোলজি।
রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারে দুটি করে সংযোগ থাকে। একটি সেন্ডার এবং অপরটি রিসিভারের কাজ করে। এ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার অন্য কোনো কম্পিউটারের নিকট মেসেজ পাঠাতে চাইলে সেটি নিকটবর্তী কম্পিউটারে যাবে। সেই কম্পিউটার দেখবে মেসেজটি তার জন্য কি না। সেটি তার জন্য না হলে সে ওই মেসেজকে পরবর্তী কম্পিউটারের নিকট পাঠাবে, এভাবে সেটি গন্তব্যে পৌছাবে। প্রতিটি কম্পিউটার সেই সিগনালকে বর্ধিত করে পরের কম্পিউটারের নিকট পাঠায়। আর এ টপোলজিতে ডেটা প্যাকেট সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়। তবে এ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস সার্ভার কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে যে দুইটি টপোলজি ব্যবহার করা হয়েছে এগুলো হলো– চিত্র-২ বাস টপোলজি এবং চিত্র-৩ ট্রি টপোলজি। এই দুটি টপোলজির মধ্যে বাস টপোলজি বেশি সুবিধাজনক। বাস টপোলজির স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া হলো–
উদ্দীপকে চিত্র-২ এর সংগঠন হচ্ছে বাস টপোলজি। বাস নেটওয়ার্ক সংগঠনে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবগুলো নোড যুক্ত থাকে। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডের সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। অন্যান্য কম্পিউটারগুলো তাদের নোডে সেই সংকেত পরীক্ষা করে এবং কেবলমাত্র প্রাপক নোড সেই সংকেত গ্রহণ করে। এ নেটওয়ার্কে সবচেয়ে কম দৈঘ্ের্যর ক্যাবল লাগে। এটি সহজ, স্বল্পব্যায়ের সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সহজ বোধগম্য টপোলজি।
উদ্দীপকে চিত্র-৩ এর সংগঠন হচ্ছে ট্রি টপোলজি। এই টপোলজির রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়। অন্যান্য টপোলজির তুলনায় এটি অপেক্ষাকৃত জটিল।
সুতরাং উল্লি¬¬খিত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, যেহেতু বাস টপোলজিত খরচ অল্প এবং ক্যাবলের পরিমাণ কম তাই স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি অধিকতর সুবিধাজনক।

 

Question 15- (যশোর বোর্ড ২০২৪)

মুগ্ধ তার অফিসে ১০টি কম্পিউটার ও ৫টি ল্যাপটপকে নেটওয়ার্কে এমনভাবে স্থাপন করতে চায় যেখানে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় ডিভাইসের ওপর বাকি কম্পিউটারগুলো নির্ভরশীল। তবে সে বাসায় মাঝে মাঝে IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ড এর একটি প্রযুক্তির সাহায্যে সকলের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে।

উত্তরঃ

মডেম হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্ল¬ক বা প্যাকেট আকারে স্থানান্তর হয়। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে প্রেরক-স্টেশনে প্রথমেই ডেটাকে প্রাইমারি স্টোরেজে সংরক্ষণ করে ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্ল¬ক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করা হয়। প্রতিবার একটি করে ব্ল¬ক বা ফ্রেম ক্লকের সাথে সমন্বয় করে ‘সমান বিরতি নিয়ে প্রেরণ করা হয়। এটি একটি বিরতিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন। এ পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে তথ্য পাঠানো যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬¬খিত মুগ্ধর বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তা হলো ওয়াই-ফাই (Wi-Fi)।
Wireless Fidelit শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ Wi-Fi হচ্ছে LAN (Local Area Network) এর ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এর সাহায্যে পোর্টেবল বা বহনযোগ্য ডিভাইসকে (ল্যাপটপ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন) সহজে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করা যায়। Wi-Fi এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.11  যা একটি ওয়্যারলেস বা তারবিহীন LAN স্ট্যান্ডার্ড। বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইস ও ফিক্সড ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। এর কভারেজ এরিয়া কয়েক মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তাই ওয়াইফাই ব্যবহার করে মোবাইল, ট্যাব এবং ল্যাপটপকে বাসার একই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬¬খিত মুগ্ধ এর অফিসে স্টার টপোলজি স্থাপিত হবে। স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচ এর সাথে অন্যান্য কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত থাকে। হাবের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। হাব কম্পিউটারগুলোর মাঝে ডেটা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের জন্য প্রথমে ডেটাকে হাবে প্রেরণ করতে হয়। এরপর হাব ডেটা গ্রহণকারী কম্পিউটারে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। হাবের ক্ষমতা যত বেশি হবে, নেটওয়ার্কে তত বেশি কম্পিউটার সংযোগ দেয়া যাবে। এ সংগঠনে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। ফলে খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেয়া যায়।

Question 16- (বরিশাল বোর্ড ২০২৪)

উত্তরঃ

গেটওয়ে হলো এক প্রকার নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, যা ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলবিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্ল¬ক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিশন হয়। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে প্রেরক-স্টেশনে প্রথমেই ডেটাকে প্রাইমারি স্টোরেজে সংরক্ষণ করে ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্ল¬ক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করা হয়। প্রতিবার একটি করে ব্ল¬ক বা ফ্রেম। ক্লকের সাথে সমন্বয় করে সমান বিরতি নিয়ে প্রেরণ করা হয়। এটি একটি বিরতিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন। এই পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে তথ্য পাঠানো যায়।

উত্তরঃ

চিত্র-১ নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি।
সাধারণত বাস নেটওয়ার্কে সচরাচর একটি মাত্র ক্যাবল কোনো প্রকার – ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন রিপিটার বা অ্যামপি¬ফায়ার ছাড়া ব্যবহৃত হয় যাতে এক কম্পিউটারের সিগন্যাল আরেক কম্পিউটারে সরাসরি যেতে পারে। এই মূল ক্যাবলকে ব্যাকবোন বলে। কেননা প্রতিটি কম্পিউটার মূল ক্যাবলের সাথে যুক্ত থাকে। যখন একটি কম্পিউটার অন্য কোনো কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে মেসেজ পাঠায় তখন সেই মেসেজ সিগন্যাল ক্যাবলের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে সবগুলো কম্পিউটারের নিকট পৌছায়। যে কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে সেটি পাঠানো হয় কেবল সেটিই সে মেসেজ গ্রহণ করে আর অন্যরা কেবল সেই প্যাকেটকে বাতিল করে দেয়। বাস টপোলজিতে একসাথে কেবল একটি কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারে। কোনো কম্পিউটার যখন মেসেজ পাঠাচ্ছে তখন অন্যদের অপেক্ষা করতে হয় তার পাঠানো শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তার মেসেজ পাঠানো শেষ হলে অন্য কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারে। অন্যান্য টপোলজির তুলনায় বাস টপোলজি কম ব্যয়বহুল।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-২ হলো স্টার টপোলজি এবং চিত্র-৩ হলো মেশ টপোলজি। স্টার ও মেশ টপোলজির মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক তা নিম্নে বিশ্লে¬ষণ করা হলো–
স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্ক অধীনস্থ সকল কম্পিউটার বা ডিভাইস একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে এবং হাব বা সুইচের মাধ্যমে এক অপরের সাথে যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান করে। কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচটিতে সমস্যা দেখা দিলে পুরো নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে।
অপরদিকে, মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটার বা ডিভাইসসমূহ একে অপরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। ফলে কম্পিউটারগুলো পরষপরের সাথে সরাসরি দ্রুত গতিতে ডেটা আদান- প্রদান করতে পারে। এতে সংযুক্তি বা ডেটা আদান প্রদানের জন্য কোনো কেন্দ্রীয় ডিভাইস বা প্রধান সংযোগ লাইনের প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য সকল টপোলজির তুলনায় এর ডেটা ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি এবং এতে সংযুক্ত যেকোনো কম্পিউটার নষ্ট বা বিচ্ছিন্ন হলেও পুরো নেটওয়ার্কের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
অতএব, উপরের বিশ্লে¬ষণ হতে বলা যায়, উদ্দীপকের স্টার টপোলজির তুলনায় মেশ টপোলজি সুবিধাজনক।

Question 17- (বরিশাল বোর্ড ২০২৪)

জনাব ‘ক’ এর মোবাইলটি খঞঊ স্ট্যান্ডার্ডে কাজ করে থাকে। জনাব ‘ক’ তাঁর মোবাইল ধারণকৃত কিছু ছবি IEEE 802.15 স্ট্যান্ডার্ডের একটি বিশেষ প্রোটোকল ব্যবহার করে তাঁর বন্ধু জনাব ‘খ’ এর মোবাইলে প্রেরণ করেন।

উত্তরঃ

অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডিমডুলেশন।

উত্তরঃ

সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনিদিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা প্রেরণে হাব অপেক্ষা সুইচের দক্ষতা বেশি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬খিত জনাব ‘ক’ এর মোবাইলটি হলো চতুর্থ প্রজন্মের।
চতুর্থ প্রজন্ম বা 4G নেটওয়ার্ক বলতে LTE-কে বোঝায়। LTE মূলত IPবেজড নেটওয়ার্ক। চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিং এর পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রোটোকল ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার। নি¤েœ চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো–
i. মোবাইল ফোন সিস্টেমে আলট্রা-ব্রড ব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
ii. প্রকৃত ডেটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ 20 Mbps।
iii. এই প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিংয়ের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার।
iv. এ প্রজন্মে ত্রি-মাত্রিক (৩উ) ব্যবহারিক প্রয়োগের ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
v. এ প্রজন্মের মোবাইল ফোন LTE (Long Term Evolution) স্ট্যান্ডার্ড।
vi. উন্নতমানের (হাই-ডেফিনেশন) মোবাইল টিভি দেখার উপযোগী হবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লি¬খিত ছবি প্রেরণের ক্ষেত্রে যে নেটওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো ব্লুটুথ। ব্লুটুথ এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে উদ্দীপকে উল্লি¬খিত ছবি প্রেরণের ক্ষেত্রে যে নেটওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো ব্লুটুথ। ব্লুটুথ এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.15। সাধারণত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, ভিডিও গেমস কনসোল ইত্যাদি ডিভাইসসমূহের মধ্যে তথ্য আদান- প্রদানে এটি বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত হয়।
ব্লুটুথ হলো স্বল্প দূরত্বে ব্যবহৃত ওপেন ওয়্যারলেস প্রোটোকল। এটি PAN (Personal Area Network) এর ওয়্যারলেসভিত্তিক নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। ব¬ুটুথের ব্যপ্তি ৩ থেকে ১০ মিটার। তাই দূরত্ব যত বাড়তে থাকবে ব¬ুটুথের কার্যক্ষমতা তত কমবে।
ব্লুটুথ এর মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বের দুই বা ততোধিক মোবাইল ও ফিক্সড ডিভাইসের মধ্যে একইসাথে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। সুতরাং অধিক দূরত্বের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ কার্যকরী নয়।

Question 18- (ঢাকা বোর্ড -২০২৩)

‘ক’ কলেজের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরী ভবন এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত ভবনগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় পারস্পারিক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। অধ্যক্ষ মহোদয় এখন সকল কম্পিউপটারকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন।

উত্তরঃ

স্বল্প দূরত্বের অবস্থিত কোনো ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ডিভাইস-গুলোর মধ্যে তথ্য আদন-প্রদানের জন্য তৈরি নেটওয়ার্ক বা Wireless Personal Area Network (WPAN) কে পিকোনেট বলে।

উত্তরঃ

‘ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন, বক্তব্যটি দ্বারা ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। সাধারণত ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। বর্তমান বিশে^ ক্লাউড কম্পিউটিং এক বিস্ময়কর সুবিধা নিয়ে এসেছে। একটি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি এখন যে কোন সময় তাদের প্রয়োজন অনুসারে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার তথা একটি প্লাটফর্ম সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে ভাড়া নিতে পারেন। খরচ হ্রাস, রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় অপডেট ইত্যাদি নিয়ে ক্লাউড এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এবং একজন ব্যবহারকারী তার সার্ভিস প্রদানকারীকে ঠিক ততটুকুই পরিশোধ করবে যতটুকু সে ব্যবহার করবে। ফলে ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত কলেজের একাডেমিক ভবনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হচ্ছে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN.
সাধারণত অল্প দূরত্বে বা 1km এর মধ্যে বেশি কিছু কম্পিউটার বা পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয় তাকে বলা হয় খঅঘ। একাধিক ব্যক্তি কাজের সমন্বয় সাধন ও গতি বৃদ্ধির জন্য একই ভাবনে, পাশাপাশি ভবনে কিংবা কলেজ/বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কম্পিউপটারগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে লোকল ্এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। সাধারণত ১০০ মি বা সীমিত দূরত্বের মধ্যে এর ধরনে নেওয়ার্ক খুবই কার্যকারী। লোকাল এরিয়া নেওয়ার্কের কিছু বৈশিষ্ট্য নি¤েœ তালিকা করা হলো:
১। এ ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজ ও খরচ কম।
২। এসব নেওয়ার্ক উচ্চগতির, সাধারণ 10-10 Mbps গতি খরচ কম।
৩। এর মাধ্যমে অনেক ডিভাইস অ্যাকসেস পাওয়া যায়।
৪। এ ধরনের নেটওর্য়াকে HAN, SAN, WLAN I CAN স্থাপন করা সহজ।

উত্তরঃ

অধ্যক্ষ মহোদয় তার সকল কম্পিউটারকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা করেন। যেহেতু ‘ক’ কলেজের বেশ কিছু ভবন রয়েছে যেমন-প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরী ভবন ইত্যাদি ফলে অধ্যাক্ষের অবশ্যই এমন ট্রান্সমিশন মিডিয়াম বেছে নিতে হবে, যাতে খরচ অল্প কিন্তু কাজের গতি ও ফলাফল ভালো হয়। অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা কম খরচে বাস্তবায়ন করার সবচেয়ে আদর্শ মিডিয়াম হচ্ছে তার মাধ্যম বা ক্যাবল মাধ্যম। সাধারণত তার মাধ্যম অনেক উচ্চ গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ মাধ্যমে উচ্চ ব্যান্ডউইডথের ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে। এ মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রাকৃতিক কোনো বাধা নেই, এক তার নেটওয়ার্কের সাথে অন্য তারের নেটওয়ার্ক এর সংযোগ ঘটে না। বিধায় ডেটা ট্রান্সমিশনে বাধা সৃষ্টি করে না। তাছাড়া এ মাধ্যমে খরচ কম এবং ডিভাইস সমূহ সহজে পাওয়া যায়। অন্যদিকে যদি তারবিহীন মাধ্যমে ব্যবহৃত হয় তবে গতি অনেক কম পাওয়া যাবে। এর ব্যান্ডউইডথ ফিকুয়েন্সি ও অনেক দূর্বল। ওয়ারল্যাস সিস্টেমের রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের মধ্যে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলেই থাকলেই তা ডেটা ট্রান্সমিশনে বিঘœ ঘটায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিরূপ পরিবেশ; বাতাসে থাকা বিভিন্ন আয়োন এবং গ্যাসসমূহও ওয়্যারলেস ডেটা ট্রান্সমিশনে বাধার সৃষ্টি করে। প্রধানত এ মাধ্যম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর ব্যবহৃত ওয়্যারলেস সাবস্ক্রাইবার স্টেশন, রাউটার, একসেস পয়েন্ট ও অ্যাডাপ্টারসমূহ বেশ দামী এবং সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলো সহজপ্রাপ্য নয়। অতএব, উপরিউক্তি আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে, তার মাধ্যম অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সবচেয়ে উত্তম ট্রান্সমিশন মিডিয়াম।

Question 19- (ঢাকা বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

যে পদ্ধতির মাধ্যমে মূল মড়–লেটিং সিগন্যাল আলাদা করা হয়, তাকে ডিমডুলেশন বলে। অর্থাৎ একটি ক্যারিয়ার তরঙ্গ থেকে মূল তথ্য বহনকারী সংকেতকে বের করে আনাই হচ্ছে ডিমডুলেশন।

উত্তরঃ

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়ে থাকে। মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্ককেই দুই ভাগে তাগ করা যায়। যথা:
১। প্রাইভেট নেওয়ার্ক: প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সাধারণত নিজস্ব কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন থাকে। এ নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা অনেক মজবুত এবং ট্রাফিক নেই বললেই চলে।
২। পাবলিক নেওয়ার্ক: পাবলিক নেওয়ার্ক সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন থাকে না। এটি কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে সেবার পরিবর্তে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজি হচ্ছে বাস টপোলজি। একটিমাত্র মূল ক্যাবল এর মাধ্যমে যে নেটওয়ার্কে টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি। একটিমাত্র মূল ক্যাবল এর মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক সবকটি কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে, তাকে বাস টপোলজি বলে। সাধারণ বাস নেটওয়ার্কে সচরাচর একটি মাত্র ক্যাবল কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন: রিপিটার বা অ্যামপ্লিফায়ার ছাড়া ব্যবহৃত হয় যাতে এক কম্পিউটারের সিগন্যাল আরেক কম্পিউটারে সরাসরি যেতে পারে। তাই এই টপোলজিকে প্যাসিভ টপোলজি বলা হয়। এর মূল ক্যাবলকে ব্যাকবোন বলে। কেননা প্রতিটি কম্পিউটার মূল ক্যাবলের সাথে যুক্ত থাকে। এর লাইনের দু-প্রান্তে টার্মিনেটর থাকে। নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্র ভাবে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্তা হয় দ্বিমুখী যখন একটি কম্পিউটার অন্য কোনো কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে ম্যাসেজ পাঠায় তখন সেই ম্যাসেজ সিগনাল ক্যাবলের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে সবকটি কম্পিউটারের নিকট পৌছে। যে কম্পিউটারের উদ্দেম্যে সেটি পাঠানো হয় কেবল সেই প্যাকেটকে বাতিল করে দেয়। এই টপোলজির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি ছোট পরিসরের নেটওয়ার্কের জন্য খুবই সহজ, স্বল্পব্যয়ের, সহজ ব্যবহারযোগ্য এবং সহজে বোধগম্য একটি টপোলজি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-১ হচ্ছে বাস টপোলজি এবং চিত্র-২ হচ্ছে স্টার টপোলজি। বাস টপোলজি ও স্টার টপোলজি উভয় টপোলজিরই বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য উভয়ই অনেক সুবিধা প্রাদনে সক্ষম আবার অন্যান্য অনেক কাজেই তাদের অসুবিধাই বেশি ধরা দেয়। নি¤েœ উভয় টপোলজির কিছুর সুবিধা ও অসুবিধা তালিকা করা হলো:
১। বাস নেটওয়ার্কে সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ক্যাবল লাগে ফলে ব্যয় কম হয়।
২। বাস নেটওয়ার্কে বিএনসি ক্যাবেল কানেক্টর ব্যবহার করে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা যায়।
৩। দুরবর্তী সিগন্যাল পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে রিপিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাস টপোলজি অসুবিধা সমূহ:
১। একইসময়ে কেবল একটিমাত্র কম্পিউটারে ম্যাসেজ পাঠানো সম্ভব।
২। নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বেশি হলে প্রচন্ড ট্রাফিক সৃষ্টি হয় এবং ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘœ হয়।
৩। বাস টপোলজির মূল ক্যাবল নষ্ট হলে, পুরো নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে যায়।
স্টার টপোলজি সুবিধা সমূহ:
১। সহজে নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায়।
২। নেটওয়ার্কে সমস্যা দিলে সহজে কেন্দ্রিয় অবস্থান অর্থাৎ হাব থেকে সমস্যা অনুসন্ধান শুরু করা যায়।
৩। নেটওয়ার্কের কোনো একটি কম্পিউটার বিকল হয়ে গেলে তা নেটওয়ার্কের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
স্টার টপোলজি অসুবিধা সমূহ:
১। কেন্দ্রের ডিভাইস হাব/সুইচ বিকল হয়ে গেলে পুরা নেটওয়ার্কই বিকল হয়ে পড়ে।
২। এই টপোলজিতে অধিক ক্যাবল লাগে তাই খরচ বেশি।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকেই দেখা যাচ্ছে, ডেটা ট্রান্সমিশনের উদ্দেশ্য মূল হলে স্টার টেপোলজি বেশি সুবিধাজনক। কেননা এখানে একই সময়ে বহু কম্পিউটারে ডেটা দেওয়া সম্ভব যা একটি নেটওয়ার্কে সুসজ্জিত করণের একটি প্রধান লক্ষ্য। এবং অল্প খরচে সুবিধাজনক একটি টপোলজি হিসেবে বাস টপোলজি বেশি সুবিধা প্রদান করে।

Question 20- ([রাজশাহী বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access, মূলত WiMAX হচ্ছে একটি তারবিহীন ডেটা কমিউনিকেশন পদ্ধতি, যা বহু দূরবর্তী মাধ্যম পযন্ত ব্রডব্যান্ড সরবরাহ করতে পারে।

উত্তরঃ

যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরণ হতে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে পর পর দুটি ক্যারেক্টার প্রেরণের মাঝে বিরতি সময় সকল ক্ষেত্রে সমান হয় না। এই ট্রান্সমিশনে ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলো ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। তাই প্রাপক কম্পিউটারকে বোঝানো জন্য ক্যারেক্টার ডেটা বিটগুলো শুরুতে একটি অতিরিক্ত স্টার্ট বিট ও শেষ একটি বা দুটি স্টপ বিট থাকে। এভাবে প্রতি ক্যারেক্টার একে একে ট্রান্সফার হয়। যেহেতু করেক্টার সমূহের ট্রান্সমিশনের সময় বিরতি হয় না ফলে এর ডেটা স্থানান্তরের গতি ধীর এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লেখিত তার মাধ্যমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিকাল ক্যাবল।
ফাইবার অপটিকাল ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফাইবার-যা আলো বিন্ধকরণ ও পরিবহনের সক্ষম। এই ফাইবার দেখতে মানুষের চুলের চেয়ে সুরু হয়ে থাকে। অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আলো পরিবহনে সক্ষম। উল্লেখ্য আলোর গুতি প্রায় 3.00 × 108 m/s। ফাইবার তৈরির জন্য বৈদ্যুতিক অন্তরক পদার্থ হিসাবে সিলিকা এবং মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন প্রতিসরাংকের বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত।
ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে যথা:
১। কোর: ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।
২। ক্ল্রাডিং: কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই-ইলেকট্রিক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে।
৩। জ্যাকেট: আবরণ হিসাবে কাজ করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে দৃশ্যকল্প-২ এ ডেটা কমিউনিকেশনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নিয়ে কথা বলা হয়েছে। চিত্র-১ এ রেডিও ওয়েব এবং চিত্র-২ এ স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েবকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। দুইটি ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যমের মধ্যে চিত্র-১ তথা স্যাটেলাইটকে বেশি উত্তম বলে আমি মনে করি। আমার মতামতের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে রেডিও ওয়েব ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভেুর কিছু সুবিধা ও অসুবিধার তালিকা প্রস্তুত করা হলো:
রেডিও ওয়েব এর সুবিধা:
১। মিডিয়া হিসেবে কোনো তার বা ক্যাবলের প্রয়োজন লাগে না।
২। এটি বায়ুমন্ডলের আয়োনোস্ফিয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তাই বিশে^র যেকোনো প্রান্তের সাথে কম্পিউনিকেশন করা যায়।
৩। বৈরি আবহওয়া ও প্রতিকূল পরিবেশেও রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না।
রেডিও ওয়েব এর অসুবিধা:
১। এটি তার বা ক্যাবল মাধ্যমের চেয়ে একটি ব্যয়বহুল কম্পিউনিকেশন ব্যবস্থা।
২। রেডিও ওয়েভের জন্য আলাদা ট্রান্সমিটার, রিসিভার, এন্টেনা এবং উপযুক্ত টার্মিনাল যন্ত্রপাতি থাকতে হয়। যা রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা। রেডিও ওয়েব মানুষ ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।
স্যাটালাইট মাইক্রোওয়েব এর অসুবিধা:
১। এতে বেশ উচ্চমাত্রার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহৃত হয়।
২। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েব ট্রান্সমিশন অত্যাধিক। তবে এ ব্যবহার সুদুরপ্রসারী।
৩। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায়, স্যাটেলাইট GPS ইত্যাদি কাজে স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের ব্যবহার বেশ সুবিধাজনক।
৪। বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কমিউনিকেশন সহজ করে দেয়।
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েব এর অসুবিধা:
১। পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট বা স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠানের জন্য অনেক বড় অ্যান্টেনার দরকার হয়।
২। পৃথিবী থেকে আলৈার বেগে যে সিগন্যালটি পাঠানে হয় সেটি এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করতে একটু সময় নেয় ফলে ধীর গতিতে ডেটা আদন-প্রদান হয়।
অতএব, স্যাটালাইটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রেরণ করা যায় যা ডেটা কমিউনিকেশনের মূলভিত্তি। ফলে স্যাটেলাইট বেশি উত্তম।

Question 21- (ঢাকা বোর্ড -২০২৩)

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বললেন ডেটা ট্রান্সমিশনের একটি পদ্ধতিতে ডেটা একটি তারের মধ্যে দিঢে স্টার্ট ও স্টপ বিটের সমন্বয়ে প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ফ্রেমের সাথে হেডার ও ও ট্রেইলার যুক্তি হয়ে ট্রান্সমিট হয়। এরপর শিক্ষক এমন একটি প্রযুক্তির কথা বললেন যার মাধ্যমে তারবিহীনভাবে বহুদূর পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায়।

উত্তরঃ

যে ট্রান্সমিশন মোড একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে অর্থাৎ যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণেও করতে পারে তাকে ফুল ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে। যেমন: মোবাইল ফোন।

উত্তরঃ

রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটারের সংযুক্ত করলে মেশ টপোলজি হয়। রিং টপোলজিতে একটি কম্পিউটার তাে নিকটবর্তী দুুই কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ সংঘটনের মধ্যে ডেটা প্রেরণ করা হলে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত ডেটা কেউ গ্রহণ করে। তবে মেশ টপোলজির প্রত্যেক কম্পিউটার প্রত্যেকের সাথে সংযুক্ত থাকে। এবং প্রতিটি কম্পিউটার যে কোনো কম্পিউটারের সাথে সরাসরি ডেটা আদান প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার প্রযুক্তিটি হচ্ছে, WiMAX .
WiMAX এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access, এর IEEE স্ট্যান্ডার্ড 802.16। এই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ক্যাবলিংয়ের তুলনায় সহজ ও সুবিধাজনক। ব্যান্ডউইড বা ডেটা ট্রান্সফার রেট ক্যাবল নেটওয়ার্কের তুলনায় বেশি। WiMAX এর সংস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কিছুটা বেশি। তবে এর inrerference বা Singal noise অনেক কম। একই সাথে মাল্টিফাংশনাল সুবিধা প্রদান করতে পারে। বর্তমানে WiMAX ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানকারী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। WiMAX এর ডাটা ট্রান্সমিশন রেট (80Mbps-1 Gbps) পাওয়া যায়। সাধারণত WiMAX এর একটি প্রধান উপদাদান হচ্ছে এর বেস স্টেশন, তবে অনেক ব্যবহারকারী কেবল একটি বেস স্টেশনের মাধ্যমেই সকল সুবিধা পেতে পারে। নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য WiMAX খুবই প্রহণযোগ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রযুক্তি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত ডেটা ট্রান্সমিশনের দুইটি পদ্ধতি হচ্ছে সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন। নি¤েœ তাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো:
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডাটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। অন্যদিকে যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতি বারে ১টি করে ব্লক ট্রান্সমিট কর হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্যে প্রেরকের কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্যে প্রাইমারী স্টোরেজ প্রয়োজন হয়। অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি ধীর এবং দক্ষতা কম যেখানে সিনক্রোনাস অনেক দ্রুত গতির এবং এর দক্ষতা অনেক বেশি। তবে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনাস ট্রান্সমিশনের জন্য প্রচুর ব্যয় হয়, যা অ্যাসিক্রোনাসের ক্ষেত্রে একদম সস্তা তাছাড়া অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতি ইনস্টলেশন খরচ অত্যন্ত কম তবে সিনক্রোনাসের ইনস্টলেশন ব্যয় অত্যন্ত বেশি।

Question 22- (যশোর বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ড যে পরিমাণ ডাটা এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।

উত্তরঃ

“ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিশন হয়” বলতে সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে বোঝানো হয়েছে। যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস সংরক্ষণ করা হয়, অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এই ট্রান্সমিশনে প্রতিটি ব্লক একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ট্রান্সমিট হয়। এ কারনে নামকরণ করা হয়েছে। সিনক্রোনস ট্রান্সমিশন মেথড। এই ট্রান্সমিশন মেথডে কোন স্টার্ট বা স্টপ বিট থাকে না ফলে একাধারে ডেটা চলতে থাকে। তাই এই পদ্ধতি গতি খুব বেশি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ এ ব্যবহৃত D ডিভাইসটি হচ্ছে হাব (Hub)। একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে স্ট্রোল ডিভাইস বা কনসেনট্রেটরের দরকার হয় তাই হচ্ছে হাব। এটি সাধারণত কানেক্টিং পয়েন্ট বা রিপিটার হিসেবে কাজ করে, যেখানে অনেকগুলো পোর্ট থাকে। একটি পোর্টের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়। হাবের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো কম্পিউটার থেকে কোনো ডেটা প্রেরণ করলে তা সব পোর্টের কাছে পৌছায়। ফলে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটার উক্ত ডেটা গ্রহণ করতে পারে, এতে সময় বেশি লাগে। হাবের নিজের কোন বুদ্ধমত্তা না থাকায়, হাবের কাছে ডেটা আসলে সে সরাসরি অন্য ডিভাইসগুলোতে ডেটা ব্রডকাস্ট করে দেয়। হাবের কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা হচ্ছেÑ
১। অন্যান্য সংযোগ ডিভাইসের তুলনায় এর দাম কম।
২। বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াকে যুক্ত করতে পারে।
৩। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহকে কেন্দ্রিয়ভাবে য্ক্তু করা যায়।
উদ্দীপকের চিত্র-১ এ ডেটা মাল্টি কম্পিউটারে ব্রডকাস্ট ও সংযোগ স্থাপনে হাবের ভূমিকা অপরিসীম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-১ হলো স্টার ও চিত্র-২ হলো মেশ টপোলজি। এদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে গেটওয়ে বা রাউটার ব্যবহার করা যায়। তবে এদের সংযু্িকত ঘটাতে গেটওয়ে ডিভাইসটির বেশি উপযোগী রাউটারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় কেননা রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে, কিন্তু উদ্দীপকে টপোলজি দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্ক হিসেবে রয়েছে। ফলে গেটওয়েই সবচেয়ে উপযোগী এদের মাঝে সংযোগ ঘটাতে। গেটওয়ে হচ্ছে ইন্টারনেটের প্রবেশ পথ অর্থাৎ এমন একটি ডিভাইস যা দুটি ভিন্ন প্রকৃতির নেটওয়ার্কের মধ্যে সহজে সংযোগ তৈরি করতে পারে যা অন্য কোনো নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইস দ্বারা সম্ভব নয়।

Question 23- (চট্রগ্রাম বোর্ড -২০২৩])

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ক্যাবল টিভিতে ব্যবহৃত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি গত ক্লাসে ইন্টারনেটভিত্তিক এক ধরনের পরিসেবা সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। উক্ত ব্যবস্থায় ব্যবহারকারী ছোট-বড় যে কোনো চাহিদা মেটাতে পারে এবং ব্যবহারের পরিমাণের উপর বিল নির্ধারিত হয়।

উত্তরঃ

ডেটা চলাচলের মাধ্যম বা মিডিয়াম হলো এক ধরনের চযুংরপধষ চধঃয যা প্রেরক ও প্রাপককে সংযুক্ত করে ডেটা প্রেরণে সহায়তা করে। ডেটা চলাচলের প্রধান মাধ্যম দুইটি। যথা: তার ও তারবিহীন মাধ্যম।

উত্তরঃ

যে পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক উভয় ডেটা স্থানান্তর করতে পারে তবে তা একই সময়ে যুগপৎ সম্ভব নয়, এমন ট্রান্সমিশন মোডকে হাফ-ডুপপ্লেক্স মোড বলে। এই মোডে যেকোনো প্রান্ত একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহক ও প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না। চিত্র দেখা যাচ্ছে যে ‘ক’ যখান ডেটা প্রেরণ করবে ‘খ’ তখন শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবে, কিন্তু প্রেরন করতে পারবে না। ‘ক’ এর প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ‘খ’ ডেটা প্রেরণ করতে পারবে তখন ‘খ’ শুধু গ্রহণ করতে পারবে কিন্তু প্রেরণ করতে পারবে না। যেমন ওয়াকি-টকি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ টিভিতে ব্যবহৃত তার মাধ্যমটি হচ্ছে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল।
দু’টি পরিবাহী ও অপরিবাহী বা প্যারাবৈদ্যুতিক পদার্থের সাহায্যে এ তার তৈরি করা হয়। ভিতরের পরিবাহীকে আচ্ছাদিত করার জন্য ও বাইরের পরিবাহী থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ থাকে।
কো-এক্সিয়ল ক্যাবল ব্যবহারের কারণ:
১। ইউটিপি বা এসপিটি ক্যাবলের তুলনায় সিগন্যাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম।
২। ডেটা স্থানান্তর গতি বেশি হয়।
৩। 500 MH ফ্রিকুয়েন্সিতে ডিজিটাল ও এনালগ ডেটা পাঠানো যায়।
৪। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চাইতে অধিক দূরত্বে তথ্য পাঠানো যায়। এবং সিগনাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম।
৫। ট্রান্সমিশন লস্ অপেক্ষাকৃত কম হয়।
৬। এই ক্যাবল সহজেই ইনস্টল কর যায়।
৭। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তুলনায় দামে অনেক সস্তা।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষক যে নতুন পরিসেবার কথা বলেছিলেন তা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।
শিক্ষক বলেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করা যায়। যেকোনো ব্যবহারকারী বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কম্পিউটারের সেবা প্রদান কারী প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। ব্যবহারকারীরর প্রয়োজনটা সাময়িক হলে সে সাময়িক ভাবে এটি ব্যবহার করবে এবং যতটুকু সেবা গ্রহণ করবে, ঠিক ততটুকু সেবার জন্য মূল্য দেবে।
শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে gmailবা yahooব্যবহার করে কোনো email পাঠানো হলে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার। এমনকি google এ কোনো কিছু খুজলে সেটিও ক্লাউড কম্পিউটিং এর অংশ। নি¤েœ ক্লাউড কম্পিউটিং এর কিছু সেবা সম্পর্কে জানা যাক,
অপারিটিং খরচ কমানো: ক্লাউড ব্যবহার করে অপারেটিং খরচ (Operating cost) যথেষ্ট পরিমাণ কমানো সম্ভব।
প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা: ক্লাউডে স্টোরেজ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যখন যত দরকার সুলভ মূল্যে তখন তত স্টোরেজ সুবিধা পাওয় যাবে। এখানে প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ: ক্লাউডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকে বিধায় সার্ভিস গ্রহণকারী গ্রাহকের এসব বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না।
সহজে তথ্য প্রবেশাধিকার: ক্লাউডে রেজিস্ট্রিকৃত গ্রাহকরা তার ডেটাবেজ ইন্টারনেটের মাধমে যে কোনো অবস্থান থেকে যে কোনো সময় ডেটা একসেস করতে পারে।
সফটওয়্যার খরচ কম: ক্লাউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক সফটওয়্যার সার্ভিসসহ সার্ভিস নিলে প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যারও সুলভে ব্যবহার করা যায়।
সহজ প্রাপ্যতা (Flexibility): ক্লাউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভিস নিতে পারে। শুরুতে একটি সার্ভার ভাড়া নিয়ে প্রয়োজনে যে কোনো সময় একশটি সার্ভার ভাড়া নিতে পারেব।
নিরাপত্তা: ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি দক্ষতা, ব্যাকআপ ক্যাপসিটি অনেক বেশি। তাই কোনো ছোট প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত নিজস্ব সেট আপের চেয়ে সেগুলো বেশি নিরাপদ।
ছোট ও প্রাথমিক উদ্যেক্তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ: একটি ছোট বা মাঝির মানের প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়েক লাখ টাকা দিয়ে একটি সার্ভার কেনা, তা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য বালে বেতনে দক্ষ লোক রাখা, সফটওয়্যার কেনা কঠিন। ক্লাউড কম্পিউর্টি -এ খরচ ও ঝামেলা অনেকাংশে কমিয়ে এনে সে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পাবে।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী/গবেষকদের সুবিধা: অনেক সময় বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য সাময়িকভাবে বিশাল কম্পিউটিং সুবিধা প্রয়োজন হয়ে যায় প্রতিষ্ঠা কর অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে ক্লাউড সুবিধা নিয়ে কাজ করতে পারে। অতএব, ক্লাউড কম্পিউটিং পরিসবায় আর্শীবাদ স্বরূপ।

Question 24- (বরিশাল বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

রাউটার হলো একটি বৃদ্ধিমান ইন্টারনেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি ডিভাইস যা লজিক্যাল এবং ফিজিক্যাল এড্রেস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে |

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিসেবা। ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত অনলাইন পরিসেবা; ডেটা অ্যাকসেস, ডেটা স্পেস প্রদান করে। ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার। ক্লাউড কম্পিউটিং নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। এবং যে টুকু সেবা প্রদান করে, ঠিক ততটুকু বিল চার্জ করে। সার্বক্ষনিক সেবা, লাভজনক সেবা ইত্যাদি নানাবিধ সুবিধা দিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিচিত হলেও, ক্লাউড কম্পিউটিং এর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে বেশ ঝুঁকি ধাকে। কেননা ক্লাউডে যখন কোন ডেটা প্রেরণ করা হয়, তা কোথায় সংরক্ষন হচ্ছে বা কিভাবে প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার কোন উপায় থাকে না। ফলে ডেটা নষ্ট হওয়ার, বিকৃত হওয়ার এবং চুরি তথা হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অতএব, উক্ত বক্তব্যটি যুক্তিযুক্ত।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-৩ দ্বার হাইব্রিড টপোলজিকে বোঝানো হয়েছে। মূলত বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক বলে। উদ্দীপকে হাইব্রিড নেটওয়ার্কটিতে একটি রিং ও একটি স্টার টপোলজির সংযোগ ঘটানো হয়েছে। হাইব্রিড টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। কোন সমস্যা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কোন একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়। তবে এ টপোলজিতে যেহেতু ভিন্নধাপের টপোলজির সংমিশ্রণ ঘটে, তাই ব্যবহৃত হাব-সমূহকে সর্বদা সচল রাখতে হয়। এবং এই সচল রাখতে হয় বলে বেশ বিদ্যুৎ খরচ হয়, ফলে এই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা মূল্যও বৃদ্ধি পায়। 

উত্তরঃ

চিত্র-১ এর ব্যবহৃত টপোলজিটি হচ্ছে মেশ টপোলজি এবং চিত্র-২ এর ব্যবহৃত টপোলজিটি হচ্ছে স্টার টপোলজি। মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের প্রত্যক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই টপোলজিতে যে কোন দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। সহজে নেটওয়ার্কের খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে। এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা দ্রুত সেরে ফেলা সম্ভব। অন্যনদিকে কম্পিউটার একটি কেন্দ্রিয় ডিভাইসের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যে নেটওয়ার্ক কাঠামো তৈরি করে তাকে স্টার টপোলজি বলে। স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটার একটি কেন্দ্রিয় ডিভাইসে যুক্ত হয়। এই কেন্দ্রিয় ডিভাইসের সব ক্যাবল একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত হয় যাকে কনসেনট্রেটর বলে। এই নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার যুক্ত করা যায়। নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিলে, হাব বা কেন্দ্র থেকে অনুসন্ধান করা যায়। তবে কেন্দ্রের ডিভাইস হাব/সুইচ অকেজো হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্কই বিকল হয়ে পড়ে। তাছাড়া এই নেটওয়ার্কে অনেক বেশি ক্যাবল প্রয়োজন হয়।
অতএব, আমরা বলতে পারি, চিত্র-১ তথা মেশ টপোলজি ব্যবহার করাই অধিক সুবিধাজনক।

Question 25- (বরিশাল বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

যে পদ্ধতিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিট হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে।

 

উত্তরঃ

সাধারণত সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটাকে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে এমন শক্তিশালী একটি তার মাধ্যম হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। কাঁচকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো এতে ঊগও নেই। সে কারনে ডেটা সিগন্যাল পরিবর্তিত হওয়ার ভয় নেই। তাছাড়া ইলেকট্রিসিটির মত আলোক সংকেত বাইরে ছড়িয়ে পড়ে না বলে এতে এটিনিউয়েশন নেই বললেই চলে। এটিনিউয়েশন না থাকায় এর মাঝ দিয়ে সিগন্যাল অনেক দুরত্ব পর্যন্ত কোন ডেটা লস ব্যতীত অতিক্রম করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-১ হচ্ছে সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড। ডেটা কম্পিউনিকেশনের সময় ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন মোড তিন প্রকারের। এই প্রকারভেদের সবচেয়ে সহজ এবং প্রথম মোডটি হচ্ছে সিমপ্লেক্স। একমুখী ডেটা প্রবাহকে বলা হয় সিমপ্লেক্স মোড। এই ব্যবস্থায় যে প্রান্ত ডেটা প্রেরণ করবে সে প্রান্ত ডেটা গ্রহণ করতে পারবে না। উদাহরণস্বরুপ রেডিও স্টেশনে একজন শুধু রেডিওতে তার বলা কথাগুলো ব্রডকাস্ট করতে পারে, কিন্তু ওই রেডিওর মাধ্যেমে সে কোন ডেটা গ্রহণ করতে পারে না। আবার কীবোর্ড এর ডেটা পাঠানোটিও একটি সিমপ্লেক্স মোড। কেননা কীবোর্ড দিয়ে যখন ডেটা প্রেরিত হয়, তা স্ক্রিনে দেখা যায়, তবে কীবোর্ডর কাছে কোন ডেটা প্রেরণ করা যায় না।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-৩ হচ্ছে হাফ-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোড। এই পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই ডেটা স্থানান্তর করতে পারে, তবে তা একই সময়ে যুগপৎ সম্ভব নয়। যে কোন প্রান্ত একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ অথবা পেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহণ ও প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না, নিচের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ‘ক’ যখন ডেটা প্রেরণ করবে ‘খ’ তখন শুধুুমাত্র গ্রহণ করতে পারবে, কিন্তু প্রেরণ করতে পারবে না। ‘ক’ এর প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ‘খ’ ডেটা প্রেরণ করতে পারবে তখন ‘ক’ শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবে কিন্তু প্রেরণ করতে পারবে না। যেমন: ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স।



চিত্র-২ দ্বারা ফুল ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডকে বোঝানো হয়েছে। ফুল ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা আদান-প্রদান ব্যবস্থা থাকে। যেকোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় ডেটা প্রেরণও করতে পারে। যেমন: মোবাইল ফোন, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কম্পিউনিকেশন।

একই সাথে উভয় পাশে কার্যকরি কমিউনিকেশন অন্যান্য মোড থেকে পাওয়া যায় না। ফলে ফুল-ডুপ্লেক্স কমিউনিকেশন অতিদ্রুত হয়ে থাকে। অতএব বলা যেতে পারে চিত্র-২ বা ফুল-ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহারই বেশি উপযোগী।

Question 26- (সিলেট বোর্ড -২০২৩)

মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ডগুলো হলো-

(i) UMTS (Universal Mobile Telecommunication System)
(ii) LTE (Long Term Evolution)
(iii) MIMO (Multiple Input Multiple Output

 

উত্তরঃ

কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবাহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা নিক (NIC) কার্ড বলা হয়। একে ল্যান (LAN) কার্ড বা নেটওয়ার্ক কার্ডও বলা হয়।

উত্তরঃ

কম্পিউটারের নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা ডিভাইসগুলিকে একে অপরের সাথে এবং সংস্থানগুলি প্রেরণ, বিনিময় বা অন্যথায় ভাগ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ যথাসম্ভব সহজ করে নিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়। নি¤েœ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর কিছু উদ্দেশ্য লেখা হলো:
১। ফাইল শেয়ারিং এর জন্য।
২। হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার শেয়ারিং এর জন্য।
৩। ডাটা নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার জন্য।
৪। কম্পিউটারের জায়গা রক্ষার জন্য।
৫। সর্বোপরি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত (i) নং স্টান্ডার্ডটি বা UMTS (Universal Mobile Telecommunication System) সাধারণত তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইলে ব্যবহৃত হয়। ২০০১ সালে জাপানের টেলিযোগাযোগ কোম্পানী NTT DoCoMo প্রথম অ-বানিজ্যিক ও পরীক্ষামূলক ৩এ নেটওয়ার্ক চালু করে। তৃতীয় প্রজন্মের ডেটা রূপান্তরের কাজে সার্কিট সুইচিং এর পরিবর্তে প্যাকেট সুুইচিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। ফলে সর্বাধিক ডেটা ট্রান্সফার মোবাইল টেকনোলজি EDGE চালু হয়। এই প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তিগত  HSPA, WCDMA, 3GPP, UMTS চারটি প্রযুক্তি চালু হয়। UMTS ব্যবহারের ফলে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল, ডেটা ট্রান্সফার রেট, চ্যানেল অ্যাকসেস সব আরও ডেভেলপ হয়ে ওঠে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) ও (iii) নং স্টান্ডার্ডটি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয়।নি¤েœ এদের মাঝে একটি তুলনা ছক তুলে ধরা হলো:

Question 27- (সিলেট বোর্ড -২০২৩)

আফনান ও সাফনান দুই ভাই। আফনান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যার মধ্যে ৪টি কমন রঙের (সাদা) তার রয়েছে এবং সাফনান তথ্য স্থানান্তরে বিশেষভাবে তৈরি পরিশুদ্ধ কাঁচের অত্যন্ত সুক্ষ্ম তন্তুবিশিষ্ট ক্যাবল ব্যবহার করে। অন্যদিকে আফনানের বন্ধু রাফসান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এমন এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যা ডিজিটাল ও এনালগ উভয় ধরনের ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

যে পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক উভয় ডেটা স্থানান্তর করতে পারে, তবে তা একই সময়ে যুগপৎ সম্ভব নয়, তাকে হাফ-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোড বলে।

উত্তরঃ

ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমান বিশে^ এক আলোড়নের নাম। এই সার্ভিস বা সেবার অবদানে আজ বিশ^ব্যাপী তথ্য প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হচ্ছে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর এই সেবা বা সার্ভিস মডেল তিন ধরনের হয়ে থাকে। নি¤েœ ব্যাখ্যা করা হলো:
১। অবকাঠামোগত সেবা: সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ইত্যাদি কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়।
২। প্লাটফর্ম ভিত্তিক সেবা: ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার; অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ ইত্যাদি ভাড়া দেয়।
৩। সফটওয়্যার সেবা: সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা সফটওয়্যার ভাড়া দেয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে আফনান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যার মধ্যে ৪টি কমন রঙের তার রয়েছে। অর্থাৎ, আফনানের ব্যবহৃত ক্যাবলটি হচ্ছে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল। সাধারণত ল্যান বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ও টেলিফোন লাইনের কানেকশন তৈরির জন্য যে ক্যাবলটি ব্যবহার হয় সেটি টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে একসাথে কয়েক জোড়া ক্যাবল পাকানো অবস্থায় থাকে যার মধ্যে দিয়ে ডেটা সিগন্যাল প্রবাহিত হয়। টুইস্টেড পেয়ারে কালার কোডিং ব্যবহৃত হয় ও প্রতিটি তারে একটি করে ইনসুলেশন বা আচ্ছাদন থাকে। এসব আচ্ছাদিত তারকে টুইস্টেড বা পাকানো হয়। পাকানো তারের জোড়াকে আবার প্লাস্টিক জ্যাকেটে মোড়ানো হয় সুরক্ষিত করার জন্য। এ ধরনের ক্যাবলে সাধারণত ৪ জোড়া তার ব্যবহার করা হয়। প্রতি জোড়া তারের মধ্যে একটি তার সাদা রঙের প্লাস্টিক কোডের তারের সাথে নীল, গোলাপী, সবুজ ও বাদামী এই চার রঙের প্লাস্টিকোড যুক্ত তার থাকে। মূলত কম দুরত্বের যোগাযোগের জন্য টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অতএব, আফনান এর ব্যবহৃত তারটি বা ক্যবলটি হচ্ছে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল।

উত্তরঃ

তথ্য স্থানান্তরে সাফনান ও রাফসানের ব্যবহৃত ক্যাবল হচ্ছে যথাক্রমে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ও কো-এক্সিয়াল ক্যাবল। নি¤েœ দুইজনের ব্যবহৃত ক্যাবলের তুলনামূলক সম্পর্ক ছকের মধ্যে প্রকাশ করা হলো:

Question 28- (দিনাজপুর বোর্ড -২০২৩)

পৌরবাসীর সুবিধার জন্য মেয়র মহোদয় আলোর গতিতে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করলেন। খরচ বেশি হওয়ায় প্রকৌশলীর পরামর্শে তারবিহীন অন্য একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।

উত্তরঃ

রোবোটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেখানে রোবটের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম এপ্লিকেশন ছাড়াও কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে এর কন্ট্রোল সেন্সর এবং সেই সাথে ইনফরমেশন প্রসেসিং নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উত্তরঃ

উক্ত বক্তব্যটি দ্বার ক্রায়োসার্জারিকে বোঝানো হয়েছে। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অতি ঠান্ডা তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক ও অসুস্থ টিস্যু কোষ ধ্বংস করা হয়। এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে শীতলীকরণের জন্য তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ডাই মিথাইল ইথার প্রোপেন, আর্গন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাপমাত্র প্রায় -৪১ থেকে -১৯৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়। অর্থাৎ নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সম্ভব।

উত্তরঃ

মেয়র মহোদয় বাস্তবায়িত নেটওয়ার্ক সিস্টেমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার বৈদ্যতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফাইবার- যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। এই ফাইবার দেখতে মানুষের চুলের চেয়ে সরু হয়ে থাকে। অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আলো পরিবহনে সক্ষম। উল্লেখ্য আলোর গতি প্রায় 3.00 x 108 m/s। ফাইবার তৈরির জন্য বৈদ্যতিক অন্তরক পদার্থ হিসাবে সিলিকা এবং মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন প্রতিসরাংকের বৈদ্যতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত।
ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা:
১। কোর: ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।
২। ক্ল্যাডিং: কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই-ইলেকট্রিক আবরণ ক্লাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসরাংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে।
৩। জ্যাকেট: আবরণ হিসাবে কাজ করে।

উত্তরঃ

পৌর মেয়রের উদ্দোগটি সার্বিক বিবেচনায় যৌক্তিক। সেখানকার অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আলাদাভাবে ব্যয়বহুল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। সুতরাং পৌর মেয়রের উদ্যোগে যদি স্বল্প খরচে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় তবে সকলে উপকৃত হবে। বিভিন্ন প্রকার ইন্টারনেট সেবার মধ্যে স্বল্প ব্যয়ে সীমিত আয়তনের এলাকায় ডর-গঅঢ একটি সহজ ও সুবিধাজনক প্রযুক্তি। একটি মাত্র বেজ স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট দুরত্ব পর্যন্ত এটি কার্যকর। এটি ওয়্যারলেস গঅঘ এর মতো এবং এর গতি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মতোই দ্রুত গতিসম্পন্ন হলেও ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম। একটি এলাকায় তারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা কষ্টসাধ্য, ব্যয়বহুল, সময় সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সার্বিক বিবেচনায় পৌর মেয়রের ডর-গঅঢ স্থাপন করার এই সদ্ধিান্ত বা পরিকল্পনা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত।

Question 29- (`দিনাজপুর বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।

উত্তরঃ

ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমান বিশে^র এক আশার পথ উন্মোচন করেছে। কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হলেও, ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা অনেক। নিম্ন কিছু সুবিধা তুলে ধরা হলো:
১। অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম থাকে।
২। সার্বক্ষনিক ব্যবহার করা যায়।
৩। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেপ হয়।
৪। যেকোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধমে তথ্য আপলোড বা ডাউনলোড করা যায়।
৫। তথ্য কিভাবে প্রসেস বা সংরক্ষিত হবে তা জানার প্রয়োজন হয় না।

উত্তরঃ

রিং টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা রিং এর মত, তাই এর নামকরণ হয়েছে রিং টপোলোজি। এতে কম্পিউটারগুলোকে এমনভাবে যুক্ত করা হয় যাতে সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ঘুরতে থাকে। যতক্ষন না নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। রিং টপোলজির প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান।



এ পদ্ধতিতে কোনো কেন্দ্রিয় কম্পিউটার বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালেও তার দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না। তবে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। নতুন কম্পিউটারে সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হলে পূর্বের সিস্টেম ভেঙ্গে নতুনভাবে তৈরি করতে হয়। এ টপোলজির সংযোগ খরচ বেশি এবং ডেটা চলাচলের গতিও কম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্র-১ দিয়ে রিং টপোলজিকে বোঝানো হয়ছে এবং চিত্র-২ দ্বারা মেশ টপোলজিকে বোঝানো হয়েছে। রিং এবং মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি ব্যবহার করা অধিক সুবিধাজনক। নি¤েœ এই বিষয়ে মতামত দেওয়া হলো:
১। রিং টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা প্রেরণে অনেক সময় লেগে যেতে পারে, কেননা একটি ডেটা প্রেরণ করা হলে এর গন্তব্য পর্যন্ত পৌছাতে অন্য নোড ভ্রমন করতে হয়। কিন্তু মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে অতি দ্রুত ডেটা প্রেরণ করা সম্ভব কেননা প্রতিটি নোড একে অপরের সাথে যুক্ত।
২। রিং টপোলজিতে একটি নোড নষ্ট হলেই সকল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে কিন্তু মেশ টপোলজিতে একটি নোড নষ্ট হলে, শুধু ওই নোডটি-ই পৃথকভাবে অচল হয়।
৩। রিং টপোলজিতে ট্রাবল শুটিং অনেক কঠিন যেখানে মেশ টপোলজিতে সহজেই ট্রাবল শুটিং করা যায়, কেননা এতে সমস্যার কেন্দ্র খুঁজে পাওয়া সহজ।
৪। সর্বোপরি, রিং টপোলজিতে ডেটা কমিউনিকেশনের নিশ্চয়তা মেশ টপোলজি থেকে অনেক কম।
অতএব, চিত্র-২ তথা মেশ টপোলজি ব্যবহার করাই সুবিধাজনক।

Question 30- (ময়মনসিংহ বোর্ড -২০২৩)

‘ঢ’ কলেজে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ দিয়ে তৈরি মাধ্যম ব্যবহার করে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কলেজটি 40km দূরে অবস্থিত ‘ণ’ কলেজের সাথে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট কমিউনিকেশন ডিভাইস দ্বারা যুক্ত।

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডাটা এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।

উত্তরঃ

ভিন্ন প্রটোকলের নেটওয়ার্ক যুক্ত করতে ব্যবহৃত ডিভাইস হচ্ছে গেটওয়ে (Gateway)। ভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় গেটওয়ে প্রটোকল ট্রান্সলেশনের কাজ করে। গেটওয়ে PAT (Protocol Address Translation) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে থাকে বলে একে প্রটোকল কনভার্টার ও বলা হয়। এটি ডেটা ফ্লিটারিং করতে পারে এবং শুধু টার্গেট আই.পি অ্যাড্রেসে সংকেত পাঠায়। এটি তারের চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং ডেটার সংঘর্ষ ও কলিশন আশঙ্কা কম।

উত্তরঃ

‘ঢ’ কলেজে ব্যবহৃত নিজস্ব নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত মাধ্যমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফাইবার-যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। এই ফাইবার দেখতে মানুষের চুলের চেয়ে সরু হয়ে থাকে। অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আলো পরিবহনে সক্ষম। উল্লেখ্য আলোর গতি প্রায় 3.00×108 m/s। ফাইবার তৈরির, জন্য বৈদ্যুতিক অন্তরক পদার্থ হিসাবে সিলিকা এবং মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন প্রতিসরাংকের বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত।
ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা: 
১। কোর: ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে। 
২। ক্ল্যাডিং: কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই-ইলেকট্রিক আবরণ ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসরাংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে।
৩। জ্যাকেট: আবরণ হিসাবে কাজ করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ‘X’ কলেজের সাথে ‘Y’ কলেজের যুক্তের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডিভাইসটি হচ্ছে WiMAX যার IEEE স্ট্যান্ডাড 802:16। WiMAXএর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability For Microwave Access। এটি একটি ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক প্রটোকল যা ফিক্সড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয় নেটওয়ার্ক সংস্থাপন ক্যাবলিংয়ের তুলনায় সহজ ও সুবিধাজনক। WiMAXএর কভারেজ এরিয়া সাধারণত ৫০ কি. মি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ডিভাইসে নেটওয়ার্ক nterference বা Signal noise অনেক কম থাকে, ফলে ডেটা যোগাযোগের নিশ্চয়তা ভালো। তাছাড়া একই সাথে মাল্টিফাংশনাল সুবিধা পাওয়া যায়। নি¤েœ WiMAXএর আরও কিছু সুবিধা তালিকা করা হলো: 
১। শতাধিক ব্যবহারকারী একক বেস স্টেশন ব্যবহার করতে পারে।
২। নতুন ব্যবহারকারী অধিক দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে।
৩। নেটওয়ার্কের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে গতি ১০ Mbpsপাওয়া যায়। 
৪। নেটওয়ার্কিং এরিয়া সাধারণত ১০ কিলোমিটার থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৫। ইহা একই স্ট্যান্ডার্ড এবং ফ্রিকোয়েন্সিতে একত্রে কাজ করে। 
৬। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস বা সিগন্যাল নয়েজ কম।

Question 31- (ময়মনসিং বোর্ড -২০২৩)

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বহু মাধ্যমের মধ্যে সর্বোচ্চ গতি সংক্রান্ত মাধ্যমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল যা মূলত একটি তার মাধ্যম। সাধারণত তার মাধ্যম উচ্চ ব্যান্ডইউডথের ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে। তাছাড়া এ মাধ্যমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আলোর গতিতে ট্রান্সফার সম্ভব (যথা: ফাইবার অপটিক ক্যাবল)। ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রাকৃতিক কোন বাঁধা নেই, এক তার নেটওয়ার্কের সাথে অন্য তারের নেটওয়ার্কের সংযোগ ঘটে না বিধায় ডেটা ট্রান্সমিশনে বাঁধার সৃষ্টি করে না। ফলে ডেটা লস ও অনেক কম।

উত্তরঃ

চিত্র-৩ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হচ্ছে ট্রি টপোলজি। যে ব্যবস্থায় কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা প্রশাখার মতো বিন্যাস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে। মূলত স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপ হচ্ছে ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাদিক হাব ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটার গুলোকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট। রুট কম্পিউটারটি সার্ভার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হয় ট্রি সংগঠনে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারের সাথে আবার তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় গুরের কম্পিউটারের হোস্ট হিসেবে কাজ করে। এই টপোলজির সবচেয়ে বড় সুবিধা একে সম্প্রসারণ করা সহজ। তাছাড়া অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এ টপোলজি খুবই উপযোগী কেননা সহজে সংযোগ থেকে নোড বাদ দেওয়া যায় আবার যুক্ত করা যায়।

উত্তরঃ

ডেটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে চিত্র-১ এর তুলনায় চিত্র-২ অর্থাৎ বাস টপোলজির চেয়ে স্টার টপোলজি বেশি উপযোগী। বাস টপোলজিতে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে কম তার লাগা, সরল সংগঠন, রিপিটার সংযোগ, কেন্দ্রিয়, কোনো ডিভাইস না প্রয়োজন হওয়া ইত্যাদি সুবিধা থাকলেও বাস টপোলজি অনেক ধীর গতি সম্পন্ন। তাছাড়া ডেটা সংঘর্ষের সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া ডেটা লাইনে ট্রাফিক তৈরি হওয়া বাস টপোলজির এক সাধারণ দৃশ্য। অপরদিকে, স্টার টপোলজি বাস্তবায়নে ব্যয় বেশি হলেও, এই টপোলজিতে ডেটা আদান-প্রদান দ্রুতগতিসম্পন্ন। তাছাড়া ডেটা সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম। সুইচ ব্যবহারের কারনে বাস বা রিং টপোলজির চেয়ে এই টপোলজিতে ডেটা বেশি নিরাপদ। এছাড়াও কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডেটা ট্রান্সমিশন গতি স্বাভাবিক থাকে। অতএব, আমরা সহজেই বলতে পারি, ডেটা আদান-প্রদানে স্টার টপোলজি বেশি উপযোগী।

Question 32- (ঢাকা বোর্ড -২০১৯)

ঢ কলেজ ঢাকা শহরের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের আরো পাঁচটি শাখা আছে। অধ্যক্ষ সাহেব মূল প্রতিষ্ঠানে বসেই সবগুলো শাখা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বল্প খরচে উন্নত সেবা এবং যতটুকু ব্যবহার ততটুকু বিল প্রদান এমন একটি পরিসেবার কথা ভাবছিলেন।

উত্তরঃ

ব্লুটুথ হচ্ছে তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) যা 2.45 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে স্বল্প দূরত্বে (৩ থেকে ১০ মিটার) ডাটা আদান প্রদানে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা (efficiency) অ্যাসিনক্রোনাস এর তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি। এ পদ্ধতিতে অবিরাম ট্রান্সমিশন কাজ চলতে থাকার ফলে তার ট্রান্সমিশন গতি অপেক্ষাকৃত বেশি। তাছাড়া প্রতি ক্যারেক্টারের শুরু ও শেষে Start ও Stop bit কিংবা ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভালের প্রয়োজন হয় না। উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছিল। বিভিন্ন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থিত কিছু LAN বা MAN একত্রে সংযুক্ত হয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়ান (WAN) বলে। যখন একটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয় তখন উক্ত নেটওয়ার্ককেও WAN বলে। এই নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, স্যাটেলাইট বা মাইক্রোওয়েভের মত পাবলিক কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইন্টারনেট WAN এর একটি উদাহরণ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে অধ্যক্ষ সাহেব যে নতুন পরিসেবার কথা ভাবছিলেন তা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। অধ্যক্ষ সাহেব ইন্টারনেট ব্যবহার করে ক্লাউড কম্পিউটিং বাস্তবায়ন করতে পারবেন। যেকোনো ব্যবহারকারীর বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কম্পিউটারের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। ব্যবহারকারীর প্রয়োজনটা সাময়িক হলে সে সাময়িক ভাবে এটি ব্যবহার করবে এবং যতটুকু সেবা গ্রহণ করবে, ঠিক ততটুকু সেবার জন্য মূল্য দেবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে gmail বাyahoo  ব্যবহার করে কোনো email পাঠানো হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার। এমনকি google এ কোনো কিছু খুঁজলে সেটিও ক্লাউড কম্পিউটিং এর অংশ।

Question 34- (রাজশাহী বোর্ড -২০১৯)

রহিম সাহেব তাঁর ছয় বছরের ছেলের জন্য একটি খেলনা উড়োজাহাজ কিনে অনেন। তিনি রিমোট ব্যবহার করে উড়োজাহাজটির উড্ডয়ন দেখালেন। অন্য দিকে তাঁর বড় ছেলে ল্যাপটপের সাথে ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। রহিম সাহেব তাঁর স্মার্টফোনে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ

এক কম্পিউটার থেকে দূরবর্তী কোনো কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশককে ডেটা কমিউনিকেশন মোড বলে।

উত্তরঃ

স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ হলো মাইক্রোওয়েভ।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের 1GHz থেকে 300GHz পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সী ব্যান্ড মাইক্রোওয়েভ নামে পরিচিত। কার্যতঃ মাইক্রোওয়েভ এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যা সেকেন্ডে প্রায় ১ গিগা বা তার চেয়ে বেশি কম্পন বিশিষ্ট। মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলাচল করতে পারে না। তাই প্রেরক ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যে কোন বাধা থাকলে সংকেত পাঠানো যায় না। এজন্য মাইক্রোওয়েভ এ্যান্টেনা বড় কোন ভবন বা টাওয়ারের ওপর বসানো হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের প্রযুক্তি হলো ইনফ্রারেড ওয়েভ। উইলিয়াম হার্শেল ১৮০০ সালে ইনফ্রারেড বিকিরণ আবিষ্কার করেন। যে সকল তড়িৎ চৌম্বক বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিভ বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১ মাইক্রোমিটার থেকে ১ মিলিমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত তাদের বলা হয় ইনফ্রারেড ওয়েভ বা অবলোহিত বিকিরণ রশ্মি। এই বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষা সামান্য বড় কিন্তু মাইক্রোওয়েভ থেকে ছোট। খালি চোখে এদের দেখা যায় না। টিভি, সিডি প্লেয়ার, মিউজিক সিস্টেমসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রের রিমোট কন্ট্রোলে ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
ইনফ্রারেড যোগাযোগ পদ্ধতিতে প্রেরক প্রান্তে একটি এলইডি বা লাইট এমিটিং ডায়োড (Light Emitting Diode-LED) থাকে যা ইনফ্রারেড সংকেতকে ট্রান্সমিট করে অদৃশ্য আলোতে রূপান্তর করে। গ্রাাহক প্রান্তে একটি ফটোডায়োড থাকে যা প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রেরণ করা অদৃশ্য আলো সনাক্ত করে রিসিভারের ইলেকট্রনিক সার্কিটের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করে।

উত্তরঃ

রহিম সাহেব তাঁর স্মার্টফোনে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন যা ওয়াইফাই নামে পরিচিত। ওয়াই-ফাই বা ওয়্যারলেস ফিডেলিটি (Wireless Fidelity-Wifi) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। এটি প্রযুক্তিগতভাবে IEEE ৮০২.১১বি (IEEE 802.11B) নামে পরিচিত। ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি স্ট্যান্ডার্ড ইথারনেট এবং অন্যান্য সাধারণ তার ভিত্তিক ল্যান, প্রযুক্তি থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত (11 mbps) এবং কম ব্যয়বহুল। এভাবে, ওয়াই-ফাই তারবিহীন ল্যানে ল্যাপটপ পিসি, পিডিএ, স্মার্ট ফোন, ট্যাব এবং অন্যান্য ডিভাইসের সাথে ওয়াই-ফাই মডেমের সংযোগ করে দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসা, পাবলিক এবং গৃহে খুব সহজেই ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে।
রহিম সাহেবের ছেলের ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রযুক্তিটি হলো ক্যাবলের মাধ্যমে যা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের একটি প্রকার। এই সংযোগ উচ্চ গতিসম্পন্ন (কমপক্ষে ১সনঢ়ং)। এই সংযোগ সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দ্বারা ডেটা স্থানান্তর করে। এই সংযোগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) থেকে গ্রাাহকদেরকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।

Question 35- (রাজশাহী বোর্ড -২০১৯)

দোলনচাঁপা ও তার বাবা ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোন নিয়ে আলাপ করছেন। দোলনচাঁপার বাবা পূর্বে যে মোবাইলটি ব্যবহার করতেন। সেটি আকারে একটু বড় হলেও ঐ মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতো। দোলনচাঁপা বলল, বর্তমানে আমরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কিছু সুবিধা বা পরিসেবা গ্রাহন করতে পারি।

উত্তরঃ

ব্লুুটুথ হচ্ছে তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (চঅঘ) যা ২.৪৫ এঐু ফ্রিকোয়েন্সিতে স্বল্প দূরত্বে (৩ থেকে ১০ মিটার) ডাটা আদান প্রদানে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনন্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি কম্পিউটার বা ওয়ার্কস্টেশনের মধ্যে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। তবে, সংযোগের সংখ্যা বেশি হলে বড় ধরনের নেটওয়ার্কে মেশ টপোলজির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

উত্তরঃ

দোলনচাঁপার বাবার মোবাইল ফোনটি ২য় প্রজন্মের। এর বৈশিষ্ট্য নি¤œরূপ:
১। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়।
২। নেটওয়ার্কের রেডিও সিগন্যাল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেম চালু।
৩। নেটওয়ার্ক GSM এবং CDMA  পদ্ধতির ব্যবহার।
৪। চ্যানেল অ্যাকসেস FDMA, TDMA এবং CDMA পদ্ধতির ব্যবহার।
৫। এ প্রজন্মে সর্বপ্রথম প্রিপেইড পদ্ধতি চালু হয়।
৬। সীমিত মাত্রায় আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা চালু হয়।
৭। এমএমএস (MMS- Multimedia Message Service) এবং এসএমএস (SMS- Short Message Service) সেবা কার্যক্রম চালু হয়।
৮। কথোপকথন চলা অবস্থায় ব্যবহারকারীর অবস্থানের পরিবর্তন হলে ট্রান্সমিশন অবিচ্ছিন্ন থাকে।

উত্তরঃ

দোলনচাঁপা বিশ্বব্যাপী সুবিধা গ্রাহণ করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। 
ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সার্ভিস, যা নেটওয়ার্ক স্টোরেজ স্পেস এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করে। ক্লাউড কম্পিউটিংকে ইন্টারনেটের ই-মেইল অ্যাকসেসের সাথে বিবেচনা করা যায়। এর ফলে যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে তথ্য অ্যাকসেস করা সম্ভব হয়েছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাজে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার সুবিধাজনক। কারণ এতে কম খরচে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন কম্পিউটার রিসোর্স ও নেটওয়ার্ক রিসোর্স ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করা হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং-এ যে পরিমাণ খরচ হয় তা সমতুল্য শক্তিসম্পন্ন হার্ডওয়্যার কিনতে খরচ অপেক্ষা অনেক কম। যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা আছে। ফলে সর্বদা শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট করা যায়, ফলে নতুন লাইসেন্স সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কম, কম হার্ডওয়ার ব্যবহার করে বেশি আউটপুট লাভ করা যায়, প্রোগ্রাাম নির্বাহ গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়িক দিক বিবেচনায় ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে কম মূলধন দিয়ে বেশি লাভ করার কৌশল নির্ধারণ করা যায়। বিশ্ববাণিজ্যে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার থেকে লাভজনক বিনিয়োগ হিসাব করে ক্লাউড কম্পিউটিং দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পন্ন করা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা নিরূপণ করা, আমদানি-রপ্তানি কাজ সমাধান করার জন্য ই-কর্মাস ব্যবহারেও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রয়োজন হয়।
 

Question 36- ()

একটি কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের কম্পিউটারগুলো উপরের প্যার্টানে সংযুক্ত রয়েছে।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

নেটওয়ার্কিং করার জন্য বর্তমানে হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহৃত হয়। হাবে প্রেরিত যেকোনো সংকেত প্রতিটি ডিভাইসে ব্রডকাস্ট করলেও সুইচ প্রেরিত সংকেত শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারেই প্রেরিত হয়। এছাড়াও দুর্বল হয়ে পড়া সংকেতকে সুইচ অ্যামপ্লিফাই করে গন্তব্য কম্পিউটারে পাঠায়। তাই হাবের চেয়ে সুইচ উত্তম।

উত্তরঃ

  উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিত্রের নেটওয়ার্কটি দূরত্বের বিচারে LAN ধরনের। একাধিক ব্যাক্তির কাজের সমন্বয় সাধন ও গতি বৃদ্ধির জন্য একই ভবনে, পাশাপাশি ভবনে কিংবা একই ক্যাম্পাসের কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাকে বলা হয় Local Area Network বা LAN । খঅঘ এর দ্বারা 1Km বা তার কম দূরত্বের মধ্যে বেশ কিছু কম্পিউটার টার্মিনাল বা অন্য কোনো ডিভাইস যুক্ত করা হয়।
 
চিত্র: কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে স্থাপিত LAN
উদ্দীপকে একটি কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে কম্পিউটারগুলো যুক্ত করা হয়েছে। ল্যাবের LAN দ্বারা- কম্পিউটারগুলো তাদের মধ্যে তথ্য ও রিসোর্স শেয়ার করতে পারবে। 

উত্তরঃ

উদ্দীপকের চিত্রে ১, ২ ও ৩ নং কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়েছে রিং টপোলজি।



চিত্র: রিং টপোলজি
উদ্দীপকের চিত্রে ২, ৩, ৪, ৫ নং কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়েছে মেশ টপোলজি।



চিত্র: মেশ টপোলজি
রিং এবং মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি উত্তম। রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হলে পুরো সিস্টেমটাই অকেজো হয় কিন্তু মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা হলে রিং টপোলজিতে তা খুঁজে বের করা কঠিন কিন্তু মেশ টপোলজিতে খুবই সহজ। মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার সরিয়ে নিলে কিংবা এতে কোনো কম্পিউটার যোগ করলে কাজ বিঘিœত হয় না। অর্থাৎ মেশ টপোলজিতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে।

Question 37- (যশোর বোর্ড -২০১৯)

রাজ আইসিটি ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনা হতে জানতে পারে যে, ডেটা কমিউনিকেশনে একটি পদ্ধতিতে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। সে তার বাসায় তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ নেয় ফলে সে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।

Question 38- (চট্রগ্রাম বোর্ড -২০১৯)

হাবিব সাহেব তার অফিসে পাশে বসা বন্ধুর সাথে বিনা খরচে তথ্য শেয়ার করছিলেন। এমন সময় অফিসের ২য় তলার এক সহকর্মী তাঁর কাছে একটি ফাইলের তথ্য দেখতে চাইলে, তিনি নিচ তলার রুমে বসেই নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় সহকর্মীদের কম্পিউটারে তা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে একজন বিদেশি ক্রেতা ফাইলটি চেয়ে পাঠালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন।

উত্তরঃ

মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের কাভারেজ এরিয়ার সীমাবদ্ধতা থাকে। এ সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয়ভাবে পরস্পরের সাথে আন্তঃসংযোগের ব্যবস্থাকে বলা হয় রোমিং।

উত্তরঃ

নন মেটালিক ক্যাবল মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। এটি বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফাইবার যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। ফাইবার তৈরির জন্য বৈদ্যুতিক অন্তরক পদার্থ হিসেবে সিলিকা এবং মাল্টি কম্পোন্যান্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। ভিন্ন প্রতিসরাংকের এই ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত। এতে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে।

উত্তরঃ

বন্ধুর সাথে তথ্য শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে হাবিব সাহেবের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো: ব্লুটুথ। ব্লুটুথ হলো স্বল্প দূরত্বের (১০ মিটারের কাছাকাছি) ভেতর বিনা খরচে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। ব্লুটুথের সাহায্যে বিনা খরচে স্বল্প দূরত্বে থাকা আধুনিক প্রায় সকল ডিভাইস নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে বিধায় এটিকে তারবিহীন (wireless) পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) প্রটোকল বলা হয়। ট্রাডিশনাল ডেস্কটপ কম্পিউটার, যেগুলোতে ব্লুটুথ প্রযুক্তি বিল্ট ইন থাকে না, তাদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ইউএসবি ব্লুটুথ এ্যাডাপ্টার সংযুক্ত করে ঐ ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্লুটুথ সংযোগের সুবিধা উপভোগ করা যায়। বর্তমানে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, মেডিক্যাল ডিভাইস এবং বাসাবাড়িতে বিনোদনের অনেক ডিভাইসে ব্লুটুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

উত্তরঃ

হাবিব সাহেবের ২য় তলায় সহকর্মীকে ফাইল পাঠানোয় ব্যবহৃত প্রযুক্তি LAN এবং বিদেশী ক্রেতাকে পাঠানোর প্রযুক্তিটা হলো WAN. LAN এবং WAN এর মধ্যে WAN উত্তম। LAN এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে। ডঅঘ বিস্তৃত ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থিত বিধায় এতে দূরত্বের কোনো সীমা থাকে না। WAN  প্রযুক্তিকে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে একীভূত করা হয়েছে। ফলে সমগ্র বিশ্বে সীমান্ত বাধা ছাড়াই যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব। WAN এ Cloud Computing এর সুবিধা আছে যা LAN এ অপ্রতুল। সুতরাং WAN এবং LAN এর মধ্যে WAN উত্তম।

Question 39- (বরিশাল বোর্ড -২০১৯)

মি. আরিফ তার বহুতলবিশিষ্ট ভবনে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ দিয়ে। তৈরি মাধ্যম দিয়ে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। ১০ কি.মি. দূরে অবস্থিত অন্য একটি ভবনের সাথে তথ্য আদান- প্রদানের জন্য তিনি IEEE 802.16  স্ট্যান্ডার্ডবিশিষ্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন।

উত্তরঃ

যে মোডে নেটওয়ার্কের কোন একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্তÍ সকল নোডই গ্রাহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে তাকে মাল্টিকাস্ট মোড বলে।

উত্তরঃ

ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি গড়ে উঠেছে তাকে বলে ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং এ ডেটা তথ্য অথবা প্রোগ্রাাম বা অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ- এর উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পাশাপাশি অগণিত ব্যবহারকারী থাকার কারণে অনৈতিক ঘটনা (হ্যাকিং) ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। উপরে উল্লেখিত কারণে ক্লাউড কম্পিউটিং এ নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম।

উত্তরঃ

বহুতল ভবনে ব্যবহৃত মাধ্যমটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। 
ফাইবার অপটিক ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফাইবার-যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। এই ফাইবার দেখতে মানুষের চুলের চেয়ে সরু হয়ে থাকে। অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আলো পরিবহনে সক্ষম। উল্লেখ্য আলোর গতি প্রায় ৩.০০ দ্ধ ১০৮ m/s। ফাইবার তৈরির জন্য বৈদ্যুতিক অন্তরক পদার্থ হিসাবে সিলিকা এবং মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন প্রতিসরাংকের বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত। 
ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা:
১। কোর: ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।
২। ক্ল্যাডিং: কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই-ইলেকট্রিক আবরণ ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসরাংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে।
৩। জ্যাকেট: আবরণ হিসাবে কাজ করে।

উত্তরঃ

মি. আরিফ ১০ কি.মি. দূরে অবস্থিত অন্য একটি ভবনের সাথে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডবিশিষ্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম অর্থাৎ ওয়াইম্যাক্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। ওয়াইম্যাক্স হচ্ছে একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যা বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চলে দ্রুত গতির তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।
ওয়াইম্যাক্স এর কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কি.মি. থেকে শুরু করে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই কভারেজের মধ্যে ওয়াইম্যাক্স এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় ৪০ মেগাবাইট কিন্তু এর বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট কমে যায়। নির্দিষ্ট কাভারেজ এরিয়ার মধ্যে তুলনামূলক কম খরচে তারবিহীন বিকল্প পদ্ধতি হলো ওয়াইম্যাক্স। তাছাড়া এর স্পেকট্রাম কর্মদক্ষতা যথেষ্ট ভালো। উদ্দীপকের প্রেক্ষাপটে মি. আরিফের ওয়াইম্যাক্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।

Question 40- (বরিশাল বোর্ড -২০১৯)

মি. দিদারের অফিসের পত্রাদি অ্যাটাচমেন্ট হিসাবে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। তার অফিসের সহকর্মীরা WCDMA স্ট্যান্ডার্ডের মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাট করে থাকেন।

উত্তরঃ

যখন কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ তাদের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ভাগাভাগি করে ব্যবহার ও পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে তখন এ সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।

উত্তরঃ

মেশ টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি কম্পিউটার বা ওয়ার্কস্টেশনের মধ্যে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এ কারণে কম্পিউটার সমূহ পরস্পর তুলনামূলক দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের পত্র পাঠানোর ট্রান্সমিশন মোড হলো হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডাটা পাঠানো বা গ্রহণ করা সম্ভব, কিন্তু তা একই সময়ে বা যুগপৎ সম্ভব নয়। যেকোনো প্রান্ত, একই সময়ে কেবল মাত্র ডেটা গ্রাহণ বা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।



চিত্র: হাফ-ডুপ্লেক্স
চিত্র অনুযায়ী, হাফ-ডুপ্লেক্স ব্যবস্থায় ক যখন ডেটা প্রেরণ করবে খ তখন কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ করতে পারবে, প্রেরণ করতে পারবে না। ক এর প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খ ডেটা প্রেরণ করতে পারবে। অনুরূপভাবে খ এর প্রেরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন ক কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ করতে পারবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত মোবাইল প্রজন্মটি ৩এ.
মূলত ডেটা সার্ভিসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলস্বরূপ সূচনা ঘটে মোবাইলের তৃতীয় প্রজন্ম বা ৩এ এর। ২০০১ সালে জাপানে এনটিটি ডোকোমো WCDMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩এ নেটওয়ার্ক চালু করে। এ দশকে থ্রিজি প্রযুক্তির মোবাইল টেলিফোনে কমিউনিকেশন্স প্রটোকল  High-Speed Downlink Packet Access (HSDPA) চালু হয়। ফলে তৃতীয় প্রজন্মটি ভাগ হয়ে 3.5G, 3G+ বা turbo 3G নামে পরিচিত পায়। WCDMA পদ্ধতি পরবর্তীতে UMTS (Universal Mobile Telecommunication System) নামে পরিচিত হয়। ৩এ তে উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সফার ও মাল্টিমিডিয়া ডেটা ব্যবহারসহ CDMA ও GPRS (General Packet Radio Service) স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। উদাহরণ:EDGE, HSPA.
তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য: 
১. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য সার্কিট স্যুইচিংয়ের বদলে প্যাকেট স্যুইচিংয়ের প্রবর্তন।
২. ভয়েস ও ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহার। 
৩. সেল সিগন্যাল এনকোডিং বা চ্যানেল একসেস পদ্ধতি হল

TD-CDMA.

৪. উচ্চগতির ডেটা স্থানান্তর (2 Mbps বা অধিক)
৫. আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা। 
৬.WCDMA, CDMA2000, HSPA, HSDPA, UMTS প্রযুক্তি ব্যবহার বিকাশ লাভ করেছে। 
৭. খুব দ্রুত ছবি ও ভয়েস আদান-প্রদান করা যায়। ভিডিও কলের প্রচলন শুরু।

Question 41- (সিলেট বোর্ড -২০১৯)

শান্তা তার মোবাইল ফোনে টেলিটক এর সিম ব্যবহার করে। সে এ ফোনটির সাহায্যে ত্রিমাত্রিক পরিবেশের ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।

উত্তরঃ

৩০০ GHz থেকে ৪০০ THz পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভকে ইনফ্রারেড বলে

উত্তরঃ

চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। এটি এক ধরনের আলোক পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ বা ফাইবার-যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিরহনে সক্ষম। অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আলো পরিবহনে অত্যন্ত দক্ষ।

উত্তরঃ

ত্রিমাত্রিক পরিবেশে ডেটা স্থানান্তরের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শান্তার মোবাইল ফোনটি চতুর্থ প্রজন্মের। 
ভালো মানের থ্রিজি কভারেজের অভাব থেকেই শুরু হয় চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা। এতে ইন্টারনেটনির্ভর মোবাইল ফোন সিস্টেমে আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। দ্রুত চলনশীল ডিভাইসের ডেটা স্থানান্তর গতি ১০০ Mbps এবং স্থির ডিভাইসে ১ Gbps । 4G  এর প্রযুক্তি LTE (Long Term Evolution) স্ট্যান্ডার্ড। ব্যবহারকারীগণ খুব সহজেই যে কোন জায়গায় যে কোন সময় পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় দ্রুতগতিতে ডেটা, ভয়েস এবং মাল্টিমিডিয়া আদান-প্রদান করতে পারবে। উদাহরণ: WiMAX2.
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য:
১। সার্কিট স্যুইচিং বা প্যাকেট স্যুইচিং- এর পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) নির্ভর নেটওয়ার্ক ব্যবহার।
২। ডেটা ট্রান্সফার রেট সবচেয়ে বেশি।
৩। 4G এর গতি 3G এর চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি। 
৪। উচ্চ গতির ফ্রিকুয়েন্সি এবং ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
৫। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে পরিবর্তনের সময় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। 
৬। উন্নতমানের মোবাইল টেলিভিশন দেখার উপযোগী।

উত্তরঃ

শান্তার মোবাইল ফোনটি চতুর্থ প্রজন্মের। চতুর্থ প্রজন্মের সাথে প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্যের তুলনা নিচে দেয়া হল-

Question 42- (সিলেট বোর্ড -২০১৯)

উত্তরঃ

যে নেটওয়ার্কে প্রতিটি কম্পিউটার একই সাথে সার্ভার ও ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কাজ করে এবং প্রত্যেক ইউজার তাদের রিসোর্স অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে তাকে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বলে।

উত্তরঃ

IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তিটি হচ্ছে WiMAX। WiMAXএর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। এটি ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) প্রটোকল যা ফিক্সড এবং মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়। WiMAXসিস্টেমের দুটি প্রধান অংশ থাকে। একটি WiMAX  বেস স্টেশন যাঁ ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অন্যটি এন্টেনাসহ ডরগঅঢ রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে।

উত্তরঃ

Fig-C নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি। যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। বাস টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন (Backbone)।



চিত্র: বাস টপোলজি
সিগন্যাল যখন ব্যাকবোনে চলাফেরা করে তখন শুধু প্রাপক কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রাহণ করে, বাকিরা একে অগ্রাহ্য করে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও এটি বিশ্বস্ত। এই সংগঠনে কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে Fig-B  এর টপোলজি হলো রিং টপোলজি কারণ প্রতিটি কম্পিউটার বৃত্তাকার পথে একটির সাথে অন্যটি সংযুক্ত। এক কম্পিউটার থেকে পাঠানো ডেটা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রাহণ না করে। এই টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যবহৃত হয়। Fig-A এর টপোলজি হলো স্টার টপোলজি। কারণ এখানে একটি কম্পিউটার অপর কম্পিউটারের সাথে তারকার মতো করে সুইচের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে। এই সুইচই ডেটা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এক কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রথমে সুইচ বা হাব গ্রহণ করে এবং পরে তা গ্রহণকারী কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়। এখানে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেমের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই রিং এবং স্টার টপোলজির মধ্যে স্টার টপোলজি বেশি সুবিধাজনক।

Question 43- (দিনাজপুর বোর্ড -২০১৯)

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডাটা এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।

উত্তরঃ

মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাাহক একই সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

চিত্র ‘ক’ এর PR এবং QS এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে চিত্রটি নি¤œরূপ হবে।



চিত্র: রিং টপোলজি
চিত্র হতে দেখা যাচ্ছে সংযোগ বিছিন্ন করার ফলে এটি মেস টপোলজি থেকে রিং টপোলজিতে রূপান্তরিত হয়। রিং টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা রিং এর মত, তাই এর নামকরণ হয়েছে রিং টপোলজি। কম্পিউটারগুলোকে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। রিং টপোলজির প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান। এ পদ্ধতিতে কোনো কেন্দ্রীয় কম্পিউটার বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালেও তার দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না। তবে নেটওয়ার্ক অধীনস্থ কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। আবার নতুন কম্পিউটার সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হলে পূর্বের সিস্টেম ভেঙ্গে নতুনভাবে তৈরি করতে হয়। এ টপোলজির খরচ বেশি হয় এবং ডেটা চলাচলের গতি কম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে চিত্র-‘ক’ হলো মেশ টপোলজি এবং চিত্র-‘খ’ হলো হাইব্রিড টপোলজি।
হাইব্রিড টপোলজির সুবিধা অসুবিধা নির্ভর করে ঐ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর উপর। চিত্র-খ এ প্রদর্শিত হাইব্রিড টপোলজিতে বাস ও স্টার টপোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।
মেশ টপোলজিতে দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু বাস ও স্টার টপোলজিতে অধিক কম্পিউটার যুক্তকারী নেটওয়ার্কের গতি কম থাকে।
মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু বাস টপোলজিতে বাসে এবং স্টার টপোলজিতে সুইচ/হাবে কোনো সমস্যা হলে পুরো সিস্টেম বিঘিœত হয় বা অকেজো হয়ে পড়ে। স্টার টপোলজিতে হাব/সুইচসমূহ সর্বদা সচল রাখতে হয়। বাস টপোলজিতে ব্যান্ডউইথ নষ্ট হয়ে যায়।
উপরের আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন জটিল ও ব্যয়বহুল হওয়া সত্তেও অন্যান্য সুবিধা বেশি।

Question 44- (দিনাজপুর বোর্ড -২০১৯)

করিম সাহেবের গ্রাামের বাড়ি নিজ শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। তিনি শহরে থাকার সময়ে বাসায় ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও স্মার্টফোনে তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর করেন। কিন্তু গ্রাামের বাড়িতে তিনি একটি বিশেষ কোম্পানির কাছে নির্ধারিত মাসিক ভাড়া প্রদান করে জোড়ায় জোড়ায় মোচড়ানো তার দ্বারা কম্পিউটার এর সাথে সংযোগ করে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকেন।

উত্তরঃ

যে পদ্ধতির মাধ্যমে যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় তাকে ডেটা কমিউনিকেশন বা কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।

উত্তরঃ

ক্লাউড কম্পিউটিং এ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড স্টোরেজে ডেটা রাখার সময় ডেটা সরাসরি রাখা হয় না। এক্ষেত্রে ডেটা এনক্রিপশন এর পর স্টোরেজে রাখা হয়। ফলে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ডেটা চুরি করতে পারে না। আবার ব্যবহারকারী যখন স্টোরেজে সংরক্ষিত ডেটা নিজের কাছে নেয় তখন সেই ডেটা ডিক্রিপশন করতে হয়। এই এনক্রিপশন ও ডিক্রিপশনে ব্যবহৃত কোড অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অপ্রকাশিত থাকে। তাই নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে করিম সাহেব শহরে তারবিহীন ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। ওয়াই-ফাই (Wireless Fidelity-Wifi) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। এটি প্রযুক্তিগতভাবে আইইইই ৮০২.১১ (11 (IEEE 802.11)) নামে পরিচিত। ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি স্ট্যান্ডার্ড ইথারনেট এবং অন্যান্য সাধারণ তার ভিত্তিক ল্যান প্রযুক্তি থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত (১১-এমবিপিএস) এবং কম ব্যয়বহুল। এভাবে, ওয়াই-ফাই তারবিহীন ল্যানে ল্যাপটপ পিসি, পিডিএ, স্মার্ট ফোন, ট্যাব এবং অন্যান্য ডিভাইসের সাথে ওয়াই-ফাই মডেমের সংযোগ করে দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসা, পাবলিক এবং গৃহে খুব সহজেই ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করা যায়।

উত্তরঃ

করিম সাহেব ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য শহরে তারবিহীন মাধ্যম এবং গ্রামে তার মাধ্যম ব্যবহার করেন। নিচে তার ও তারবিহীন মাধ্যমের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো:

Question 45- (ঢাকা, যশোর, সিলেট ও দিনাজপুর বোর্ড ২০১৮)

সবুজ বাংলা ক্লাবের সদস্য মোহন তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণকৃত পরিবেশ বিপর্যয়ের কিছু ছবি IEEE 802.15 স্ট্যান্ডার্ডের একটি বিশেষ প্রটোকল-এর মাধ্যমে ল্যাপটপে স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে মোহন ছবিগুলো SHARE it ব্যবহার করে ক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের মোবাইলে প্রেরণ করেন।

উত্তরঃ

একই প্রটোকলভুক্ত দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার।

উত্তরঃ

১২০০ থেকে ৯৬০০ বিপিএস (bps) বা ৯.৬ Kbpsপর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথকে ভয়েসব্যান্ড বলা হয়। এটি সাধারণত টেলিফোন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডউইথের ফ্রিকোয়েন্সি ২০০ – ৩৬০০ Hz। শ্রাব্যতার সীমার মধ্যে যে ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাংক থাকে তার সবই এই ব্যান্ডউইথে থাকে। কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে (ডায়াল-আপ মডেম, স্ক্যানার, প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদি) ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত ল্যাপটপে ছবি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে IEEE 802.15 স্ট্যান্ডার্ডের একটি বিশেষ প্রটোকল ব্যবহৃত হয়েছে। IEEE স্ট্যান্ডার্ডের এই বিশেষ প্রটোকলটি হলো ব্লুটুথ।
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। ব্লুটুথ নেটওয়ার্কটির ব্যান্ডউইথ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম হলেও এটি বহুল ব্যবহৃত। যে সব ডিভাইসে এই পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলোকে ব্লুটুথ ডিভাইস বলে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, স্মার্ট ফোনে ব্লুটুথ প্রযুক্তিসহ আগে থেকে দেওয়া থাকে। এছাড়া ইদানীং মাউস, কীবোর্ড, হেডফোন সেট, স্পীকার ইত্যাদিতেও ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
এটি একটি পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক-প্যান (চঅঘ), ২.৪৫ এঐু ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং এর ব্যাপ্তি ৩ থেকে ১০ মিটার হয়ে থাকে। হাফ-ডুপ্লেক্সে মোডে এর ডেটা ট্রান্সমিশন রেট প্রায় ১ গনঢ়ং বা তারচেয়ে বেশি। এটি স্থাপন করা সহজ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগারেশন করা যায়।

উত্তরঃ

ক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের নিকট ছবি প্রেরণে ব্যবহৃত হটস্পটটি হচ্ছে Wi-Fi। Wi-Fi এর সাথে WiMaxএর তুলনা নিচে দেখানো হলো–
১. Wi-Fi এর কভারেজ 50 – 100 মিটার। WiMaxএর কভারেজ প্রায় ১০–৫০ কিলোমিটার।
২. Wi-Fi নেটওয়ার্কে খরচ কম, কিন্তু WiMaxনেটওয়ার্ক ব্যয়বহুল।
৩. Wi-Fi এর নেটওয়ার্ক ডখঅঘ, WiMax এর নেটওয়ার্ক ডগঅঘ।
৪. Wi-Fi এর গতি 50 – 100 , WiMaxএর গতি ৮০–১০০০ গনঢ়ং।
৫. Wi-Fi এর স্ট্যান্ডার্ড ওঊঊঊ ৮০২.১১ অন্যদিকে WiMaxএর স্ট্যান্ডার্ড IEEE 802.16।
৬. Wi-Fi এ হাফ ডুপ্লেক্সিং মোড ব্যবহার করা হলেও WiMax এ ফুল ডুপ্লেক্সিং মোড ব্যবহার করা হয়।
৭. Wi-Fi এর ফ্রিকোয়েন্সি ২.৪–৫ এঐু, WiMax এর ফ্রিকোয়েন্সি 2–66 GHz|

Question 46- (ঢাকা, যশোর, সিলেট ও দিনাজপুর বোর্ড ২০১৮)

উত্তরঃ

যে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানো যায় তাই হচ্ছে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন।

উত্তরঃ

সার্কিট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার করে ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের যাত্রা শুরু হয়। ৩য় প্রজন্মের মোবাইলে ভিডিও কল, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিস চালু হয়। আর এসব সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট। এ মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সময় ইন্টারনেট ব্যবহার এবং চাহিদা অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে যেকোনো কিছু ডাউনলোড করা যায়। সুতরাং বলা যায়, ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

 

উত্তরঃ

চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি।
যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয়।



চিত্র: বাস টপোলজি
নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

উত্তরঃ

চিত্র-২ হচ্ছে রিং টপোলজি এবং চিত্র-৩ হচ্ছে মেশ টপোলজি। রিং টপোলজি ও মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি বেশি সুবিধাজনক। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো–
১. মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি।
২. মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।
৩. মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল।
৪. মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায়।
উপরে বর্ডুত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজি সুবিধাজনক।

Question 47- (রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বোর্ড ২০১৮)

উত্তরঃ

যে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানো যায় তাই হচ্ছে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন।

উত্তরঃ

সার্কিট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার করে ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের যাত্রা শুরু হয়। ৩য় প্রজন্মের মোবাইলে ভিডিও কল, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিস চালু হয়। আর এসব সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট। এ মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সময় ইন্টারনেট ব্যবহার এবং চাহিদা অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে যেকোনো কিছু ডাউনলোড করা যায়। সুতরাং বলা যায়, ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

উত্তরঃ

চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি।
যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (ইঁং) বলা হয়।



চিত্র: বাস টপোলজি
নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

উত্তরঃ

চিত্র-২ হচ্ছে রিং টপোলজি এবং চিত্র-৩ হচ্ছে মেশ টপোলজি। রিং টপোলজি ও মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি বেশি সুবিধাজনক। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো–
১. মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি।
২. মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।
৩. মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল।
৪. মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায়।
উপরে বর্ডুত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজি সুবিধাজনক।

Question 48- (ঢাকা বোর্ড ২০১৭)

নুসাইবা তার ফ্লাটের তিনটি রুমের তিনটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে স্থাপন করতে চাইল যাতে তার বাবার রুমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত প্রিন্টারটি পরিবারের সবাই ব্যবহার করতে পারে। নেটওয়ার্ক স্থাপনে তার বাবার পরামর্শ হলো কোনো না কোনো তার (ক্যাবল) মাধ্যম ব্যবহার করা এবং তার আম্মার পরামর্শ হলো কোনো না কোনো ওয়্যারলেস মিডিয়া ব্যবহার করা। তবে নুসাইবা মাঝে মাঝে নিজের মোবাইল ফোন এবং তার আম্মার মোবাইল ফোন এর সাথে IEEE 802.15  স্ট্যান্ডার্ড এর একটি প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।

উত্তরঃ

যে যন্ত্র কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য আলাদা করে ব্যবহার করতে হয় তাই হচ্ছে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC)।

উত্তরঃ 

9600 bps স্পিডটি হলো ভয়েস ব্যান্ড। 9600 bps বলতে বুঝায় প্রতি সেকেন্ডে 9600 bit ডেটা স্থানান্তরিত হয়। এটি সাধারণত টেলিফোন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডউইথের ফ্রিকোয়েন্সি 200 – 3600 Hz। শ্রাব্যতার সীমার মধ্যে যে ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাংক থাকে তার সবই এই ব্যান্ডউইথে থাকে। কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে (ডায়াল-আপ মডেম, স্ক্যানার, প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদি) ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

নুসাইবা উদ্দীপকে যে পদ্ধতির সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে সেই পদ্ধতিটি হলো ব্লুটুথ।
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। ব্লুটুথ নেটওয়ার্কটির ব্যান্ডউইথ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম হলেও এটি বহুল ব্যবহৃত। যে সব ডিভাইসে এই পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলোকে ব্লুটুথ ডিভাইস বলে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, স্মার্ট ফোনে ব্লুটুথ প্রযুক্তিসহ আগে থেকে দেওয়া থাকে। এছাড়া ইদানীং মাউস, কীবোর্ড, হেডফোন সেট, স্পীকার ইত্যাদিতে ও ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
এটি একটি পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক-প্যান (PAN), 2.45 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং এর ব্যাপ্তি ৩ থেকে ১০ মিটার হয়ে থাকে। হাফ-ডুপ্লেক্সে মোডে এর ডেটা ট্রান্সমিশন রেট প্রায়। Mbps বা তারচেয়ে বেশি। এটি স্থাপন করা সহজ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগারেশন করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নুসাইবার মায়ের পরামশ গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
নুসাইবা তার ফ্লাটের তিনটি রুমের তিনটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে স্থাপন করতে চায়। এক্ষেত্রে তার মায়ের পরামর্শ হলো যেকোনো ওয়ারলেস মিডিয়ার সাহায্যে নেটওয়ার্কটি গঠন করা। এক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ওয়্যারলেস মাধ্যমটি হলো Wi-Fi | Wi-Fi হচ্ছে Local Area Network (LAN) ওয়্যারলেস ব্যবস্থা যেখানে বহনযোগ্য কম্পিউটারের সাথে সহজেই ইন্টারনেট সংযুক্ত করা যায়। Wi-Fi এর স্ট্যান্ডার্ড হলো IEEE 802.11. Wi-Fi এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠনের সব থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এর সাহায্যে অতি সহজেই কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায় এবং এতে খরচও অনেক কম পড়ে। এছাড়াও ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়ই নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক যেকোনো জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।
অপরদিকে, নুসাইবার বাবার পরামর্শ হলো নেটওয়ার্ক স্থাপনে কোনো ক্যাবল ব্যবহার করা। যেমন: টুইস্টেট পেয়ার বা কো-এক্সিয়াল। কিন্তু নেটওয়ার্ক স্থাপনে ক্যাবল ব্যবহার করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ পদ্ধতিতে তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক বহনযোগ্য নয়। এছাড়াও ক্যাবল দ্বারা তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক EMI দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
উপরিউক্ত আলোচনা শেষে আমার মতামত এই যে, নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নুসাইবার মায়ের পরামর্শ (ওয়্যারলেস মাধ্যম) গ্রহণ করলেই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

Question 49- (ঢাকা বোর্ড ২০১৭)

সেতু একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিং ডিভাইস দিয়ে তাদের বাসার চারটি ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করার চিন্তা করল। কেন্দ্রীয় ডিভাইস ব্যবহার করতে চাইল কারণ কোনো একটি ডিজিটাল ডিভাইস নষ্ট হলে যেন পুরো নেটওয়ার্ক সিস্টেম অচল না হয়। কিন্তু তার ভাই শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন ক্যাবলের সাহায্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চাইল যাতে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন খরচ কম হয়।

উত্তরঃ

প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় কোনো অবস্থাতেই যার মান পরিবর্তন করা যায় না তাকে ধ্রুবক বলে।

উত্তরঃ

সি (C) কে মধ্যমস্তরের ভাষা বলার কারণ সি একটি উচ্চস্তরের ভাষা কিন্তু সি দিয়ে সহজে উচ্চ স্তরের এবং নিম্নস্তরের ভাষার মধ্যে সমন্বয় করা যায়। আবার উচ্চ স্তরের ভাষার মতো বিট, বাইট ও মেমোরি অ্যাড্রেসের পরিবর্তে বিভিন্ন ডেটা টাইপ ভেরিয়েবল নিয়ে কাজ করা যায়। তাছাড়া সি এর প্রোগ্রামিং কৌশল নিম্নস্তরের ভাষার মতো কঠিন নয়। আবার উচ্চ স্তরের ভাষার মতো সহজও নয়। সি দিয়ে ইচ্ছামতো হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এই জন্য সি (C) কে মধ্যমন্তরের ভাষা বলা হয়।

উত্তরঃ

ভৌগোলিক বিচারে উদ্দীপকে গঠিত নেটওয়ার্কটি PAN।
কোনো ব্যক্তির দৈনন্দিন ব্যবহৃত ব্যক্তিগত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয় তাই পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা PAN নামে পরিচিত। সেতু একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিং ডিভাইস দিয়ে তাদের বাসার চারটি ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপনের চিন্তা করলো। সেতুর নেটওয়ার্কটি PAN যা একই কক্ষের মধ্যে অথবা একই বিল্ডিংয়ে গড়ে তোলা যায়। এ নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। USB, Fireware Bus বা Wireless Mediam দিয়ে প্যানের ডিভাইসগুলো সংযুক্ত থাকতে পারে। প্যানের ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যামেরা, পিডিএ, মোবাইল, প্রিন্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। PANনেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, নয়েজ দ্বারা প্রভাবিত হয় না এবং খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের উল্লিখিত নেটওয়ার্ক সংগঠন বাস্তবায়নে সেতু যো নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের কথা বলে সেটা হলো স্টার টপোলজি। অন্যদিকে তার ভাই যে নেটওয়ার্ক এর কথা বলে সেটা হলো বাস টপোলজি। বাস টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। যার প্রধান ক্যাবলটিকে ব্যাকবোন বলে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়। ফলে খরচও সাশ্রয় হয়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় না।
  
      চিত্র: স্টার টপোলজি           চিত্র: বাস টপোলজি  
অপরদিকে স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাবে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্ককে অকেজো করে দেয় এবং স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।
অতএব উপরিউক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে নেটওয়ার্ক সংগঠন বাস্তবায়নে ভাইয়ের নেটওয়ার্ক অর্থাৎ বাস টপোলজি যুক্তিযুক্ত।

Question 50- (রাজশাহী বোর্ড ২০১৭)

মি. ‘X’ কম্পিউটারে বসে একটি ব্রাউজার সফটওয়্যার ওপেন (Open) করে প্রথমে তার অ্যাড্রেস বারে একটি অ্যাড্রস লিখে এন্টার (Enter) চাপলো। ফলে একটি মেইল সার্ভিস ওপেন হলো। তারপর সে মেইল সার্ভিস থেকে একটা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করলো।

উত্তরঃ

কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো কীভাবে অপর কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে, তার পরিকল্পনা বা ধারণাই হলো নেটওয়ার্ক টপোলজি।

উত্তরঃ

ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা ঊগও মুক্ত। ফাইবার অপটিক এর উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সর্বদাই EMI মুক্ত থাকে।

উত্তরঃ

মি. ‘ঢ’ এর ব্যবহৃত সেবাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। নিচে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো:
বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন– নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি অবকাঠামোগত, প্লাটফর্ম ও সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ পরিসেবায় ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে এড়ড়মষব ফড়পং দিয়ে মাইক্রোসফ্ট অফিসের প্রায় সব কাজ করা যায়। এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর যত সুবিধা প্রয়োজন হয় সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারে, এতে ক্রেতার আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হয় না। ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে। এছাড়া এটি সবসময় ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়েই উপকৃত হন। ফলে মি. ‘ঢ’ সহজেই নতুন পরিসেবাটি অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং বাস্তবায়ন করতে পারবে।

উত্তরঃ

মি. ‘ঢ’ উপরোক্ত কর্মকান্ডে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করেন তা হলো হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ডেটা ট্রান্সমিশন মেথডটি হলো অ্যাসিনক্রোনাস।
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড: হাফ-ডুপ্লেক্স মোড হলো এমন একটি ডেটা ট্রান্সমিশন মোড যেখানে প্রেরক ও প্রাপক উভয় পক্ষ থেকেই ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ হাফ-ডুপ্লেক্স হলো একটি দ্বিমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন মোড। তবে হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একই সময়ে প্রেরক ও প্রাপক ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
উদ্দীপকে মি. ‘ঢ’ এর ওয়েবে সার্চ দেওয়ার পর যে অ্যাড্রেসটি ওপেন হয় তা হাফ-ডুপ্লেক্স মোডেই সম্পন্ন হয়। ওয়েব ব্রাউজিং এর সময় কোন সাইট দেখার জন্য ওয়েব সার্ভারকে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। সার্ভার তখন রিকেয়েস্টটি গ্রহণ করে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য প্রেরণ করে। কিন্তু একই সময়ে তা হয় নি। অতএব এটি হাফ- ডুপ্লেক্স মোডেরই প্রক্রিয়া।
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড : মি. ‘ঢ’ এর ই-মেইল সার্ভিস থেকে একটা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড ব্যবহার করা হয়। এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ–
১. প্রেরক থেকে প্রাপকে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়।
২. প্রেরক যেকোনো সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারবে এবং গ্রাহক তা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করবে।
৩. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।

Question 51- (যশোর বোর্ড ২০১৭)

তারেকের বাসার ডেস্কটপ কম্পিউটারটি টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত। মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট ডেটা চার্জ বেশি হওয়ায় সে তার মোবাইল, ট্যাব এবং ল্যাপটপকে বাসার একই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করতে চায়, যাতে সে তার মোবাইলের মাধ্যমেই বিদেশে অবস্থানরত পিতার সাথে ভিডিও কল করতে পারে।

উত্তরঃ

নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়।
অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান- প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত তারেকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চতুর্থ প্রজন্মের। চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনের দুইটি বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো–
১. এ প্রজন্মে প্যাকেট-সুইচিং বা সার্কিট সুইচিং-এর পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল নির্ভর নেটওয়ার্ক ব্যবহার হয়।
২. উচ্চগতির ফ্রিকুয়েন্সি এবং ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত তারেকের সকল ডিভাইসের একই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে গৃহীত ব্যবস্থাটি হচ্ছে ওয়াই-ফাই Wi-fi (Wireless fidelity)।
Wi-fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযোগ্য কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগসমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে তাকে Wi-fi বলে। এটি ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। একটি নির্দিষ্ট কভারেজ এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। বিগত কয়েক বছরে Wi-fi প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ওঝচ প্রতিষ্ঠান প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে Wi-fi সংযোগ দিলেও পরবর্তীতে মাসিক চাঁদার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। Wi-fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা সেলফোনের মতো কাজ করে। পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেইম, স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ারে ডর-ঋর এডান্টার থাকে তবে এটি অডিও প্লেয়ার ইন্টারনেটের সাথে ডর-ঋর যুক্ত করা যায়।

Question 52- (কুমিল্লা বোর্ড ২০১৭)

একটি ভিডিও এডিটিং ফার্মে পূর্বে কম সংখ্যক কম্পিউটার থাকায় যে নেটওয়ার্ক ক্যাবল ব্যবহার করত বর্তমানে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং দ্রুতগতি নিশ্চিত করতে ক্যাবলটি পরিবর্তন করতে হয়েছে। অপরদিকে স্বল্প খরচে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক এমনভাবে স্থাপন করেছে যেন একটি কম্পিউটার নষ্ট হলেও অন্য কম্পিউটারের কাজ বন্ধ থাকে না।

উত্তরঃ

ডেটা কমিউনিকেশন হলো উৎস (প্রেরণকারী) ও গ্রহণকারীর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা।

উত্তরঃ

ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একই সময়ে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয় ডিভাইসই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে স্বল্প খরচে যে নেটওয়ার্ক টপোলজি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো বাস টপোলজি।
যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (BUS) বলা হয়।



চিত্র: বাস টপোলজি
নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত ফার্মে বর্তমানে কো-এক্সিয়াল নেটওয়ার্ক ক্যাবল ব্যবহার করেছে।
দুটি পরিবাহী ও অপরিবাহী বা প্যারাবৈদ্যুতিক পদার্থের সাহায্যে এ তার তৈরি করা হয়। ভিতরের পরিবাহীকে আচ্ছাদিত করার জন্য ও বাইরের পরিবাহী থেকে, পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ থাকে।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহারের কারণ–
১. ইউটিপি বা এসটিপি ক্যাবলের তুলনায় সিগন্যাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম।
২. ডেটা স্থানান্তর গতি বেশি হয়।
৩. 500 MHz ফ্রিকুয়েন্সিতে ডিজিটাল ও এনালগ ডেটা পাঠানো যায়।
৪. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চাইতে অধিক দূরত্বে তথ্য পাঠানো যায় এবং সিগন্যাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম।
৫. ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়।
৬. এ ক্যাবল সহজেই ইনস্টল করা যায়।
৭. ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তুলনায় দামে অনেক সম্ভা।

Question 53- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৭)

টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে রাহাত তার বন্ধুর বাড়িতে যায়। খেলাশেষে ফেরার পথে সে দেখল রাস্তায় একটি ট্রাক এক্সিডেন্ট করেছে। ট্রাকের সামনে একজন পুলিশ অফিসার দাঁড়িয়ে মোবাইল সদৃশ একটি ডিভাইস ব্যবহার করে থেমে থেমে কথা বলছিলেন। এমন সময় রাহাতের বন্ধু রেজা মোবাইল ফোনে জানতে চাইল খেলায় কোন দেশ জিতেছে? রাহাত উত্তর দিল জার্মানি।

উত্তরঃ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থা।

উত্তরঃ

ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। এটি এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তেরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। কোর, ক্ল্যাডিং এবং জ্যাকেট এর সমন্বয়ে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল তৈরি। ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনে ডেটা প্রেরণের জন্য আলোক উৎস হিসেবে এল.ই.ডি বা লেজার ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের পুলিশ অফিসারের ডিভাইসটিতে ডেটা আদান- প্রদানের জন্য যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হচ্ছিল তা হলো হাফ-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।
হাফ ডুপ্লেক্স হলো একটি একমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয় দিক থেকেই ডেটা প্রেরণ করা যায়, তবে একই সময়ে তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের কোনো প্রান্ত একই সময়ে শুধু ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু ডেটা গ্রহণ ও প্রেরণ একই সময় করতে পারে না।
উদ্দীপকের পুলিশ যে ডিভাইসটি দিয়ে থেমে থেমে কথা বলছিল তা হলো ওয়াকিটকির উদাহরণ এবং ওয়াকিটকি-তে-হাফ ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের রাহাতের টেলিভিশনে খেলা দেখার ক্ষেত্রে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো সিমপ্লেক্স মোড এবং খেলার ফলাফল তার বন্ধুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো ফুল-ডুপ্লেক্স মোড। সিমপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটার একদিকের প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। অর্থাৎ এটি একটি একমুখী মোড। এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক পয়েন্ট বা কম্পিউটার সব সময় অন্য পয়েন্ট বা কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। কিন্তু প্রাপক কম্পিউটার বা পয়েন্ট কখনোই প্রেরক কম্পিউটার বা পয়েন্টে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না। উদ্দীপকের রাহাতের টেলিভিশনে খেলা দেখার উদাহরণটি সিমপ্লেক্স মোড এর। কারণ এখানে সার্ভার সব সময় খেলা সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু রাহাত কখনোই সার্ভারে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে না।
অপরপক্ষে, ফুল-ডুপ্লেক্স হলো একটি দ্বিমুখী মোড। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক একই সময় ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। উদ্দীপকের রাহাত খেলার ফলাফল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বন্ধুকে জানানোর ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে একই সময় কথা বলা সম্ভব। তাই এটি একটি ফুল-ডুপ্লেক্স মোড।

Question 54- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৭)

উত্তরঃ

মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটার পৌঁছে দেয়।

উত্তরঃ

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ হলো দুটি ক্যারেক্টারের মাঝখানে অসমান বিরতি। অর্থাৎ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলে সময় বেশি লাগে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের টপোলজির E ডিভাইসটি নষ্ট হলে টপোলজিতে আর ডেটা ট্রান্সমিট করা যাবে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অচল হয়ে পড়বে।
উদ্দীপকে যে টপোলজিটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলো একটি হাইব্রিড টপোলজি। স্টার, রিং, বাস ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক টপোলজি গঠিত হয়, তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে। ইন্টারনেট হলো হাইব্রিড টপোলজির একটি উদাহরণ। কেননা ইন্টারনেট হলো একটি বৃহৎ পরিসরের নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়। এ পদ্ধতিতে একটি কেন্দ্রিয় কন্ডাক্টরের সাথে দুই বা ততোধিক টপোলজি যুক্ত করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টরটি নষ্ট হয়ে গেলে ডেটা চলাচল বন্ধ থাকবে।
উদ্দীপকে একটি কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টর (E) এর সাহায্যে রিং এবং স্টার টপোলজি সংযুক্ত করে একটি হাইব্রিড টপোলজি তৈরি করা হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টর তথা ঊ ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে গেলে টপোলজির ডেটা ট্রান্সমিশন বন্ধ থাকবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের শুধুমাত্র A, B, C ও D এই চারটি ডিভাইসকে মেশ টপোলজির মাধ্যমে সংযুক্ত করলে ডেটা চলাচলের গতি সবচেয়ে বেশি হবে। যদি কোনো নেটওয়ার্কে ডিভাইস বা পিসিসমূহের মধ্যে অতিরিক্ত সংযোগ থাকে তাহলে তাকে মেশ টপোলজি বলে।



চিত্র: মেশ টপোলজি
মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এ নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অর্থাৎ সহজে নেটওয়ার্কে খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। বাকি কম্পিউটারগুলো দ্বারা কাজ চালানো যায়। এই টপোলজিতে হ সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n–1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কে মোট তারের সংখ্যা হবে হ n (n–1)2। ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য, সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার করা হয়। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা থাকে।

Question 55- (সিলেট বোর্ড ২০১৭)

সুপর্নার অফিসে একটি নেটওয়ার্ক চালু আছে যেখানে একটি মূল ক্যাবলের সাথে ১০টি কম্পিউটার সরাসরি যুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি তিনি বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ পান। কিন্তু তার অফিসে উক্ত কাজের উপযোগী ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার নেই। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি কাজটি যথা সময়ে সম্পন্ন করা নিয়ে চিন্তিত। তাই তিনি অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন।

উত্তরঃ

মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটার পৌছে দেয়।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হচ্ছে হাজার হাজার কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান- প্রদান করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলা হয়। অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ডউইথ 100 Mbps – 2Gbps । অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে 100 Mbps ডেটা স্থানান্তরিত হয়।

উত্তরঃ

সুপর্নার অফিসের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি। বাস টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস সংযুক্ত থাকে।
১. বাস টপোলজি প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (BUS) বলা হয়। এর লাইনের দুই প্রান্তে দুটি টার্মিনেটর থাকে।
২. নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক শনাক্তের তথ্যও থাকে।
৩. বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধু প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যগুলো এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
৪. কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী।
৫. কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না।
৬. কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী সুপর্নার অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণের প্রযুক্তিটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং একটি ইন্টানেট ভিত্তিক কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা ইন্টারনেট ও একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার। ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থায়–
১. নিজস্ব কোনো হার্ডওয়্যার প্রয়োজন হয় না।
২. এটি সব সময় ব্যবহার করা যায়।
৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয়।
৪. এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতি সম্পন্ন।
৫. ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা যায়।
৬. IBM এর ক্লাউড কম্পিউটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করার সুবিধা পায়।
৭. ক্লাউড কম্পিউটিং নিরাপদ। কারণ এতে কোনো ডেটা হারানো বা নষ্ট হওয়ার ভয় নেই।
৮. এ প্রযুক্তিতে স্টোরেজ, মেমোরি, প্রসেসিং এবং ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন, এতে চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার, রিসোর্স ও তথ্যগুলো শেয়ার বা বিনিময় করা যাবে।

Question 56- (সিলেট বোর্ড ২০১৭)

উত্তরঃ

দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বা ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে।

উত্তরঃ

স্বল্প দূরত্বে ব্লুটুথের মাধ্যমে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব। ব্লুটুথের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে তারবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর করা যায়। ব্লুটুথ সমন্বিত যন্ত্রপাতি সুইচ অন করার সাথে সাথে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম হয়। ব্লুটুথ 3 থেকে 10 মিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।

উত্তরঃ

চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি।
যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (BUS) বলা হয়।



চিত্র: বাস টপোলজি
নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

উত্তরঃ

  উদ্দীপকের চিত্র-১, চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ হলো যথাক্রমে বাস, স্টার ও টি টপোলজি। এ তিন ধরনের টপোলজির মধ্যে স্বল্প ব্যয়ে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য চিত্র-১ টপোলজি অর্থাৎ বাস টপোলজিটি অধিকতর উপযোগী। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলে–
উদ্দীপকে চিত্র-২ এর সংগঠন হচ্ছে স্টার টপোলজি। এই টপোলজিতে কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক হাব বা সুইচ খারাপ হয়ে গেলে সমস্ত নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে পড়ে। কারণ পুরো নেটওয়ার্ক হাবের মাধ্যমেই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। স্টার টপোলজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।
উদ্দীপকে চিত্র-৩ এর সংগঠন হচ্ছে ট্রি টপোলজি। এই টপোলজির রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়। অন্যান্য টপোলজির তুলনায় অপেক্ষাকৃত জটিল।
কিন্তু উদ্দীপকে চিত্র-১ এর সংগঠন হচ্ছে বাস টপোলজি। বাস নেটওয়ার্ক সংগঠনে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবগুলি নোড যুক্ত থাকে। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডের সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। অন্যান্য কম্পিউটারগুলি তাদের নোডে সেই সংকেত পরীক্ষা করে এবং কেবলমাত্র প্রাপক নোড সেই সংকেত গ্রহণ করে

Question 57- (বরিশাল বোর্ড ২০১৭)

আইসিটি নির্ভর জ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে। আরিফ ICT বিষয়ে পড়াশুনা করে এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে জানতে পারল যেখানে শব্দের পাশাপাশি চলমান ছবিও পাঠানো যায়। তবে এ মাধ্যমে ডেটা বাঁকা পথে চলাচল করতে পারে না বিধায় উঁচু ভবনের উপর টাওয়ার বসানোর প্রয়োজন হয় যার ফ্রিকোয়েন্সি 300 MHz হতে 300 GHz পরবর্তীতে নতুন উদ্ভাবিত একটি প্রযুক্তির, সাথে সম্মিলন ঘটানো হয় যা সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে এক মহাদেশকে অন্য মহাদেশের সাথে যুক্ত করেছে।

উত্তরঃ

একাধিক ল্যানের ভেতর সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে ব্রিজ বলে।

উত্তরঃ

ওয়াকিটকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়। যুগপৎ কথা বলা হলো হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরকের ডেটা পাঠানো সম্পন্ন হলে প্রাপক ডেটা পাঠাতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াকিটকি একটি হাফ-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। আমরা দুটি ওয়াকিটকি দ্বারা কথা বলার সময় এক পক্ষের কথা শেষ হলে অপর পক্ষ কথা শুরু করতে পারে। একসাথে উভয় পক্ষের কথা বলা অর্থাৎ যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত, ১ম মাধ্যমটি হলো মাইক্রোওয়েভ।
মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের গিগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। এর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ 300 MHz – 300 GHz। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেকে এর দূরত্ব বেশি হওয়ায় এর দক্ষতা ও গতি অনেক বেশি। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটি ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করে। দুটি ট্রান্সসিভার এর মাঝে মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা থাকে। যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এবং পথিমধ্যে কোনো বন্ধু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এর সাহায্যে যেকোনো প্রান্তে খুব তাড়াতাড়ি কম খরচে যোগাযোগ করা যায়। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেমে ব্যবহৃত অ্যান্টিনা বড় কোনো ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বাধাহীনভাবে বেশি দূরত্বে পাঠানো যায়। বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচার, প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান এবং আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম মাধ্যম মাইক্রোওয়েভ থেকে ২য় মাধ্যম অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বেশি সুবিধাজনক।
টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ হচ্ছে এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যা সেকেন্ডে প্রায় ১ গিগা বা তার চেয়ে বেশিবার কম্পন বিশিষ্ট। কিন্তু টেরিস্ট্রোলিয়াল মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলাচল করতে পারে না। তাই প্রেরক ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে সংকেত পাঠানো যায় না। এজন্য মাইক্রোওয়েভ এ্যান্টিনা বড় কোনো ভবন বা টাওয়ারের ওপর বসানো হয়। অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশন ব্যবস্থা বেশ সহজ এবং টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে এর যথেষ্ট মিল রয়েছে। প্রেরক যন্ত্র, প্রেরণ মাধ্যম এবং গ্রাহক যন্ত্র এ তিনটি মূল অংশ নিয়ে ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন ব্যবস্থা সংগঠিত। অপটিক্যাল ফাইবার আলোক রশ্মির পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন এর মাধ্যমে ডেটা পরিবহন করে থাকে। এতে গিগাবাইট রেঞ্জ বা তার চেয়ে বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করতে পারে। উচ্চ ব্যান্ডউইথ, আকারে ছোট এবং ওজন অত্যন্ত কম, শক্তি ক্ষয় করে কম বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রবাহ হতে মুক্ত। তাই আধুনিক নেটওয়ার্কে ব্যাকবোন ক্যাবল হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল অত্যন্ত জনপ্রিয়।
অর্থাৎ উদ্দীপকের প্রথম মাধ্যমটি থেকে দ্বিতীয় মাধ্যমটি অধিক সুবিধাজনক

Question 58- (দিনাজপুর বোর্ড ২০১৭)

জারিফ ও জায়ান একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে ওঈঞ শিক্ষকের পরামর্শে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেয়। বাড়িতে টেলিভিশন না থাকায় মাঝে মাঝে বাড়ির সকলে মিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ক্রিকেট খেলা দেখে। কিছুদিন পর দেখা গেল ইন্টারনেট সংযোগ থাকার কারণে জারিফের রেজাল্ট বেশ ভালো হয় কিন্তু জায়ান পিছিয়ে পড়ে।

উত্তরঃ

নিজস্ব ছোট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হলো এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তৈরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। এর ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি এবং বিদ্যুৎচুম্বকীয় প্রভাবমুক্ত। প্রতিকূল পরিবেশেও ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়। এর মধ্য দিয়ে আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়। এই দ্রুতগতি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ‘ব্যাকবোন বলা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের অনুষ্ঠান ও ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত ডেটা আদান- প্রদানের মোড হলো সিমপ্লেক্স। সিমপ্লেক্স হলো একমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি। অর্থাৎ, ডেটা স্থানান্তরের স্থ ক্ষেত্রে একদিকে ডেটার প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক কম্পিউটার সবসময় অন্য কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে পারে এবং প্রাপক ডেটা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু প্রাপক কম্পিউটার কখনোই প্রেরক কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, রেডিও, টিভি ইত্যাদি।
অনুরূপভাবে, উদ্দীপকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা পরিলক্ষিত। সার্ভার কম্পিউটার যেসব অনুষ্ঠান ও খেলা সম্প্রচার করে তা জারিফ ও জায়ান দেখতে পারে। কিন্তু সেই সার্ভারে কোনো প্রকার ডেটা প্রেরণ করার ক্ষমতা জারিফ বা জায়ানের পয়েন্ট ল্যাপটপ) এর নেই।
তাই একথা স্পষ্ট যে, উদ্দীপকে ব্যবহৃত মোডটি হলো সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের জারিফের রেজাল্ট তথা শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে আর জায়ানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের গুরুত্ব খুবই বেশি। বর্তমান যুগে বিভিন্ন অনলাইন লাইব্রেরি থেকে শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা, পরীক্ষা দেওয়া বা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা যায়। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী তার শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। ইন্টারনেটে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য অত্যন্ত সহজেই পেতে পারে। এছাড়াও অনলাইনে শিক্ষামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্লগ আছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকের জারিফ ইন্টারনেটের এ ইতিবাচক দিকগুলো তার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে এবং ভালো রেজাল্ট করেছে।
অপরপক্ষে, ইন্টারনেটের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন- সাইবার ক্রাইম ব্রেইন ড্রেইন, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি এর সহজলভ্যতা, মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি ইত্যাদি একজন শিক্ষার্থীর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। জায়ান ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এসব নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে চলতে পারেনি। আর এসব নেতিবাচক প্রভাবের কারণেই জায়ানের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।

Question 59- (মাদ্রাসা বোর্ড ২০১৭)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ১০ – ১২ কি. মি. বিস্তৃত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ নিজ নিজ উদ্যোগে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ভিসি মহোদয়ের নিকট সমস্যাটি উপস্থাপন করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের IT ইনচার্জের পরামর্শে কেন্দ্রীয় (একক নিয়ন্ত্রিত) ইন্টারনেট সেবা চালু করেন। কিন্তু দূরত্ব ও পাহাড় উঁচু-নিচুর কারণে কিছু বিভাগে ইন্টারনেট সেবার মানে দুর্বলতা দেখা দিল।

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

উত্তরঃ

সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা প্রেরণে সুইচের ক্ষেত্রে কম সময় লাগে। হাবের ক্ষেত্রে ডেটা কলিশন বা সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও সুইচের ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা কম।

উত্তরঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি (IT) ইনচার্জ নেটওয়ার্ক সংগঠনের স্টার টপোলজির মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবার পরামর্শ দিয়েছিল। যে টপোলজিতে কম্পিউটার বা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- প্রিন্টার, সরাসরি একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলে। এ পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো এই হাব বা সুইচের মাধ্যমে একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান করে। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয় এবং সংকেত সংঘর্ষের আশঙ্কা কম থাকে। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়। হাব বা সুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। সাধারণত এই টপোলজিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা গেলেও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহারের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়।



চিত্র: স্টার টপোলজি
এই টপোলজিতে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয় এবং সংকেত সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা কমায়। সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। কোনো নোড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে। সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।

উত্তরঃ

সকল বিভাগের ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়নের জন্য ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
WiMax  প্রযুক্তি হলো বর্তমান সময়ের সর্বাধিক উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রটোকল সার্ভিস, যা তারবিহীন ব্যবস্থায় ১০ থেকে ৫০ কি. মি. পর্যন্ত ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে।
ওয়াইম্যাক্স-এর পূর্ণ অর্থ হলো Worldwide Interoperability for Microwave Access. এটি সাধারণত 2 থেকে 66 GHz ফ্রিকোয়েন্সীতে কাজ করে এবং 80 Mbps থেকে 1 Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা ছাড়াও VOIP (Voice Over Internet Protocol)-এর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো দেশে কম খরচে কথাও বলা যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে সাধারণত ব্রডব্যান্ড সেবার কথা কল্পনাও করা যায় না, সেখানেও বিনা-তারে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়া যাচ্ছে ওয়াইম্যাক্সের মাধ্যমে। বিশেষ করে উঁচু-নিচু পাহাড়ি অঞ্চল কিংবা ক্যাবল স্থাপনের জন্য দুর্গম এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়াইম্যাক্স হলো সর্বোৎকৃষ্ট প্রযুক্তিগত সমাধান। এছাড়াও শক্তিশালী এনক্রিপশন থাকায় ডেটা নিরাপত্তা বেশি। ফলে অবৈধ ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না বিধায় ডেটার গতি স্বাভাবিক থাকে।

Question 60- (ঢাকা বোর্ড ২০১৬)

উত্তরঃ

একই প্রটোকলভুক্ত দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে ব্যবহৃত যন্ত্রটি হলো রাউটার।

উত্তরঃ

মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ২নং চিত্রের নেটওয়ার্কে স্টার টপোলজি অনুসরণ করা হয়েছে। এ নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা আকাশের তারকার মত্যে। এ নেটওয়ার্কে হাব বা সুইচের মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। এ হাবই ডেটা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের জন্য প্রথমে হাব ডেটা গ্রহণ করে এবং পরে হাব ডেটা গ্রহণকারী কম্পিউটারে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। হাব এর ক্ষমতা যত বেশি হবে নেটওয়ার্কে তত বেশি সংযোগ দেওয়া যাবে। LAN সংযোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সংগঠন বেশি ব্যবহার করা হয়। এ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেমের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না। কেন্দ্রীয়ভাবে এ টপোলজি নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে ত্রুটি নির্ণয় করা সহজ হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ১নং চিত্রটি রিং টপোলজি এবং ৩নং চিত্রটি বাস টপোলজি। রিং টপোলজি থেকে বাস টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।
১. রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারকে ক্যাবলের মাধ্যমে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে একটি রিং বা লুপের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বাস টপোলজিতে একটি মাত্র ট্রান্সমিশনের মাধ্যমের (বাসের) সাথে সব কয়টি ওয়ার্ক স্টেশন বা কম্পিউটার নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে।
২. বাস নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হয় না। রিং নেটওয়ার্কে একটি মাত্র কম্পিউটার সমস্যায় আক্রান্ত হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়বে।
৩. বাস নেটওয়ার্কে কোনো নোড যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তাতে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় না। রিং টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা নির্ণয় করা বেশ জটিল।
৪. বাস নেটওয়ার্কে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়, ফলে খরচ কম হয়। রিং নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশন খরচ বেড়ে যায়।
৫. বাস টপোলজি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, রিং টপোলজি নিয়ন্ত্রণের জন্য জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়।

Question 61- (রাজশাহী বোর্ড ২০১৬)

একদিন রফিক সাহেবের অফিসে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটারই কাজ করছিল না। অনুসন্ধানে জানা যায় যে মাত্র একটি কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। অপরদিকে মিজান সাহেবের অফিসে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের দুটি কম্পিউটার নষ্ট হলেও অন্যান্য কম্পিউটারগুলো একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে যুক্ত ছিল।

উত্তরঃ

প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

উত্তরঃ

আলোর গতিতে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর হয়। এটি এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তৈরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। আর এ কাজে ব্যবহৃত হয় ফাইবারের অভ্যন্তরে গ্যাস বা প্লাস্টিক কোর।

উত্তরঃ

রফিক সাহেবের অফিসে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কে সাধারণত টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।
১. এই ক্যাবলে দুটি পরিবাহী তামার তারকে সুষমভাবে পেঁচিয়ে তৈরি করা হয়। প্যাঁচানো তার দুটিকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
২. এ ধরনের ক্যাবলে সাধারণত চার জোড়া তার ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে একটি কমন সাদা তার এবং অপর তারগুলো ভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।
৩. এ ক্যাবল খুবই জনপ্রিয় ও স্বল্পমূল্যের।
৪. এটি ইনস্টল করা সহজ।
৫. তামার তারগুলো পেঁচানো থাকায় সহজেই EMI রোধ করে এবং ক্যাবলকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নয়েজ বিকিরণ থেকেও বিরত রাখে।
৬. ১০০ মিটার বা তার চেয়ে কম দূরত্বের মধ্যে এ ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।
৭. ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps  থেকে 1 Gbps পর্যন্ত হতে পারে।

উত্তরঃ

রফিক সাহেবের অফিসে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক হলো রিং টপোলজি। অন্যদিকে মিজান সাহেবের অফিসে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক হলো স্টার টপোলজি। রিং টপোলজি থেকে স্টার টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।
১. স্টার টপোলজিতে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয়। অন্যদিকে রিং টপোলজিতে এ ক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিসম্পন্ন।
২. স্টার টপোলজিতে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময় নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে নতুন নোড সংযোজন বা বিয়োজনে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
৩. স্টার টপোলজিতে কোনো নোড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো নোড অকার্যকর হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে।
৪. সুইচ ব্যবহারের কারণে স্টার টপোলজির ডেটা নিরাপত্তা রিং টপোলজি অপেক্ষা বেশি।
৫. স্টার টপোলজি নিয়ন্ত্রণ বা ম্যানেজ করা সহজ, কিন্তু রিং টপোলজি নিয়ন্ত্রণের জন্য জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়।

Question 62- (যশোর বোর্ড ২০১৬)

মিঃ ‘ঢ’ ব্যবসার জন্য একটি বহুতল ভবনে স্থাপিত অফিসের কম্পিউটারসমূহ ক্যাবল এর মাধ্যমে সংযুক্ত করেন যার গতি 800 bps। এতে তার কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর পরামর্শে অধিক গতিসম্পন্ন ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করলেন।

উত্তরঃ

নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

উত্তরঃ

  ফুল-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশনে ডেটা একই সঙ্গে উভয়দিকে আদান- প্রদান করা যায়।
ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে যদি একইসময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে এবং যেকোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারে তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স বলে। উদাহরণ- টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ওয়াইম্যাক্স। নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত ‘ঢ’ ভয়েস ব্যান্ড ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেছেন। এটির গতি সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডে সাধারণত 200 থেকে 3600 হার্টজ ফ্রিক্যুয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। টেলিফোনের ক্ষেত্রে ফ্রিক্যুয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং-এ সাধারণত 4 কিলোহার্টজ ক্যারিয়ার স্পেসিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের আলোকে মিঃ ‘ঢ’ প্রথমে তার অফিসের কম্পিউটারগুলো যে ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত করেন তার গতি 800 bps। এতে তার কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য এবং কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য ক্যাবল পরিবর্তনের কথা ভাবলেন। তাই তিনি পরবর্তীতে তার বন্ধুর পরামর্শক্রমে অধিক গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ক্যাবল ব্যবহার শুরু করেন। কারণ উচ্চ গতি সম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ এবং অধিক তথ্য বহনের ক্ষমতা থাকে। এ ব্যান্ডের গতি ওগনঢ়ং বা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ফলে সাধারণত ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন বা উঝখ, রেডিও লিঙ্ক, অপটিক্যাল ফাইবার, মাইক্রোওয়েভ এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা স্থানান্তরে এ ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে ন্যারো ব্যান্ড ও ভয়েস ব্যান্ড ব্যান্ডউইথ এর ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে কম ডেটা স্থানান্তর হয়। ফলে এ ধরনের ব্যান্ডউইডথের ক্যাবল ব্যবহার করলে অফিসে ডেটা স্থানান্তরের গতি কমে যাবে। তাই ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধির জন্য ব্রডব্যান্ড ব্যান্ডউইডথের ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।

Question 63- (কুমিল্লা বোর্ড ২০১৬)

উত্তরঃ

সুইচ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরির বিশেষ ডিভাইস যা কোনো সংকেতকে ব্রডকাস্ট করে না, সংঘর্ষে এড়ানোর জন্য MAC এড্রেস ব্যবহার করে শুধু নির্দিষ্ট পোর্টে সিগন্যালটি পাঠায়।

উত্তরঃ

আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল অত্যন্ত সবু এক ধরনের কাচের তত্ত্ব। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। আর এ কাজে ব্যবহৃত হয় ফাইবারের অভ্যন্তরে গ্যাস বা প্লাস্টিক কোর। এ ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ১নং চিত্রে নেটওয়ার্কটি স্টার টপোলজি।
যে টপোলজিতে কম্পিউটার বা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- প্রিন্টার, সরাসরি একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলে। এ পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো এই হাব বা সুইচের মাধ্যমে একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান করে। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয় এবং সংকেত সংঘর্ষের আশঙ্কা কম থাকে। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়। হাব বা সুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। সাধারণত এই টপোলজিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা গেলেও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহারের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়।



চিত্র: স্টার টপোলজি
এই টপোলজিতে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয় এবং সংকেত সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা কমায়। সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। কোনো নোড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে। সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ১নং চিত্রটি স্টার টপোলজি এবং ২ নং চিত্রটি বাস টপোলজি। কম খরচে ল্যাবের জন্য উদ্দীপকের চিত্র-২ অর্থাৎ বাস টপোলজিটি অধিকর উপযোগী। বাস টপোলজি পদ্ধতিতে একটি অভিন্ন ডেটা চলাচলের পথ বিদ্যমান। সহজেই নতুন কম্পিউটার/ডিভাইস-এ ডেটা চলাচলের ডেটা বাসের সাথে সংযুক্ত করে নেটওয়ার্কভুক্ত করা যায়।
আবার কোনো কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিলে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে ডেটা বাস থেকে খুলে নিলেই হয়। এতে নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় না। নতুন কম্পিউটার সংযোগের প্রয়োজন হলে মূল বাসের সাথে সংযোগ দিলেই হয়, সিস্টেমের পরিবর্তন হয় না। এতে অতিরিক্ত খরচ, বেঁচে যায়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে বাস টপোলজি সম্প্রসারণ করা যায়।
স্টার টপোলজিতে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত থাকে বলে কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচ খারাপ হয়ে গেলে সমস্ত নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে পড়ে। এ টপোলজিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।

Question 64- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৬)

কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া গ্রামের বাসিন্দা হয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে ভিডিও ফোনে কথা বলাসহ ইন্টারনেটের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারছে। কিন্তু দিনের বিশেষ বিশেষ সময় সে চাহিদামতো সুবিধা পায় না। বন্ধুদের কাছেও একই সমস্যার কথা জানতে পেরে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অধ্যক্ষ মহোদয় ICT শিক্ষককে দ্রুত বিকল্প উপায়ে সমস্যাটি সমাধানের নির্দেশ দেন।

উত্তরঃ

সাধারণত 1 Km বা তার কম এরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু কম্পিউটার টার্মিনাল বা অন্যকোনো পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাই LAN।

উত্তরঃ

ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোক রশ্মি পরিবাহী তার হচ্ছে অপটিক্যাল ফাইবার। এ তার উত্তম হওয়ার কারণ হলো-
১. আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
২. ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি।
৩. বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় প্রভাব হতে মুক্ত।
৪. প্রতিকূল পরিবেশেও ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়।
৫. দ্রুতগতি ও নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্যের কারণে নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন হিসেবে ব্যাপকহারে সমাদৃত ও ব্যবহৃত।

উত্তরঃ

সুমাইয়া গ্রামের বাসিন্দা হয়েও কলেজ প্রাঙ্গণে ভিডিও ফোনে কথা বলাসহ ইন্টারনেটের সুবিধাগুলো ভোগ করে। অর্থাৎ সুমাইয়া তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (ITU) এর সংজ্ঞানুসারে, 3G  বা তৃতীয় প্রজন্ম হচ্ছে এমন ধরনের এক মোবাইল স্টান্ডার্ড যাতে GSM, EDGE, UMTS এবং CDMA   2000 প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমে প্যাকেট সুইচ পদ্ধতি প্রবর্তিত হওয়ায় অতি দ্রুত শব্দ ও ছবি আদান-প্রদান করা যায়। FOMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ই-মেইল এবং অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস প্রদান করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভয়েস এবং ডেটা স্থানান্তর হয়। এ ব্যবস্থায় সিগন্যাল চারিদিকে সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। এমএমএস, ভয়েস কল, মোবাইল টিভি ও ভিডিও কলের প্রচলন শুরু হয়। তৃতীয় প্রজন্মে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্রচলন শুরু হয়। উচ্চ গতির সিগন্যাল ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে দ্রুত ডেটা পারাপার করা সম্ভব। ল্যাপটপে মোবাইল মডেম বা ওয়্যারলেস মডেমের ব্যবহার লক্ষণীয়, ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা রয়েছে, Wi-Fi, Wi-MAX ও WAP প্রটোকলের ব্যবহার করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধানে ICT শিক্ষক GSM প্রযুক্তির বদলে CDMA প্রযুক্তি সম্পন্ন রাউটার ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ GSM -এ ব্যান্ডউইথকে টাইম স্লটে বিভক্ত করা হয়। এই প্রযুক্তিতে একাধিক ব্যবহারকারী একই ব্যান্ডউইথকে শেয়ার করে থাকে। তাই সুমাইয়ার কলেজে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হলে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিঘœ ঘটে।
ICT শিক্ষক CDMA প্রযুক্তি সম্পন্ন রাউটার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ CDMA প্রযুক্তিতে ভয়েস এবং ডেটা অ্যাপ্লিকেশনে অনেক ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় এবং নেটওয়ার্কভুক্ত প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য আলাদাভাবে একটি ইউনিক কোড ও ব্যান্ডউইথ বরাদ্দ করা হয়। একই ব্যান্ডউইথ একাধিক ব্যবহারকারী শেয়ার করতে পারে না বিধায় CDMA প্রযুক্তিতে বিশেষ সময় চাহিদা মতো সুবিধা পাওয়া যায়।
CDMA প্রযুক্তির স্পেকট্রাম সিগন্যাল অনেক বেশি কভারেজ প্রদান করে বিধায় উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধানে ICT শিক্ষক এর CDMA প্রযুক্তি সম্পন্ন রাউটার ব্যবহার করা উচিত।

Question 65- (দিনাজপুর বোর্ড ২০১৬)

উত্তরঃ

হটস্পট এক ধরনের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক একসেস পয়েন্ট যা দ্বারা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, পিডিএ, ট্যাব, নোটবুক ইত্যাদিতে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে যায়।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হলো এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তেরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। আর এ কাজে ব্যবহৃত হয় ফাইবারের অভ্যন্তরে গ্যাস বা প্লাস্টিক কোর। এ ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য এলইডি বা লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয় যা আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর করে। সুতরাং বলা যায়, অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে।

উত্তরঃ

B চিত্রে P চিহ্নিত ডিভাইসটি হলো হাব। দুই এর অধিক কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হলে এমন একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের দরকার হয় যা প্রতিটি কম্পিউটারকে সংযুক্ত করতে পারে। এ ডিভাইসকে হাব বলে। হাবের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে ডেটা না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা পাঠাতে বেশি সময় লাগে। হাবের পোর্ট কম থাকে। হাবের ক্ষমতার উপর কম্পিউটারের সংযোগের সংখ্যা নির্ভর করে। নেটওয়ার্কে হাব ব্যবহার করলে তুলনামূলকভাবে খরচ কম পড়ে। হাব সুইচ অপেক্ষা অনেক কম গতিতে কাজ করে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের A, B ও C হলো যথাক্রমে বাস, স্টার ও রিং টপোলজি। এ তিনটি টপোলজি ব্যবহার করে নতুন যে টপোলজি তৈরি করা সম্ভব তা হলো হাইব্রিড টপোলজি। যেকেনো দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক বলে। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কেননা এতে প্রায় সব ধরনের নেটওয়ার্কই সংযুক্ত আছে। হাইব্রিড নেটওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধা নির্ভর করে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর উপর। হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজির সম্প্রসারণ ও সমস্যা নির্ণয় সহজ এবং টপোলজিতে ব্যবহৃত প্রতিটি টপোলজির সুবিধা পাওয়া যায়।
হাইব্রিড টপোলজিতে হাব বা সুইচ সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা যায়। যেহেতু এটি মিশ্র টপোলজি তাই এতে ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর সুবিধাও অন্তর্নিহিত থাকে।

Question 66- (সিলেট বোর্ড ২০১৬)

সালাম ও কালাম দুই বন্ধু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের পাশ দিয়ে একজন পুলিশ একটি ডিভাইসের মাধ্যমে কথা বলছে এবং কথা বলা শেষ হলে অপরপক্ষকে কথা বলার সিগন্যাল দিচ্ছে। সালাম সাথে থাকা একটি ডিভাইস দিয়ে তার মার সাথে একই সময়ে কথা বলছে ও শুনছে। কালাম বলল “দোস্ত তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। আমার রেডিওতে সকালে শুনেছি আজ বৃষ্টি হতে পারে।”

উত্তরঃ

বুলিয়ান অ্যালজেবরায় মৌলিক কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনী ব্যবহার করা হয়, তাই লজিক গেইট।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তৈরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। এর ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি এবং বিদ্যুৎচুম্বকীয় প্রভাবমুক্ত। প্রতিকূল পরিবেশেও ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়। এর মধ্য দিয়ে আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়। এই দ্রুতগতি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে পুলিশের ব্যবহৃত ডিভাইসটির নাম ওয়াকিটকি যার ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হাফ-ডুপ্লেক্স।
ডেটা কমিউনিকেশনের সময় ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে একই সময়ে যেকোনো প্রান্ত শুধুমাত্র ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না, ডেটা কমিউনিকেশনের এ মোড হাফ-ডুপ্লেক্স বলে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় উভয় দিক থেকে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের সুযোগ থাকে, তবে তা একই সময়ে বা যুগপৎভাবে সম্ভব নয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে সালামের সাথে থাকা ডিভাইসটি মোবাইল যার ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ফুল-ডুপ্লেক্স। পক্ষান্তরে কালামের ডিভাইসটি হলো রেডিও যার ডেটা ট্রান্সমিশন মোড সিমপ্লেক্স।
ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে ডেটা কমিউনিকেশনের সময় ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে এবং যেকোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারে। ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ প্রক্রিয়া একসাথে চলতে পারে। উদাহরণ-টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ওয়াইম্যাক্স। নিরবছিন্ন যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে সিমপ্লেক্স মোডে ডেটা কমিউনিকেশনের সময় ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একদিকে প্রেরণ করা যাবে। যে প্রান্ত ডেটা প্রেরণ করবে সে প্রান্ত কখনই ডেটা গ্রহণ করতে পারবে না এবং গ্রহণ প্রান্ত কখনই ডেটা প্রেরণ করতে পারবে না। উদাহরণ- রেডিও, টিডি ইত্যাদি।
উপরোক্ত বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে সালামের সাথে থাকা মোবাইলটি যার ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ফুল-ডুপ্লেক্স সেটি অধিকতর উন্নত। কেননা এতে একইসময়ে উভয় দিক হতে ডেটা ক্স প্রেরণ ও গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে।

Question 67- (বরিশাল বোর্ড ২০১৬)

বিদ্যা নিকেতন কলেজে সার্ভারের সাথে একটিমাত্র হাব ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে কয়েকটি কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া দুইটি মাত্র প্রিন্টার এবং একটি স্ক্যানার ব্যবহার করেই প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেকটি কম্পিউটার থেকে সেগুলো ব্যবহার করতে পারছে। এর ফলে হার্ডওয়্যারগত খরচ অনেক কমে আসে।

উত্তরঃ

দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বা ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশকে ডেটা কমিউনিকেশন মোড বলে।

উত্তরঃ

ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলো এক ধরনের পরাবৈদ্যুতিক পদার্থের তৈরি এক ধরনের আঁশ বিশেষ যার মধ্যে আলোর পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো– অতি স্বচ্ছতা, রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা ও তড়িৎ চৌম্বকীয় প্রভাব মুক্ত। এই ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি। প্রতিকূল পরিবেশেও এ ক্যাবলে ডেটার নিরাপত্তা রক্ষিত হয়। মূলত দ্রুতগতি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণেই ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে নেটওয়ার্ক হিসেবে স্টার টপোলজি উল্লেখ করা হয়েছে।
যে টপোলজিতে কম্পিউটার বা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- প্রিন্টার, সরাসরি একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলে। এ পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো এই হাব বা সুইচের মাধ্যমে একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগ ও ডেটা আদান-প্রদান করে। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয় এবং সংকেত সংঘর্ষের আশঙ্কা কম থাকে। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়। হাব বা সুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। সাধারণত এই টপোলজিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা গেলেও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহারের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়।



চিত্র: স্টার টপোলজি
এই টপোলজিতে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয় এবং সংকেত সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা কমায়। সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। কোনো নোড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে। সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের অন্তর্গত স্টার টপোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচ এর মাধ্যমে প্রিন্টার, স্ক্যানার ও কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। ফলে দুইটি প্রিন্টার এবং একটি স্ক্যানারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব। কারণ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের সকল কম্পিউটার প্রিন্টার দুটি শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। ফলে এর জন্য প্রত্যেক কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদা প্রিন্টারের প্রয়োজন হয় না। এ শেয়ারিং সিস্টেম স্ক্যানারের জন্যও প্রযোজ্য। অর্থাৎ অল্প সংখ্যক হার্ডওয়্যার দিয়ে সকল কাজ করা সম্ভব হয় এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় খরচও কম হয়।
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়েছে।

Question 68- (মাদ্রাসা বোর্ড ২০১৬)

তোমার মাদরাসা একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন তলার ১২টি কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হলো। কিছুদিন কাজ করার পর বিশেষ ১টি কম্পিউটার নষ্ট হওয়ায় বাকি কম্পিউটারগুলো থেকে পরস্পর তথ্য আদান-প্রদান জটিলতা দেখা দিল।

উত্তরঃ

একাধিক নেটওয়ার্কে যুক্ত করে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক গঠনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ডিভাইসকে ব্রিজ বলা হয়।

উত্তরঃ

কোনো প্রকার তার/ক্যাবল কিংবা ফিজিক্যাল সংযোগ ছাড়া একাধিক ডিভাইসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা যায় তাই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে শূন্যস্থান বা বায়ুতে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ রেডিয়েশন বা বিকিরণের মাধ্যমে ডেটা সঞ্চারিত হয়। যেসব স্থানে তার বা ক্যাবলভিত্তিক যোগাযোগ সম্ভব নয় সেসব জায়গায় যোগাযোগের জন্য ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম অপরিহার্য। প্রোডাক্টিভিটি চিন্তা করলে তার সংযোগ ব্যবহারকারীর জন্য একটি জটিল ও ঝামেলাযুক্ত পদ্ধতি। পক্ষান্তরে কম দূরত্বে দ্রুত ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন একটি ঝামেলাযুক্ত ও দ্রুত পদ্ধতি যার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত নেটওয়ার্কে রিং টপোলজির য্যবহার করা হয়েছে।
সাধারণত কাছাকাছি বা একই ভবনের বিভিন্ন কম্পিউটারকে ক্যাবল দ্বারা সংযোগের ক্ষেত্রে রিং টপোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে। এই বৃত্তাকার নেটওয়ার্কে প্রথম ও সর্বশেষ কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং এতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা প্রেরণের জন্য সমান অধিকার পায়।



চিত্র: রিং টপোলজি
তারের পরিমাণ কম প্রয়োজন হয় বলে এর বাস্তবায়ন খরচ কম লাগে। তবে রিং টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অকেজো হয়ে যায় এবং এদের পরস্পরের মাঝে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। এতে করে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ

জটিলতা এড়াতে মাদরাসাটির স্টার টপোলজি ব্যবহার করা উচিত ছিল। সাধারণত যে টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটার একটি কেন্দ্রিয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলা হয়। এ টপোলজির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এখানে একটি কম্পিটার অকেজো বা নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারগুলোর ক্ষেত্রে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো অসুবিধা হয় না। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কেন্দ্রিয় কম্পিউটারকে সব সময় সচল থাকতে হবে। কোনো কারণে যদি কেন্দ্রিয় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এ নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। আবার এ টপোলজিতে নষ্ট কম্পিউটারকে। খুব সহজে শনাক্ত করা যায় এবং আলাদা করে ফেলা যায়। তাতে নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না।



চিত্র: স্টার টপোলজি
তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত জটিলতা এড়ানোর ক্ষেত্রে স্টার টপোলজি ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত ছিল।

Add Your Heading Text Here