তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায় -১
Question 1- (ঢাকা বোর্ড ২০২৪)
বাংলাদেশের পোশাক তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান চতুর্থ শিল্প বিপ¬বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বিশ্বমানের একটি কারখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যেখানে মানুষের সহায়তা ছাড়াই অ্যাকচুয়েটর এবং কম্পিউটারের সাহায্যে পোশাক তৈরির অধিকাংশ কাজ করা সম্ভব হবে। কারখানাটি স্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রকৌশলীগণ কৃত্রিম সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করে কারখানাটির ত্রি-মাত্রিক মডেল প্রণয়ন করেন।
উত্তরঃ
ই-লার্নিং-এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক লার্নিং। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তাই হলো ই-লার্নিং।
উত্তরঃ
বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ হলো এমন একটি পরিবেশ ও সমাজ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পর¯পরের সাথে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা আদান- প্রদান করতে পারে। কানেক্টিভিটি বলতে ইন্টারনেট সংযোগকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টিতে গঠিত নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের প্রতিটি গ্রাম বা শহরকে যুক্ত করে। তাই বলা যায় যে, কানেক্টিভিটি বিশ্বগ্রামের মূল চালিকাশক্তি।
উত্তরঃ
নকশা প্রণয়নে প্রকৌশলীগণের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। নিম্নে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যাখ্যা করা হলো–
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা, যা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ কল্পনার জগতে প্রবেশ করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ যা দেখে তা অনুভব করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সৃষ্ট পরিবেশ পুরোপুরি বাস্তব পৃথিবীর মতো মনে হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরির জন্য হেড মাউন্টেড ডিসপে¬, ডেটা গে¬াভ, পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত পোশাক শিল্পে বর্ণিত প্রযুক্তিটি হলো রোবোটিক্স। এটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই অ্যাকচুয়েটর এবং কম্পিউটারের সাহায্যে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে।
Robot শব্দটি মূলত এসেছে চেক শব্দ Robota হতে, যার অর্থ হলো শ্রমিক। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম সেট করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে এটি কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। যে সমস্ত রোবটকে পরিচালনার জন্য মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা কার্যক্রম প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোনোমাস রোবট বলে। শিল্প করখানায় এ ধরনের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই রোবটগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে।
অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, রোবোটিক্স প্রযুক্তিটি শ্রম বাজারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য প্রভাব হলো- অনেক শ্রমিক চাকরি হারাবে।
Question 2- (ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৪)
সরাসরি বিমান চালনা না করেও প্রযুক্তির কল্যাণে মি. X একজন বৈমানিক। কৃষিবিজ্ঞানী মি. Y উন্নত জাতের পাটবীজ উদ্ভাবন করেন এবং সেগুলো চাষ করে কৃষকরা উপকৃত হয়। তিনি তার গবেষণা কর্মের ডেটাসমূহ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
উত্তরঃ
কনিউরাল নেট হলো এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি এক ধরনের মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়া, যাকে বলা হয় ডিপ লার্নিং, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো একটি স্তরযুক্ত কাঠামোতে আন্তঃসংযুক্ত নোড বা নিউরন ব্যবহার করে।
উত্তরঃ
ন্যানোটেকনোলজির দুটি ক্ষেত্রের মধ্যে অন্যতম টপ টু ডাউন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কোনো জিনিসকে কেঁটে ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। এই পদ্ধতির সাথে Etching প্রক্রিয়াটি সম্পর্কিত।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের মি. X এর সরাসরি বিমান চালনা না করেও বিমান প্রশিক্ষণের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনায় হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা। যা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ কল্পনার জগতে প্রবেশ করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ যা দেখে তা অনুভব করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সৃষ্ট পরিবেশ পুরোপুরি বাস্তব পৃথিবীর মতো মনে হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরির জন্য হেড মাউন্টেড ডিসপে¬, ডেটা গে¬াভ, পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের মি. Y এর কর্মকান্ডে যে প্রযুক্তিসমূহ নির্দেশিত হয়েছে সেগুলো হলো- উন্নত জাতের পাটবীজ উদ্ভাবনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও তার গবেষণা কর্মের ডেটাসমূহ সংরক্ষণের জন্য বায়োইনফরম্যাটিক্স প্রযুক্তি।
মি. Y এর ব্যবহৃত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিতে কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তর করা হয়। এই জিন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের ডিএনএ (DNA) অণু থেকে পৃথক করে তাকে কাজে লাগানো। অপরদিকে গবেষণা কর্মের ডেটাসমূহ সংরক্ষণ করার । প্রযুক্তিটি হলো বায়োইনফরম্যাটিক্স, যেখানে জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রয়োগ করা হয়। এই শাখার প্রধান কাজ জীববিজ্ঞান সম্বন্ধীয় জ্ঞান ব্যবহার করে সফটওয়্যার টুলস তৈরি করা। তবে সিকুয়েন্স অ্যালাইনমেন্ট, জিন অনুসন্ধান, জিনোম সমন্বয়, প্রোটিনের গাঠনিক অ্যালাইনমেন্ট, প্রোটিনের গঠন ভবিষ্যদ্বাণী, জিন বহিঃপ্রকাশ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী, প্রোটিন-প্রোটিন মিথস্ক্রিয়া, জিন ফাইন্ডিং, জিনোম সমাগম, ডিএনএ ম্যাপিং এ, ড্রাগ নকশা, ড্রাগ আবিষ্কার এবং বিবর্তনের নকশা প্রণয়ন প্রভৃতি বিষয় নিয়েও এই শাখায় গবেষণা করা হয়। অর্থাৎ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে নতুন কোনো জিনোম অথবা উঘঅ আবিষ্কারের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য বায়োইনফরম্যাটিক্সে পাওয়া যাবে। আবার বায়োইনফরম্যাটিক্সের নতুন কোনো তথ্যের জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর উপর নির্ভর করতে হয়।
এজন্য বলা যায়, মি. Y এর ব্যবহৃত প্রযুক্তি অর্থাৎ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োইনফরম্যাটিক্স একে অপরের পরিপূরক।
Question 3- (রাজশাহী বোর্ড ২০২৪)
‘ক’ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিসংযোগে নিহত শ্রমিকের পরিচয় শনাক্ত করতে DNA পরীক্ষা করা হয়। রাকিব এই ধরনের অগ্নিকান্ডের কথা মাথায় রেখে এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছে যা একই সময়ে অগ্নি নির্বাপণে ও উদ্ধারকার্যে সহায়তা করবে।
উত্তরঃ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ যা ব্যবহারকারীদের কাছে বাস্তব পরিবেশ মনে হয়।
উত্তরঃ
খুব শীতলীকরণ তরল পদার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে শরীরের অসুস্থ বা অস্বাভাবিক টিস্যুকে ধ্বংস করার চিকিৎসা পদ্ধতিকে ক্রায়োসার্জারি বলে। ক্রায়োসার্জারিতে সূক্ষ্ম সুচযুক্ত নল ব্যবহার করা হয় তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথারকে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করানোর জন্য। এছাড়াও এ নলটি সূক্ষ্ম সুচযুক্ত হওয়ার কারণে রক্তপাতহীন ছাড়াই অপারেশন করা সম্ভব হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে নিহত শ্রমিক শনাক্তকরণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট অদ্বিতীয় ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়। বায়োমেট্রিক্স এর মূল কাজ হচ্ছে প্রতিটি মানুষের যে অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো খুঁজে বের করা এবং সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। কম্পিউটার পদ্ধতিতে নিখুঁত নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এ পদ্ধতিতে মানুষের বায়োলজিক্যাল ডেটা কম্পিউটারের ডেটাবেজে সংরক্ষিত করে রাখা হয় এবং পরবর্তিতে এসব ডেটা নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিলিয়ে দেখা হয়। ডেটাতে মিল পেলে তা বৈধ বলে বিবেচিত হয় ও অনুমতি প্রাপ্ত হয়।
উদ্দীপকের ‘ক’ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিসংযোগে নিহত শ্রমিকের পরিচয় শনাক্ত করতে তাদের বায়োলজিক্যাল ডাটা ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি বায়োলজিক্যাল ডাটা অনুপস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে DNA পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে। নিম্নে DNA পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিটি আলোচনা করা হলো–
DNA পর্যবেক্ষণ: আমাদের মানব সমাজে অনেক সময় কোনো শিশুর প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় শনাক্ত করতে হয়। কিংবা দুর্ঘটনায় অনেক সময় নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার করা যায় না। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে বায়োমেট্রিক্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শনাক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে বায়োমেট্রিকে DNA টেস্টের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তিকে অত্যন্ত নিখুঁত ও প্রশ্নাতীতভাবে শনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে মানব শরীরের যেকোনো উপাদান যেমন- রক্ত, চুল, আক্সগুলের নখ, মুখের লালা হতে (যে ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে) নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর এগুলোর গঠন-প্রকৃতি শনাক্তের দ্বারা ম্যাপ বা ব্লু-প্রিন্ট বায়োলজিক্যাল ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে যে সকল ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করা হবে, তাদের ডেটার সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। যদি উভয়ের ডেটা মিলে যায়, তবেই সঠিক ব্যক্তি শনাক্ত হবে। এভাবেই ডিএনএ পর্যবেক্ষণ করে অদ্বিতীয় ব্যক্তি শনাক্ত করা যায়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের রাকিবের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি হলো রোবোটিক্স।
রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম সেট করে দিলে তা প্রোগ্রাম অনুসারে মানুষের ন্যায় কাজ করতে পারে। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। ঘরবাড়ি বা আবর্জনা পরিষ্কারসহ বাড়িঘরের কাজ বা মহাশূন্যের কাজে ব্যবহৃত রোবট হলো স্বয়ংক্রিয় রোবট যা অটোনোমাস রোবট নামে পরিচিত। অন্যদিকে যে সমস্ত রোবটকে পরিচালনার জন্য মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে আধা- স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোনোমাস রোবট বলে। শিল্প-কারখানায় এ ধরনের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। শিল্পোৎপাদন, শিল্প-কারখানার ভারী বস্তু নড়াচড়া করানো, প্যাকিং, সংযোজন, পরিবহন ইত্যাদি শ্রমসাধ্য কাজ ছাড়াও কম্পিউটার এইডেড কাজে রোবোটিক্স-এর ব্যবহার রয়েছে।
এছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন কাজে রোবটিক্স-এর আরো কিছু ব্যবহার নি¤েœ দেওয়া হলো–
১) বিভিন্ন শিল্পকারখানায় যেসব জিনিসপত্র মানুষের পক্ষে ওঠানামা ও স্থাপনের জন্য কঠিন সেসব ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যানবাহন বা গাড়ির কারখানায় রোবট ব্যবহৃত হয়।
২) কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, প্যাকিং ও পরিবহনের জন্য রোবট ব্যবহার ফলপ্রসূ।
৩) যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযানে ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে রোবটকে ব্যবহার করা যায়।
৪) ইলেকট্রনিক্স-এর আইসি (IC) ও PCB বানানোর জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়।
৫) চিকিৎসা ক্ষেত্রে সার্জারীর কাজে রোবটকে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
৬) বিরক্তিকর ও একঘেয়ে কাজের ক্ষেত্রে।
৭) বিপজ্জনক ও নিরাপত্তার কাজে।
৮) খনি থেকে মূল্যবান পদার্থ উত্তোলনের কাজে রোবট ব্যবহার করা হয়।
৯) বিনোদন, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
১০) পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে মাইক্রোসার্কিটের পরীক্ষা করতে।
১১) সামরিক কাজে যেমন– বোমা নিস্ক্রিয় করা, ভূমি মাইন শনাক্তকরণ, মিলিটারি অপারেশনে ব্যবহৃত হয়।
১২) ঘরোয়া কাজে বুটিন মাফিক ঘরের কাজকর্ম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, চা-কফি তৈরি, কথা বলার কাজে রিসিপসনিস্ট হিসেবে।
১৩) মহাকাশ গবেষণায় মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হয় যেমন– নাসার কিউরিসিটি রোবট উল্লে¬খযোগ্য।
সুতরাং, বলা যায়, রোবট আমাদের দৈনিন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
Question 4- (দিনাজপুর বোর্ড ২০২৪)
বাংলাদেশের পোশাক তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান চতুর্থ শিল্প বিপ¬বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বিশ্ব মানের একটি কারখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেখানে মানুষের সহায়তা ছাড়াই অ্যাকচুয়েট এবং কম্পিউটারের সাহায্যে পোশাক তৈরির অধিকাংশ কাজ করা সম্ভব হবে। কারখানাটি স্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রকৌশলীগণ কৃত্রিম সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করে কারখানাটির ত্রি-মাত্রিক মডেল প্রণয়ন করেন।
উত্তরঃ
ই-লার্নিং-এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক লার্নিং। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তাই হলো ই-লার্নিং।
উত্তরঃ
বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ হলো এমন একটি পরিবেশ ও সমাজ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পর¯পরের সাথে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা আদান- প্রদান করতে পারে। কানেক্টিভিটি বলতে ইন্টারনেট সংযোগকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টিতে গঠিত নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের প্রতিটি গ্রাম বা শহরকে যুক্ত করে। তাই বলা যায় যে, কানেক্টিভিটি বিশ্বগ্রামের মূল চালিকাশক্তি।
উত্তরঃ নকশা প্রণয়নে প্রকৌশলীগণের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। নিম্নে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যাখ্যা করা হলো–
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা, যা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ কল্পনার জগতে প্রবেশ করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ যা দেখে তা অনুভব করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সৃষ্ট পরিবেশ পুরোপুরি বাস্তব পৃথিবীর মতো মনে হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরির জন্য হেড মাউন্টেড ডিসপে¬, ডেটা গে¬াভ, পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত পোশাক শিল্পে বর্ণিত প্রযুক্তিটি হলো রোবোটিক্স। এটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই অ্যাকচুয়েটর এবং কম্পিউটারের সাহায্যে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে।
Robot শব্দটি মূলত এসেছে চেক শব্দ Robota হতে, যার অর্থ হলো শ্রমিক। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম সেট করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে এটি কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। যে সমস্ত রোবটকে পরিচালনার জন্য মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা কার্যক্রম প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোনোমাস রোবট বলে। শিল্প করখানায় এ ধরনের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই রোবটগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে।
অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, রোবোটিক্স প্রযুক্তিটি শ্রম বাজারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব হলো- অনেক শ্রমিক চাকরি হারাবে।
Question 5- (কুমিল্লা বোর্ড ২০২৪)
ডা. রতন ত্বক ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসা নিম্ন তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। কিন্তু চিকিৎসার পূর্বে তিনি একটি সিমুলেটেড অপারেশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
উত্তরঃ
রোবটিক্স হলো বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যার একটি শাখা যেখানে রোবট সম্পর্কিত ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম, ব্যবহার ক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের ডাঃ রতনের চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অতি ঠান্ডা তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক ও অসুস্থ টিস্যু (কোষ) ধ্বংস করা হয়। এক্ষেত্রে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথার-প্রোপেন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগাক্রান্ত কোষের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অসুস্থ ত্বকের পরিচর্যায় এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া লিভার ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখ বা ওরাল ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ত্বক সতেজ করে তুলতে এটি ব্যবহার করা হয়। ত্বকের অসুস্থ কোষকে অতি শীতল তাপমাত্রায় ধ্বংসের মাধ্যমে ক্রায়োসার্জারি কাজ করে। অসুস্থ ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ক্রায়োগান ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে নিখুঁতভাবে ক্রায়োসার্জারি করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডা. রতনের অপারেশনের অভিজ্ঞতা, লাভের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা। শিক্ষা, গবেষণা ও ব্যবসা-বাণিজ্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলো-
শিক্ষাক্ষেত্র: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিক্ষার জটিল বিষয়গুলো সহজে উপস্থাপন করা যায় অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি একেবারে সামনাসামনি দেখার অনুভূতি পায়। ফলে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা সহজ হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ত্রিমাত্রিক সিমুলেশনের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষকরা সৌরজগৎ এর গ্রহ বা গ্রহাণুপুঞ্জের অবস্থান, গঠনপ্রকৃতি, গতিবিধি, গ্রহের মধ্যস্থিত বিভিন্ন বস্তু বা প্রাণের উপস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
গবেষণায়: গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লে¬ষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
ব্যবসা বাণিজ্যে উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
Question 6- (চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪)
বাসার সাহেব কম্পিউটার মেলায় গিয়ে একটি হার্ডডিস্ক কিনলেন। হার্ডডিস্কটি আকারে খুব ছোট কিন্তু এর ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। তিনি বন্ধু প্রিন্সকে হার্ডডিস্কটি দেখানোর জন্য তাঁর অফিসে গেলেন। প্রিন্সের অফিসে গিয়ে দেখলেন উক্ত অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ একটি যন্ত্রের দিকে তাকালেই অফিসের দরজা খুলে যাচ্ছে।
উত্তরঃ
কোনো একটি বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরামাণুগুলোকে ন্যানো পার্টিকেলরূপে পরিবর্তন করা হয় সেই প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।
উত্তরঃ
নিম্ন তাপমাত্রা ও রক্তপাতহীন চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যুগুলোকে ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারিতে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করতে নাইট্রোজেন গ্যাস বা আর্গন গ্যাস হতে উৎপাদিত চরম ঠান্ডা বাহ্যিক ত্বকের চামড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত টিউমারের ক্ষেত্রে -২০ থেকে -৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে -৪০ থেকে -৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়।নিম্ন তাপমাত্রার কারণে মূলত রক্তপাত ঘটে না। সুতারং বলা যায় ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ছাড়াই অপারেশন সম্ভব।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের উল্লিখিত ডিভাইসটি তৈরির প্রযুক্তিটি হলো ন্যানো টেকনোলজি। নিম্নে এ প্রযুক্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো––
যখন কোনো একটি বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণুগুলোকে ন্যানো মিটার স্কেলে বা ন্যানো পার্টিকেলরূপে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই প্রযুক্তিকে ন্যানোটেকনোলজি বলে। ন্যানোটেকনোলজি প্রক্রিয়া দুইটি পদ্ধতিতে হয়। একটি হচ্ছে “বটম-আপ” এবং অন্যটি হচ্ছে “টপ-ডাউন”। বটম-আপ পদ্ধতিতে ন্যানো ডিভাইস এবং উপকরণগুলো আণবিক স্বীকৃতির নীতির উপর ভিত্তি করে আণবিক উপাদান দ্বারা তৈরি হয় এবং এগুলো রাসায়নিকভাবে একীভূত হয়। এ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা হয়।
টপ-ডাউন পদ্ধতিতে একটি উপকরণ পরমাণু স্তরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বৃহৎ সত্ত্বা হতে গঠিত হয়। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে কোনো জিনিসকে কেঁটে ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহারে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স, শক্তি উৎপাদনসহ বহু ক্ষেত্রে বৈপ¬বিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রিন্সের অফিসের দরজায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ফেইস রিকগনিশন বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি যা প্রত্যেকের চেহারা আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করে চিহ্নিত করে।
পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের চেহারায় অমিল রয়েছে। একজনের চেহারার সাথে অপরজনের চেহারার কোনো মিল পাওয়া যায় না। যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মানুষের মুখের গঠন ও বৈশিষ্ট্যকে শনাক্ত করে অদ্বিতীয়ভাবে কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয় তাকে ফেইস রিকগনিশন পদ্ধতি বলে। এক্ষেত্রে দুই চোখের মধ্যকার দূরত্ব, নাকের দৈর্ঘ্য, চোয়ালের কৌণিক মাপ ব্যবহৃত হয়। মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এই প্রযুক্তিতে আলোর পার্থক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জঠিলতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া চুলের স্টাইল, দাড়ি-গোফ পরিবর্তন, মেকআপ ব্যবহার, গহনার ব্যবহার মুখমন্ডল শনাক্তকরণকে ব্যাহত করে।
Question 7- (সিলেট বোর্ড ২০২৪)
মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. রিফাত তার শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ধকল সহিষ্ণু, রক্তপাতহীন চিকিৎসা পদ্ধতির অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে একটি সিমুলেটেড পরিবেশে অপারেশন প্রক্রিয়া শেখালেন।
উত্তরঃ
বিজ্ঞানের যে শাখায় রোবটের গঠন, কাজ ও বৈশিষ্ট্য এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রসমূহ ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত কাজ করা হয় তাই হলো রোবটিক্স।
উত্তরঃ
খাদ্যরে গুণাগুণ রর্ক্ষাথে ব্যবহৃত প্রযুক্তটিি হলো ন্যানোটকেনোলজি।
ন্যানোটকেনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যখোনে ন্যানোমটিার স্কলেে একটি বস্তুকে নপিুণভাবে ব্যবহার করা যায় র্অথাৎ এর পরর্বিতন, পরর্বিধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়। খাদ্যজাত দ্রব্যের প্যাকেজিং, খাদ্যের স্বাদ তৈরিতে এবং খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষার্থে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ডাঃ রিফাতের ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অতি ঠান্ডা তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক ও অসুস্থ টিস্যু (কোষ) ধ্বংস করা হয়। এক্ষেত্রে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথার-প্রোপেন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগাক্রান্ত কোষের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অসুস্থ ত্বকের পরিচর্যায় এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া লিভার ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখ বা ওরাল ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ত্বক সতেজ করে তুলতে এটি ব্যবহার করা হয়। ত্বকের অসুস্থ কোষকে অতি শীতল তাপমাত্রায় ধ্বংসের মাধ্যমে ক্রায়োসার্জারি কাজ করে। অসুস্থ ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ক্রায়োগান ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে নিখুঁতভাবে ক্রায়োসার্জারি করা হয়।
উত্তরঃ
প্রত্যাহিক জীবনে উদ্দীপকে উল্লি¬খিত সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরির প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি-এর প্রয়োগ আমাদের জীবনযাত্রার মানকে সহজ করেছে। বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস তৈরি, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, বিমান চালনা প্রশিক্ষণ, ত্রি-মাত্রিক গ্রাফিক্স তৈরি, নগর পরিকল্পনা ইত্যাদি জটিল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আরও কিছু প্রভাব নিচে দেওয়া হলো–
১) চিকিৎসাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দারুন প্রভাব রাখছে।
২) রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিং নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৩) ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৪) ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ফ্লাইট সিমুলেশন করা হয়।
৫) মহাশূন্য অভিযানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
৬) খেলাধুলায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
৭) সামরিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
৮) ভিডিও গেমস তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
৯) ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
১০) বিভিন্ন ইমেজ সংরক্ষণ ও দৃশ্যধারণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
১১) নগর পরিকল্পনায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
Question 8- (যশোর বোর্ড ২০২৪)
ডা. রতন ত্বক ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসা নিম্ন তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। কিন্তু চিকিৎসার পূর্বে তিনি একটি সিমুলেটেড অপারেশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
উত্তরঃ
সফটওয়্যার পাইরেসি কী?সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে বুঝায় প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোনো সফটওয়্যার কপি করা, নিজের নামে বিতরণ করা কিংবা কোনো প্রকার পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি বুঝায়।
উত্তরঃ
কণ্ঠস্বর যাচাইকরণে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট অদ্বিতীয় ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়। বায়োমেট্রিক্স সিস্টেমে শনাক্তকরণে যেসব বায়োলজিক্যাল ডেটা ব্যবহৃত হয় তা হলো–
শরীরবৃত্ত (Physiological) মানুষের মুখম-ল, হাতের আঙুল, হাতের রেখা, রেটিনা, আইরিস, শিরা, DNA।
আচরণগত (Behavioral) কণ্ঠস্বর, ব্যক্তির আচরণ, হাতের লেখা, কথাবলা বা চলাফেরার স্টাইল।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের ডাঃ রতনের চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অতি ঠান্ডা তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক ও অসুস্থ টিস্যু (কোষ) ধ্বংস করা হয়। এক্ষেত্রে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথার-প্রোপেন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগাক্রান্ত কোষের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অসুস্থ ত্বকের পরিচর্যায় এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া লিভার ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখ বা ওরাল ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ত্বক সতেজ করে তুলতে এটি ব্যবহার করা হয়। ত্বকের অসুস্থ কোষকে অতি শীতল তাপমাত্রায় ধ্বংসের মাধ্যমে ক্রায়োসার্জারি কাজ করে। অসুস্থ ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ক্রায়োগান ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে নিখুঁতভাবে ক্রায়োসার্জারি করা হয়
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডা. রতনের অপারেশনের অভিজ্ঞতা, লাভের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা। শিক্ষা, গবেষণা ও ব্যবসা-বাণিজ্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলো-
শিক্ষাক্ষেত্র: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিক্ষার জটিল বিষয়গুলো সহজে উপস্থাপন করা যায় অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি একেবারে সামনাসামনি দেখার অনুভূতি পায়। ফলে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা সহজ হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ত্রিমাত্রিক সিমুলেশনের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষকরা সৌরজগৎ এর গ্রহ বা গ্রহাণুপুঞ্জের অবস্থান, গঠনপ্রকৃতি, গতিবিধি, গ্রহের মধ্যস্থিত বিভিন্ন বস্তু বা প্রাণের উপস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
গবেষণায়: গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লে¬ষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
ব্যবসা বাণিজ্যে: উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
Question 9- (বরিশাল বোর্ড ২০২৪)
দৃশ্যকল্প-১: ডাক্তার মনিরা মেডিকেল কলেজে তার শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের কাটা ছোঁড়া ছাড়াই অত্যাধিক নি¤œ তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার নিরাময় সম্পর্কে পাঠদান করলেন।
দৃশ্যকল্প-২: ডা. মামুন বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাতের উদ্ভিদ ও প্রাণী উদ্ভাবনের লক্ষ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করছেন।
উত্তরঃ
মহাকাশচারীসহ কিংবা মহাকাশচারী ছাড়াই কোনো মহাকাশযান যখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাঁধন কাটিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কমপক্ষে একশ কিলোমিটার উপরে বায়ুমন্ডলের বাইরে যাওয়াই হলো মহাকাশ অভিযান।
উত্তরঃ
ক্ষুদ্র আকারের জিনিস দিয়ে বড় আকারের জিনিস তৈরি করার প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি।
কোনো একটি বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণুগুলোকে ন্যানো পার্টিকেলরূপে পরিবর্তন করা হয় সেই প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষুদ্র আকারের জিনিস দিয়ে যেমন- কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ ড. মামুন যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন সেটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিনতত্ত্ব প্রকৌশল বলে। জিন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের ডিএনএ (DNA) অণু থেকে পৃথক করে তাকে কাজে লাগানো। এই পৃথকীকৃত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলে দেওয়া সম্ভব। এর ফলে–
১) জীবটি প্রথমে যে কাজে অভ্যন্ত ছিল না, তা করতে সক্ষম হয়।
২) ত্রুটিপূর্ণ জিনযুক্ত একটি কর্মক্ষমতাবিহীন জীবের কোষে অন্য জীব থেকে সংগৃহীত কর্মক্ষম বা ভালো জিন স্থানান্তরিত, করে কর্মক্ষমতাবিহীন জীবটিকে কর্মক্ষম করা যায়।
৩) মানুষের প্রয়োজনীয় হরমোন বা এনজাইমের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণকারী জিন নিম্নস্তর কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়ার দেহে প্রবেশ করিয়ে দ্রুত ও বেশি পরিমাণে উক্ত হরমোন বা এনজাইম উৎপন্ন করা যায়। ক্ষতিকর জিন অপসারণের মাধ্যমে দেহের রোগবালাই বা কোনো খারাপ অভ্যাস দূর করা সম্ভব।
বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন, ঔষধ শিল্প, গৃহপালিত পশু ও মৎস্য উন্নয়ন, দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন, ফরেনসিক টেস্ট, পরিবেশ রক্ষা, মানব স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, শিল্পজাত দ্রব্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্নক্ষেত্রে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে। এজন্য বলা যায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে।
Question 10- (বরিশাল বোর্ড ২০২৪)
বর্তমান যুগে সৈনিকরা একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই কৃত্রিম পরিবেশে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করতে পারেন। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রবেশের জন্য একটি ডিভাইসে আঙুলের ছাপ এবং অপর একটি ডিভাইসের দিকে তাকাতে হয়।
উত্তরঃ
কম্পিউটার সফটওয়্যার ও পরিসংখ্যানগত কৌশল ব্যবহার করে জৈব ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়া করে বিশেষণের একটি উন্নত পদ্ধতি হলো বায়োইনফরমেটিক্স।
উত্তরঃ
বর্তমানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি যন্ত্রও সার্জারির কাজ করছে যেমন- রোবট। কারণ রোবটের মস্তিষ্ক বা কম্পিউটার, অ্যাকচুয়েটার, সেন্সর, ম্যানিপুলেশন ক্ষমতা রয়েছে। যার ফলে রোবট খুব সহজে কঠিনতম অপারেশন সফলভাবে করতে সক্ষম হচ্ছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে সৈনিকদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এটি সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, এটি এক ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা। যা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ কল্পনার জগতে প্রবেশ করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ যা দেখে তা অনুভব করতে পারে। এ প্রযুক্তিতে সৃষ্ট পরিবেশ পুরোপুরি বাস্তব পৃথিবীর মতো মনে হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরির জন্য হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, ডেটা গ্লোভ, পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রবেশে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স যার প্রথমটিতে আঙ্গুলের ছাপ এবং অপরটিতে মুখমন্ডল ব্যবহার করা হয়েছে।
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে বায়োমেট্রিক্স বলে। উদ্দীপকের প্রথম ডিভাইসে প্রবেশের জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির আক্সগুলের ছাপ ব্যবহার করেছেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারে কারও আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর ছাপটির ছবি কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত হয়ে যায়। ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিনটি আঙ্গুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে আক্সগুলের ছাপচিত্র তৈরি করে। তারপর পূর্ববর্তী ডেটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের সাথে তুলনা করে ব্যক্তি শনাক্ত করে। এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের দাম কম এবং শনাক্তকরণের জন্য খুবই কম সময় লাগে। তাছাড়া শনাক্তকরণে সফলতার হার প্রায় শতভাগ।
অপরদিকে, পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের চেহারায় অমিল রয়েছে। একজনের চেহারার সাথে অপরজনের চেহারার কোনো মিল পাওয়া যায় না। যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মানুষের মুখের গঠন ও বৈশিষ্ট্যকে শনাক্ত করে অদ্বিতীয়ভাবে কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয় তাকে ফেইস রিকগনিশন পদ্ধতি বলে। এক্ষেত্রে দুই চোখের মধ্যকার দূরত্ব, নাকের দৈর্ঘ্য, চোয়ালের কৌণিক মাপ ব্যবহৃত হয়। মুখম-লের বৈশিষ্ট্য বিশ্লে¬ষণ করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এ প্রযুক্তিতে আলোর পার্থক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জঠিলতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া চুলের স্টাইল, দাড়ি-গোফ পরিবর্তন, মেকআপ ব্যবহার, গহনার ব্যবহার মুখমন্ডল শনাক্তকরণকে ব্যাহত করে।
Question 11- (ঢাকা বোর্ড -২০২৩)
উত্তরঃ
ন্যানোটেকনোলজি বা ন্যানোপ্রযুক্তি হলো পামাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে বর্তমানে ড্রাইভার বিহীন গাড়িতে যাতায়াত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য কারী যন্ত্রটি হলো রোবট, যা অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র। রোবটের সাহায্যে ড্রাইভারবিহীন গাড়িতে যাতায়াতের জন্য রোবটের মধ্যে ড্রাইভিং এর নানা নিয়ম কানুন (যেমন: ট্রাফিক সিগন্যাল,সড়ক চিহ্ন,স্পিড লিমিট, ওভারটেকিং, পার্কিং/নো পার্কিং এলাকা ইত্যাদি) প্রোগ্রাম করা হয়। গাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্ক্যানার এবং সেন্সর ব্যবহার করে রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে গাড়ি চালাতে পারে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ ? চিহ্নিত স্থানের প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোন জীবের জিনোমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেনেটিক মডিফিকেশন বলে। জিনোম হলো কোনো জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের তথ্য। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন-সয়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তৈল বীজ, টমেটো, পেঁপে ইত্যাদির জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি,পোকা-মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদনাশক ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত ফসল অধিক খরা ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারে।
উত্তরঃ
Question 12- (ঢাকা বোর্ড -২০২৩)
ডা. জে. সি. দেব নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ
গ্রহণের জন্য জাপান গিয়েছিলেন। বিশেষ ব্যবস্থায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থেকে তিনি এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশে ফিরে এসেছেন। এখন তার কাছে রোগী এলে তিনি বিশেষ কিছু জটিল রোগের অপারেশনে সফলতার সাথে এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকেন।
উত্তরঃ
CAD এর পূর্ণরূপ হলো ঈড়সঢ়ঁঃবৎ অরফবফ উবংরহম (কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন)। এটি একটি বিশেষ সফটওয়্যার যা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন- ড্রাফটিং, ডিজাইন কিংবা সিমুলেশন ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয়।
উত্তরঃ
বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের জন্য আচরণিক ডেটা ( যেমন: কণ্ঠস্বর, হাতের স্বাক্ষর এবং কী-বোর্ড টাইপিং) ব্যবহার করা হয়। কোনো ব্যক্তির আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলো ইনপুট ডেটা হিসাবে ডেটাবেজ সংরক্ষন করা হয়। যেমন কণ্ঠস্বর শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরকে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ধারণপূর্বক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্ত করে ডেটাবেজে সংরক্ষন করা হয়। পরবর্তীতে সংরক্ষিত কণ্ঠস্বর আচরণিক ডেটার সাথে মিলিয়ে ব্যক্তি শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ডাক্তারের প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন একধরনের কৃত্রিম পরিবেম,যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে। ভার্চুয়াল বিয়েলিটিতে অনুকরণকৃত পরিবেশ হুবহু বাস্তব পৃথিবীর মতো হতে পারে।এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়।তথ্য আদান-প্রদানকারী বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস সংবলিক চশমা, headset,gloves ,suite ইত্যাদি পরিধান করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্দি করা হয়। একটি typical VR formatএ একজন ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত হেলমেট পরে এবং তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্রানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মালিসেন্সর হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টার সেন্সরসমূহের ব্যবহার অনুকর্ভুক্ত থাকে যা মানব ব্যবহারকারীদেরকে কম্পিউটার সেমুলেটেড অবজেক্ট,স্পেস,কার্যক্রম এবং বিশ্বকে একবারে বাস্তবের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম করে তোলে।
উদ্দীপকে ডাঃ জে. সি. দেব উপরে বর্ণিত উপায়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি সিমুলেটেড পরিবেশে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি সর্ম্পকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ জে.সি দেব এর চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। ক্রায়োসার্জারিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্র ব্যবহৃত হয়। যেমন কম্পিউটার সিস্টেম ও পূর্ব নির্ধারিত প্রোগামের মাধ্যমে সার্জারির সময় সার্জারি এলাকার চিত্র অর্জন, সার্জারি এলাকার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসার মাত্রা নির্ণয়,সার্জারির স্থানে যেভাবে ক্রায়োপ্রোব যাবে তার চিত্র অর্জন, বাস্তবে ক্রায়োপ্রোব যেভাবে যাচ্ছে তার চিত্র প্রদর্শন ইত্যাদি। আবার, ক্রায়োসার্জারি নিয়ে গবেষণা ও মত বিনিময়ের জন্য চিকিৎসকগণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ইণ্টারনেট,টেলিকনফারেন্সিং ব্যবহার করেন। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল সংরক্ষণের জন্য চিকিৎসকেরা ডেটাবেজ ব্যবহার করে থাকেন যাতে পরবর্তীতে খুব সহজেই গবেষণার ফলাফল যে কোন সময় অ্যাকসেস করতে পারেন। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা প্রশিক্ষনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার করে বাস্তবে সার্জারি করার অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন। আবার পুরো সার্জারির প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে। সুতরাং, ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় প্রশিক্ষন, পর্যবেক্ষন, সম্পাদন, তথ্য সংরক্ষনসহ সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবদান রয়েছে।
Question 13- (রাজশাহী বোর্ড -২০২৩)
উত্তরঃ
প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেগকারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে।
উত্তরঃ
আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নত দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্যের মান নির্ণয়ে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। উৎপাদনের ক্ষেত্রে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কম্পিউটার চালিত রোবট ব্যবহৃত হয়। গ্রুপ অব কম্পানির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে কেউ ইলেকট্রনিক মেইল, টেলিকনফারেন্স, বুলেটিন বোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে এবং কর্মরত শ্রমিকের কাজের সময, বেতন ও ওভারটাইম হিসাব করা জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
ডাক্তার ফুয়াদের চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে -৪১ C থেকে -১৯৬ C তাপমাত্রা নিয়ে আসা হয়। এই সময একটি সুঁচের প্রান্তদ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয়। তাপমাত্রার অত্যাধিক হ্রাসের ফলে কোষের পানি জমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরিণত হয়। বরফপিন্ডের ভেতরে টিউমার টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ –196 °C তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়। এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভেতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০ C-৪০ C এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।
উত্তরঃ
সাজ্জাদ সাহেবের গবেষণায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির সাহায্যে রিকম্বিনেট DNA ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ভ্যাকসিন, হরমোন, ইন্টারফেরন, অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি প্রভৃতি উৎপাদন করা হচ্ছে।
প্রকৃতিতে বিদ্যমান ইনসুলিনের পরিমাণ কম হওয়ায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের জিনকে ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে ইনসুলিন উৎপাদন করা হয। যা ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। ইনসুলিনের মতো ইন্টারফেরন উৎপাদনেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারফেরন হলো এক ধরনের উচ্চ আণবিক ওজন সম্পন্ন প্রোটিন যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ইন্টারফেরন তৈরির ফলে খুব সহজেই হেপাটাইটিস-B ও জলাতঙ্কের মতো জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এছাডাও হৃদরোগ চিকিৎসা শল্যচিকিৎসা, রক্ত সংবহন জটিলতা সহ নানা জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার ওষুধ তৈরিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অবদান রয়েছে।
Question 14- (কুমিল্লা বোর্ড -২০২৩)
ডা. ইফাদ অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করেন। তার চেম্বারের প্রবেশ পথে প্রথম দরজায় আঙ্গুল এবং দ্বিতীয় দরজায় সম্পূর্ণ হাত একটি মেশিনের উপর রাখতে হয়।
উত্তরঃ
ন্যানো টেকনোলজি বা ন্যানোপ্রযুক্তি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে অনেক যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে যা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের বিকল্প হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনই একটি যন্ত্র হলো রোবট, যা অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র। কারখানায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের মধ্যে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রোগ্রাম করা থাকে। বিভিন্ন স্ক্যানার, সেন্সর ও ক্যামেরার ব্যবহার করে রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না।
উত্তরঃ
ডাঃ ইফাদের চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া।
ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে -৪১°C থেকে -১৯৬°C তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় একটি সুচের প্রান্তদ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয। তাপমাত্রার অত্যধিক হ্রাসের ফলে কোষের পানিজমাটবদ্ধ হয় ঐ টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরিণত হয়। বরফপিন্ডের ভেতরে টিউমার টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায। কারণ -১৯৬°C. তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভর নয়। এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভেতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০°C-৪০°C এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায় ।
উত্তরঃ
ডাঃ সাহেবের চেম্বারে প্রবেশ পথে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলো হলো বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথম দরজায় আঙুলের ছাপ এবং দ্বিতীয় দরজায় সম্পূর্ণ হাতের ছাপ ব্যবহৃত হয়েছে। আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে পূর্বে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপের টেম্পলেটের সাথে ম্যাচ করে কোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। অপরদিকে হাতের ছাপ বা রেখা পদ্ধতিতে হাতের আকার পুরুত্ব হাতের বিন্যাস ও আঙুলের দৈর্ঘ্য বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
আঙুলের ছাপ ও হাতের ছাপ প্রযুক্তি দুটির মধ্যে আমাদের দেশে আঙুলের ছাপ প্রযুক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ কায়িক পরিশ্রম করে এমন মানুষ বা হাতে কিছু লেগে থাকলে হাতের রেখা পদ্ধতি কার্যকর নাও হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং সারাজীবন ধরে অপরিবর্তিত থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট এতোটাই স্বতন্ত্র যে দুটি যমজ শিশু একই ডিএনএ প্রোফাইল নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মানুষের আঙুলের ছাপ মেশিনে ধারণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙুলের নিচের অংশে ত্বকে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে মিলে গেলে অ্যাকসেস প্রদান করে। এ পদ্ধতিতে সফলতার পরিমাণও বেশি। এ সব কারণে আমাদের দেশে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিই বহুল ব্যবহৃত। হাতের ছাপ পদ্ধতিতেও একইভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলেও এর সফলতার হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এর ব্যবহার কম।
Question 15- (যশোর বোর্ড -২০২৩)
ডাঃ রাজিব মেডিকেল কলেজের ব্যবহারিক ক্লাসে রোগী ছাড়াই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে হার্টের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তিনি লং টেনিস খেলতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন অন্যান্য বলের তুলনায় এ বলের স্থায়িত্ব অনেক বেশি।
উত্তরঃ
ক্রায়োসার্জারিতে রোগাক্রান্ত স্থানে ক্রায়োজনিক গ্যাস প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত অত্যন্ত সূক্ষ্ম সুচযুক্ত নলকে ক্রায়োপ্রোব বলে।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে অনেক যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে যা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের বিকল্প হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনই একটি যন্ত্র হলো রোবট, যা অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র। কারখানায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের মধ্যে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রোগ্রাম করা থাকে। বিভিন্ন স্ক্যানার, সেন্সর ও ক্যামেরার ব্যবহার করে রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বলটি তৈরির প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোপ্রযুক্তি। ন্যানোপ্রযুক্তি হচ্ছে পারমাণবিক বা আণবিকমাত্রার কার্যক্ষম প্রকৌশল শাস্ত্র যা কোনো ডিভাইস বা সিস্টেমের কাজ এবং আরও অধিক উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত। এটি পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান। একটি উপাদানের গোড়ার দিকের আবিষ্কার থেকে বর্তমানে উন্নয়নকৃত পদ্ধতি এবং সামগ্রী ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্য বা উপাদান তৈরির জন্য ন্যানোপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। ন্যানো প্রযুক্তি মাধ্যমে অণুর গঠন দেখা সম্ভব। এর একটি উদাহরণ হল STM (Scanning Tunneling Microscope)। ১৯৮০ সনে IBM এর গবেষকরা প্রথম STM আবিষ্কার করেন। যা দিয়ে অণুর গঠন পর্যন্ত দেখা সম্ভব। এ যন্ত্রটির আবিষ্কারই ন্যানো প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে।
উত্তরঃ
ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। দক্ষ জনবল তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভূমিকা নিম্নরূপ:
যানবাহন চালানো ও প্রশিক্ষণ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সবচেয়ে বাস্তবমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে ফ্লাইট সিমুলেটরে যেখানে বৈমানিকরা বাস্তবে আসল বিমান উড্ডয়নের পূর্বেই বিমান পরিচালনার বাস্তবে জগৎকে অনুধাবন করে থাকেন। এ ছাডাও মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সিমুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে-সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবে ন্যায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন-শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষয়গুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিমুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে: চিকিৎসাবিজ্ঞানের সুবৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার ব্যাপক। জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ নবীন শল্য
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহৃত হয়।
সামরিক প্রশিক্ষণ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি করে সৈনিকদেরকে উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়। ‘সত্যিকারের যুদ্ধকালীন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সৈনিকেরা তাদের সঠিক করণীয় সম্পর্কে আগেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ব্যবসা বাণিজ্যে: উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বাস্তবের ন্যায় ত্রিমাত্রিক সিমুলেটেড পরিবেশ সৃষ্টি করে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
Question 16- (চট্টগ্রাম বোর্ড -২০২৩)
দৃশ্যকল্প-১ : সাম্প্রতিককালে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীতে বসেই কৃত্রিম পরিবেশে চন্দ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব হচ্ছে।
দৃশ্যকল্প-২ : কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
উত্তরঃ
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়।
উত্তরঃ
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যকিক্ত শনাক্তকরণ সম্ভব। ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানে বায়োমেিিট্রক্সকে ব্যক্তি শনাক্তকরণ এবং কোন সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক্স ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের কোন প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তাকে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের একটি দল হতে কাউকে আলাদাভাবে শনাক্ত করার কাজেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। দক্ষ জনবল তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভূমিকা নিম্নরূপ:
যানবাহন চালানো ও প্রশিক্ষণ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সবচেয়ে বাস্তবমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে ফ্লাইট সিমুলেটরে যেখানে বৈমানিকরা বাস্তবে আসল বিমান উড্ডয়নের পূর্বেই বিমান পরিচালনার বাস্তবে জগৎকে অনুধাবন করে থাকেন। এ ছাডাও মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সিমুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে-সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবে ন্যায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন-শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষয়গুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিমুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে: চিকিৎসাবিজ্ঞানের সুবৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার ব্যাপক। জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ নবীন শল্য
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহৃত হয়।
সামরিক প্রশিক্ষণ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি করে সৈনিকদেরকে উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়। ‘সত্যিকারের যুদ্ধকালীন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সৈনিকেরা তাদের সঠিক করণীয় সম্পর্কে আগেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ব্যবসা বাণিজ্যে: উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বাস্তবের ন্যায় ত্রিমাত্রিক সিমুলেটেড পরিবেশ সৃষ্টি করে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এর প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোনো জীবের নিনোমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। আমাদের দেশে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন: সোয়াবিন, পাট, ভুট্ট্রা, তুলা, তৈল বীজ, টমেটো, পেঁপে ইত্যাদির জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকা-মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদনাশক ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করেন। যার ফলে উচ্চ ফলনশীল, দীর্ঘস্থায়ী ও ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য সম্ভব হয়েছে। একইভাবে, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রিকম্বিনেট DNA এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির সাহায্যে রিকম্বিনেট DNA ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন, হরমোন, ইন্টারফেরন, অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি প্রভৃতি উৎপাদন করা হচ্ছে। অন্যদিকে রোগ শনাক্তকরণ ও জিন থেরাপির মাধ্যমে সুস্থ-সবল শিশুর জন্মদানে এ প্রযুক্তি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। রিকম্বিনেট DNA ব্যবহার করে উদ্ভিদে আগাছানাশক প্রতিরোধী জিন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উদ্ভিদকে আগাছানাশক প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া, চত্রাক ও নানা রকম কীটপতঙ্গ জাত উদ্ভাবনে এ গবেষণা সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। এমনকি বর্তমানে রিকম্বিনেট DNA এর ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন অনুজীব সৃষ্টি করা হচ্ছে যা বিভিন্ন বর্জ্য পয়ঃনিষ্কাশন, শিল্প বর্জ্য, তেল ইত্যাদি পরিশোধনের মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের অনেক বায়ু ও পানিঘটিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমেছে।
সুতরাং, দীর্ঘস্থায়ী, ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল শস্য উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ওষুধ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ ভূমিক পালন করছে।
Question 17- (বরিশাল বোর্ড -২০২৩)
ডাঃ ‘ক’ চিকিৎসায় ক্রায়োজেনিক এজেন্ট ব্যবহার করে নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর ওটিতে প্রবেশের জন্য একটি ডিভাইসে আঙুল স্পর্শ করান। অন্যদিকে গবেষক ‘খ’ তাঁর কক্ষে প্রবেশ করার জন্য কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন।
উত্তরঃ
যে বাসস্থানের মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোলিং পদ্ধতিতে নিজ ঘরে বসেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, কক্ষের তাপমাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধি করা, লাইটিং সিস্টেম কন্ট্রোলসহ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, দূরবর্তী দেশের বন্ধু বান্ধব এর সাথে সামনাসামনি কথোপকথন ইত্যাদি সুবিধাসমূহ পাওয়া যায় তাকে স্মার্ট হোম বলে।
উত্তরঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে টেলিমেডিসিন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সম্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়। টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে এক দেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাব সেবা গ্রহণ করা যায়। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের নাগরিকগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারেন। ফলে দূরবর্তী অঞ্চলের নাগরিকগণ জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না এসেও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ ‘ক’ এর ওটিতে প্রবেশের প্রযুক্তিটি হলো ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং গবেষক ‘খ’ এর কক্ষে প্রবেশ করার প্রযুক্তিটি হলো ভয়েস রিকোগনিশন প্রযুক্তি এ দুটি বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি উত্তম। কারণ নিম্নে বিশ্লেষণ করা হলো:
ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তিতে মানুষের আঙুলের ছাপ বা টিপসইকে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারের সাহায্যে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ বা টিপসইয়ের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনধিকার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ তুলনামূলক কম হয় এভং সফলতার পরিমাণ প্রায় শতভাগ।
অপরদিকে, ভয়ে রিকোগনিশন পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারীর কন্ঠকে ডেটাবেজে সংরক্ষিত ভয়েস ডেটা ফাইলের সাথে তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রথমে সকল ব্যবহাকারীর কন্ঠকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্তর করে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করতে হয়। বড় ধরণের প্রতিষ্ঠানে টাইম এবং উপস্থিতি নির্ণয়ে ভয়েস রিকোগনিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে অসুস্থ্যতাজনিত কারণ যেমন- ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ইত্যাদির কারণে কোনো ব্যবহারকারীর কন্ঠ পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রে অনেক সময় সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না।
Question 18- (বরিশাল বোর্ড -২০২৩)
মি. এক্স গবেষণা করার উদ্দেশ্যে ‘ক’ দেশে পৌঁছে বিমান থেকে নেমে ড্রাইভারবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চড়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে এমন একটি বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়, যার সব কিছুই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
উত্তরঃ
বর্তমান বিশে^র প্রায় সকল দেশের মধ্যে বিস্তৃত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনকে ই-কমার্স (E-Commerce) বলে।
উত্তরঃ
ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্যোৎপাদন সম্ভব হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই এবং আকারে সুক্ষ্ম, ছোট ও হালকা হয়। ন্যানোপ্রযুক্তির সাহায্যে ভবিষ্যতে স্মার্ট ওষুধের মাধ্যমে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ন্যানো রোবট, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিশ^ব্যাপী বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকরী ও সস্তায় শক্তি উৎপাদনসহ পানি ও বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে গবেষকগণ আশাাবদী। এজন্যই আগামী বিশ^ হবে ন্যানোটেকনোলজি বিশ^।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত গাড়িটি তৈরি করার প্রযুক্তি হলো রোবটিক্স।
টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোটিক্স বলা হয়।
ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরিতে রোবট ব্যবহৃত হয়। কারণ এসব ক্ষুদ্র যন্ত্র হাতে তৈরী করলে সঠিক নাও হতে পারে।
“রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা; যা মানুষ যেভাবে কাজ করে তা সেভাবে কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরণ দেখে মনে হবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে।”
রোবটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হয়। কম্পিউটার রোবটের সকল কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। সকল রোবটের কাজের ধারা পূর্ব থেকে ঠিক করে দেওয়া থাকে। রোবট শুধুমাত্র তাকে নির্দেশিত কাজের ধারা অনুযায়ী সাড়া দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে নির্দেশনা রোবটের মেমোরিতে তৈরি করে দিতে হয়। রোবট অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন ও নিখুঁত কর্মক্ষম একটি যন্ত্র। এটা একটি স্বনিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার পদ্ধতি।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বাড়িটি হলো আধুনিক বাসস্থান বা স্মাট হোম। নিম্নে সাধারণ বাড়ির তুলনায় আধুনিক বাড়ি বা স্মার্ট হোমের জনপ্রিয়তা ব্যাখ্যা করা হলো:
সাধারণ বাড়ি বা বাসস্থান বলতে আমরা বুঝি যেখানে মানুষ বাস করে। সাধারণ বাস্থানে প্রয়োজনের সকল সুবিধা (যেমন: লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি) বিদ্যমান থাকে। কিন্তু সেগুলো পরিচালনার জন্য ব্যবহাকারীকে নিজ হাতে পাওয়ার সুইচ অন অথবা অফ করতে হয়। অপরদিকে স্মার্ট হোম হলো এমন একটি বাসস্থান যেখানে হোম অটোমেশন সিস্টেম (Home Automation System) এর মাধ্যমে নিজের ঘরে অথবা দূরবর্তী কোথাও বসে লাইট, ফ্যান কন্ট্রোল সহ হোম সিকিউরিটির মতো সব ধরনের ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা পাওয় যায়। স্মার্ট হোম বা আধুনিক বাসস্থানের প্রতিটি ডিভাইস ( যেমন: টেলিভিশন, সাউন্ড সিস্টেম, লাইন, ফ্যান, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর, ফায়ার সিস্টেম, শাওয়ার সিস্টেম ইত্যাদি) একটি কেন্দ্রীয় কন্টোলিং ডিভাইসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা হয়। স্মার্ট হোম হলো এক ধরনের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পয়েন্টের মতো, যেখানে বসবাসের জন্য সব উপযোজন পাওয়া যায়। বাসস্থানের সর্বাধিক সিকিউরিটির পাশাপাশি বাসস্থানে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকলে স্মার্ট হোম তার জন্য সত্যিকারে সহায়তা হতে পারে। কেননা, কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে দরজা, জানালা খোলা বা বন্ধ করা লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার, টেলিভিশন চালু কিংবা বন্ধ করা ইত্যাদি কাজ তখন সহজেই করা সম্ভব হয়ে যায়। এসকল সুযোগ সুবিধার কারনে সাধারণ বাড়ির তুলনায় স্মার্ট বাড়ির জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Question 19- (সিলেট বোর্ড -২০২৩)
রাহবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। সে তার এক বিদেশি বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারল যে, সেদেশে কিছু গাড়ি রয়েছে যেগুলো চলাচলে চালকের প্রয়োজন হয় না এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তায় চলাচলে সক্ষম। রাহবার তার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় আঙুলের ছাপ দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করে দেখল যে, ক্যাম্পাসের একটি নির্দিষ্ট কক্ষে একদল শিক্ষার্থী ক্যান্সারের উপর গবেষণা করছে।
উত্তরঃ
ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগের আক্রান্ত স্থান ও রোগের ধরণানুযায়ী নির্দিস্ট শীতলতায় পৌছানোর জন্য যেসকল তরল গ্যাস ব্যবহৃত হয়। তাদেরকে ক্রয়োজনিক এজেন্ট বলা হয়। ক্রায়োজনিক এজেন্ট হিসেবে তরল নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন-ডাই অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসসমূহ ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
সিুমলেটর ও মডেলিং সফওয়্যারের মাধ্যমে কাল্পনিক ত্রিমাত্রিক পরিবেশ অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রে তৈরি করে সৈনিকদের উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়। এ ছাড়াও মোটরগাড়ি, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সিমুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে মোটরগাড়ী, জাহাজ বা বিমান চালানোর নানা নিয়ম-কানুন আয়ত্ত করতে পারে এবং বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ অর্জন করতে পারে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত গাড়ি চলাচলে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো রোবটিক্স।
টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোটিক্স বলা হয়।
ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরিতে রোবট ব্যবহৃত হয়। কারণ এসব ক্ষুদ্র যন্ত্র হাতে তৈরী করলে সঠিক নাও হতে পারে।
“রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা; যা মানুষ যেভাবে কাজ করে তা সেভাবে কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরণ দেখে মনে হবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে।”
রোবটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হয়। কম্পিউটার রোবটের সকল কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। সকল রোবটের কাজের ধারা পূর্ব থেকে ঠিক করে দেওয়া থাকে। রোবট শুধুমাত্র তাকে নির্দেশিত কাজের ধারা ানুযায়ী সাড়া দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে নির্দেশনা রোবটের মেমরিতে তৈরি করে দিতে হয়। রোবট অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন ও নিখুঁত কর্মক্ষম একটি যন্ত্র। এটা একটি স্বনিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার পদ্ধতি।
রোবটের সাহায্যে ড্রাইভারবিহীন গাড়িতে যাতায়াতের জন্য রোবটের মধ্যে ড্রাইভিং এর নানা নিয়ম কানুন ( যেমন: ট্রাফিক সিগন্যাল, সড়ক চিহ্ন, স্পিড লিমিটি, ওভারটেকিং, পার্কিং/নো পার্কিং এলাকা ইত্যাদি) প্রোগ্রাম করা হয়। গাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্ক্যানার এবং সেন্সর ব্যবহার করে রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে গাড়ি চালাতে পারে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোন কিছু করতে হয় না।
উত্তরঃ
বিশ^বিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ পদ্ধতি এবং গবেষণার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি। শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতির একটি কৌশল হলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট। আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো কোনো ব্যক্তিকে যথাযথবাবে শনাক্ত করার জন্য উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপকে শনাক্তকারী একক হিসেবে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতেই আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের (ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার) সাহায্যে ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙুল রাখে তখন যে আঙুলের ছাপের ছবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেজে রক্ষিত ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তুলনামূলকভাবে কমদামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোনো জীবের জিনোমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেনেটিক মডিফিকেশন বলে। জিনোম হলো কোন জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের তথ্য। জিনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও অনুজীব থেকে তৈরি হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধপত্র। জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের ( যেমন: হাঁপানি, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হলো রিকম্বিনেট ডিএনএ তৈরি করা যা দিয়ে প্রয়োজন মতো ও পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ মানব ইনসুলিন ও মানুষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন উৎপাদন করতে সক্ষম।
Question 20- (দিনাজপুর বোর্ড -২০২৩)
একজন যন্ত্র প্রকৌশলী বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি মেমরি ডিভাইস তৈরি করেছেন যা আকারে ছোট কিন্তু তথ্য ধারণ ক্ষমতা বেশি। তিনি ডিভাইসটি উন্নত করার জন্য আরও একটি বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে কাল্পনিক ত্রি-মাত্রিক মডেল তৈরি করলেন।
উত্তরঃ
বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়।
উত্তরঃ
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বছর আমের ফলন সম্ভব। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির রিকম্বিনেট ডিএনএ এর মাধ্যমে যেসব জিন পুষ্টির বাহক, ফলবর্ধক সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং সারাবছর ফলনশীল সেসব জিনকে বিভিন্ন নিকটবর্তী বা দূরবর্তী যেকোনো উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করে আমের চারায় ঢুকিয়ে দিয়ে সারা বছর আমের আশতীত ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত মেমরি ডিভাইস তৈরির প্রযুক্তিি ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো টেকনোলজি বা ন্যানো প্রযুক্তি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার প্রযুক্তির সাথে ন্যানো টেকনোলজির একটি নিবিড় সম্পর্ক বিরাজ করছে। কারণ কম্পিউটারের অভ্যন্তরে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ন্যানোমিটার স্কেলের সার্কিট দ্বারা মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি হচ্ছে। বর্তমান মেমরিতেও ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে কম্পিউটারের মেমরির তথ্য সংরক্ষণের ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য এখন বাজারে টেরাবাইট সাইজের মেমরি ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইসটি উন্নত করার প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে কৃত্রিম বাস্তবতা। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রম পরিবেশ যা বাস্তব মনে হয়। গবেষণা কার্যক্রমে জটিল ও কঠিন বিষয়গুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিমুলেশন ও মডেলিং করে গবেষকদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইসটি উন্নত করার জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে ডিভাইসটির ত্রি-মাসিক মডেল তৈরি করা হয়। ফলে যন্ত্র প্রকৌশলী ডিভাইসটি উন্নত করার জটিল কাজগুলো বাস্তবের ন্যায় ত্রিমাত্রিক কাল্পনিক পরবেশে সম্পন্ন করতে পারে। এর ফলে বাস্তবে ডিভাইসটি উন্নয়নের সময় যেসকল সমস্যা হতে পারে তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং সেগলো এড়িয়ে খুব সহজেই সঠিকভাবে ডিভাইসটি উন্নয়ন করতে পারবে।
অর্থাৎ, গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন ইত্যাদি যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব। সুতরাং, মেমরি ডিভাইসটি উন্নত করার কাজে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের যথার্থতা রয়েছে।
Question 21- (দিনাজপুর বোর্ড -২০২৩)
একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিতির সময় একটি যন্ত্রের উপর আঙুল রেখে উপস্থিতি নিশ্চিত করে। উক্ত কলেজের ওঈঞ ল্যাবে প্রবেশের সময় বিশেষ যন্ত্রের দিকে তাকানোর ফলে দরজা খুলে যায়।
উত্তরঃ
Html ডকুমেন্টে ওপেনিং বা গুরুর ট্যাগ থেকে আরম্ভ করে ক্লোজিং বা শেষ ট্যাগ পর্যন্ত সকল কিছুকে Html এলিমেন্ট বলে।
উত্তরঃ
<Anchor> <a> ট্যাগ ব্যবহার করা হয় ইন্টারনার বা এক্সটারনাল হাইপারলিংক করার জন্য। অ্যাংকর দ্বারা যেমন নৌকাকে বেঁধে রাখা হয় তেমনি <ধ> দ্বারা এক পেজের সাথে অন্য পেজের লিংক করা যায়। যেমন: <ahref=” http://www.google. com”> Google</a>
উত্তরঃ
উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির প্রযুক্তিটি হলো ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের রেখা শনাক্তকরণ পদ্ধতি। মানুষের আঙুলের ছাপ বা টিপসই অদ্বিতীয় অর্থাৎ একজন মানুষের আঙুলের ছাপ বা টিপসই অন্য কোনো মানুষের আঙুলের ছাপের বা টিপসইয়ের সাথে মিলবে না। ফিংগার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙুলের ছাপ বা টিপসই ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ বা টিপসইয়ের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফিংগার প্রিন্ট বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পূর্বেই ব্যবহারকারীর আঙুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষণ করতে হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙুলের নীচের অংশের ত্বককে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে শনাক্তকরন করে থাকে। রিডার ত্বকের টিস্যু এবং ত¦কের নীচের রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে কাজ করে
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রযুক্তি দুটি হলো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যানিং দ¦ারা ব্যক্তি শনাক্তকরণ। প্রযুক্তি দুইটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত প্রযুক্তি অধিক নির্ভরযোগ্য। কøাসে উপস্থিতির জন্য ফিংগার প্রিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের দাম কম তাই এই পদ্ধতি ব্যবহারের খরচ তুলনামূলক কম কিন্তু সফলতার হার প্রায় শতভাগ। কারণ প্রত্যেক মানুষের ফিংগার প্রিন্ট সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং সারা জীবন অপরিবর্তিত থাকে।
অপরদিকে ICT ল্যাবে প্রবেশের জন্য আইরিশ এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল । তুলনামূলকভাবে বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়। চোখের চশমা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ করা যায় না ফলে ডিভাইস ব্যবহার করার সময় চশমা খোলার প্রয়োজন হয়। অনেকে মনে করেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে চোখের ক্ষতিও হয়। ক্যামেরার সামনে আলোর পর্যাপ্ততার উপরও শনাক্তকরণ নির্ভরশীল।
Question 22- (ময়মনসিংহ বোর্ড -২০২৩)
হিমেল ড্রাইল্যাব জৈবসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিল। একদিন তার বন্ধু তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে তারা মহাশূন্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করল।
উত্তরঃ
টেকনোলজি যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।
উত্তরঃ
আচরণের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণ পদ্ধতি হলো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি একটি মাধ্যমে যেখানে কোনো ব্যক্তির আচরণগত বৈশিষ্ট্যের যেমন: (কণ্ঠস্ব, হাতের স্বাক্ষর এবং কী-বোর্ড টাইপিং) উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা হয়। কোনো ব্যক্তির আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলো ইনপুট ডেটা হিসেবে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। যেমন: কণ্ঠস্বর শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরকে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ধারণাপূর্বক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে- ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্তর করে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে সংরক্ষিত কণ্ঠস্বর আচরণিক ডেটার সাথে মিলিয়ে ব্যক্তি শনাক্তকরণের কাজ সমপন্ন করা হয়।
উত্তরঃ
হিমেল ড্রাইল্যাবে জৈব সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি সহায়তা নিচ্ছে। কম্পিউটার সফটওয়্যার ও পরিসংখ্যানগত কৌশল ব্যবহার করে জৈব ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জৈবগবেষণায ব্যবহৃত একটি উন্নত পদ্ধতিকে বলে বায়োইনফরমেটিক্স। এতে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা (আণবিক পর্যায়সহ) ও সমস্যাদি উদঘাটনের জন্য ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসাযন ও জৈব রসাযন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগক্ষেত্র হলো নিম্নরূপ:
মূলত জৈবিক পদ্ধতি বিশ্লেষণ সম্পর্কে সম্যক এবং সঠিক ধারণা অর্জন করার ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয। আর এই জৈবিক তথ্য হিসাব-নিকাশ এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারও অপরিহার্য। তবে জিনোম সিকোয়েন্সে, প্রোটিন সিকোয়েন্সইত্যাদি গঠন উপাদানের ইলেকট্রনিক ডেটাবেজ গঠনে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয। এছাডাও মলিকুলার মেডিসিন, জিনথেরাপি, ওষুধ তৈরিতে, বর্জ্য পরিষ্কারকরণে, জলবাযু পরিবর্তন গবেষণায়, বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধানে, জীবাণু অস্ত্রতৈরিতে, ডিএনএ ম্যাপিং ও অ্যানালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং, প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণে বায়োইনফরমেটিক্সব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
হিমেল ও তার বন্ধুর একটি কক্ষে অবস্থান করে মহাশূন্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতালাভে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভার্চুযাল রিযিেলটির আশ্রয়নেয়া হযেেছ। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তুবাস্তবেরচেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভূমিকা নিম্নেদেওযা হলো:
বিনোদন ক্ষেত্রে: নানা ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হওযার সুযোগ পেয়েছে। ত্রিমাত্রিক পদ্ধতিতে নির্মিত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নির্ভর কল্পকাহিনি, পৌরাণিক কাহিনি, কার্টুন, ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ইত্যাদি মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
যানবাহন চালানো ও প্রশিক্ষণ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সবচেয়েবাস্তবমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে ফ্লাইট সিমুলেটরে যেখানে বৈমানিকরা বাস্তবে আসল বিমান উড্ডয়নের পূর্বেই বিমান পরিচালনার বাস্তব জগৎকে অনুধাবন করে থাকেন। এ ছাডাও মোটর গাড়ি ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্টসিমুলেটরও মডেলিংসফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ-সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে ।
শিক্ষা ও গবেষণায: শিখন-শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষযগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিমুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায । গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয়সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশেসিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে: চিকিৎসাবিজ্ঞানের সুবৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার ব্যাপক। জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ নবীন শল্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুযাল রিযিেলটি ব্যবহৃত হয ।
ব্যবসা বাণিজ্যে: উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যাযন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
Question 23- (ঢাকা বোর্ড -২০১৯)
মিঃ মোকলেছ সাহেব পেশায় মৎস্যবিদ। দেশে মাছের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করেন। তার অফিসে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনে আঙুলের ছাপ দিলে দরজা খুলে যায়। অতঃপর তার কক্ষে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনের দিকে তাকালে দরজা খুলে যায়।
উত্তরঃ
টেকনোলজি যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।
উত্তরঃ
প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির । ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়ী চালানোর সাহস অর্জন করে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে। বাংলাদেশ পুলিশের মহিলা পুলিশদেরকে ড্রাইভিং শেখানোর জন্য ভার্চুয়াল কার ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে অফিসে প্রবেশ ও কক্ষে প্রবেশের জন্য কৌশল দুটির মধ্যে কৌশল দুটির মধ্যে অফিস প্রবেশের কৌশল বেশি সুবিধাজনক। অফিসে প্রবেশের জন্য ফিংগার প্রিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের দাম কম তাই এই পদ্ধতি ব্যবহারের খরচ তুলনামূলক কম কিন্তু সফলতার হার প্রায় শতভাগ। কারণ প্রত্যেক মানুষের ফিংগার প্রিন্ট সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং সারা জীবন অপরিবর্তিত থাকে । অপরদিকে কক্ষে প্রবেশের জন্য আইরিশ এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েেেছ। এই পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যযবহুল। তুলনামূলকভাবে বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়। চোখের চশমা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ করা যায না ফলে ডিভাইস ব্যবহার করার সময় চশমা খোলার প্রয়োজন হয়। অনেকে মনে করেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে চোখের ক্ষতিও হয়। ক্যামেরার সামনে আলোর পর্যাপ্ততার উপর ও শনাক্তকরণ নির্ভরশীল।
Question 24- (রাজশাহী বোর্ড -২০১৯)
বাংলাদেশের রাজধানীর অদূরে তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগে একটি বিশ্বমানের শিল্প কারখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে অ্যাকচুয়েটর এর সাহায্যে দক্ষ হাতে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করার মাধ্যমে দেশকে উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের দক্ষ প্রোগ্রামারগণ সিমুলেটেড পরিবেশ স্থাপন করে ঘরে বসে দর্শনার্থীদের শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখার ব্যবস্থা করবেন|
উত্তরঃ
অনুমতি ব্যতীত কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা অথবা কোনো কম্পিউটারকে মোহচ্ছন্ন করে তার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াকে হ্যাকিং বলে।
উত্তরঃ
বিশ্বগ্রাম এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষ একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে। তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির বিস্তৃত ব্যবহার ছাডা বিশ্বগ্রাম কল্পনা করা যায না। তাই বলা যায তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম।
উত্তরঃ
শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো রোবটিক্স। রোবটিক্স হলো রোবট টেকনোলজির একটি শাখা যেখানে রোবটের গঠন, কাজ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয। কম্পিউটার নিযন্ত্রিত যন্ত্রসমূহের ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞানই হলো রোবটিক্স। একটি রোবটের সাধারণত নিচের উপাদানগুলো থাকে-
প্রোগ্রামকৃত মস্তিক বা প্রসেসর: রোবটের মধ্যে এক বা একাধিক প্রসেসর থাকে যাতে রোবটকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার একটি প্রোগ্রাম সংরক্ষিত থাকে। এটি রোবটের মূল অংশ যা রোবটের চলাচল ও কর্মকান্ড সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে।
পাওযার সিস্টেম: সাধারণত লেড এসিড ব্যাটারী দিয়ে রোবটের পাওযার দেওযা হয়। এই ব্যাটারী রিচার্জেবল অর্থাৎ এতে পুনরায চার্জ করা যায় ।
অ্যাকচুয়েটর (Actuator): রোবটের হাত-পা অথবা বিশেষ ভাবে তৈরি কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গের নড়াচডা করার জন্য কতগুলো বৈদ্যুতিক মটরের সম্বন্বয়ে তৈরি বিশেষ ব্যবস্থা হলো অ্যাকচুয়েটর।
অনুভূতি (Feelings): সেন্সরের মাধ্যমে রোবটেও মানুষের মত অনুভূতি তৈরি করা হয়। কাজেই অনুভূতি রোবটের একটি বিশেষ উপাদান। রোবটের হাত বা পা কোন একটি জায়গায় স্পর্শ করলে সেই জায়গা সম্পর্কে যাবতীয তথ্য নেওযার ক্ষমতা থাকবে। মানুষের চোখের ন্যায় রোবটের ক্যামেরা দিয়ে সামনের বা পিছনের দৃশ্য নেওযা হয। কাজের প্রয়োজনে রোবটকে ৩৬০ডিগ্রি কোণে ঘুরানো যেতে পারে।
ম্যানিপুলেশন বা পরিবর্তন করা (Manupulation): রোবটের আশেপাশের বস্তুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন বা বস্তুটি পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ম্যানিপুলেশন। সাধারণত রোবটের হাত-পা এই পরিবর্তনের যাবতীয কাজ করে থাকে।
উত্তরঃ
প্রোগ্রামারদের তৈরি প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিযেলিটি। ভার্চুয়াল রিযেলিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে কৃত্রিম বাস্তবতা। ভার্চুয়াল রিযেলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ যা বাস্তব মনে হয়।
উদ্দীপকে ইতিহাস রক্ষার জন্য ভার্চুয়াল রিযেলিটি মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে উক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয। ফলে একজন দর্শক সেটি জীবন্তভাবে দেখতে ও বুঝতে পারে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য জাদুঘরে ভার্চুয়াল রিযেলিটি এর প্রযােগ হচ্ছে, ফলে আগত দর্শনার্থীরা তা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন ও বিভিন্ন বিষয সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করছেন। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয ভার্চুয়াল রিযেলিটি এর মাধ্যমে উপস্থাপনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে।’
Question 25- (কুমিল্লা বোর্ড -২০১৯)
চিপস্ সবার খুবই প্রিয়। চিপস্ প্যাকেটজাতকরণের সময় একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চিপস্ কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রবেশের পথে আঙুলের ছাপ দেয়ার জন্য একটি ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে।
উত্তরঃ
টেকনোলজি যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।
উত্তরঃ
প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিযম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিযে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়িচালানোর সাহস অর্জন করার মাধ্যমে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে কারখানায় ব্যবহৃত ডিভাইসটির প্রযুক্তিটি হলো ফিংগার প্রিন্ট রিডার। মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসই অদ্বিতীয অর্থাৎ একজন মানুষেরআঙ্গুলের ছাপ বা টিপসই অন্য কোনো মানুষের আঙ্গুলের ছাপের বা টিপসইয়ের সাথে মিলবে না। ফিংগার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইকে ইনপুট হিসাবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইয়েরে সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফিংগার প্রিন্ট বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পূর্বেই ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষণ করতে হয। পরবর্তীতে এই রিডার আঙ্গুলের নীচের অংশের ত্বককে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে শনাক্তকরণ করে থাকে। রিডারটি ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নীচের রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে কাজ করে ।
উত্তরঃ
Question 26- (যশোর বোর্ড -২০১৯)
সূর্য পড়াশুনা শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়। কয়েক বছরের মধ্যে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পরবর্তীতে তার এলাকার অনেকেই এ পথ অনুসরণ করে স্বাবলম্বী হয়। তার ভাই প্রতাপ বাড়িতে থেকে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে।
উত্তরঃ
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো সাহিত্য, গবেষণা বা সম্পাদনা কর্ম হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাই হল প্লেজিয়ারিজম
উত্তরঃ
বায়োইনফরম্যাটিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যা বায়োলজিক্যাল ডেটা এনালাইসিস করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে, ডেটা অন্তর্ভূক্ত করে ডি এন এ, অ্যামিনো এসিড এবং নিউক্লিক এসডিসহ অন্যান্য বিষয়কে। সাধারণত বায়োইনফরম্যাটিক্স ডাটাবেজে জিন ব্যাংক, নিউক্লিওটাইড, প্রোটিন সিকুয়েন্স ইত্যাদি বিষয় থাকে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রতাপের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের প্রক্রিয়া হলো: ই-লার্নিং। ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত ক্লাসরুমের বাইরে থেকে শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতিই হলো ই-লার্নিং। ই-লার্নিং দ্বারা যে কোন সময় যে কোনো স্থান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যায়। এটি একটি সাশ্রয়ী শিখন পদ্ধতি যেখানে সময়ও রক্ষা হয়। একজন কর্মজীবী ব্যক্তিও ই-লার্নিং দ্বারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। ই-লার্নিং এ শিখার মাধ্যমগুলো আরো বিস্তৃত হয়েছে। এ ব্যবস্থায় ছাত্র ভিডিও, স্লাইড শো, ডকুমেন্ট, পিডিএফ, সিমুলেশন ইত্যাদি মাধ্যমে কোনো বিষয়কে সহজেই বুঝতে পারে।
উত্তরঃ
সূর্যের কাজটি হলো-আউটিসোর্সিং। একটি হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিং এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠী এখন অর্থ উপার্জন করতে পারছে। আউটসোর্সিং এখন অনেকেরই পেশা হিসাবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর আউটসোর্সিং হতে কয়েখশ মিলিয়ন ডলার আয় করে। শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এই শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। কারো কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে সে যে কোন জায়গাতে বসেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি, লেখালেখি করা, কোন পণ্যের বাজার খুজেঁ দেওয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা, ডেটা বিশ্লেষণ করা ইত্যাদিসহ আরো অসংখ্য কাজ এই পদ্ধতিতে করা সম্ভব।
উন্নত বিশ^ আউটসোর্সিং এ অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশেও এই অনলাইন নির্ভর শিল্পটিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কয়েক কোটি লোক এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হবে। এতে করে বেকারত্ব ঘুচিয়ে দেশ আয় করবে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা, তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান
Question 27- (চট্টগ্রাম বোর্ড -২০১৯)
শফিক সাহেব তার গবেষণাগারে দিনাজপুরের ঐতিহ্য ধারণের লক্ষ্যে লিচু নিয়ে গবেষণা করে, তার ফলাফল সংরক্ষণ করেন। তিনি গবেষণাগারের প্রবেশমুখে এমন একটি যন্ত্র বসিয়েছেন যেটির দিকে নির্দিষ্ট সময় তাকালে অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন।
উত্তরঃ
যে বাসস্থানের মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোলিং পদ্ধতিতে নিজ ঘরে বসেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, কক্ষের তাপমাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধি করা, লাইটিং সিস্টেম কন্ট্রোলসহ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, দূরবর্তী দেশের বন্ধু বান্ধব এর সাথে সামনাসামনি কথোপকথন ইত্যাদি সুবিধাসমূহ পাওয়া যায় তাকে স্মার্ট হোম বলে।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
গবেষণাগারে প্রবেশমুখে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যানিং দ্বারা ব্যক্তি শনাক্তকরণ।
বায়োমেট্রিক প্রযুক্তিতে শনাক্তকরণের জন্য মানুষের চোখের আইরিসকে আদর্শ অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। একজন মানুষের চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশ অপর কোনো মানুষের চোখের আিিরশের প্যাটার্নের সাথে মিলবে না। এটি অদ্বিতীয়, স্থায়ী এবং দৃশ্যমান। আইরিশ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিডিওকে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। এই পদ্ধতিতেই চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ক্যামেরাসম্পন্ন ডিভাইসের সামনে দাঁড়াতে হয়। এতে প্রায় ১ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। এতে পূর্ব থেকে ধারণ করা চোখের আইরিশের প্যাটার্নের সাথে মিলিয়ে ব্যক্তি শনাক্তকরণ করা হয়।
উত্তরঃ
Question 28- (বরিশাল বোর্ড -২০১৯)
ডঃ খলিল দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অধিক ফসল উৎপাদনকারী বীজ আবিষ্কারের জন্য একটি প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যসমূহ তাঁর সহকারী অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটার থেকে নেয়ার চেষ্টা করে।
উত্তরঃ
বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা হয়।
উত্তরঃ
প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েরিটির মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়ি চালানোর সাহস অর্জন করে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
ড. খলিলের সহকারীর কর্মকান্ডটি হলো হ্যাকিং। কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, ডেটার উপর অননুমোদিতভাবে অধিকার (অপপবংং) লাভ করার উপায়কে হ্যাকিং বলে। এতে ব্যক্তির তথ্যের বা সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে জানানো দেয়া। যে সকল ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের কর্মে/অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাদের হ্যাকার বলে। হ্যাকিং একটি নৈতিকতা বর্হিভূত কাজ। কারণ কারো অনুমতি ব্যতীত তার কোনো তথ্য ব্যবহার করা বা সেগুলো দেখা নৈতিকতা বিরোধী। একে এক প্রকার চুরি বলা যায়। ডঃ খলিলের সহকারী তার কাছ থেকে কেনো প্রকার অনুমতি গ্রহণ করেন নি। বরঞ্চ অনুমতি ব্যতিত কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয়ার চেষ্টা করেছেন যা চরমভাবে নৈতিকতা পরিপন্থি। তাই বলা যায় উদ্দীপকে উল্লিখিত সহকারীর কাজ বেআইনী ও নৈতিকতা পরিপন্থী।
Question 29- (সিলেট বোর্ড -২০১৯)
ডাঃ নিলয় ব্রেইন ক্যান্সার নিরাময়ে শীতল আর্গন গ্যাস ব্যবহারের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে একটি সিমুলেটেড অপারেশন সম্পন্ন করেন।
উত্তরঃ
মানুষ যেভাবে চিন্তা ভাবনা করে, কৃত্তিম উপায়ে কম্পিউটারে সেভাবে চিন্তা ভাবনা করার সক্ষমতার রুপাদান করাকে artificial intellegence বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়।
উত্তরঃ
বায়োমেট্রিকের ক্ষেত্রে ব্যাক্তি সনাক্তকরণের অন্যতম একটি পন্থা হলো ব্যাক্তির আচরনগত বৈশিষ্ট দেখা। মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরনগত বৈশিষ্ট পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যাক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো বায়োমেট্রিক্স। আচরনগত বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছে- কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাইকরণ, হাতে করা স্বাক্ষর যাচাইকরণ এবং কন্ঠস্বর যাচাইকরণ। এসব বৈশিষ্টগুলোর সাহায্যে কোনো ব্যাক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা যায়।
উত্তরঃ
ডাঃ নিলয়ের চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্ববাভাবিক ও রোগাক্রান্ত টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। ক্রয়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে- ৪১প থেকে -১৯৬প তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় একটি সুচের প্রান্ত দ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয়। তাপমাত্রার অত্যধিক হ্রাসের ফলে কোষের পানিজমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরিণত হয়। বরফপিন্ডের ভেতরে টিউমার টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ -১৯৬ সে. তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়। এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভেতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০-৪০ সে. এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।
উত্তরঃ
ডাঃ নিলয়ের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভের পরিবেশটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এর বিভিন্ন প্রভাব নি¤œরূপ:
বিনোদন ক্ষেত্রে: নানা ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ত্রিমাত্রিক পদ্ধতিতে নির্মিত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নির্ভর কল্পকাহিনী, পৌরণিক কাহিনি, কার্টুন, ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ইত্যাদি মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাা পেয়েছে।
যানবাাহন চালানো ও প্রশিক্ষণ: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সবচেয়ে বাস্তবমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে ফ্লাইট সিমুলেটরে যেখানে বৈমানিকরা বাস্তবে আসল বিমান উড্ডয়নের পূর্বেই বিমান পরিচালনার বাস্তব জগৎকে অনুধাবন করে থাকেন। এ ছাড়াও মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সিমুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ-সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন-শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষয়গুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিমুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন যা কোনো অবস্থাতেই বাস্তবে অবলোকন সম্ভব নয় সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখা সম্ভব হচ্ছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে: চিকিৎসাবিজ্ঞানের সুবৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার ব্যাপক। জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ নবীন শল্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
সামরিক প্রশিক্ষণ: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি করে সৈনিকদেরকে উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়। সত্যিকারের যুদ্ধকালীন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সৈনিকেরা তাদের সঠিক করণীয় সম্পর্কে আগেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ব্যবসা বাণিজ্যে: উৎপাদিত কিংবা প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগত মান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কোনো বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারজাত করার আগে কোনো কর্মচারীর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ সেগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব হয়।
Question 30- (দিনাজপুর বোর্ড -২০১৯)
মিসেস পাপিয়ার কপালে একটি টিউমার দেখা দেওয়ায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সার্জারির জন্য ভর্তি হলেন। উক্ত হাসপাতালের ডাক্তারগণ আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। সার্জারি বিভাগের ডাক্তার তাকে অপারেশন পূর্ববর্তী বিভিন্ন টেস্ট দিলেন। টেস্টে পাপিয়ার অতিরিক্ত ব্লাড সুগার থাকায় ডাক্তার তাকে ইনসুলিন প্রয়োগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।
উত্তরঃ
বর্তমান বিশে^র প্রায় সকল দেশের মধ্যে বিস্তৃত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের মদ্যে লেনদেনকে ই-কমার্স (E-Commerce) বলে।
উত্তরঃ
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে এবং দ্রুত যোগাযোগের সুবিধার ফলে পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে। আমরা এখন অতি অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর কোথায় কী ঘটছে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারি। কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সহজলভ্যতা এবং ডিজিটাল কমিউনিকেশন সিস্টেমের অভূতপূর্ব উন্নতির কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে। প্রত্যেকের হাতেই এখন স্মার্টফোন পোঁছে গেছে। যা পুরো বিশ^কে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী ডাক্তাররা বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে হাসপাতালে প্রবেশ করে থাকেন। নিচে এ প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা করা হলো:
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি। শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতির একটি কৌশল হলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট। আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো কোনো ব্যক্তিকে যথাযথভাবে শনাক্ত করার জন্য উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপকে শনাক্তকারী একক হিসেবে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতেই আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার) সাহায্যে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙুল রাখে তখন যে আঙুলের ছাপের চবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেজে রক্ষিত ছবির সাতে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে মেশিনটির আঙুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের ওপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোমযাগনেটিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপচিত্র তৈরি করে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে বিশ^জুড়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তুলনামূলকভাবে কমদামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্র্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
মিসেস পাপিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ তৈরির প্রযুক্তি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি সময়োপযোগী আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। নতুন ফসল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রচলিত প্রজননের তুলনায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অধিক কার্যকর। কারণ প্রচলিত প্রজনন একই অথবা খুব নিকটবর্তী প্রজাতির মাঝে সীমাবদ্ধ, কিন্তু জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে নিকটবর্তী বা দূরবর্তী যেকোনো প্রজাতির মাঝে এক বা একাধিক জিন সরাসরি স্থানান্তর করা সম্ভব। প্রচলিত প্রজননে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। পক্ষান্তরে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাহায্যে অতিদ্রুত কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণী বা অনুজীব পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফসলের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ফলে অতিসহজে যেকোনো কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন আনা সম্ভব। ফলে ফসলে গুণগত মান বাড়িয়ে অধিক ফলনশীল রোগবিহীন সুস্বাস্থ্যকর ফসল পাওয়া সম্ভব। সুতরাং উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধ এবং কাঙ্খিত গুণাগুণ সম্পন্ন ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৃষি সম্পদ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
Question 31- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৮)
ড. মিজান একজন আবহাওয়াবিদ। তিনি ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেন। ভূমিকম্পে বাংলাদেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে কমানো সম্ভব তা নিয়ে তার গবেষণা। এ গবেষণায় তিনি নিজের ল্যাবে বসেই ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর গবেষকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। ভূমিকম্পের বাস্তুব অনুভূতি ও করণীয় পর্যবেক্ষণ করতে তিনি জাপানের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত গবেষণা কেন্দ্রে গমন করেন।
উত্তরঃ
অ্যাকচুয়েটর হলো রোবটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার ও নাড়াচাড়া করার জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের সমন্বয়ে তৈরিকৃত বিশেষ পদ্ধতি।
উত্তরঃ
ই-কমার্স হলো আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ সম্মিলিতভাবে সম্পাদন করা। বর্তমানে ই – কমার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই ক্রয় – বিক্রয় করা হচ্ছে। ফলে মানুষ ঘরে বসেই কেনাকাটা থেকে শুরু করে ব্যবসা সংক্রান্ত নান কাজও করতে পারছে। এক স্থানে বসেই পণ্য ক্রয়, বিক্রি, লেনদেন সব কাজই সম্ভব হচ্ছে। মোটকথা সময় ও শ্রম কমিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে।
উত্তরঃ
ড. মিজান অন্যান্য গবেষকদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করেন। অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ও টেলিকনফারেন্সিং প্রক্রিয়ায় গবেষকগণ বিদেশে না গিয়েও একে অন্যের সাথে যোগাযোগ, মতামত বিনিময়ম, গবেষণাপত্র এবং গবেষণার অগ্রগতির খবরাখবর রাখতে পারেন। এ প্রকিয়ায় ড.মিজান টেলিকনফারেন্সিং পদ্ধতিতে টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও ইন্টানেট সংযোগ ব্যবহার করে অন্য দেশের গবেষকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আবার কম্পিউটার, মডেম, ইন্টারনেট সংযোগ, মাইক্রোফোন স্পিকার, ওয়েব ক্যামেরা ও কমিউনিকেশন সফটওয়্যার (স্কাইপি, ইমো ইত্যাদি) ব্যবহার করে বিশে^র যেকোনো স্থানে অবস্থিত গবেষকগণের সাথে কথা শুনে ও ছবি দেখেও সরাসরি কথোপকথন করতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় ড. মিজান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর গবেষকদের সাথে ভূমিকম্প সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় জানতে ও জানাতে পারেন।
উত্তরঃ
ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণে ড. মিজান ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর প্রয়োগ দেখতে জাপানে গেলেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হলে এটিকে বাস্তব পরিবেশ বলে মনে হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য শক্তিশালী কম্পিউটারে সংবেদনশীল প্রাফিক্স ব্যবহার করতে হয়। সাধারণ প্রাফিক্স আর ভার্চুয়াল জগতের গ্রাফিক্সের মধ্যে তফাত হলো এখানে শব্দ এবং স্পর্শকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীরা যা দেখে এবং স্পর্শ করে তা বাস্তবের কাছাকাছি বোঝানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি চশমা বা হেলমেট (HDM) ছাড়াও অনেক সময় হ্যান্ড গ্লাভস, বুট, স্যুট ব্যবহার করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারে গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে দূর থেকে পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। একে টেলিপ্রেজেন্স বলা হয়। এছাড়াও এ পদ্ধতিতে বাস্তবভিত্তিক শব্দও সৃষ্টি করা হয়, যাতে মনে হয় শব্দগুলো বিশেষ বিশেষ স্থান হতে উৎসারিত হচ্ছে। এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ভূমিকম্পের অনুভূতি সৃষ্টি ও করণীয় বিষয়গুলো সৃষ্টি করা হয়েছিল।
Question 32- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৮])
সেনাপ্রধান সিদ্ধান্ত নিনেল যে, সৈনিকদের প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে সৈনিকগণ প্রকৃত যুদ্ধের অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিনি খাদ্য সরবরাহ ইউনিটকে যুদ্ধের ময়দানে দীর্ঘদিন সতেজ ও মচমচে থাকে এমন পদ্ধতিতে শুকনো খাবার সরবরাহ করার নির্দেশ দিলেন।
উত্তরঃ
মানুষের হাতের আকার, পুরুত্ব, হাতের রেখার বিন্যাস ও আঙুলের দৈর্ঘ্য বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতিই হলো হ্যান্ড জিওমেট্রি।
উত্তরঃ
বর্তমান বিশে^ নিরাপত্তা ও অপরাধ প্রবণতা রোধে নান প্রযুক্তির উদ্ভব ঘটলেও একশ্রেণির নীতিহীন মানুষের কারণে অপরাধ প্রবণতা নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ শ্রেণির মানুষেরা এসব প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অথবা গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে অপরধা প্রবণতাকে উসকানো দিচ্ছে। সর্বোপরি শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অপরাধ দমন সম্ভব নয় এর সাথে মূল্যবোধও বাড়াতে হবে। এ কারণে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও অপরাধ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয় নি।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে যুদ্ধের ময়দানে খাবার সরবরাহের প্রযুক্তি হলো ন্যালোটেকনোলজি। ন্যানোপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে খাদ্য সংরক্ষণ করা খুব সহজ হয়েছে। ফলে খাদ্যের নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব হয়েছে। এ প্রযুক্তির প্রয়োগে খাদ্যের স্বাদগগুণ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। খাদ্য দীর্ঘদিন সতেজ ও মচমচে থাকে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো প্রযুক্তি দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা যায়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির কিছু থেকে শুরু করে তাকে ভেঙে ছোট করতে করতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকৃতিতে পরিণত করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পন্যোৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও হালকা হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামীতে দূরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি, প্রতিরক্ষায় ন্যানো রোরট, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিশ^ব্যাপী বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকারি ও সস্তায় শক্তি উৎপাদনসহ পানি ও বায়ু দূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উত্তরঃ
সৈনিকদের প্রশিক্ষণের প্রযুক্তিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে । ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে অনুকরণকৃত পরিবেশ হুবহু বাস্তব পৃথিবীর মতো হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তথ্য আদান প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংবলিত চশমা, যধহফংবঃং, মষড়াবং, ংঁরঃ ইত্যাদি পরিধান করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করা হয়। সামরিক বাহিনীতে অনেক বছর ধরে মিলিটারি প্রশিক্ষণে ফ্লাইট সিম্যুলেটর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে প্রচলিত ফøাইট সিম্যুলেটরের আরও উন্নতি সাধন করা সম্ভব। এছাড়াও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সিম্যুলেটেড ওয়ার দ্বারা সৈনিকদের অনেক বেশি বাস্তব ও উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণে মনুষ্যবিহীন বিমান পরিচালনা এবং রাড়ার দিয়ে শত্রু-মিত্র বিমান শনাক্তকরণ করা যায়। ফ্লাইট সিম্যুলেশন হচ্ছে এমন একটি কাজ যা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কৌশল প্রয়োগ করে বিমান চালকদের কোনো ধরনের সত্যিকার বিমান ব্যবহার না করে শুধুমাত্র স্পর্শকাতর কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
Question 33- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৮)
হাসান সাহেব তার গ্রামে অটোমেশন সিস্টেম সংবলিত বাড়ি বানালেন। যেকোনো স্থান থেকে তিনি বাড়ির সিকিউরিটি, কুলি লাইটিং সিস্টেমসহ টিভি, ফ্রিজ, এসি ইত্যাদি মোবাইলে কন্ট্রোল করতে ও বাড়ির বিভিন্ন অংশের লাইভ ভিডিও দেখতে পারেন। উল্লিখিত কাজ তার স্ত্রীর পুরানো প্রযুক্তির মোবাইল দ্বারা সম্ভব হয় না। বিধায় প্রযুক্তিবিদের পরামর্শ নিলেন।
উত্তরঃ
হ্যাকার হলো সেই সকল ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ যারা অন্যের কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, ডেটার উপর অননুমোতিদভাবে অধিকার নিয়ে তথ্য বা সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে।
উত্তরঃ
এক সময়ের অসীম রহস্য মহাকাশ আজ আর মানুষের কাছে অজানা নয়। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে মহাকাশের অজানা রহস্যগুলো জানা যাচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানুষ পৌঁছে যাছ্ছে মহাকাশের সীমানায়। মহাকাশের বিভিন্ন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত উন্মোচিত হচ্ছে। তাই বলা যায়, মহাকাশ আজ আর অজাানা নয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে হাসান সাহেবের বাড়িতে হোস অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। হোম অটোমেশন সিস্টেম, যা একটি বাড়ির তিনটি মূল অংশ হিটিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি কন্ট্রোাল সিস্টেমসহ সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলোকে স্মার্ট উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় বলে একে হোম অটোমেশন সিস্টেমে বলা হয়। হোম অটোমেশন প্রযুক্তির ব্যবহার করে হোম নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে একটি বাড়ির নিরাপত্তা, বহিবিশে^র সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা হোম ইন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি প্রতিটি সিস্টেম আলাদ আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সঙ্গে এগুলোর সমন্বয় সাধন করা যায়। হোম অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে অফিস কিংবা বাড়ির সবধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রচলিত সুইচ এর বদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং প্রয়োজনে স্মার্ট ফোন থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। IOT(Internet of things) নির্ভর হোম অটোমেশন প্রযুক্তিতে প্রচলিত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সাথে স্মার্ট ডিভাইসসমূহ Wi-Fiইন্টানেটের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে স্মার্ট উপায়ে সুইচ বাটনে কোনো প্রকার ষ্পর্শ ছাড়াই সার্বিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে প্রযুক্তিবিদের পরামর্শ হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিচের মুঠোফোন দিয়ে বাড়ির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। হাসান সাহেবের স্ত্রীর পুরোনো প্রযুক্তির মোবাইল দ্বারা এটা সম্ভব নয়। এজন্য তার প্রয়োজন হবে একটি আধুনিক মানের স্মার্ট ফোন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদের পরামর্শের বিষয়গুলো নি¤œরূপ হবে –
আমাদের চারপশে প্রতিদিনকার জীবনে আমরা যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, যেমন – এসি, কফিমেকার, টেম্পারেচার কন্ট্রোল, ফ্যান, টিভি, দরজার ইলেকট্রিক লক, গাড়ির গ্যারেজের দরজা, গাড়ি ইত্যাদি সবই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের মুঠোফোন থেকে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসে নিয়ন্ত্রণের উপায়কেই ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি বলা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা জিনিসপত্রকে অটোমেটিক করার জন্য এসবের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে। জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেট অব থিংস (IOT) বলা হয়। এ প্রযুক্তিতে আমাদের ঘরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন – টিভি, ফ্রিজ, লাইট এগুলো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত করে এগুলোকে দূর থেকে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আইওটি প্রযু্িক্ত বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট টাচ ল্যাপ, কফি মেকার মেশিন হবে এমন একটি যন্ত্র নিজে থেকেই প্রয়োজনের সময় ল্যাম্প অন/অফ করবে অথবা স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়াও হোম সিকিউরিটি ডিভাইস দিয়ে বাসার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা যাবে, কারো অনুপস্থিতিতে কেউ তার বাসায় প্রবেশ করলে টেক্সটের মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা জানিয়ে দেবে।
উদ্দীপকে প্রযুক্তিবিদ হাসান সাহেবকে উপরে বর্ণিত পরামর্শগুলোই প্রদান করেন যার মাধ্যমে সে যেকোনা স্থানে থেকেই বাড়ির সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
Question 34- (ঢাকা বোর্ড -২০১৭)
ভিনক্লু নামে জাপানের এক প্রযুক্তি কোম্পানি ডিজিটাল প্রযুক্তির কৃত্রিম গৃহকর্মী তৈরি করেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে হিষ্কারি। এই গৃহকর্মীকে দেখা যাবে হলোগ্রাফিক পর্দায়। হিকারি তার গৃহকর্তাকে ঘুম থেকে জাগানো, গুড মর্নি বলা, অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন বার্তা পাঠানোর কাজও করবে। রাফি সদ্য পড়াশুনা শেষ করে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছে। যেহেতু সে বাসায় একা থাকে তাই মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়। সেজন্য সে একটি হিকারি কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন। যেহেতু হিকারির দাম বেশি তাই বাসা থেকে চুরি না হয় সেজন্য বাসার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা করলেন যাতে পরিচিত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট বাটনে আঙুলের ছাপ দিয়ে বাসায় প্রবেশ করতে পারবে। যদিও নিরাপত্তার জন্য তার অফিসে টাকার ভোল্টে প্রবেশের জন্য মাইক্রোফোনে কথা বলে প্রবেশ করতে হয়।
উত্তরঃ
ক্রয়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোােন কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র এ দুটি পদ্ধতিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এ প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে কোনো পদার্থের অণু-পরমাণুকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে কাঙ্কিত রূপ দেওয়া যায়। বর্তমানে জিন-প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের হিকারি তৈরিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো রোবটিক্স। টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।
রোবটিক্স মূলত প্রকৌশল বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে রোবট সম্পর্কিত ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম, ব্যবহার- ক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয় গবেষণা করা হয়। এ প্রযুক্তিটি কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট মেশিন তৈরি করে যেগুলো আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটা মানুষের মতো হয় এবং অনেকটা মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ক্রিয় বা আধা স্বয়ক্রিয় যš বা যন্ত্রমানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রামে অনুসারে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছুই করতে হয় না। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে এবং এর কাজের ধরন দেখে মনে হয় এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। এ ক্ষেত্রটিতে তাই রোবটকে যেসব বৈশিষ্ট্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো হলো – দর্শনেকেন্দ্রিয় বা ভিজুয়্যাল পারসেপশনম, সংস্পর্শ াব স্পর্শনেন্দ্রিয়গ্রাহ্য ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও ম্যালিপুলেশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বা নিপুণতা যেকেনো স্থানে দৈহিকভাবে নড়াচড়া ক্ষমতা বা লোকোমোশন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের রাফির বাসা ও অফিসে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কৌশলগুলো হলো যথাক্রমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভয়েস রিকহনিশন যা বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির অন্তর্ভূক্ত। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচারণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা যায়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভয়েস রিকগনিশন বায়োমেট্রিক্সের দুটি শাখা।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট হচ্ছে বহুল প্রচলিত একটি বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব হতে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারের খরচ খুবই কম। শনাক্তকরণে খুব কম সময় লাগে এবং সফলতার হার প্রায় শতভাগ।
অন্যদিকে ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরকে ডেটাবেজে সংরক্ষিত করে ঐ ভয়েস ডেটা ফাইলের সাথে ব্যবহারকারীর ভয়েসের তুললা করা হয়। এ পদ্ধতি সহজ ও কম খরচে বাস্তবায়নযোগ্য হলেও এর সুক্ষ্মতা তুলনামূলকভাবে কম। ভয়েস নখল করে সহজে ধোকা দেওয়া যায়।
উপরোল্লিখিত বিশ্লেষনের মাধ্যমে ষ্পষ্ট যে উদ্দীপকের রাফির গৃহীত নিরাপত্তা পদ্ধতির মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিটি বেশি উপযোগী।
Question 35- (রাজশাহী বোর্ড -২০১৭)
মি “Y” তার বাবার ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় একটি বিশেষ সেন্সরের দিকে তাকানোর ফলে দরজা খুলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলো প্রথম কক্ষে জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে ইনফমেশন সিস্টেম তৈরি সংক্রান্ত্র গবেষণা এবং দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ(DNA) তৈরি সংক্রান্ত্র গবেষণা করা হয়।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তি হচ্ছে তথ্য ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির আর যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে তথ্যকে যথাস্থানে দ্রুততার সাথে পৌঁছে দেওয়ার প্রযুক্তি। তথ্য স্থানান্তর বা শেয়ার করা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তথ্য স্থানাত্বরের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। তাই বলা যায়, তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ল্যাবরেটরির দরজায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স এর আইরিস বা রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি।
আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। আইরিস বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ক্যামেরা সম্পন্ন ডিভাইসের সামনে দাঁড়াতে হয়। এতে প্রায় ১ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। আগে থেকে ধারণ করা চোখের আইরিসের প্যাটার্নের সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়। এ পদ্ধতির প্রয়োগে পাসপোর্টবিহীনভাবে এক দেশের সীমা অতিক্রম করে অন্য দেশে গমন করা যেতে পারে যা বর্তমানে ইউরোপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি গুরুত্বপূর্ণ, মিলিটারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে আইরিস পদ্ধতি শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ল্যাবরেটরির ১ম কক্ষে জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি সংক্রান্ত্র গবেষণা প্রযুক্তিটি হলো বায়োইনফরমেটিক্স সিস্টেম এবং দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ (DNA) তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। নিচে এদের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য বিশ্লেষণ করা হলো:
১. বায়োইনফরমেটিক্স হলো এমন একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র যা জীব সংক্রান্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে বুঝার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি এবং সফটওয়্যার টুলস উন্নয়ন করে। অন্যদিকে বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোনো প্রাণীর জিনোমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেওয়াই হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
২. বায়োইনফরমেটিক্সের উদ্দেশ্য হলো জৈবিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুধাবন করা। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রিকম্বিনেন্ট DNA তৈরি করে বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের DNA অণু থেকে পৃথক করে কাজে লাগানো।
৩. বায়োইনফরমেটিক্সের প্রধান কাজ হচ্ছে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় তথ্য ও জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য সফটওয়্যার সামগ্রী তৈরি করা। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ বা পরিবর্তিত জিনযুক্ত কোষে অন্য জীব থেকে কর্মক্ষশ বা ভালো জিন সংস্থাপন করে কর্মক্ষমহীন জীবটিকে কর্মক্ষম করে তোলা।
৪. বায়োইনফেেমটিক্স প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গবেষণা যেমন – সিকুয়েন্স, এলাইনমেন্ট, ডিএনএ ম্যাপিং, ডিএনএ এনালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং জিনোম সমাগম, ড্রাগ নকশা, প্রোটিনের গঠন ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে। চিকিৎসা, গবেষণা শিল্প এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে।
Question 36- (যশোর বোর্ড -২০১৭)
জনাব শিহাব একজন বৈমানিক। তিনি কম্পিউটার মেলা থেকে ১ টেরাবাইটের একটি হার্ডডিস্ক কিনলেন। এটির আকার বেশ ছোট দেখে তিনি অবাক হলেন। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন ডিভাইসের আকার ছোট হয়ে আসছে। বিমান চালনা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। এখ সত্যিকারের বিমান ব্যবহার না করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
উত্তরঃ
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ^গ্রাম হলো এমন একটি পরিবেশ ও সমাজ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পরষ্পরের সাথে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।
উত্তরঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেমন উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি সমাজ ও জনগণের ওপর এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। অনেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অসৎ উপায়ে বা অবৈধভাবে ব্যবহার করে তথ্য চুরি বা বিকৃতি করে অথবা সেগুলো পাচার করে। এগুলো সবই নীতি বিরুদ্ধ কাজ পরিহার করে সঠিক নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে কম্পিউটার ইথিক্স ইনস্টিটিউট এর দশটি নির্দেশনার সঠিক অনুসরণই হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈতিকতা যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষতি ও ঝুঁকি মূল্যায়নের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ছোট আকারের হার্ডডিস্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সে প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার কের ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছুর তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো প্রযুক্তি দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। যথা Ñ ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা যায়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতিতে পরিণত করা হয়। ন্যানো প্রযুক্তি বহুমাত্রিক, এর সীমানা প্রচলিত সেমিকন্ডাক্টর পদার্থবিদ্যা থেকে অত্যাধুনিক আণবিক স্বয়ং-সংশ্লেষণ প্রযুক্তি পর্যন্ত; আণবিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ থেকে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ন্যানো পদার্থের উদ্ভাবন পর্যন্ত বিস্তৃত। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্যোৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ, সাশ্রয়ী, টেকসই ও হালকা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত বিমান চালনা প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বর্তমান প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিম্যুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি করে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব।
নগর পরিকল্পনা ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে একটি সুন্দর ও আধুনিক নগর গড়ে তোলা সম্ভব।নগর পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে Ñ নগর উন্নয়ন রূপরেখা প্রণয়ন, নগর যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলা, স্থাপত্য ও নির্মাণ ও শিল্প ইত্যাদি। ত্রি- মাত্রিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর প্রয়োগ ঘটিয়ে এসব উন্নয়ন রূপরেখার পরিকল্পনা সহজেই প্রয়োগ করা যায়।
নগর পরিকল্পনায় কোনো ভবন, শপিং কমপ্লেক্স, ফ্লাইওভার, ব্রীজ ইত্যাদি অবকাঠামো তৈরির পূর্বেই তার সিমুলেটেড সফটওয়্যার তৈরি করে বাস্তবের অবস্থা দেখা সম্ভব। এতে করে পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন অনেক সহজ হয়। মোটকথা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে সহজেই একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা সম্ভব।
Question 37- (কুমিল্লা বোর্ড -২০১৭)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওর মাধ্যমে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রাবন্দর উদ্ভোধন করেন। অপরদিকে দেশের শিক্ষামন্ত্রী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইলেকট্রনিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের কথা বলার প্রেক্ষিতে ABC কলেজের পরিচালনার পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেস-রিকগনিশন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে। যদিও বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু আছে।
উত্তরঃ
ই-কমার্স হলো আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ সম্মিলিতভাবে সম্পাদন করা।
উত্তরঃ
শীতরলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হ য় ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্র তাপমাত্রা (-৪১”℃” ) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের সমুদ্রবন্দর উদ্ভোধনের জন্য যে প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হয় তা হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। নিচে এ প্রযুক্তির সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো –
১)যেকোনো স্থানে অবস্থান করে নিদিষ্ট সভা, মিটিং এ অংশগ্রহণ করা যায়।
২)অডিও এবং ভিডিও উভয় প্রকার সম্প্রচার এর মাধ্যমেই যোগাযোগ করা যায়।
৩)এ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ দূরে অবস্থান করেও একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারছে।
৪)অনেক দূরে অবস্থান করেও অথবা প্রত্যন্ত গ্রামের একজন নাগরিকও তার রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ডাক্তারকে জানাতে পারে।
৫)রে বসেই শিক্ষার্থীরা বিদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে।
৬)এটি স্বল্পমূল্যের এবং কম সময় ব্যয় হয়। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মিটিং-এ যোগ দিতে ভ্রমণ বাদব কোনো টাকা বা যানযট এর জন্য সময় নষ্ট হয়না।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ABC কলেজের পরিচালনা পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেস-রিকগনিশন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে। যদিও বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু আছে।
যেসব রিকগনিশন হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার সাহায্যে মানুষের মুখের গঠন প্রকৃতি পরীক্ষা করে তাকে শনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারীর সরাসরি মুখের ছবিকে কম্পিউটারে সংরক্ষিত ছবির সাথে তুলনা করে হয়। ফেস রিকগনিশন সিস্টেম সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সঠিক ফলাফল পাওয়া গেলেও ক্যামেরা ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় না। তাছাড়া ক্যামেরায় আলোর পার্থক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়। চুলের স্টাইল পরিবর্তন, মেকআপ বা গহনা ব্যবহার ইত্যাদি মুখমন্ডল শনাক্তকরণকে ব্যাহত করে।
পক্ষান্তরে আঙ্গুলেল ছাপ বা ফিঙ্গার পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে পূর্বেই ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষন করতে হয়। পরবর্তীতে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার আঙ্গুলের নিচের অংশের ত্বককে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে। ব্যক্তি শনাক্তকরণে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ তুলনামূলক কম হয় এবং শনাক্তকরণের জন্য খুবই কম সময় লাগে। সফলতার পরিমাণ প্রায় শতভাগ।
উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় কম সময়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে উপস্থিতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ফেস রিকগনিশন অপেক্ষা ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি খুবই কার্যকর। সুতরাং ABC কলেজের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করা খুবই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।
Question 38- (চট্টগ্রাম বোর্ড -২০১৭)
নির্বাচন কমিশন ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য প্রাপ্তবস্ক নাগরিকদের মুখমন্ডলের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং সিগনেচার সংগ্রহ করে একটি চমৎকার ডাটাবেজ তৈরি করেছে। ইদানীং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে উক্ত ডাটাবেজের সাহায্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরি করেছে। কিন্তু অসৎ ব্যক্তি নকল পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য উক্ত ডাটাবেজ হ্যাক করার চেষ্টা করে এবং পরিশেষে ব্যর্থ হয়।
উত্তরঃ
অডিও ভিজুয়াল পদ্ধতিতে বিশে^র যেকেনো শহর ও স্থানে অবস্থান করে টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি যেমন – কম্পিউটার, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ব্যবহার করে সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশলই হলো ভিডিও কনফারেন্সিং।
উত্তরঃ
বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব এবং এ প্রযক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালকে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম। ফলে ব্যবহারকারী যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশের ৩৬০ ডিগ্রি দর্শন লাভ করেন এবং কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে মগ্ন থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন ডাটাবেজ তৈরিতে যে প্রযুুক্তির সাহায্য নিয়েছিল তা হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ বা শনাক্তকরণ করা যায়। উদ্দীপকে নির্বাচন কমিশন ডেটাবেজ তৈরিতে মুখমন্ডলের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং সিগনেচার সংগ্রহ করার কাজটি নিম্নরূপে সম্পন্ন করেছিলেন –
১. মুখমন্ডলেন ছবি: এ ক্ষেত্রে পূর্ব হতে রক্ষিত স্যাম্পল মানের সাথে যার মুখমন্ডলের আকৃতি তুলনা করা হবে তার ছবি ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে দুই চোখের মধ্যবর্তী দূরত্ব, নাকে দৈর্ঘ্য এবং ব্যাস, চোয়ালের কৌণিক পরিমাণ ইত্যাদি পরিমাপ করে তুলনা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত আলোর তীব্রতার উপর শনাক্তকরণ সূক্ষ্মতা নির্ভর করে।
২. আঙ্গুলের ছাপ: এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতে আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের সাহায্যে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙ্গুল রাখে তখন যে আঙ্গুলের ছাপের ছবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেজ রক্ষিত ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে মেশিনটি আঙ্গুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের উপযর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপচিত্র তৈরি করে।
৩. সিগনেচার: এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের আকার, ধরন, লেখার গতি, সময়, লেখার মাধ্যমে যেমন- কলম, পেন্সিল) চাপকে যাচাই করে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে কিছু অসৎ ব্যক্তির নকল পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য উক্ত ডাটাবেজ হ্যাক করার চেষ্টা করে এবং পরিশেষে ব্যর্থ হয়। এ হতে বুঝা যায় যে, তাদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব ছিল। কম্পিউটার নৈতিকতা হচ্ছে নৈতিকতার একটি ধারণা, যা কম্পিউটার ব্যবহারে নৈতিকতার বিষয়, সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিরোধ করাকে বুঝায়। ১৯৯২ সালে “কম্পিউটার ইথিকস ইনস্টিটিউট” নৈতিকতার বিষয়ে যে ১০ টি নির্দেশনা তৈরি করেন তা নিচে উপস্থাপন করা হলে –
১. কম্পিউটার ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি না করা।
২. অন্যের কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজে হস্তক্ষেপ না করা।
৩. অনুমতি ব্যতীত কারও ফাইল, গোপন তথ্য সংগ্রহ না করা।
৪. চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা।
৫. মিথ্যা তথ্যের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা।
৬. লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার ও কপি না করা ।
৭. বিনা অনুমতিতে কম্পিউটার সংক্রান্ত অন্যের রিসোর্স ব্যবহার না করা।
৮. অন্যের কাজকে নিজের বলে চালিয়ে না দেওয়া।
৯. তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের আগে সমাজের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে চিন্তা করা।
১০. কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় অন্যের ভালোমন্দ বিবেচনা করা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করা।
Question 39- (সিলেট বোর্ড -২০১৭)
জয়িতা চৌধুরী পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রজেক্ট পেপার তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকে। সে নিয়ম মেনে প্রতিটি তথ্যের উৎস উল্লেখ করে। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে সে এমন একটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছে যা দিয়ে অণুর গঠর দেখা সম্ভব। তবে জয়ন্ত ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফাইলের সফটকপি সংগ্রহ করে কোনোরূপ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ছাড়াই নিজের নামে প্রকাশ করে।
উত্তরঃ
বায়োইনফরমেটিক্স হলো জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং,গণিত এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয় যা জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষন এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করে।
উত্তরঃ
‘বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব’ – এটি শুধুমাত্র সম্ভব হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখতে, সেই সাথে বাস্তবের মতো শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানবিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজি। ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমেই অণুর গঠন দেখা সম্ভব।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোােন কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো প্রযক্তি দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। যথা – ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা যায়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির পরিণত করা হয়। ন্যানো প্রযুক্তি বহুমাত্রিক, এর সীমানা প্রচলিত সেমিকন্ডাক্টর পদার্থবিদ্যা থেকে অত্যাধুনিক আণবিক স্বয়ং-সংশ্লেষণ প্রযুক্তি পর্যন্ত; আণবিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ থেকে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ন্যানো পদার্থের উদ্ভাবন পর্যন্ত বিস্তৃত। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্যোৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই হালকা হয়।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী ও জয়ন্তের আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত। জয়িতা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি নির্দেশ এবং নিয়ম কানুন মেনে নৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে। আর জয়ন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে।
১৯৯২ সালে প্রণিত ‘কম্পিউটার এথিকস ইন্সটিটিউট’ এর কম্পিউটার এথিকস এর নির্দেশনা অনুসারে, অন্যের বৃদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি করা যাবে না। অন্যের তথ্য বা গবেষণা লব্ধ ফলাফল ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই মূল লেখক বা মূল কর্মের ¯্রষ্টার নাম অবশ্যই সংযোজন করতে হবে এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে তা অবশ্যই নৈতিকতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা ‘ প্লেজিয়ারিজম ’ অপরাধের আওতাভুক্ত। উদ্দীপকে জয়িতা চৌধুরী ও নৈতিকতা মেনে কাজ করলেও জয়ন্ত তা করে না। অর্থাৎ জয়ন্তর আচরণ জয়িতা চৌধুরী নীতি আদর্শের অধিকারী হলেও জয়ন্ত নীতি আদর্শহীন একজন অপরাধী
Question 40- (বরিশাল বোর্ড -২০১৭)
ড. জামিল একজন কৃষি গবেষক। তাঁর আবিষ্কৃত বী চাষ করে একজন কৃষক পূর্বের ফসলের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলল। ড. জামিল একদিন তাঁর বন্ধু চিকিৎসকের নিটক গালের আঁচিল অপারেশনের জন্য গেলেন। বন্ধু তাকে স্বল্প সময়ে – ২০”℃” তাপমাত্রায় রক্তপাতহীন অপারেশন করলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে এলেন।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হলো রোবটিক্স।
উত্তরঃ
ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি। মানুষের দৈহিক বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স। দৈহিক গঠন বা শরীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিগুলো হলো – ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হ্যান্ড জিওমেট্রি, আইরিশ স্ক্যানিং, ফেস রিকগনিশন ও ডিএনএ টেস্ট। অন্যদিকে আচরণগত পদ্ধতিগুলো হলো – কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাইকরণ, সিগনেচার যাচাইকরণ ও কষ্ঠস্বর যাচাইকরণ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ড. জামিলের গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক হচ্ছে জিন। অন্যদিকে জিনোম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যের নকশা বা বিন্যাস। কোনো উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে চাইলে উক্ত উদ্ভিদের জিনোমের কোন একটি জিনকে পরিবর্তন করে দিতে হয়। যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ’র একটি অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়। এর ফলে একটি নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাঙ্কিত উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকের বর্ণিত ঘটনায় ড. জামিল অধিক ফসল উৎপাদনকারী বীজ আবিষ্কারের জন্য উপরের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ’র নিদিষ্ট জিনকে কেটে আলাদা করে সেখানে সুনির্দিষ্ট জিনকে জোড়া লাগিয়ে নতুন প্রজাতির অধিক ফসল উৎপাদনকারী আবিষ্কার করেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী ড. জামিলের বন্ধুর গালের আচিল – ২০”℃” তাপমাত্রায় স্বল্পসময়ে রক্তপাতহীনভাবে অপারেশন করা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিকে ক্রায়োসার্জারি বলা হয়। মূলত বরফ শীতল তাপমাত্রায় কোষকলা ধ্বংস করার ক্ষমতাকে ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরে বলের আকৃতিবিশিষ্ট ছোট ছোট বরফের কৃষ্টাল তৈরি হয়ে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষকলার ওপর তুলা জড়ানো শলাকা বা স্প্রে করার কোনো যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি প্রযুক্তিটির সাফল্যজনক ব্যবহার লক্ষণীয়। বিশেষত ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেমন- ত্বকের তিল, আঁিচিল, মেছতা, বিভিন্ন ধরনের টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, স্বল্প সময়ে, রক্তপাতহীনভাবে আচিল চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারী খুবই কার্যকর একটি কৌশল। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িও ফিরে যাওয়া সম্ভব। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় ড. জামিলেল বন্ধু আচিল চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা যথাযথ হয়েছে।
Question 41- (দিনাজপুর বোর্ড -২০১৭)
আসিফ আমেরিকার একটি বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ পায়। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমেরিকাতে যাওয়া সম্ভব হয় নি। অতঃপর বাংলাদেশে বসেই অনলাইনের মাধ্যমেস বিশ^বিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জন করল। আসিফ পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। ফলে তার পারিবারিক অবস্থার উন্নতি হয়। তার বন্ধু মনির নতুন জাতের টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।
উত্তরঃ
নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (– ২০”℃” ) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।
উত্তরঃ
আসিফের বিশ^বিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল ই-লানিং এর মাধ্যমে।
ই-লানিং হলো এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে কোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্জন করতে পারে। এর জন্য সর্বাগ্রে যা প্রয়োজন তা হলো ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট – এ সংযুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থী প্রচলিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসেই ই- মেইল,ভিডিও কনফারেন্সিং, চ্যাট, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্রভৃতি কম্পিউটার ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা অর্জন অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ের। যেসব উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশের শিক্ষার্থীগণ আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিদেশ গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনা তারা ই-লানিং এর মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার কোনো একটি বিশ^বিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
তাই বলা যায় যে, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমেরিকা গিয়ে শিক্ষার্জন করতে না পারলেও আসিফ “ই-লানিং” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে আসিফ এবং আর্থিক সচ্ছলতার কারণ হলো আউসোর্সিং এবং মনির এর আর্থিক সচ্ছলতার কারণ হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। এ দুটিই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান। নিচে এ দুটি বিষয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো:
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এখন দেশের শিক্ষিত সমাজের জন্য আর্শীবাদ বয়ে এনেছে। এর একটি উদাহরণ হলো আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং হলো অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন কোম্পানির কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। ফলে একজন শিক্ষিত বেকার ব্যক্তিও বিদেশি কোনো কোম্পানির প্রজেক্ট সম্পন্ন করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ এখন এসব মার্কেটপ্লেসে নিজের পছন্দসহ কাজগুলো খুঁজে নিচ্ছে। এভাবে দেশের লাখ লাখ বেকার যুবক আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে।
আবার বর্তমান বিশে^ বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদন, উন্নতমানের ফসলের বীজ উৎপাদন, ফলন বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। ফসলের গুণগতমান উন্নত করার ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন – সয়াবিন, টমেটো, ভুট্টা, পেপেঁ, তুলা, তেল বীজ ইত্যাদি। এসব ফসলের জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকা-মাকড় ও অন্যান্য কীটনাশক ও ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। মনির এ ধরনের টমেটো চাষ করেই অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, আসিফ ও মনিরের আর্থিক সচ্ছলতার মূল কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার।
Question 42- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৭)
ডঃ মাকসুদ দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ নিমিত্তে দীর্ঘদিন গবেষণা করে বন্যা ও খরা সহনশীল উন্নতজাতের ধান আবিষ্কার করেন। তথ্যের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় অন্য তার গবেষণালব্ধ ফল নিজের নামে পেটেন্ট দাবি করে।
উত্তরঃ
ই- মেইল হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল বা বার্তা। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে বার্তা আদান-প্রদান করার একটি পদ্ধতি হচ্ছে ই-মেইল।
উত্তরঃ
বিশ^গ্রামের মেরুদ-ই হচ্ছে কানেক্টিভিটি। কানেক্টিভিটি বলতে ইন্টারনেট সংযোগকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টিতে গঠিত নেটওয়ার্ক যা বিশে^র মেরুদ-ই হলো কানেক্টিভিটি বা সংযুক্ততা।
উত্তরঃ
ডঃ মাকসুদের গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এক কোষ থেতে সুনির্দিষ্ট জিন নিয়ে অন্য কোষে স্থাপন ও কর্মক্ষম করার ক্ষমতাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক হচ্ছে জিন। অন্যদিকে জিনোম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যের নকশা বা বিন্যাস। কোনো উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে চাইলে উক্ত উদ্ভিদের জিনোমের কোনো একটি জিনকে পরিবর্তন করে দিতে হয়। যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ’র একটি অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়। এর ফলে একটি নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাঙ্খিত উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় ডঃ মাকসুদ বন্যা ও খরা সহনশীল উন্নত জাতের ধান বীজ আবিষ্কারের জন্য উপরের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ’র নির্দিষ্ট জিনকে কেটে আলাদা করে সেখানে সুনির্দিষ্ট জিনকে জোড়া লাগিয়ে নতুন প্রজাতির বন্যা ও খরা সহনশীল উন্নত জাতের ধান বীজ আবিষ্কার করেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের কাজটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে অনৈতিকাতর আওতায় পড়ে। কেননা, অন্য একজনের গবেষণালব্ধ ফল বা নথি নিজের নামে দাবি বা চালিয়ে দেওয়াকে তথ্য প্রযুক্তির ভাষায় প্লেজিয়ারিজম বলা হয়। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো লেখা, সাহিত্যকর্ম, গবেষণাপত্র, সম্পাদনা কর্ম ইত্যাদি হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাই হলো প্লেজিয়ারজিম। এটি এক ধরনের সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ ইন্টারনেটে বেশি ঘটে। কারণ, ইন্টারনেটে বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্টানের বিভিন্ন বিষয়ে কোনো না কোনো তথ্য বা ডকুমেন্ট থাকে। এসব তথ্য যখন কোনো ব্যবহারকারী ব্যবহার করে এবং তথ্য দাতার অবদান স্বীকার করে না বরং নিজের বলে চালিয়ে দেয় তখন সেটি প্লেজিয়ারিজমের মধ্যে পড়ে। এটি একটি নৈতিক অপরাধ যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন দ্বারা সিদ্ধ নয়। তাই পেটেন্ট দাবিতকারীর কর্মকান্ড অনৈতিক।
Question 43- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৭)
মাদ্রাসা বোর্ডের নতুন সংযোজন IDMT(ইন্টাররেক্টিভ ডিজিটাল মাদ্রাসা টেক্সটবুক) – তে ছবি, অডিও, ভিডিও, টেক্সট, অর্থ, ব্যাখ্যা ও টীকা সংযোজন করা আছে। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে একজন শিক্ষার্থী পিসি, ট্যাব ও মোবাইলে তা ব্যবহার করতে পারে। রাকিব মোবাইলে অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে গেলে সে স্ক্রীনের নিচের দিকে বেশ কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পেল।
উত্তরঃ
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো লেখা, সাহিত্যকর্ম, গবেষণাপত্র, সম্পাদনা কর্ম ইত্যাদি হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাই হলো প্লেজিয়ারিজম।
উত্তরঃ
রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। মানুষের পক্ষে যেসব কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ, যেমন সমুদ্রের তলদেশে, যেকোনো অনুসন্ধানী কাজে, মাইন ইত্যাদি বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয়করণে, নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রে, খনির অভ্যন্তরের কোনো কাজে, নদী-সমুদ্রের নিচে টানেল নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রমে রোবট ব্যবহৃত হয়। তাই বলা যায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
শিক্ষাক্ষেত্রে বোর্ডের এ সুবিধাটি ই-লানিং সুবিধা। ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করাই হলো ই-লানিং। ই-লানিং পদ্ধতিতে যেকোনো সময় যেকোনা স্থানে জানা বা শিক্ষা উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে। তাই মাদরাসা বোর্ড শিক্ষার্থীদের জন্য IDMT(ইন্টাররেক্টিভ ডিজিটাল মাদ্রাসা টেক্সটবুক) ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পিসি, ট্যাব ও মোবাইলে সংরক্ষণ করে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারে। অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকায় শিক্ষার্থীকে আর অন্য কোনো স্থানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এভাবেই ইন্টারনেট সুবিধা যুক্ত হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপকরণ যোগাড় করে তা শিক্ষার্থীরা শিখতে পারে। এভাবেই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ই-লানিং এর সুবিধাটি প্রদান করেছে।
উত্তরঃ
পণ্যের প্রচার ও প্রসারে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ই-কমার্স হলো আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ সম্মিলিতভাবে সম্পাদন করা। বর্তমানে ই-কমার্স হয়ে উঠেছে একুশ শতকের ব্যবসা বানিজ্যের প্রধান মাধ্যম। কেননা কোনো একটি পণ্যের বিস্তারিত বর্ণনা ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে তা বিশে^র সকল দেশের ক্রেতাগণ যেকোনো স্থানে বসে দেখতে পারেন। পছন্দ হলে অনলাইন অর্ডারিং প্রক্রিয়ায় পণ্যটি ক্রয় করে নিতে পারেন। এজন্য তাকে বাসা থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন নাই। অন্যদিকে বিক্রেতারও কোনো নির্দিষ্ট দোকান প্রয়োজন নাই, শুধুমাত্র অনলাইনে প্রচার করলেই হলো। যা ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি সাধন করে। তাই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে উদ্দীপকের পদ্ধতিটি যুক্তিগত।
Question 44- (ঢাকা বোর্ড -২০১৬)
জামান দক্ষিণ কোরিয়াতে ড্রাইভার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে আসে। সেখানে সে প্রথম এক মাস একটি বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এই পরিবেশেই সে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর নান কৌশল রপ্ত করে। জামান তার কাজের পাশাপাশি আরও একটি প্রতিষ্ঠানেও ডেটা এন্ট্রির কাজ নেয়। তার পাঠানো অর্থেই গ্রামের বাড়িতে তার অর্ধপাকা ঘরটি আজ দোতলা দালানে পরিণত হয়।
উত্তরঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বস্তুুতপক্ষে যন্ত্রের বৃদ্ধিমত্তাকে বোঝায়। অর্থাৎ কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতির সাপেক্ষে কোনো যন্ত্র(যেমন – কম্পিউটার) কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিবে তার সক্ষমতা পরিমাপণ পদ্ধতি হলো কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা।
উত্তরঃ
যেসব মাধ্যমের সাহায্যে সামাজিকভাবে মতামত বিনিময়, তথ্যের আদান-প্রদান বা আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করা যায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি, সাইস্পেস, ইউটিউব, গুগল গ্লাস, লাইকদিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সামাজিত নেটওয়াকিং সাইটগুলো বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তের জনগোষ্ঠীকে সামাজিকভাবে পরষ্পরের কাছাকাছি নিয়ে এসে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের জামানের প্রবাস জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কল্পবাস্তবতা প্রযুক্তিটির কথা বলা হয়েছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তথ্য আদান – প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংবলিত চশমা, Headset, gloves, suit ইত্যাদি পরিধান করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করা হয়। একটি typical VR format – এ একজন ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেলমেট পরে এবং তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে। Telepresence বা কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতে উপস্থিত থাকার ভ্রমণ একটি গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত করা হয়। গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর এর মাধ্যমে স্ক্রিনে প্রদর্শিত ছবির গতিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির সাথে মেলানো হয়। যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির সাথে মেলানো হয়। যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির পরিবর্তন হয় তখন স্ক্রিনে প্রদর্শিত দৃশ্যের গতিও পরিবর্তিত হয়। এভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারী কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে মিশে যায় এবং সেই জগতের একটি অংশে পরিণত হয়। জামান একই ধরনের পরিবেশে গাড়ি চালানোর কৌশল রপ্ত করে।
উত্তরঃ
জামানের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। জামান দক্ষিণ কোরিয়াতে ড্রাইভার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে আসে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে সে বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। স্বল্প মূল্যের মাইক্রো কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ড্রাইভিং সিম্যুলেটর এর মাধ্যমে এ ধরনের ট্রেনিং প্রদান করা হয়। বর্তমানে সে ড্রাইভিং এর পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রির কাজও করে থাকে। কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটম ই- মেইল ইত্যাদি শেখার ফলে তার যোগাযোহ প্রক্রিয়া আরও সহজ গতিশীল, সাশ্রয়ী ও প্রাণবস্ত হয়েছে। জামান বর্তমানে সারাবিশে^র জন্য দক্ষ এক জনশক্তি। প্রশিক্ষন গ্রহনের মাধ্যমে সে বিশ^ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করেছে। আর এর সবকিছুর পিছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে তথ্য প্রযুক্তি। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির উপাদানগুলো ব্যবহার করেই জামান দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্যও জামানকে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তা নিতে হয়েছে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় জামানের বর্তমান অবস্থার জন্য তথ্য প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
Question 45- (রাজশাহী বোর্ড -২০১৬)
নাঈম একদিন তার গবেষক মামার অফিসে গিয়ে দেখতে পেল যে, অফিসের কর্মকর্তাগণ মূল দরজার নির্ধারিত জায়গায় বৃদ্ধাঙ্গুল রাখতেই দরজা খুলে যাচ্ছে। সে আরও দেখতে পেল যে তার মামা গবেষণা কক্ষের বিশেষ স্থানে কিছুক্ষণ তাকাতেই দরজা খুলে গেল। নাঈম তার মামার কাছ থেকে জানতে পারল যে, তিনি মিষ্টি টমেটো উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করেছেন।
উত্তরঃ
ই-কমার্স হলো আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টানেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পন্য বা সেবা বিপণনম, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ সম্মিলিতভাবে সম্পাদন করা।
উত্তরঃ
নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (- ৪১”℃” ) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।
উত্তরঃ
মিষ্টি টমেটো উৎপাদনে নাঈমের মামার ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। জীবদেহে জীনোমকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে কিংবা একাধিক জীবের জীনোমকে জোড়া লাগিয়ে নতুন জীবকোষ সৃষ্টির কৌশলই হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক হচ্ছে জিন। অন্যদিকে জিনোম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যর নকশা বা বিন্যাস। কোনো উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে চাইলে উক্ত উদ্ভিদের জিনোমের কোনো একটি জিনকে পরিবর্তন করে দিতে হয়। যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ’র একটি অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়। এর ফলে একটি নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাঙ্কিত উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় নাঈমের মামা মিষ্টি টমেটো উৎপাদনের জন্য উপরের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ’র নির্দিষ্ট জিনকে কেটে আলাদা করে সেখানে সুনির্দিষ্ট জিনকে জোড়া লাগিয়ে নতুন প্রজাতির মিষ্টি টমেটো উৎপাদন করেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের দরজা খোলার জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের রেটিনা ব্যবহার করা হয়েছে।
দরজা খোলার কাজে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিদ্বয়ের মধ্যে হাতের স্পর্শ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত, যা ফিঙ্গার প্রিন্ট নামে পরিচিত। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং সারাজীবন ধরে অপরিবর্তিত থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট এতোটাই স্বাতন্ত্র্য যে দুটি যমজ শিশু একই ডিএনএ প্রোফাইল নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মানুষের আঙুলের ছাপ মেশিনে ধারণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙুলের নিচের অংশে ত্বকে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে মিলে গেলে অ্যাকসেস প্রদান করে। এ পদ্ধতিতে সফলতার পরিমাণও বেশি। ফিঙ্গার স্ক্যানারের দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং সহজে সিস্টেম বুঝতে পারে। এ কারণে হাতে স্পর্শ পদ্ধতিই বহুল ব্যবহৃত । চোখের রেটিনা পদ্ধতিতেও একইভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলেও এর সফলতার হার তুলনামূলকভাবে কম। এক্ষেত্রে চোখের আইরিশ বা রেটিানা স্ক্যানার হিসেবে ডেটা ইনপুট করে অ্যাকসেস কন্ট্রোল কাজ করে। কিন্তু আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান অনেক সময় সিস্টেম সহজে বুঝতে পারে না। তাছাড়া ডিভাইসটির দামও বেশি, এ কারণে এর ব্যবহার কম।
Question 46- (যশোর বোর্ড -২০১৭)
মি ‘ক’ একজন ব্যবস্থাপক। তিনি যে অফিসে চাকরি করেন সেখানে কর্মচারী সংখ্যা কয়েক হাজার। অফিসের কর্মচারীদের হাজিরা নেওয়ার জন্য তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিলেন। তিনি একটি প্রযুক্তির সাহায্য নিলেনম যেখানে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হয়। তিনি পর্যায়ক্রমে কর্মচারীদের কৃত্রিম পরিবেশে বিশেষ পোশাক পরিধান করে গাড়ি চালনা প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।
উত্তরঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থাই হলো টৈলিমেডিসিন। এ পদ্ধতিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। এছাড়া, ইন্টারনেট ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই অনলাইন যোগাযোগ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ টেলিমেডিসেনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূহুর্ত যথাযথ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পাওয়া যায় বলে এটি অবশ্যই এক ধরনের সেবা।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে কর্মচারী প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে। স্বল্প মূল্যের মাইক্রো কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ড্রাইভিং সিম্যুলেটর উন্নয়ন করা হয়েছে। কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসলে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরিণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম। ফলে ব্যবহারকারী যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশের ৩৬০ ডিগ্রি দর্শন লাভ করেন এবং কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে মগ্ন থাকেন। এতে অল্প সময়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে ভালো ফল পাওয়া যায়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে বর্ণিত মি. ‘ক’ এর প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো আঙুলের ছাপ যা এক ধরনের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। বর্তমানে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি জনপ্রিয় বায়োমেট্রিক সিস্টেম। আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো কোনো ব্যক্তিকে যথাযথভাবে শনাক্ত করার জন্য উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপকে শনাক্তকারী একক হিসেবে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতেই আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার) সাহয্যে ডেটাবেসে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙুল রাখে তখন যে আঙুলেল ছাপের ছবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেসে রক্ষিত ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে মেশিনটির আঙুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের ওপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপচিত্র তৈরি করে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে বিশ^জুড়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিড়ারের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তুলনামুলকভাবে কম দামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি ও প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তায় এ পদ্ধতি অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি এ পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Question 47- (কুমিল্লা বোর্ড -২০১৬)
আইসিটি নির্ভর জ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে নানা বিষয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে। হাসান ICT বিষয়ে পড়াশুনা করে জানতে পারল কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া এক শৈল্য চিকিৎসা পদ্ধতি। পরবর্তীতে হাসান আইসিটি নির্ভর জীববৈচিত্র্য সৃষ্টির প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে খুবই আনন্দিত হলো।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।
উত্তরঃ
ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি। মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স। দৈহিক গঠন বা শরীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিগুলো হলো – ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হ্যান্ড জিওমেট্রি, আইরিশ স্ক্যানিং, ফেস রিকগনিশন ও ডিএনএ টেস্ট। অন্যদিকে আচরণগত পদ্ধতিগুলো হলো – কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাইকরণ, সিগনেচার যাচাইকরণ ও কন্ঠস্বর যাচাইকরণ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী হাসানের জানতে পারা চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন – ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যাধিক হ্রাসের ফলে (- ৪১ থেকে – ১৯৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নি¤œতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন – তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে হাসানের জ্ঞান লাভে আনন্দ দেওয়া প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং যা কৃষি সম্পদ উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখে। কৃষি সম্পদ উন্নয়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা নিচে বর্ণনা করা হলো –
বিশে^র অনেক দেশেরই জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্য ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে খাদ্যশস্য বহুগুণে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি হাইব্রিড নামে বহুল পরিচিত। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কাঙ্কিত বৈশিষ্ট্য অল্প সময়ে সুচারুরূপে স্থানান্তর করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তাগণের নিকট প্রচলিত প্রজননের তুলনায় এ প্রযুক্তিটি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। আমাদের দেশেও এ প্রযুক্তির উপর বেশ কিছু সংস্থা কাজ করে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের শস্যবীজ উৎপাদন করেছেন। এসব বীজ ব্যবহার করে শসাও কয়েকগুণ হাবে উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশের সোনালী আঁশ পাট বিশে^র দরবারে হারানো ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করতে যাচ্ছে। খাদ্যশস্য যেমন – ভূট্টা, ধান, তুলা, টমেটো, পেপেঁসহ অসংখ্য ফসলেল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলের রোধ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো, আগাছা সহিষ্ণু, পোকামাকড় প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের মৎস্য সম্পদ (বিশেষত মাগুর, কার্প, তেলাপিয়া ইত্যাদি) বৃদ্ধির জন্য জিন প্রকৌশলকে কাজে লাাগনো হচ্ছে। প্রাণীর আকার ও মাংস বৃদ্ধিম দুধে আমিষের পরিমাণ বাড়ানো, ভেড়ার পশম বাড়ানোর কাজে জিন প্রকৌশকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে।
Question 48- (চট্টগ্রাম বোর্ড -২০১৬)
ডঃ ফারিহা শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি কৃত্রিম পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষণ প্রহণ করেছেন।
উত্তরঃ
কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, ডোটার উপর অননুমোদিতভাবে অধিকার লাভ করার উপায়কে হ্যাকিং বলে।
উত্তরঃ
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে অনেক যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনই একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র হলো রোবট, যা অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র। নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি যন্ত্র বা রোবটে কোনো সমস্যার কী ধরনের সমাধান করতে হবে তা সম্ভাব্য সকল সমাধান প্রোগ্রাম আকারে দেওয়া থাকে। এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী যন্ত্র বা রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। প্রোগ্রামের বাইরে কোনো কিছু করা সম্ভব হয় না।
উত্তরঃ
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ ফারিহার প্রহণকৃত প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এ প্রযুক্তিটি খুব বেশি সহজলভ্য না হলেও প্রাত্যহিক জীবনে এর কিছু প্রভাব লক্ষণীয়। যেমন –
১. বিনোদন ক্ষেত্রে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। আজকালকার প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রে ভাচুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে নানা ধরনের কম্পিউটার, গেম তৈরি করা হচ্ছে। মিউজিয়াম ও ঐতিহাসিক স্থানের দৃশ্যও তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
২. যানবাহন চালান ও প্রশিক্ষণে: বিমান, মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সিম্যুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ – সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবের ন্যায় প্রশিকক্ষণ দেওয়া যায়।
৩. শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন – শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষয়গুলো সিম্যুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জঠিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন সিম্যুলেশনের মাধ্যমে দেখা যায়।
৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ – প্রত্যঙ্গ সংযোজন, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যদিসহ নবীন শল্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুয়াল রিলেটির ব্যবহৃত হয়।
৫. সামরিক প্রশিক্ষণে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি করে সৈনিকদেরকে উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়।
৬. ব্যবসা বাণিজ্য: উৎপাদিত ও প্রস্তাবিত পণ্যের গুণতমমান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যদি সব ধরনের কার্যক্রমে সিম্যুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
Question 49- (সিলেট বোর্ড -২০১৬)
আমার বন্ধু ডাঃ এনাম ফ্রান্সে গেছে ট্রেনিং এ। ভাইবারে সে বলল ফ্রান্সের সব কাজে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। সেখানে ট্রেনিং সেন্টারে প্রবেশ করতে লাগে সুপারভাইজারের আঙুলের ছাপ এবং অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করতে লাগে চোখ। আমি বললাম “ বেশ মজাই তো” সে আরও বলল “গতকাল স্থানীয় বিনোদন পার্কে গিয়ে মাথায় হেলমেট ও চোখে বিশেষ চশমা দিয়ে চাঁদে ভ্রমণের অনুভুতি অনুভব করেছি।”
উত্তরঃ
ক্রায়োসার্জরি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান – প্রদানের মাধ্যম হলো ব্লুটুথ। এর মাধ্যমে বিনা খরচে ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব। ব্লুটুথের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে তারবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। ব্লটুথ যন্ত্রপাতি সুইচ অন করার সাথে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রান্সফার করা যায়। ব্লটুথ ১০ সেন্টিমিটার থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে ডাঃ এনামের চাঁদে ভ্রমণের অনুভূতি অনুভবের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হলে এটিকে বাস্তব পরিবেশ বলে মনে হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য শক্তিশালী কম্পিউটারে সংবেদনশীল প্রাফিক্স ব্যবহার করতে হয়। সাধারণ গ্রাফিক্স আর ভার্চুয়াল জগতের গ্রাফিক্সের মধ্যে তফাত হলো এখানে শব্দ এবং স্পর্শকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যবহারকারী যা দেখে এবং ষ্পর্শ করে তা বাস্তবের কাছাকাছি বোঝানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি চশমা বা হেলমেট ছাড়াও অনেক সময় হ্যান্ড গ্লাভস, বুট, স্যুট ব্যবহার করা হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রি-মাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতিসম্ভব কাজও করা সম্ভবপর হয়। কল্পনার পাখায় ভর করে ইচ্ছে করলে চাঁদের মাটিতে হেঁটে আসা, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে ঘুরে আসা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সংযোগের উপর দিয়ে হাঁটা কিংবা জুরাসিক পার্কের সেই অতিকায় ডায়নোসরের তাড়াও খাওয়া যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানবিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনূুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভের ক্ষেত্রেও এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ট্রেনিং সেন্টারে আঙুলের ছাপ ও অপারেশন থিয়েটারে চোখ ব্যববহৃত উভয় প্রযুক্তিদ্বয় হলো বায়োমেট্রিক্স। এ দুটি প্রযুক্তির মধ্যে আমাদের দেশে হাতের আঙুলের ছাপ প্রযুক্তিটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
দরজা খোলার কাজে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিদ্বয়ের মধ্যে হাতের ষ্পর্শ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত, যা ফিঙ্গার প্রিন্ট নামে পরিচিত। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং সারাজীবন ধরে অপরিবর্তিত থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট এতোটাই স্বতন্ত্র যে দুটি যমজ শিশু একই ডিএনএ প্রোফাইল নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মানুষের আঙুলের ছাপ মেশিনে ধারণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙুলের নিচের অংশে ত্বকে রীড় করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে মিলে গেলে অ্যাকসেস প্রদান করে। এ পদ্ধতিতে সফলতার পরিমাণও বেশি। ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানারের দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং সহজে সিস্টেম বুঝতে পারে। এ কারণে হাতের স্পর্শ পদ্ধতিই বহুল ব্যবহৃত। চোখের রেটিনা পদ্ধতিতেও একইভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলেও এর সফলতার হার তুলনামূলকভাবে কম। এক্ষেত্রে চোখের আইরিশ বা রেটিনা স্ক্যানার হিসেবে ডেটা ইনপুট করে অ্যাকসেস কন্ট্রোল কাজ করে। কিন্তু আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান অনেক সময় সিস্টেম সহজে বুঝতে পারে না। তাছাড়া ডিভাইসটির দামও বেশি: একারণে এর ব্যবহার কম।
Question 50- (বরিশাল বোর্ড -২০১৬)
ডাঃ হাতেম শল্য চিকিৎসায় প্রশিক্ষণের জন্য চীন গমন করেন। ভর্তি হওয়ার সময় তার একটি আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় এবং তাকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণকক্ষে ঢুকার পূর্বে তাকে প্রতিবার দরজার রাখা একটি যন্ত্রে এ আঙুলের ছাপ দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। শ্রেণিকক্ষে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীদের মতো তাকে হাত, মাথা ও চোখে কিছু বিশেষ যন্ত্র পরানো হয়। তিনি কম্পিউটারের মনিটরে বিভিন্ন দৃশ্যাবলির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেন।
উত্তরঃ
বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হলো রোবটিক্স।
উত্তরঃ
কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, ডেটার উপযর অননুমোদিত অধিকার (অপপবংং) লাভ করার উপায়ই হ্যাকিং। নৈতিকতার আলোকে হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কাজ। কারণ এর মাধ্যমে একজন বা হ্যাকার অন্যের কম্পিউটার থেকেব বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এমনকি ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে। এর ফলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা বজায় থাকে না এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব কারণে হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ হাতেম দরজায় রাখা যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এটা হলো বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো কোনো ব্যক্তিকে যথাযথভাবে শনাক্ত করার জন্য উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপকে শনাক্তকারী একক হিসেবে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতেই আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার) সাহায্যে ডেটাবেস সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙুল রাখে তখন যে আঙুলের ছাপের ছবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেসে রক্ষিত ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে মেশিনটির আঙুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের ওপর ভিত্তি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপচিত্র তৈরি করে। বায়োমেট্রিক্স ডিভাইসগুলোর মধ্যে বিশ^জুড়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তুলনামূলকভাবে কম দামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে শনাক্তকরণে সময় কম লাগে এবং শতভাগ সফলতার সাথে শনাক্ত করা যায়। তাই ব্যক্তি শনাক্তকরণের উন্নত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এর ব্যবহার সর্বাগ্রে।
উত্তরঃ
ডাঃ হাতেমের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধমে তৈরিকৃত এম এক ধরনের কৃত্রিম পরিবশে, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশে হিসেবে মনে করে। উদ্দীপকে ডাঃ হাতেম এ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পরিবেশে হাত, মাথা ও চোখে কিছু বিশেষ যন্ত্র পরে ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছেন। আর এর মাধ্যমেই তিনি শল্য চিকিৎসার জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হন,যা তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে আরো দক্ষ করতে সক্ষম হয়। উন্নত বিশ্বে ডাক্তারদের আধুনিক মানের প্রশিক্ষনের প্রদানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে অস্ত্রোপাচারে এমআইএসটি/MIST দ্বারা বাস্তবের ন্যায় জীবন্ত মানুষের উপর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অপারেশন করা শেখানো হয়। ল্যাপারোস্কোপিক এবং আতঙ্কগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসা, রোবটিক্স সার্জারি এবং চিকিৎসক প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতিতে কম্পিউটার সিম্যুলেশন ব্যবহার করে ল্যাপারোস্কোপির পরিচালনার বিভিন্ন কৌশল দেখানো হয়। শিক্ষানবীশ ডাক্তাররা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মেডিকেল ট্রেনিং টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে তারা একেবারে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন অপারেটিং কক্ষে ছাত্ররা কৌশলগত দক্ষতা, অপারেশন ও রোগ সম্পর্কিত তাত্ত্বিক বিষয়াদির কার্যপ্রণালি অনুশীলন করতে সক্ষম হন।
Question 51- (দিনাজপুর বোর্ড -২০১৬)
লিজা এইচএসসি পরীক্ষার কারণে ঈদের শপিংয়ের জন্য মার্কেটে যেতে পারেনি তবে সে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় বাসায় বসেই যাবতীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করে। লিজার বড় ভাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র। সে দেখলো তার বড় ভাই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত হেলমেট, গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল বিষয়সমূহ অনুধাবনের টেষ্টা করছে।
উত্তরঃ
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স।
উত্তরঃ
ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত টিস্যুতে ক্রায়োপ্রোব এ মাধ্যমে তরল নাইট্রোজেন প্রয়োগ করা হয়, যাতে কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এ পদ্ধতি (ক্রায়োসার্জারি) আক্রান্ত স্থানের আশেপাশের টিস্যুর কোনো ধরণের ক্ষতি করে না এবং রক্তপাতও হয় না। তাই বলা যায়, ‘ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব।’
উত্তরঃ
লিজার কেনাকাটায় তথ্যপ্রযুক্তির অনলাইন শপিং এর বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে, যা ই-কমার্স এর অন্তর্ভূক্ত।
আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজকে সম্মিলিতভাবে ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বলে। আধুনিক এ ব্যবসা পদ্ধতিতে অনলাইনে পণ্যের কেনা বেচা হয়ে থাকে। ই-কমার্স ওয়েব সাইটে পণ্যের গুণগত মান, বর্ণনা ও মূল্য সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ থাকে। যেকোনো ব্যক্তি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশে^র যে কোনো প্রান্ত থেকৈ তা দেখতে পায়। আগ্রহী ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার ফরম পূরণ করে পছন্দসই সামগ্রির অর্ডার দিলে বিক্রেতা নিজস্ব ব্যবস্থানায় দ্রুত ক্রেতার নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা করে। একইভাবে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অতি সহজে ই – পেমেন্ট করে মূল্য পরিশোধ করা যায়।
উত্তরঃ
লিজার বড় ভাই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত হেলমেট, গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল বিষয়সমূহ অনুধাবনের চেষ্টা করেন যা স্বাস্থ্যসেবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
স্বাস্থ্যসেবায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অস্ত্রোপাচারে (এমআইএসটি), ল্যাপরোস্কোপিক এবং আতঙ্কগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসায়, রোবটিক্স সার্জারি এবং চিকিৎসক প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা হলো এটা ডাক্তারদের নিরাপদ পরিবেশে নতুন কিছু শিখতে বা অনুশীলন করতে সাহায্য করে এবং সহজে ও সুবিধাজনক উপায়ে বাস্তবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি দেওয়া হয়। তাছাড়া অপারেশনের সময় রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়েও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটার ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগ নির্ণয়, ল্যাপরোস্কোপিক ট্রেনিং এ বিভিন্ন থেরাপি, অস্ত্রোপচার, রোগীর পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর আর একটি জনপ্রিয় ব্যবহার হলো রোবটিক্স সার্জারি, যেখানে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত রোবটিক্স ডিভাইস কম সময়ে ত্রুটিমুক্তভাবে ও কম ঝুঁকিতে অপারেশন করে।
সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে যথাযথ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে লিজার ভাই খুব সহজেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারবে।
Question 52- (মাদ্রাসা বোর্ড -২০১৬)
জনাব সাব্বির এক ব্যবসায়িক সভায় ল্যাপটপ চালু করে নিজের ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু ভিডিও দেখালেন। তার একজন ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দী তার অনুপস্থিতিতে সে ভিডিওগুলো নেয়ার জন্য সাব্বির সাহেবের কম্পিউটার খুললেন কিন্তু তিনি সেখানে কিছুই পেলেন না। কিছুক্ষণ পর সাব্বির সাহেব ফিনে এসে কম্পিউটার খুললে প্রতিদ্বন্দী ব্যবসায়ী ব্যবসা সংক্রান্ত ঐ ভিভিওগুলো দেখতে চাইলে তিনি তা তাকে আবার দেখালেন।
উত্তরঃ
যে পদ্ধতির মাধ্যমে বিমান চালকগণ তাদের বিমান চালানোর যাবতীয় কৌশল রপ্ত করতে পারেন তাকে ফ্লাইট সিমুলেশন বলে।
উত্তরঃ
3Gপ্রজন্মের মোবাইলে উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সফার ও মাল্টিমিডিয়া ডেটা ব্যবহারসহ CDMA ও GPRS স্ট্যান্ডার্ডের উন্নত ভার্সন ব্যবহার হয়। ফলে 3G ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ডেটা অতিদ্রুত পাঠানো যায়। 3G প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ভিডিও কলিং ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে একই সাথে সরাসরি কথা বলা ও বাস্তব কলিং ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এইক সাথে সরাসরি কথা বলা ও বাস্তব ছ্বি দেখা যায়। এতে ব্যাপক আন্তজার্তিক রোমিং সুবিধা দেওয়া আছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিসও এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের তথ্য মতে, সাব্বির সাহেব মূলত কম্পিটাররে তথ্য সংরক্ষণ না করে সার্ভরে তথ্য সংরক্ষণ করেছেন। কম্পিউটারে ত্য সংরক্ষন করলে সেখান থেকে যেকোনো সময় ঐ তথ্য কম্পিউটারে নামিয়ে তা নিয়ে কাজ করা যায়। আবার কাজ শেষ হয়ে গেলে সেই তথ্য কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা যায়, কিন্তু ঐ তথ্য সার্ভারে ঠিকই সংরক্ষণ করা থাকে। ফলে পরবর্তীতে সেই তথ্য আবার পুনরায় কম্পিউটারে নামিয়ে নিয়ে কাজ করা যায়। সাার্ভারে তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা হলো এতে করে কম্পিউটারের মেমোরিতে জায়গা নষ্ট হয় না। আবার তথ্যের গোপনীয়তাও রক্ষা করা যায়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের তথ্য মতে ও ICT এর ভাষায় সাব্বির সাহেবের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাজ নৈতিকাত বহির্ভূত । কারণ কারো অনুমতি ব্যতীত তার কোনো তথ্য ব্যবহার করা বা সেগুলো দেখা নৈতিকতা বিরোধী। একে এক প্রকার চুরি বলা যায়। সাব্বির সাহেবের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী তার কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি গ্রহণ করেন নি। এমনকি সাব্বির সাহেবের সামনে তার কম্পিউটারের অনুসন্ধান করেন নি। বরং তিনি চলে যাবার পর তার অবর্তমানে সেখানে কম্পিউটার থেকে তথ্য অনুসন্ধান করেছেন। যা চরমভাবে নৈতিকতা পরিপন্থী। আর ICt এর নীতিমালা অনুসারে এ কর্মকান্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। তাই বলা যায় যে, ICT এর ভাষায় উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাজ ICT নীতিমালার আলোকে বেআইনী ও নৈতিকতা পরিপন্থী।