তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিনাজপুর বোর্ড ২০১৯
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
মিসেস পাপিয়ার কপালে একটি টিউমার দেখা দেওয়ায় একটি জন্য ভর্তি হলেন। উক্ত বিশেষায়িত হাসপাতালে সার্জারির জন্য হাসপাতালের ডাক্তারগণ আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। সার্জারি বিভাগের ডাক্তার তাকে অপারেশন পূর্ববর্তী বিভিন্ন টেস্ট দিলেন। টেস্টে পাপিয়ার অতিরিক্ত ব্লাড সুগার থাকায় ডাক্তার তাকে ইনসুলিন প্রয়োগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন ।
উত্তরঃ
ই-কমার্স হলো ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা।
উত্তরঃ
বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ বা বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগের প্রধান চালিকাশক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়। আর এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব আজ পরিণত হয়েছে বিশ্বগ্রামে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব যেন একটি গ্রাম যেখানে সবাই একসাথে নিবিড় সম্পর্কের বন্ধনে বসবাস করছে। এভাবেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে হাসপাতালের ডাক্তারগণ আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। অর্থাৎ ডাক্তারদের হাসপাতালে প্রবেশের প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি।
বর্তমানে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি জনপ্রিয় বায়োমেট্রিক সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অপটিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আঙুলের ছাপের ইমেজ নেয়া হয়। ইনপুটকৃত ইমেজের অর্থাৎ আঙুলের ছাপের বিশেষ কিছু একক বৈশিষ্ট্যকে ফিল্টার করা হয় এবং এনক্রিপ্টেড বায়োমেট্রিক কি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্টের ইমেজকে সংরক্ষণ না করে সংখ্যার সিরিজ (বাইনারি কোড) কে ভেরিফিকেশনের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেমের অ্যালগরিদম এ বাইনারি কোডকে ইমেজে পুনঃরূপান্তর করতে পারে না। তাই কেউ ফিঙ্গারপ্রিন্টকে নকল (ডুপ্লিকেট) করতে পারে না। বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস, যেমন ফিঙ্গার স্ক্যানারে থাকে একটি রিডার অথবা স্ক্যানিং ডিভাইস এবং সফটওয়্যার যা স্ক্যান করা তথ্যকে ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তর করে এবং ম্যাচিং পয়েন্টগুলো তুলনা করে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে বিশ্বজুড়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তুলনামূলকভাবে কম দামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
মিসেস পাপিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ তৈরির প্রযুক্তিটি হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, যা কৃষি গবেষণায় সফলতা ও অবদান রাখে।
নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
এক কোষ থেকে সুনির্দিষ্ট জীন নিয়ে অন্য কোষে স্থাপন ও কর্মক্ষম করার ক্ষমতাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উদ্ভিদের উপর গবেষণা করে নতুন উন্নত প্রজাতির উদ্ভিদ, সার, খাদ্য তৈরি করা হয়। এর ফলে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। নতুন উদ্ভিদ, খাদ্য সৃষ্টির ফলে পৃথিবীতে খাদ্য ঘাটতি সংকুচিত করা সম্ভব হয়েছে এবং অল্প খাদ্যে অধিক পুষ্টি গুণাগুণ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে জীনগতভাবে উর্বর শস্য উৎপাদনে পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের হুমকি থেকে শস্যকে রক্ষা করা, শস্যের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা; শস্য থেকে সম্পূর্ণ নতুন উপাদান উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে শাকসবজি, ফল-মূল উৎপাদন এবং রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এ সকল ফসল উৎপাদনে, সময়, সার এবং কীটনাশক কম লাগে, ফলে অধিক ফলন পাওয়া যায় এবং পরিবেশও ভালো থাকে।
Question 2
ID | Salary | J-date | Photo |
– | – | – | – |
– | – | – | – |
– | – | – | – |
উত্তরঃ
ডেটাবেজ হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক ডেটা টেবিল বা ফাইলের সমষ্টি।
উত্তরঃ
ডেটাবেজ থেকে ব্যবহারকারী কোনো ডেটা যাতে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে পারে সেজন্য ডেটাকে একটি বিশেষ অর্ডারে সাজিয়ে রাখা হয়। ডেটাবেজের টেবিলের রেকর্ডসমূহকে এরূপ কোনো লজিক্যাল অর্ডারে সাজিয়ে রাখাকেই ইনডেক্স বলে। ইনডেক্স ফাইল মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোনোরূপ পরিবর্তন না করে Alphabetically বা Numerically এবং আরোহী বা অবরোহী অনুসারে ক্রমানুযায়ী বিভিন্নভাবে সাজানো যায়। ইনডেক্স করার পরে ডেটাবেজ ফাইলে নতুন কোনো রেকর্ড ইনপুট করা হলেও ইনডেক্স ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়। এতে মূল ফাইলের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ডেটাবেজে ইনডেক্স করা হয়।
উত্তরঃ
টেবিলটির শেষের তিনটি কলামের ডেটা
টাইপগুলোর বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো-
ফিল্ডের নাম | ডেটা টাইপ |
Salary | Currency |
J-date | Date/time |
Photo | OLE object |
Currency: শুধুমাত্র মুদ্রা বা টাকা সংক্রান্ত ডেটা
এন্ট্রি করার জন্য Currency টাইপ নির্বাচন করতে হয়। এ জাতীয় ডেটার পূর্ণ গাণিতিক হিসাব
সম্ভব। এ ফিল্ডের জন্য ৪ Byte জায়গার প্রয়োজন হয়।
Date/time
: ডেটাবেজে শুধুমাত্র Date/Time সম্পর্কিত
ডেটা এন্ট্রি করা বা সংরক্ষণ করার জন্য Date/Time নির্বাচন করতে হয়। Date/ Time টাইপ
ফিল্ডে তারিখ অথবা সময় বা তারিখ ও সময় উভয়ই এন্ট্রি করা যায়। 100 থেকে 9999 বছরের
‘তারিখ ও সময়ের জন্য এ ফিল্ড ব্যবহৃত হয়। এ ফিল্ডের জন্য ৪ Byte জায়গার প্রয়োজন হয়।
OLE
Object: বিভিন্ন প্রোগ্রামের অবজেক্টকে সংযোজনের
জন্য এ ফিল্ড ব্যবহার করা হয়। এ ফিল্ডের সাহায্যে MS Word, MS Excel, Photoshop ইত্যাদি
প্রোগ্রামের কোনো অবজেক্ট (যেমন- টেক্সট, ছবি, গ্রাফ) ইত্যাদি ডেটাবেজে সংযোজনের জন্য
সংশ্লিষ্ট ফিল্ডকে OLE (Object Linking and Embedding) হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এ ধরনের
কয়েকটি ফিল্ডের নাম Exam, Result, Bio-data, Photograph ইত্যাদি।
(ঘ) উদ্দীপকে টেবিলটি তৈরির SQL কমান্ড নিচে
দেওয়া হলো-
CREATE TABLE Information
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি for লুপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। নিচে তা যাচাই করা হলো:
#include<stdio.h>
int main()
{
int i,n,factorial=1;
printf(“Enter an integer value:”);
scanf(“%d”,&n);
for(i=1;i<=n;i++);
{
factorial= factorial*i;
}
printf(“Factorial=%d\n”,factorial);
return 0;
}
Question 3
গণিত শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার পদ্ধতি শিখালেন। পরবর্তীতে আইসিটি শিক্ষক 3 + 6 + 9 +……+ N সিরিজটির যোগফল প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে শিখালেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে ক্লাস শেষে বাড়ি চলে গেল ।
উত্তরঃ
কোনো কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কতকগুলো যৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কাজ সম্পাদনের পরিকল্পনা করা হয়, এ ধরনের পরিকল্পনা হলো অ্যালগরিদম।
উত্তরঃ
অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার সুবিধাজনক কারণ-
১. কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম এক সাথে অনুবাদ করে ফলে প্রোগ্রাম নির্বাহের গতি দ্রুত হয়।
২. কম্পাইলারের মাধ্যমে রূপান্তরিত প্রোগ্রাম সম্পূর্ণরূপে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত হয়। ফলে একবার প্রোগ্রাম কম্পাইল করা হলে পরবর্তিতে আর কম্পাইল করার কোনো প্রয়োজন হয় না।
৩. প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে তা মনিটরে একসাথে প্রদর্শন করে। ভুল সংশোধন করার পর প্রোগ্রাম নির্বাহে কম সময় লাগে।
উত্তরঃ
গণিত শিক্ষক ক্লাসে বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার পদ্ধতি শিখালেন। নিচে বৃত্তের ক্ষেত্রফল, নির্ণয়ের প্রবাহচিত্র অঙ্কন করা হলো-
উত্তরঃ
আইসিটি শিক্ষক 3+6+9+……….+ N সিরিজটির যোগফল প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে শিখালেন। নিচে সিরিজটি ‘সি’ ভাষায় লিখা হলো-
#include<stdio.h>
main ()
{
int i, N, s = 0;
printf(“Enter the number of N : “);
scanf(“%d”, &N);
for (i=3; i<=N;i=i+3)
{
s=s+i;
}
printf(“sum = %d”, s);
}
Question 4
উত্তরঃ
এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ড উইথ্ বলা হয়। এ ব্যান্ড উইথ্ সাধারণত bit per second (bps) দ্বারা হিসাব করা হয়।
উত্তরঃ
মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান- প্রদান করতে পারে।
উত্তরঃ
চিত্র-ক এর PR এবং QS এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে নতুন টপোলজিটি হবে রিং টপোলজি। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
রিং টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা রিং এর মত, তাই এর নামকরণ হয়েছে রিং টপোলজি। কম্পিউটারগুলোকে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। রিং টপোলজির প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান। এখানে কোনো কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না। প্রত্যেকটি কম্পিউটার স্বাধীন। এ পদ্ধতিতে কোনো কেন্দ্রিয় কম্পিউটার বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালেও তার দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না। নেটওয়ার্কে অবস্থিত প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান। কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। নুতন কম্পিউটারের সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হলে পূর্বের সিস্টেম ভেঙ্গে নতুনভাবে তৈরি করতে হয়। এ টপোলজির খরচ বেশি হয় এবং ডেটা চলাচলের গতি কম।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের চিত্র-ক হলো মেশ টপোলজি এবং চিত্র-খ হলো হাইব্রিড টপোলজি। মেশ ও হাইব্রিড টপোলজির মধ্যে হাইব্রিড টপোলজি সুবিধাজনক। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। এ টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কোনো এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়। কোনো কোনো কাজের ক্ষেত্রে একটি মাত্র নেটওয়ার্ক টপোলজি স্বয়ংসম্পূর্ণ নাও হতে পারে। এজন্য সব ক্ষেত্রে হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে মেশ টপোলজিতে বেশি পরিমাণ তার লাগে, তাই এটি ব্যয়বহুল। বড় নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন ও কনফিগারেশন করা বেশি জটিল। সকল কাজের ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার নাও করা যেতে পারে।
এ সকল কারণে মেশ টপোলজি থেকে হাইব্রিড টপোলজি তুলনামূলক সুবিধাজনক।
Question 5
উত্তরঃ
বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়।
উত্তরঃ
‘ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি হলো বাইনারি, সংখ্যা পদ্ধতি। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে দুটি অঙ্ক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো সরলতম গণনা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ডিজিট দুটিকে সহজে ইলেকট্রনিক উপায়ে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে বলে কম্পিউটারসহ অনেক ইলেকট্রনিক যন্ত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ
দৃশ্যকল্প-ক এর X ও Y এর মানকে নিচে বাইনারিতে যোগ করা হলো-
দেওয়া আছে,
X=(36.75)10=(100100.11)2
Y=(59.F)16=(01011001.1111)2
X=00100100.1100
Y=01011001.1111
_____________________________________________________________________________________________
X + Y = 0111 1110.1011
= (1111110. 1011)2
উত্তরঃ
দৃশ্যকল্প-খ এ উল্পিখিত P ও Q এর মধ্যে ব্যবধান 2 এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করে নিচে দেখানো হলো-
অতিরিক্ত ক্যারি বিবেচিত হয় না।
∴P ও Q এর মধ্যে ব্যবধান ২ এর পরিপূরক পদ্ধতিতে (10001)2
Question 6
পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের ই-পেপার প্রথম পেইজ থেকে পরপর প্রতিটি পেইজ সাজানো থাকে। এ জন্য পাঠকগণের এ ধরনের পত্রিকা পড়ার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘ক’ নামক বহুজাতিক কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখে যাতে তাদের প্রতিষ্ঠানের যে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে অসুবিধা না হয়। কারণ এ ধরনের ওয়েবসাইটের পেইজগুলো অনেকদিক থেকে সংযুক্ত থাকে। তাছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধির দিকেও নজর দেয়। ‘খ’ কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের পেইজগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে যার মূল পেইজের সাথে অন্যান্য পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে।
উত্তরঃ
হাইপারলিঙ্ক হলো ওয়েবের একটি রিসোর্সে অবস্থিত কোনো ঠিকানা বা রেফারেন্স।
উত্তরঃ
ইন্টারনেটে ওয়েবের ফাইলগুলো কোনো সার্ভারে রাখাকে ওয়েব হোস্টিং বলা হয়। ওয়েব হোস্টিং হলো স্থান (অর্থাৎ সার্ভার স্পেস) যেখানে টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও সংবলিত ওয়েব পেইজে রাখা হয়। ওয়েব হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হয় না তাই হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের পত্রিকার ওয়েব পেইজ লিনিয়ার কাঠামোয় বিন্যস্ত।
নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
যে ওয়েবসাইটের পেইজগুলো একটি নির্দিষ্ট অনুক্রমে (একের পর এক) সাজানো থাকে এবং কোন পেইজের পর কোন পেইজ আসবে তা নির্দেশিত থাকে তাকে লিনিয়ার কাঠামো বা সিকুয়েন্সিয়াল সংগঠন বলে। যখন কোনো ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ক্রমানুসারে দেখার প্রয়োজন পড়ে তখন লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। পেইজের সংখ্যা কম হলে এ ধরনের কাঠামো উপযোগী। এ ধরনের কাঠামোতে মূল পেইজ থেকে শুরু হয়ে ডকুমেন্টের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করে। এ ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, Fast, Last ইত্যাদি লিঙ্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে সহজে পেইজ আপলোড করা যায় এবং দ্রুত পেইজ ব্রাউজ করা যায়। উদাহরণ: www.youtube.com |
উত্তরঃ
যেহেতু ‘ক’ নামক বহুজাতিক কোম্পানির ওয়েবসাইটের পেইজগুলো অনেকদিক থেকে সংযুক্ত থাকে। সুতরাং ক নামক কোম্পানীর ওয়েবসাইট ওয়েব লিঙ্কড বা নেটওয়ার্ক কাঠামোতে আছে। এখানে সবগুলো ওয়েবপেইজের সাথেই সবগুলোর লিংক ‘থাকে, অর্থাৎ একটি মেইন পেইজের সাথে যেমন অন্যান্য পেইজের লিংক থাকে তেমনি প্রতিটি পেইজের তাদের নিজেদের সাথে ও মেইন পেইজের সাথে লিংক থাকে। পেইজের সংখ্যা কম হলে এটি সবচেয়ে উত্তম কাঠামো কিন্তু পেইজের সংখ্যা বেশি হলে এটি ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন মেমোরি স্পেস নষ্ট হয়।
অন্যদিকে ‘খ’ কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের পেইজগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে যার মূল পেইজের সাথে অন্যান্য পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে। সুতরাং খ নামক কোম্পানির ওয়েবসাইট মেনু বা হায়ারার্কিক্যাল কাঠামোতে আছে। লিংকের মাধ্যমে ইউজাররা প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই ওয়েবের এক পেইজ থেকে অন্য পেইজে অনায়াসে যেতে পারে ও ওয়েবপেইজটির কোনো অংশে ইউজার অবস্থান করছে, তা তার জন্য জানা সহজবোধ্য হয়। ট্রি কাঠামো ডিজাইনের ক্ষেত্রে হোম পেইজটিতে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য হোম পেইজে লিংক ব্যবহার করে হায়ারার্কিক্যাল-এর পরবর্তী পেইজগুলোতে যাওয়া যায়। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, ‘ক’ ও ‘খ’ কোম্পানির ওয়েবপেইজের কাঠামোর মধ্যে খ কোম্পানির কাঠামোটির ব্যবহার সুবিধাজনক।
Question 7
উত্তরঃ
চিত্রে NAND গেইট দিয়ে OR গেইটের বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বামের NAND গেইট দুটি NOT গেইট হিসেবে কাজ করে।
উত্তরঃ
OR গেইট এর ক্ষেত্রে আমরা জানি,
উত্তরঃ
ব্লক চিত্র-ক হচ্ছে এককোডার। এনকোডারের সত্যক সারণি ও লজিক বর্তনী নিচে অঙ্কন করা হলো-
উত্তরঃ
কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করতে ব্লক চিত্র-খ অর্থাৎ ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।
ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করার পদ্ধতিকে ডিকোডার বলে। কম্পিউটারের আউটপুট ইউনিটে কোড ভাষায় লেখা তথ্যকে সাধারণ আকারে প্রকাশ করতে ডিকোডারের প্রয়োজন হয়। কন্ট্রোল ইউনিটে বিভিন্ন নির্দেশ, মেমোরি অ্যাড্রেস, কাউন্টারের বাইনারি সংখ্যা ইত্যাদি ডিকোড করতে ডিকোডারের সাহায্য লাগে। ডিকোডার মেমোরি নয় কিন্তু মেমোরির মতো কাজ করে। কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে। তাই কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করতে ডিকোডার এর ভূমিকা অপরিহার্য।
Question 8
করিম সাহেবের গ্রামের বাড়ি নিজ শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। তিনি শহরে থাকার সময়ে বাসায় ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও স্মার্টফোনে তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর করেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে তিনি একটি বিশেষ কোম্পানির কাছে নির্ধারিত মাসিক ভাড়া প্রদান করে জোড়ায় জোড়ায় মোচড়ানো তার দ্বারা কম্পিউটার এর সাথে সংযোগ করে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকেন ।
উত্তরঃ
কোনো ডেটাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে অথবা একজনের ডেটা অন্যজনের নিকট বাইনারি পদ্ধতিতে স্থানান্তর করার পদ্ধতিকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।
উত্তরঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট এবং কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং এপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম। ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি দক্ষতা, ব্যাকআপ ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। তাই নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম ব্যবস্থা।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে করিম সাহেব শহরে Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
Wi-Fi শব্দের পূর্ণ অর্থ হলো Wireless Fidelity। কম্পিউটার/ডিজিটাল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলোকে তারবিহীন উপায়ে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার একটি প্রযুক্তি হলো ওয়াই-ফাই। ওয়াই-ফাই হলো জনপ্রিয় একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি, যেটি তারবিহীন উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগে বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। এটি একটি ওয়্যারলেস বা তারবিহীন LAN স্ট্যান্ডার্ড যা প্রযুক্তিগতভাবে IEEE 802.11 নামে পরিচিত। ওয়াই-ফাই অ্যানাবন্ড ডিভাইস যেমন- ল্যাপটপ, ভিডিও গেম কনসোল, স্মার্টফোন কিংবা ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার প্রভৃতি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে। ইন্টারনেট অ্যাকসেসের জন্য Wi-Fi নেটওয়ার্কভুক্ত এলাকাকে Hotspot বলা হয়। এর ডেটা কমিউনিকেশন গতি খুবই কম এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থা দুর্বল।
উত্তরঃ
করিম সাহেব ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য শহরে তারবিহীন মাধ্যম এবং গ্রামে তার মাধ্যম ব্যবহার করেন। নিচে তার ও তারবিহীন মাধ্যমের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-
তার মাধ্যম | তারবিহীন মাধ্যম |
১. ডেটা পারাপারে উচ্চ গতি সম্পন্ন। | ১. তার মাধ্যমের তুলনায় নিম্ন গতিসম্পন্ন। |
২. ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে ২. কো–এক্সিয়াল ক্যাবল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। | ২. ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয়। |
৩. খরচ কম। | ৩. ব্যয়বহুল। |
৪. উচ্চ ব্যান্ড উইথ্ ফ্রিকোয়েন্সি প্রদান করে। | ৪. ব্যান্ড উইথ্ নিম্নগতির। |
৫. হাব এবং সুইচ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ এরিয়া এক্সটেনশন করা যায়। | ৫. পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক ওয়্যারলেস বেজ স্টেশন এর মাধ্যমে বিশাল এলাকাকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের মধ্যে আনা সম্ভব। |
৬. সার্ভিস কোয়ালিটি বেশ ভালো। | ৬. সার্ভিস কোয়ালিটি তুলনামূলকভাবে খারাপ। |