তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিনাজপুর বোর্ড ২০১৭
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
জারিফ ও জায়ান একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে ICT শিক্ষকের পরামর্শে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেয়। বাড়িতে টেলিভিশন না থাকায় মাঝে মাঝে বাড়ির সকলে মিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ক্রিকেট খেলা দেখে । কিছুদিন পর দেখা গেল ইন্টারনেট সংযোগ থাকার কারণে জারিফের রেজাল্ট বেশ ভালো হয় কিন্তু জায়ান পিছিয়ে পড়ে।
উত্তরঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট এবং কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম।
উত্তরঃ
নেটওয়ার্ক এর পয়েন্টগুলোর মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ডেটা, তথ্য, ফাইল ইত্যাদি ট্রান্সমিট করতে পারায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্ক এর ব্যাকবোন বলা হয়। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ব্যবহার করে। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই ‘অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের অনুষ্ঠান ও ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত ডেটা আদান- প্রদানের মোড হলো সিমপ্লেক্স। সিমপ্লেক্স হলো একমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি। অর্থাৎ, ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একদিকে ডেটার প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক কম্পিউটার সবসময় অন্য কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে পারে এবং প্রাপক ডেটা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু প্রাপক কম্পিউটার কখনোই প্রেরক কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, রেড়িও, টিভি ইত্যাদি ।
অনুরূপভাবে, উদ্দীপকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা পরিলক্ষিত। সার্ভার কম্পিউটার যেসব অনুষ্ঠান ও খেলা সম্প্রচার করে তা জারিফ ও জায়ান দেখতে পারে। কিন্তু সেই সার্ভারে কোনো প্রকার ডেটা প্রেরণ করার ক্ষমতা জারিফ বা জায়ানের পয়েন্ট ল্যাপটপ এর নেই। তাই একথা স্পষ্ট যে, উদ্দীপকে ব্যবহৃত মোডটি হলো সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের জারিফের রেজাল্ট তথা শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে আর জায়ানের ক্ষেতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের গুরুত্ব খুবই বেশি। বর্তমান যুগে বিভিন্ন অনলাইন লাইব্রেরি থেকে শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা, পরীক্ষা দেওয়া বা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা যায়। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী তার শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। ইন্টারনেটে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য অত্যন্ত সহজেই পেতে পারে। এছাড়াও অনলাইনে শিক্ষামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্লগ আছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকের জারিফ ইন্টারনেটের এ ইতিবাচক দিকগুলো তার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে এবং ভালো রেজাল্ট করেছে।
অপরপক্ষে, ইন্টারনেটের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন- সাইবার ক্রাইম ব্রেইন ড্রেইন, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি এর সহজলভ্যতা, মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি ইত্যাদি একজন শিক্ষার্থীর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। জায়ান ইন্টারনেট ব্যহারের ক্ষেত্রে এসব নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে চলতে পারেনি। আর এসব নেতিবাচক প্রভাবের কারণেই জায়ানের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
Question 2
উত্তরঃ
কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্নকে পৃথক পৃথকভাবে সিপিইউকে বোঝানোর জন্য বাইনারি বিট অর্থাৎ ০ বা ১ রূপান্তর করে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করা হয়। এই অদ্বিতীয় সংকেত হলো কম্পিউটার কোড ।
উত্তরঃ
2 এর পরিপূরক সংখ্যার জন্য গাণিতিক সরল বর্তনী প্রয়োজন। সরল বর্তনী দামে সস্তা এবং দ্রুতগতিতে কাজ করে। 2 এর পরিপূরক গঠনে যোগ ও বিয়োগের জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা হয়। তাই আধুনিক কম্পিউটারে 2-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের লজিক সার্কিটটির সমীকরণ নিচে দেওয়া হলো :
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘F’ এর সরলীকৃত বাস্তবায়ন করা সম্ভব ।‘গ’.হতে প্রাপ্ত F = AC মান NOR gate দ্বারা
শুধুমাত্র F এর সরলীকৃত মানকে সর্বজনীন গেইট NOR gate দ্বারা বাস্তবায়ন নিচে দেওয়া হলো :
Question 3
<html>
<head> <title> ICT </title> </head>
<body>
<h3> COLLEGE RESULT </h3>
<table>
<tr>
<th> Roll </th> <th> Name </th> <th> Result </th>
</tr>
<tr>
<td>501 </td> <td> Sumaiya </td>
<td><a href=”Exam Result.html”> My Test Result </a> </td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
উত্তরঃ
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব রিসোর্স থেকে তথ্য খুঁজে বের করা, উপস্থাপন করা এবং সংরক্ষণ করার একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হলো ব্রাউজার ।
উত্তরঃ
“IP Address এর চেয়ে Domain Name ব্যবহার সুবিধাজনক । কারণ IP Address এর জন্য সংখ্যা মনে রাখা কষ্টকর। তাই IP Address কে সহজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য ইংরেজি অক্ষরের কোন নাম ব্যবহার করা হয়। ক্যারেক্টার ফর্মের দেয়া কম্পিউটারের এরূপ নামকে ডোমেইন নেম বলে। যেমন আইপি এ্যাড্রেস 173.248.140.183 এর পরিবর্তে www.facebook.com ডোমেইন নেম ব্যবহার করা যায় ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের কোডটি HTML ভাষায় লিখা হয়েছে। নিচে HTML এর মৌলিক কাঠামো ব্যাখ্যা করা হলো-
HTML এ লিখিত প্রোগ্রামকে প্রধানত দুই অংশে ভাগ করা যায়।
HTML ট্যাগ : প্রত্যেক HTML ফাইল <html> ট্যাগ দিয়ে শুরু হবে এবং </html> দিয়ে শেষ হয় ।
Head ট্যাগ : এ অংশে কীওয়ার্ড, পেইজের বর্ণনা এবং পেইজ টাইটেল স্থাপন করা হয়। হেড সেকশনের মাধ্যমে ব্রাউজারে পেজ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য প্রদর্শন করার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়।
Title ট্যাগ : <head> ট্যাগের ভেতরে <title> ট্যাগ লিখতে হয়। এ ট্যাগের মাঝে যা কিছু লেখা হয় তা ব্রাউজারের টাইটেল বারে দেখা যায়।
Body ট্যাগ: Body ট্যাগের ভেতর মূল টেক্সট বা ডকুমেন্ট লিখা হয়। একটি ওয়েব পেইজের যাবতীয় কনটেন্ট (Image, Text, Table, Form, Frame, Paragraph, Heading etc.) এই সেকশনে লিখতে হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকটি ইন্টারনেটে দেখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হচ্ছে ওয়েবসাইট পাবলিশিং। নিচে ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর ধাপসমূহ ব্যাখ্যা করা হলো-
ইন্টারনেটে একটি ওয়েব পেইজ পাবলিশ করার ধাপসমূহ :
ধাপ-১ : ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন : সুন্দর একটি নাম যা সহজে মনে রাখা যায় এবং অর্থবোধক হয় তা নির্বাচন করে সেই নামের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
ধাপ-২ : ওয়েব পেইজ ডিজাইন : ওয়েব পেইজ ডিজাইন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রফেশনাল ওয়ের ডিজাইনারদের সহযোগিতা নিলে ভালো হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে ওয়েব পেইজ ডিজাইন করে দেয়।
ধাপ-৩ : ওয়েব সার্ভারে পেইজ হোস্টিং : ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ও ওয়েব পেইজ ডিজাইন সম্পন্ন করার পর ওয়েবসাইট/পেইজগুলো নির্ভরযোগ্য কোনো সার্ভারে হোস্ট করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে এ হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে।
ধাপ-৪: সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েবসাইট সংযুক্ত : এ ধাপটি অত্যাবশ্যকীয় নয়। ওয়েব পেইজ/সাইটটি আরও বেশি প্রচারমুখী করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে ।
Question 4
#include <stdio.h>
main ()
{
int a, b, c, s,
scanf(“%d %d %d”, &a, &b, &c);
s = a+b+c
printf(“%d”, s);
}
উত্তরঃ
HTML ভাষায় কোড লেখার আগে ও পরে নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নসহ নির্ধারিত কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়। এগুলোই হলো HTML ট্যাগ ।
উত্তরঃ
পরিবর্তনশীল তথ্যের ওয়েবসাইট হলো ডাইনামিক ওয়েবসাইট। অর্থাৎ যেসব ওয়েবসাইটে ডেটা বা তথ্যের মান ওয়েবসাইট চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়, তাকেই ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে। এ ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য শুধু HTML ভাষাই যথেষ্ট নয়। এর সাথে PHP (Hypertext Processor), ASP ( Active Server Pages), ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির প্রবাহ চিত্র অঙ্কন করা হলোঃ
উত্তরঃ
উদ্দীপকের “প্রোগ্রামটি লুপ কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট দিয়ে সমাধান সম্ভব। নিচে প্রোগ্রামটি লেখা হলো—
# include <stdio.h>
# include <conio.h>
main ()
{
int s = 0, a, i = 1; printf(“Enter a number:”);
scanf(“%d”, &a);
for ( i = 1; i < = 3; i=i+1)
{
s = s + a;
}
printf(“%d”, s);
getch ( );
}
এখানে for loop ব্যবহার করে প্রোগ্রামটি করা হয়েছে। যা while, do……while, goto লুপ কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট দিয়েও করা সম্ভব।
Question 5
জাকির সাহেবের তিন ছেলে ডিজিটাল মেলায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরল এবং টাকা চাইল। জাকির সাহেব ১ম ছেলেকে X টাকা, ২য় ছেলেকে Y টাকা এবং ৩য় ছেলেকে Z টাকা দিলেন ।
উত্তরঃ
ভাষায় কী-ওয়ার্ড হলো প্রোগ্রামে ব্যবহৃত কতকগুলো সংরক্ষিত শব্দ।
উত্তরঃ
লো-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের দুর্বলতার জন্যই হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ উৎপত্তি হয়েছে।
লো-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের (মেশিন ও আসেম্বলি) মাধ্যমে প্রোগ্রাম রচনায় বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন- প্রোগ্রাম রচনা করা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ, ডিবাগ করা কষ্টসাধ্য, এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য মেশিনে রান করানো যায় না । এসব সমস্যা বা দুর্বলতা সমাধানের জন্যই হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ উৎপত্তি হয়েছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত জাকির সাহেবের ছেলেদের প্রাপ্ত টাকার গড় C ভাষায় নিচে নির্ণয় করা হলো–
#include<stdio.h>
main ()
{
int X, Y, Z;
float Average;
printf(“Enter the amount of money:”);
scanf(“%d %d %d”, &X, &Y, &Z);
Average = (X+Y+Z)/3;
printf(“%f”, Average);
}
উত্তরঃ
উদ্দীপকের সমস্যাটি সহজে বুঝার প্রক্রিয়াটি হলো ফ্লোচার্ট। এর সপক্ষে আমার যুক্তিযুক্ত মতামত ব্যক্ত করা হলো :
যে চিত্রের মাধ্যমে কোনো সিস্টেম বা প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করবে তার গতিধারা নির্ধারণ করা হয়, তাকে ফ্লোচার্ট বলে। অ্যালগরিদমের চিত্ররূপই হলো ফ্লোচার্ট। ফ্লোচার্ট এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম বুঝতে কম সময় লাগে। ফ্লোচার্ট দেখেই বুঝা যায় প্রোগ্রামের ধাপসমূহ কীভাবে বিন্যস্ত এবং প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্দীপকের সমস্যাটি সহজে বুঝার জন্য ফ্লোচার্টটি নিম্নরূপ হবে :
উপরিউক্ত ধারা অনুযায়ী সমস্যাটি বিশ্লেষণ করলে জাকির সাহেবের কাছে সমস্যাটি বুঝা খুবই সহজ হয়ে যাবে।
Question 6
ROLL | NAME | DATE OF BIRTH | Remarks |
101 | Rima | 21-10-2000 |
|
102 | Sima | 11-12-1999 |
|
103 | Aup | 13-07-1998 |
|
104 | Jahid | 22-12-1999 |
|
উত্তরঃ
এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর প্রক্রিয়াকে রাউটিং বলে। আর এ রাউটিং-এর জন্য যে হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হয় তাকে রাউটার বলে।
উত্তরঃ
ক্যারেক্টর বাই ক্যারেক্টর ডেটা ট্রান্সমিট পদ্ধতিটি হলো অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। এতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয় বলে এ ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম এবং ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম। প্রেরকের কোনো প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি ক্যারেক্টরের শুরু ও শেষে স্টার্ট এবং স্টপ বিটের প্রয়োজন হয় ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ফিল্ডগুলো নিয়ে student নামের একটি ডেটাবেজ টেবিল তৈরির পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-
১. শূন্য ডেটাবেজ উইন্ডো থেকে টেবিল তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
২. শূন্য ডকুমেন্টের উপরের বামকোণে অফিস বোতাম এর নিচে View ড্রপ-ডাউন আইকনে ক্লিক করলে Save As ডায়ালগ বক্স আসবে। এ ডায়ালগ বক্সে টেবিলের জন্য একটি নাম টাইপ করে OK বোতামে ক্লিক করলে Design View উইন্ডো আসবে। এ উইন্ডোতে টেবিলের শিরোনাম ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
৩. ফিল্ড তৈরি করার জন্য Field Name এর ঘরে Student Name টাইপ করে কী-বোর্ডের ট্যাব বোতামে চাপ দিলে কার্সর Data Type ঘরে চলে যাবে। এ ঘরের ড্রপ-ডাউন তীরে ক্লিক করলে বিভিন্ন প্রকার ধরন বা টাইপের তালিকা দেখা যাবে। যেমন- বর্ণ (Character বা Text ), নম্বর (Number), মুদ্রা (Currency), দিন/তারিখ (Date/Time) ইত্যাদি। এ তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। যেমন- রেজাল্ট নির্ণয়ের জন্য নম্বর সিলেক্ট করতে হবে ।
৪. ডেটা টাইপ সিলেক্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে ফিল্ডস প্রোপার্টি অংশে ডেটার আরও কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেমন- Field Size ডানপাশের ঘরে নির্ধারণ করে দিতে হবে কোন ফিল্ডের আকার কত বড় হবে বা মেমোরিতে কত জায়গা নিবে এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য কেমন হবে।
৫. ফিল্ডের নাম টাইপ করা শেষ হলে View ড্রপ-ডাউন আইকনে ক্লিক করলে View ড্রপ-ডাউন আইকনের মেনু তালিকা থেকে Datasheet View সিলেক্ট করলে ডেটা এন্ট্রি করার জন্য ডেটাশিট ভিউ উইন্ডো ফিরে আসবে। এ উইন্ডোতে ডেটা এন্ট্রি করতে হবে ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে ডেটাবেজে ডেটা সংরক্ষণ করলে যে সকল সুবিধা বা অসুবিধা হতে পারে তা নিচে বর্ণনা করা হলো :
সুবিধা :
১. ডেটাবেজ টেবিলের রেকর্ডগুলো আরোহী এবং অবরোহী উভয় বিন্যাসে বিন্যস্ত করা যায়। আরোহী পদ্ধতিতে ছোট থেকে বড় এবং অবরোহী পদ্ধতিতে বড় থেকে ছোট রুমের ভিত্তিতে টেবিল বিন্যস্ত হয়।
২. কতজন ছাত্র-ছাত্রী, কতজন ঠিকমতো বেতন দিয়েছে না-কি দেয় নি ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সহজে বের করা যাবে।
৩. রেজাল্টশীট তৈরির কাজ করা যেতে পারে।
৪. কোনো ছাত্র-ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ডেটাবেজ থেকে বের করতে পারে।
৫. সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
৬. ডেটার নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হবে।
৭. ডেটাকে অন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামেও ব্যবহার করা যাবে।
৮. ডেটা স্টোরেজে জায়গা কম লাগবে।
৯. কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
১০. রিকভারি করার সুবিধা থাকে ।
অসুবিধা :
১ . ডেটাবেজ বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনসম্পদ দরকার।
২. ডেটাবেজের নিরাপত্তা না থাকলে ডেটা হ্যাকিংসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি ও সুনাম নষ্ট হয় ।
৩. ভুল ডেটার কারণে ডেটাবেজ অকার্যকর/প্রভাবিত হতে পারে। উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের ফিগুলো নিয়ে ডেটাবেজ তৈরি করা হলে কলেজ কর্তৃক্ষ তাদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরো সহজ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
Question 7
আসিফ আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ পায় । কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমেরিকাতে যাওয়া সম্ভব হয় নি। অতঃপর বাংলাদেশে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জন করল। আসিফ পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। ফলে তার পারিবারিক অবস্থার উন্নতি হয় । তার বন্ধু মনির নতুন জাতের টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয় ।
উত্তরঃ
পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুনভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞানকে বলা হয় ন্যানোটেকনোলজি ।
উত্তরঃ
নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। গ্রিক শব্দ “ক্রায়ো” (বরফের মতো ঠাণ্ডা) এবং “সার্জারি” (হাতের কাজ) শব্দ দুটি মিলে সৃষ্টি হয়েছে ক্রায়োসার্জারি। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক ও রোগগ্রস্ত কোষগুলো ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারিতে তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, নাইট্রাস- অক্সাইড ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় ।
উত্তরঃ
আসিফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হয়েছে তথ্য ওযোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে ।
“ডিসটেন্স লার্নিং” হলো এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে কোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্জন করতে পারে। এর জন্য সর্বাগ্রে যা প্রয়োজন তা হলো ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট-এ সংযুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্বের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পড়াশোনা করা এবং ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা অর্জন অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ের। যেসব উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশের শিক্ষার্থীগণ আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিদেশ গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনা তারা ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা “edx” এর নাম উল্লেখযোগ্য ।
তাই বলা যায় যে, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমেরিকা গিয়ে শিক্ষার্জন করতে না পারলেও আসিফ “ডিসটেন্স লার্নিং” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে আসিফ এর আর্থিক সচ্ছলতার কারণ হলো আউটসোর্সিং এবং মনির এর আর্থিক সচ্ছলতার কারণ হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। এ দুটিই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান। নিচে এ দুটি বিষয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো :
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এখন দেশের শিক্ষিত সমাজের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। এর একটি উদাহরণ হলো আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং হলো অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন কোম্পানির কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। ফলে একজন শিক্ষিত বেকার ব্যক্তিও বিদেশি কোনো কোম্পানির প্রজেক্ট সম্পন্ন করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ এখন এসব মার্কেটপ্লেসে নিজের পছন্দসহ কাজগুলো খুঁজে নিচ্ছে। এভাবে দেশের লাখ লাখ বেকার যুবক আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে।
আবার বর্তমান বিশ্বে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদন, উন্নতমানের ফসলের বীজ উৎপাদন, ফলন বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। ফসলের গুণগতমান উন্নত করার ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন— সয়াবিন, টমেটো, ভুট্টা, পেঁপে, তুলা, তেল বীজ ইত্যাদি। এসব ফসলের জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকা-মাকড় ও অন্যান্য কীটনাশক ও ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। মনির, এ ধরনের টমেটো চাষ করেই অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয় ।
উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, আসিফ ও মনিরের আর্থিক সচ্ছলতার মূল কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল নিজ জীবনে কাজে লাগিয়েই উদ্দীপকের আসিফ ও মনির আর্থিক সচ্ছলতা লাভ করেছে।
Question 8
ডেটাবেজ তৈরিতে শিক্ষার্থীদের নাম, রোল, সেকশন, জিপিএ ইত্যাদি আইটেম ব্যবহার করা হয়। অনেকগুলো প্রোগ্রামের সাহায্য নেওয়া হয়। ডেটা আধুনিকীকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সুন্দর হয়।
উত্তরঃ
ডেটার নিরাপত্তার জন্য ডেটাকে বিশেষভাবে পরিবর্তন করে অন্য ফরম্যাটে উপস্থাপন করার পদ্ধতিকে ডেটা এনক্রিপশন বলে।
উত্তরঃ
বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ হচ্ছে কর্পোরেট ডেটাবেজ। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা বিশেষ ধরনের প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে, তাকে কর্পোরেট ডেটাবেজ বলে । কর্পোরেট ডেটাবেজ বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো কর্পোরেট ডেটাবেজ ইন্টারনেট ভিত্তিক। ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কর্পোরেট ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয় ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডেটাবেজ শিক্ষার্থীদের নাম, রোল, সেকশন, জিপিএ ইত্যাদি আইটেম ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত ফিল্ড বা আইটেমগুলোর মধ্যে “রোল” আইটেমটি ইউনিক ডেটা আইটেম। কারণ ‘রোল’ আইটেমটি একটি প্রাইমারি কী। ডেটা টেবিলের যে ফিল্ডের মানসমূহ দ্বারা একটি রেকর্ডকে অন্যান্য রেকর্ড থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা করা যায় সেই ফিল্ডকে প্রাইমারি কী বলা হয়। এ জাতীয় ফিল্ডের প্রতিটি ডেটা ভিন্ন হতে হয় অর্থাৎ কোনো ডুপ্লিকেট ডেটা থাকতে পারে না। নিচে টেবিলটি দেওয়া হলো :
নাম |
রোল |
সেকশন |
জিপিএ |
রাকিব |
১০১ |
A |
5.00 |
রশিত |
১০২ |
A |
4.00 |
এখানে ‘রোল’ প্রাইমারি কী। এ ফিল্ডের প্রত্যেকটি ভ্যালু, ইউনিক হবে। রিলেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এরকম ফিল্ড ব্যবহার করা যায়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামগুলোর অর্থাৎ ডেটা আধুনিকীকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে ঐ তা হলো ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS)।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য একসেস, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি । ডেটাবেজ রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও আধুনিকীকরণের কাজও করা হয় DBMS ব্যবহার করে। তথ্য ব্যবস্থাপনাকে সুন্দর ও কার্যোপযোগী করে তুলতে পারে DBMS। DBMS এর প্রাথমিক কাজসমূহ নিম্নরূপ :
১. ডেটাবেজ তৈরি করা, ডেটা এন্ট্রি করা এবং ডেটা সংরক্ষণ করা ।
২. ডেটার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন করা ।
৩. অপ্রয়োজনীয় ডেটা/রেকর্ড ডিলিট করা।
৪. রির্পোট তৈরি ও প্রিন্ট করা ।
৫. ডেটাবেজকে কোন ফিল্ডের ভিত্তিতে Ascending/ Descending অর্ডারে সাজানো ।
৬. ডেটাবেজ আপডেট করা ।
৭. ডেটা নিরাপত্তা বিধান করা এবং ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করা ।
৮. ডেটা ব্যাকআপ ও রিকভারি করা।