তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ঢাকা বোর্ড ২০১৭

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

নুসাইবা তার ফ্লাটের তিনটি রুমের তিনটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে স্থাপন করতে চাইল যাতে তার বাবার রুমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত প্রিন্টারটি পরিবারের সবাই ব্যবহার করতে পারে। নেটওয়ার্ক স্থাপনে তার বাবার পরামর্শ হলো কোনো না কোনো তার (ক্যাবল) মাধ্যম ব্যবহার করা এবং তার আম্মার পরামর্শ হলো কোনো না কোনো ওয়্যারলেস মিডিয়া ব্যবহার করা। তবে নুসাইবা মাঝে মাঝে নিজের মোবাইল ফোন এবং তার আম্মার মোবাইল ফোন এর সাথে IEEE 802.15 স্ট্যান্ডার্ড এর একটি প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে ।

উত্তরঃ

NIC এর পূর্ণরূপ Network Interface Card. দুই বা ততোধিক  কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডই NIC।

উত্তরঃ

9600 bps স্পিডটি হলো ভয়েস ব্যান্ড। 9600 bps বলতে বুঝায় প্রতি সেকেন্ডে 9600 bit ডেটা স্থানান্তরিত হয়। ভয়েস ব্যান্ডে সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরিত হয়।

টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডউইড্থ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ

নুসাইবা উদ্দীপকে যে পদ্ধতির সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে সেই পদ্ধতিটি হলো ব্লুটুথ। এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.15। ব্লুটুথ হলো একটি তারবিহীন যোগাযোগ পদ্ধতি। যা দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে। ব্লুটুথ এমন এক তারবিহীন প্রযুক্তি যা 10 সে.মি. থেকে 100 মিটার দূরত্বের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক বা একাধিক যন্ত্রের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে পারে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিভিএ, স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিভাইসে ব্লুটুথ বিল্ট ইন আকারে থাকে। এটি PAN এর ওয়্যারলেসভিত্তিক নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। এটি 2.4 GHz ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে।

 

ফোনের সাথে হান্ডস ফ্রি হেডসেটের সংযোগ ঘটিয়ে সাউন্ড বা ভয়েস ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়। জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ও ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্যবহৃত হয়। ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়। প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় এমন স্থানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নুসাইবার মায়ের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

নুসাইবা তার ফ্লাটের তিনটি রুমের তিনটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে স্থাপন করতে চায়। এক্ষেত্রে তার মায়ের পরামর্শ হলো যেকোনো ওয়ারলেস মিডিয়ার সাহায্যে নেটওয়ার্কটি গঠন করা। এক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ওয়্যারলেস মাধ্যমটি হলো Wi-Fi Wi-Fi হচ্ছে Local Area Nework (LAN) ওয়্যারলেস ব্যবস্থা যেখানে বহনযোগ্য কম্পিউটারের সাথে সহজেই ইন্টারনেট সংযুক্ত করা যায়। Wi-Fi এর স্ট্যান্ডার্ড হলো IEEE 802.11. Wi-Fi এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠনের সব থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় । এর সাহায্যে অতি সহজেই কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায় এবং এতে খরচও অনেক কম পড়ে। এছাড়াও ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়ই নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক যেকোনো জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।

অপরদিকে, নুসাইবার বাবার পরামর্শ হলো নেটওয়ার্ক স্থাপনে কোনো ক্যাবল ব্যবহার করা। যেমন : টুইস্টেট পেয়ার বা কো-এক্সিয়াল । কিন্তু নেটওয়ার্ক স্থাপনে ক্যাবল ব্যবহার করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ পদ্ধতিতে তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক বহনযোগ্য নয়। এছাড়াও ক্যাবল দ্বারা তৈরিকৃত নেটওয়ার্ক EMI দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

উপরিউক্ত আলোচনা শেষে আমার মতামত এই যে, নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নুসাইবার মায়ের পরামর্শ (ওয়্যারলেস মাধ্যম) গ্রহণ করলেই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

Question 2

ভিনক্লু নামে জাপানের এক প্রযুক্তি কোম্পানি ডিজিটাল প্রযুক্তির কৃত্রিম গৃহকর্মী তৈরি করেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে হিকারি। এই গৃহকর্মীকে দেখা যাবে হলোগ্রাফিক পর্দায়। হিকারি তার গৃহকর্তাকে ঘুম থেকে জাগানো, গুড মর্নিং বলা, অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন বার্তা পাঠানোর কাজও করবে। রাফি সদ্য পড়াশুনা শেষ করে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছে। যেহেতু সে বাসায় একা থাকে তাই মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয় । সেজন্য সে একটি হিকারি কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন। যেহেতু হিকারির দাম বেশি তাই বাসা থেকে চুরি না হয় সেজন্য বাসার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা করলেন যাতে পরিচিত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট বাটনে আঙুলের ছাপ দিয়ে বাসায় প্রবেশ করতে পারবে। যদিও নিরাপত্তার জন্য তার অফিসে টাকার ভোল্টে প্রবেশের জন্য মাইক্রোফোনে কথা বলে প্রবেশ করতে হয়।

উত্তরঃ

ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা খুব নিম্ন তাপমাত্রায় বা শীতলীকরণের মাধ্যমে শরীরের অসুস্থ বা অস্বাভাবিক  টিস্যুকে ধ্বংস করে ।

উত্তরঃ

আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি।  যখন কোনো একটা বস্তুর কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ  প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণুগুলোকে ন্যানোমিটার স্কেলে বা ন্যানো পার্টিকেল রূপে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই  প্রযুক্তিকে ন্যানো টেকনোলজি বলে। এ প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা হচ্ছে  এর মাধ্যমে কোনো পদার্থের অণু-পরমাণুকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে কাঙ্ক্ষিত রূপ দেওয়া যায়। বর্তমানে জিন প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল,  যন্ত্র প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের হিকারি তৈরিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো রোবটিক্স। টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।

রোবটিক্স হলো রোবট টেকনোলজির একটি শাখা যেখানে রোবটের গঠন, কাজ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। রোবোটিক্স বা রোবটবিজ্ঞান হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রসমূহ ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞান। রোবটবিজ্ঞান ইলেকট্রনিক্স, প্রকৌশল, বলবিদ্যা, মেকানিক্স এবং সফটওয়্যার বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। রোবোটিক্স- এর সাধারণ বিষয়গুলো হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিদ্যা। এ প্রযুক্তিটি কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট মেশিন তৈরি করে যেগুলো আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটা মানুষের মতো হয় এবং অনেকটা মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রাগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা- স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে এবং এর কাজের ধরন দেখে মনে হয় এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। এ ক্ষেত্রটিতে তাই রোবটকে যেসব বৈশিষ্ট্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো হলো— দর্শনেন্দ্রিয় বা ভিজুয়্যাল পারসেপশন, সংস্পর্শ বা স্পর্শনেন্দ্রিয়গ্রাহ্য ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রন ও ম্যানিপুলেশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বা নিপুণতা, যেকোনো স্থানে দৈহিকভাবে নড়াচড়ার ক্ষমতা বা লোকোমোশন ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের রাফির বাসা ও অফিসে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কৌশলগুলো হলো যথাক্রমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভয়েস রিকগনিশন যা বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা যায়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভয়েস রিকগনিশন বায়োমেট্রিক্সের দুটি শাখা । ফিঙ্গারপ্রিন্ট হচ্ছে বহুল পরিচিত একটি বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস যার . সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব হতে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ খুবই কম। শনাক্তকরণে খুব কম সময় লাগে এবং সফলতার হার প্রায় শতভাগ ।

অন্যদিকে ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরকে ডেটাবেজে সংরক্ষিত করে ঐ ভয়েস ডেটা ফাইলের সাথে ব্যবহারকারীর ভয়েসের তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতি সহজ ও কম খরচে বাস্তবায়নযোগ্য হলেও এর সূক্ষ্মতা তুলনামূলকভাবে কম ভয়েস নকল করে সহজে ধোকা দেওয়া যায়।

উপরোল্লিখিত বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্পষ্ট যে উদ্দীপকের রাফির গৃহীত নিরাপত্তা পদ্ধতির মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিটি বেশি উপযোগী।

Question 3

সেতু একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিং ডিভাইস দিয়ে তাদের বাসার চারটি ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করার চিন্তা করল। কেন্দ্রীয় ডিভাইস ব্যবহার করতে চাইল কারণ কোনো একটি ডিজিটাল ডিভাইস নষ্ট হলে যেন পুরো নেটওয়ার্ক সিস্টেম অচল না হয়। কিন্তু তার ভাই শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন ক্যাবলের সাহায্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চাইল যাতে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন খরচ কম হয় ।

 

উত্তরঃ

 প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় কোনো অবস্থাতেই যার মান পরিবর্তন করা যায় না তাকে ধ্রুবক বলে।

উত্তরঃ

সি (C) কে মধ্যমস্তরের ভাষা বলার কারণ সি একটি উচ্চস্তরের ভাষা কিন্তু সি দিয়ে সহজে উচ্চ স্তরের এবং নিম্নস্তরের ভাষার মধ্যে সমন্বয় করা যায়। আবার উচ্চ স্তরের ভাষার মতো বিট, বাইট ও মেমোরি অ্যাড্রেসের পরিবর্তে বিভিন্ন ডেটা টাইপ ভেরিয়েবল নিয়ে কাজ করা যায়। তাছাড়া সি এর প্রোগ্রামিং কৌশল নিম্নস্তরের ভাষার মতো কঠিন নয়। আবার উচ্চ স্তরের ভাষার মতো সহজও নয়। সি দিয়ে ইচ্ছামতো হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এই জন্য সি (C) কে মধ্যমস্তরের ভাষা বলা হয়।

উত্তরঃ

যুগ ভৌগোলিক বিচারে উদ্দীপকে গঠিত নেটওয়ার্কটি PAN। কোনো ব্যক্তির দৈনন্দিন ব্যবহৃত ব্যক্তিগত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয় তাই পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা PAN নামে পরিচিত। সেতু একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিং ডিভাইস দিয়ে তাদের বাসার চারটি ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপনের চিন্তা করলো। সেতুর নেটওয়ার্কটি PAN যা একই কক্ষের মধ্যে অথবা একই বিল্ডিংয়ে গড়ে তোলা যায়। এ নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি 10 মিটার পর্যন্ত হতে পারে। USB, Firewar Bus বা Wireless Mediam দিয়ে প্যানের ডিভাইসগুলো সংযুক্ত থাকতে পারে। প্যানের ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যামেরা, পিডিএ, মোবাইল, প্রিন্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। PAN নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, নয়েজ দ্বারা প্রভাবিত হয় না এবং খরচ তুলনামূলকভাবে কম ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের উল্লিখিত নেটওয়ার্ক সংগঠন বাস্তবায়নে সেতু যে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের কথা বলে সেটা হলো স্টার টপেপালজি। তার ভাই যে নেটওয়ার্ক এর কথা বলে সেটা হলো বাস টপোলজি। বাস টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। যার প্রধান ক্যাবলটিকে ব্যাকবোন বলে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়। ফলে খরচও সাশ্রয় হয়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় না।

অপরদিকে স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাবে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্ককে অকেজো করে দেয়। এবং স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

অতএব উপরিউক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে নেটওয়ার্ক সংগঠন বাস্তবায়নে ভাইয়ের নেটওয়ার্ক অর্থাৎ বাস টপোলজি যুক্তিযুক্ত।

Question 4

উত্তরঃ

যোগ ও গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে এই নিয়মগুলোই বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ ।

উত্তরঃ

যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী লজিক সার্কিটটি হলো ডিকোডার ।

যে লজিক সার্কিট কোনো কোডকে ডিকোড করতে পারে তাকে ডিকোডার বলা হয়। এটি এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে। ডিকোডার ইনপুটের সংখ্যা n হলে তার আউটপুট সংখ্যা 2n হবে এবং আউটপুট লাইনে যেকোনো একটি আউটপুট 1 হলে বাকি সব আউটপুট· 0 পাওয়া যাবে। আউটপুট অবস্থা সর্বদা ইনপুট অবস্থার উপর নির্ভরশীল ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের লজিক সার্কিটের আউটপুট সমীকরণ নিচে সরলীকরণ করা হলো –

উত্তরঃ

F কে NAND গেটের  মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হলো :

NAND গেইটের গুরুত্ব : NAND গেইটকে সার্বজনীন বা ইউনিভার্সাল গেইট বলে। ‘সর্বজনীন গেইট দ্বারা যেকোনো মৌলিক গেইট (AND, OR, NOT) বাস্তবায়ন করা যায়। আবার মৌলিক গেইট দিয়ে যেকোনো লজিক সার্কিট তৈরি করা যায়। সুতরাং NAND গেইট দিয়ে যেকোনো লজিক সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায় ।

Question 5

শাহরিয়ার সাহেব এমন একটি ছোট ওয়েব পেইজ তৈরি করতে চাইলেন যেখানে institute.png নামের একটি ছবি ও নিচের টেবিলগুলো থাকবে

উত্তরঃ

নো সুনির্দিষ্ট ল্যাংগুয়েজ দ্বারা যে রীতিতে কোনো প্রোগ্রামের স্টেটমেন্টগুলো রচিত হয় সে সুস্পষ্ট রীতিই উক্ত ল্যাংগুয়েজের ক্ষেত্রে HTML Syntax হিসেবে বিবেচিত হয়।

উত্তরঃ

হাইপারলিঙ্ক হচ্ছে একটি ওয়েবপেইজের কোনো একটি অংশের সাথে বা কোনো পেইজের সাথে অন্যান্য পেইজের সংযোগ স্থাপন করা। লিঙ্কের সিনটেক্সটি নিম্নরূপ :

< a href = “url” > link text < /a>

হাইপারলিঙ্কে ক্লিক করে একই ডকুমেন্টের ভিন্ন পেইজে অথবা একই ডকুমেন্টের ভিন্ন কোনো অবস্থানে অথবা ভিন্ন কোনো ডকুমেন্টের ভিন্ন কোনো পেইজে যাওয়া যায়। সম্পর্কিত তথ্য দ্রুত প্রদর্শন করে জানা যায়। ব্রাউজকারীর সময় সাশ্রয় হয়। তাই বর্তমানে ওয়েব পেইজে Hyperlink একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ২য় টেবিলের তথ্যাবলি মজিলা ফায়ারফক্স ওয়েব ব্রাউজারে দেখার জন্য HTML এর সাহায্যে প্রয়োজনীয় কোড নিম্নরূপ :<!DOCTYPE html>

<html>

<body>

<table border=”1″>

<caption> Employee Information </caption>

<tr>

<th> ID No </th>

<th> Emp.Name </th>

<th> Salary </th>

</tr>

<tr>

<td> 1001 </td>

<td> Nafis </td>

<td rowspan=”2″> 50000 </td>

</tr>

<tr>

<td> 1005 </td>

<td> Sajal </td>

</tr>

</table>

</body>

</html>

উত্তরঃ

১ম টেবিলের ফাঁকা সেলে উদ্দীপকে উল্লিখিত নামের ছবিসহ ১ম টেবিলের তথ্য ওয়েব ব্রাউজারে দেখার জন্য HTML কোড নিম্নরূপ

<!DOCTYPE html>

<html>

<body>

<table border=”1″>

<tr>

<th>Serial No</th>

<th>Institute picture</th>

</tr>

<tr>

<td> 01 </td>

<td> <img src=”institute.png” width=”50″ height=”50″ </td>

</tr>

</table>

</body>

</html>

ওয়েব পেইজে ইমেজ ব্যবহারের গুরুত্ব নিম্নরূপ :

১. ওয়েব প্রেজেন্টেশনে ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই টেক্সটের পরিমাণ কমিয়ে আনে ।

২. ইমেজের ব্যবহার হচ্ছে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি উৎকৃষ্ট উপায় ।

৩. ইমেজকে লিঙ্ক হিসেবে নেভিগেশন টুলস ব্যবহার করে ওয়েবপেজটি আরও দর্শনীয় করে তোলা যায় ।

সুতরাং ইমেজ যাই হোক না কেন দর্শনযোগ্য উপাদানগুলো সংযোজন ‘ওয়েব প্রেজেন্টেশনকে আরও বেশি বিশেষত্ব প্রদান করে ।

Question 6

১২-৮-২০১৬ তারিখে আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বর্তমানে আমরা কম্পিউটারের সাহায্যে সাধারণ সমস্যা সমাধানের জন্য যে প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করি তা কম্পিউটারকে বোঝানোর প্রোগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন এবং বলেছিলেন আগামী ক্লাসে কতকগুলো সিরিজের সংখ্যার যোগফল সি প্রোগ্রামিং ভাষার সাহায্যে বের করার প্রোগ্রাম শিখাবেন। তাই তিনি পরবর্তী ক্লাসে এসে ব্লাকবোর্ডে 221 + 223 + 225 +…… + N সিরিজ লিখে আলোচনা শুরু করলেন ।

উত্তরঃ

অ্যারে হলো একই ডেটা টাইপের কতকগুলো ভেরিয়েবল সেট।

উত্তরঃ

চলক বা ভেরিয়েবল তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিধিবদ্ধ নিয়ম কানুন রয়েছে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো।

১.চলকের প্রথম অক্ষর অবশ্যই আলফাবেটিক ক্যারেক্টার হবে। চলক নাম ডিজিট বা অঙ্ক দিয়ে শুরু হতে পারে না। যেমন- Roll -1 বৈধ চলক কিন্তু 1 Roll অবৈধ ।

২. চলকের মধ্যে স্পেশাল ক্যারেক্টর আন্ডারস্কোর চিহ্ন ব্যবহার করা যায়। আন্ডারস্কোর ব্যতীত অন্য কোনো স্পেশাল ক্যারেক্টার ব্যবহার করা যায় না।

৩. একই ফাংশনে একই নামে দুই বা ততোধিক চলক ঘোষণা করা যায় না।

৪. চলক নামের মধ্যে কোনো ফাঁকা স্থান থাকবে না ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের উল্লেখিত সিরিজের যোগফল নির্ণয়ের জন্য C ভাষায় প্রোগ্রাম নিচে দেখানো হলো-

# include <stodio.h>

#include <conio.h>

main ( )

{

int i,sum;

sum=0;

printf(“Value of N”);

scanf(“% d”, & N);

for ( i =221; i<=N; i = i+2)

{

Sum = Sum+ i;

}

print(“%d”,sum);

getch();

}

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত তারিখে আইসিটি শিক্ষক আলোচ্য প্রোগ্রামের মধ্যে যে দুটি প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন তা হলো :

  1. মেশিন ভাষা বা যান্ত্রিক ভাষা;
  2. উচ্চতর ভাষা বা হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ।

কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা হচ্ছে মেশিন ভাষা। এটি নিম্নস্তরের ভাষা । এটি কম্পিউটারের মৌলিক ভাষা। এই ভাষায় শুধুমাত্র ০ এবং ১ ব্যবহার করা হয় বলে এই ভাষায় দেওয়া কোনো নির্দেশ কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে। মেশিন ভাষার সাহায্যে সরাসরি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করা যায় ।

অপরদিকে উচ্চতর ভাষা বা হাই লেভেল ভাষার সাথে মানুষের ভাষার মিল আছে। লিখিত প্রোগ্রাম ভাষা কম্পিউটার সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে, এই জন্য এসব ভাষাকে উচ্চতর ভাষা বলা হয় ।

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা খুবই কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। পক্ষান্তরে উচ্চস্তরের ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা সহজ এবং কম সময় প্রয়োজন হয় । মেশিন ভাষায় সরাসরি বাইনারি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা হয়ে থাকে বলে অনুবাদের কোনো প্রয়োজন হয় না ।

অপরদিকে উচ্চতর ভাষা মানুষের বোধগম্য ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা হয়ে থাকে বলে অনুবাদক প্রোগ্রাম দ্বারা বাইনারি ভাষায় রূপান্তর করে নিতে হয়। মেশিন ভাষায় কম পরিমাণে লজিক ও মেমোরিতে লিখিত প্রোগ্রাম নির্বাহ করা যায়। পক্ষান্তরে উচ্চস্তরের ভাষা বা হাই লেভেল ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম নির্বাহ করতে বেশি পরিমাণ লজিক্ ও মেমোরি প্রয়োজন হয়।

উপরের বর্ণনা থেকে বলা যায় উল্লিখিত তারিখে আইসিটি শিক্ষকের আলোচ্য মেশিন ভাষা ও উচ্চতর ভাষা প্রোগ্রামের মধ্যে উচ্চতর ভাষা। ঐ প্রোগ্রামটি বেশি উপযোগী ।

Question 7

কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপ্যাল স্যার ছাত্রীদের ডেটাবেজ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। ছাত্রীর নাম, রোল নম্বর, পিতার মোবাইল নম্বর, ভর্তির তারিখ ফিল্ডগুলোর সাহায্যে ডেটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন।

উত্তরঃ

ইন্ডেক্সিং হলো ভেটা টেবিলের রেকর্ডগুলোকে কোনো নির্ধারিত এক বা একাধিক ফিল্ড অনুসারে সাজানোর উদ্দেশ্যে মূল টেবিল অপরিবর্তিত রেখে রেকর্ডগুলোর অ্যাড্রেসকে সাজানো।

উত্তরঃ

যে ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনামূলক কাজ করে তাকে ডেটাবেজ অ্যাডমিনেস্ট্রেটর বলে। ভেটাবেজে সর্বময় কর্তারা সর্বোচ্চস্তরের ব্যবহারকারী যারা ডেটাবেজের সাথে অধিক পরিচিত এবং যারা ডেটাবেজ তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রশাসনিক ও কারিগরি দক্ষতার উপর ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক সাফল্য নির্ভর করে। তিনি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন। যেমন— ডেটাবেজ কাঠামো ডিজাইন পরিবর্তন ও সংশোধন করা, ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের সমন্বয় সাধন করা, ডেটাবেজ স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা, ব্যাকআপ ও রিকভারী করা ডেটাবেজ খোলা এবং বন্ধ করা ইত্যাদি ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত ফিল্ডগুলো নিয়ে student নামের একটি ডেটাবেজ টেবিল তৈরির পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-

১. শূন্য ডেটাবেজ উইন্ডো থেকে টেবিল তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।

২. শূন্য ডকুমেন্টের উপরের বামকোণে অফিস বোতাম এর নিচে View ড্রপ-ডাউন আইকনে ক্লিক করলে Save As ডায়ালগ বক্স আসবে। এ ডায়ালগ বক্সে টেবিলের জন্য একটি নাম টাইপ করে OK বোতামে ক্লিক করলে Design View উইন্ডো আসবে। এ উইন্ডোতে টেবিলের শিরোনাম ফিল্ড তৈরি করতে হবে।

৩. ফিল্ড তৈরি করার জন্য Field Name এর ঘরে Student Name টাইপ করে কী-বোর্ডের ট্যাব বোতামে চাপ দিলে কার্সর Data Type ঘরে চলে যাবে। এ ঘরের ড্রপ-ডাউন তীরে ক্লিক করলে বিভিন্ন প্রকার ধরন বা টাইপের তালিকা দেখা যাবে। যেমন- বর্ণ (Character বা Text), নম্বর (Number), মুদ্রা (Currency), দিন/তারিখ (Date/Time) ইত্যাদি। এ তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। যেমন- রেজাল্ট নির্ণয়ের জন্য নম্বর সিলেক্ট করতে হবে ।

৪. ডেটা টাইপ সিলেক্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে ফিল্ডস প্রোপার্টি অংশে ডেটার আরও কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেমন- Field Size ডানপাশের ঘরে নির্ধারণ করে দিতে হবে কোন ফিল্ডের আকার কত বড় হবে বা মেমোরিতে কত জায়গা নিবে এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য কেমন হবে।

৫. ফিল্ডের নাম টাইপ করা শেষ হলে View ড্রপ-ডাউন আইকনে ক্লিক করলে View ড্রপ-ডাউন আইকনের মেনু তালিকা থেকে Datasheet View সিলেক্ট করলে ডেটা এন্ট্রি করার জন্য ডেটাশিট ভিউ উইন্ডো ফিরে আসবে। এ উইন্ডোতে ডেটা এন্ট্রি করতে হবে ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ফিল্ডগুলো নিয়ে ডেটাবেজ তৈরি করা হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ যে ধরনের সুবিধা-অসুবিধা পেতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

সুবিধা :

১. ডেটাবেজ টেবিলের রেকর্ডগুলো আরোহী এবং অবরোহী উভয় বিন্যাসে বিন্যস্ত করা যায়। আরোহী পদ্ধতিতে ছোট থেকে বড় এবং অবরোহী পদ্ধতিতে বড় থেকে ছোট ক্রমের ভিত্তিতে টেবিল বিন্যস্ত হয়।

২. কতজন ছাত্র-ছাত্রী, কতজন ঠিকমতো বেতন দিয়েছে না-কি দেয় নি ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সহজে বের করা যাবে।

৩. রেজাল্টশীট তৈরির কাজ করা যেতে পারে ।

৪. কোনো ছাত্র-ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ডেটাবেজ থেকে বের করতে পারে। ৫. সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।

৬. ডেটার নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হবে ।

৭. ডেটাকে অন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামেও ব্যবহার করা যাবে।

৮. ডেটা স্টোরেজে জায়গা কম লাগবে।

৯. কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

১০. রিকভারি করার সুবিধা থাকে।

অসুবিধা:

১.ডেটাবেজ বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনসম্পদ দরকার।

২. ডেটাবেজের নিরাপত্তা না থাকলে ডেটা হ্যাকিংসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি ও সুনাম নষ্ট হয়।

৩. ভুল ডেটার কারণে ডেটাবেজ অকার্যকর/প্রভাবিত হতে পারে।

উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের ফিল্ডগুলো নিয়ে ডেটাবেজ তৈরি করা হলে কলেজ কর্তৃক্ষ তাদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরো সহজ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

Question 8

আইসিটি শিক্ষক একাদশ শ্রেণিতে সংখ্যা পদ্ধতি পড়াচ্ছিলেন। কিন্তু একজন ছাত্রের অমনোযোগিতার কারণে তিনি বিরক্ত হয়ে তার রোল নম্বর জিজ্ঞাসা করলেন। ছাত্র উত্তর দিল (31)10। তারপর শিক্ষক ছাত্রের গত শ্রেণির রোল জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিল (15)10। তখন শিক্ষক তাকে বললেন, তোমার অমনোযোগিতার কারণে খারাপ ফল হয়েছে ।

উত্তরঃ

কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেস হচ্ছে ঐ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নসমূহের মোট সংখ্যা।

উত্তরঃ

ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলকানিউমেরিক্যাল কোডটি হলো অ্যাসকি (ASCII) কোড। 

American Standard Code for Information Interchange এর সংক্ষিপ্ত রূপ ASCII বা অ্যাসকি। ১৯৬৫ সালে রবার্ট বিমার সাত বিটের অ্যাসকি কোড উদ্ভাবন করেন। অ্যাসকি একটি কোড, যা ৮টি বিট নিয়ে গঠিত হয়। এ কোডের মাধ্যমে

বা ২৫৬  টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। বর্তমানে অ্যাসকি কোড বলতে  ASCII-8 কেই বুঝায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের ছাত্রের বর্তমান রোল  । এই  কে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রকাশ করতে হবে।

 

(31)10——>(?)2

(31)10 = (11111)2

 

উদ্দীপকের ছাত্রের  বর্তমান রোল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে (11111)2

উত্তরঃ উদ্দীপকের ছাত্রের গত শ্রেণির রোল (15)10 । (15)10——> (?)2

(15)10= (1111)2

”গ হতে প্রাপ্ত উদ্দীপকের ছাত্রের বর্তমান রোল (11111)2 উদ্দীপকের আলোকে ছাত্রের দুই শ্রেণির রোলের পার্থক্য শুধুমাত্র যোগের মাধ্যমে অর্থাৎ ২-এর পরিপূরক ব্যবহার করে ফলাফল পরিবর্তন নিম্নরূপ :

(11111)2 – (1111)2

=(11111)2  + (-1111)2

(1111)2 ঋণাত্মক 1111এর 2 এর পরিপূরক করতে হবে।

(1111)2= (00001111)2

                 11110000 (1 এর পরিপূরক)

                             +1

———————————————-

            =(11110001)2 (2 এর পরিপূরক)

এখন,

(11111)2  =     (00011111)2

(-1111)2 =       (11110001)2

—————————————–

                    1 00010000

ক্যারিবিট বাদ দিতে হবে।

ক্যারিবিট বাদ দিয়ে 00010000 বা  10000 রাখতে হবে।

(10000)2= (16)10

 

উদ্দীকের ছাত্রের দুই শ্রেণির রোলের পার্থক্য 16 । অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে ছাত্রটির ফলাফলের অবনতি হয়েছে। ছাত্রটিকে ফলাফল ভালো করতে হলে পড়াশুনায় আরও মনযোগী হতে হবে।