তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কুমিল্লা বোর্ড ২০১৭

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওর মাধ্যমে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রাবন্দর উদ্বোধন করেন । অপরদিকে দেশের শিক্ষামন্ত্রী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইলেকট্রনিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের কথা বলার প্রেক্ষিতে ABC কলেজের পরিচালনার পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেস- রিকগনিশন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে। যদিও বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু আছে।

উত্তরঃ

ই-কমার্স হলো ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা।

উত্তরঃ

শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হয় ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (-41°C) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে । অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনের জন্য যে প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হয় তা হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। নিচে এ প্রযুক্তির সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো-

১. যেকোনো স্থানে অবস্থান করেও নির্দিষ্ট সভা, মিটিং এ অংশগ্রহণ করা যায় ।

২. অডিও এবং ভিডিও উভয় প্রকার সম্প্রচার এর মাধ্যমেই যোগাযোগ করা যায়।

৩.এ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ দূরে অবস্থান করেও একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারছে।

৪. অনেক দূরে অবস্থান করেও অথবা প্রত্যন্ত গ্রামের একজন নাগরিকও তার রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ডাক্তারকে জানাতে পারে ।

৫. ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা বিদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে ।

৬. এটি স্বল্পমূল্যের এবং কম সময় ব্যয় হয়। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মিটিং-এ যোগ দিতে ভ্রমণ বাবদ কোনো টাকা বা যানযট এর জন্য সময় নষ্ট হয়না।

উপরিউক্ত সুবিধাসমূহ ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে পাওয়া যায় ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ABC কলেজের পরিচালনা পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেস রিকগনিশন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে।

যদিও বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু আছে।

ফেস -রিকগনিশন হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার সাহায্যে মানুষের মুখের গঠন প্রকৃতি পরীক্ষা করে তাকে শনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারীর সরাসরি মুখের ছবিকে কম্পিউারে সংরক্ষিত ছবির সাথে তুলনা করা হয়। ফেস রিকগনিশন সিস্টেম সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সঠিক ফলাফল পাওয়া গেলেও ক্যামেরা ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় না। তাছাড়া ক্যামেরায় আলোর পার্থক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়। চুলের স্টাইল পরিবর্তন, মেকআপ ব্যবহার, গহনা ব্যবহার ইত্যাদি মুখমণ্ডল শনাক্তকরণকে ব্যাহত করে।

পক্ষান্তরে আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত একটি বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফিংগার প্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করার পূর্বেই ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষণ করতে হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙ্গুলের নিচের অংশের ত্বককে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে। ব্যক্তি শনাক্তকরণে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ তুলনামূলক কম হয় এবং শনাক্তকরণের জন্য খুবই কম সময় লাগে । সফলতার পরিমাণ প্রায় শতভাগ ।

উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় কম সময়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে উপস্থিতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ফেস রিকগনিশন অপেক্ষা ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি খুবই কার্যকর। সুতরাং ABC কলেজের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

Question 2

একটি ভিডিও এডিটিং ফার্মে পূর্বে কম সংখ্যক কম্পিউটার থাকায় যে নেটওয়ার্ক ক্যাবল ব্যবহার করত বর্তমানে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং দ্রুতগতি নিশ্চিত করতে ক্যাবলটি পরিবর্তন করতে হয়েছে। অপরদিকে স্বল্প খরচে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক এমনভাবে স্থাপন করেছে যেন একটি কম্পিউটার নষ্ট হলেও অন্য কম্পিউটারের কাজ বন্ধ থাকে না।

উত্তরঃ

ডেটা কমিউনিকেশন বলতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার পয়েন্টের মধ্যে ডিজিটাল ইনফরমেশন স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে বোঝায় ।

উত্তরঃ

ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একই সময়ে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান- প্রদান করতে পারে ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে স্বল্প খরচে যে নেটওয়ার্ক টপোলজি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো বাস টপোলজি। যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সব কয়টি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে, তাকে বাস টপোলজি বলে। একে অনেক সময় লিনিয়ার টপোলজিও বলা হয়। এর মূল ক্যাবলকে ব্যাকবোন বলে। প্রতিটি কম্পিউটার মূল বাসের সাথে সংযুক্ত থাকে । নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় যখন কোনো ডেটা স্থানান্তর করা হয় তখন ঐ ডেটা সিগনাল আকারে মূল বাসে চলাচল করে । শুধু প্রাপক কম্পিউটার ডেটাটি গ্রহণ করে এবং বাকিগুলো অগ্রাহ্য করে । নিচে চিত্রের মাধ্যমে একটি বাস টপোলজির কাঠামো উপস্থাপন করা হলো-

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লেখিত ফার্মে বর্তমানে কো-এক্সিয়াল নেটওয়ার্ক ক্যাবল ব্যবহার করেছে।

দুটি পরিবাহী ও অপরিবাহী বা প্যারাবৈদ্যুতিক পদার্থের সাহায্যে এ তার তৈরি করা হয়। ভিতরের পরিবাহীকে আচ্ছাদিত করার জন্য ও বাইরের পরিবাহী থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ থাকে ।

কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহারের কারণ—

১. ইউটিপি বা এসটিপি ক্যাবলের তুলনায় সিগন্যাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম ।

২. ডেটা স্থানান্তর গতি বেশি হয়।

৩. 500 MHz ফ্রিকুয়েন্সিতে ডিজিটাল ও এনালগ ডেটা পাঠানো যায় ।

৪. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চাইতে অধিক দূরত্বে তথ্য পাঠানো যায় এবং সিগন্যাল এটিনিউয়েশনের পরিমাণ কম।

৫. ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়।

৬. এ ক্যাবল সহজেই ইনস্টল করা যায় ।

৭. ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তুলনায় দামে অনেক সস্তা ।

Question 3

২০১৬ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষক আলীর  (৪২)১০ হেক্টর জমির আলু, জামিলের (২৫৩.২)হেক্টর জমির সরিষা, হাসিবের (E৩.২)১৬ হেক্টর জমির টমেটো এবং জলিলের (১১০) হেক্টর জমির শসা নষ্ট হয়েছে।

উত্তরঃ

দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য যে কোড ব্যবহার করা হয়, তাই BCD (Binary Coded Decimal) কোড।

উত্তরঃ

5D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। কারণ সংখ্যাটিতে ২টি অঙ্ক ও বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে, যথা 5 এবং D। চার প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে কেবল হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতেই এরূপ অঙ্ক ও বর্ণ ব্যবহৃত হয় । হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০টি অঙ্ক এবং ইংরেজি বড় হাতের প্রথম ৬টি বর্ণ ব্যবহার করা হয় । তাই এটি স্পষ্ট যে, 5D হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতির সংখ্যা।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের অনুযায়ী আলীর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে= (৪২)১০

জলিলের নষ্ট হয়েছে (১১০)=(৬)১০

(৪২)১০ এর আট বিশিষ্ট বাইনারি মান = ০০১০১০১০

(৬)১০ এর আট বিট বিশিষ্ট বাইনারি মান = ০০০০০১১০

১ এর বাইনারি পরিপূরক = ১১১১১০০১

                                                    +১

———————————————————————————————————

২ এর বাইনারি পরিপূরক = ১১১১১০১০

 

আলীর জমি (৪২)১০     = ০০১০১০১০

জলিলের জমি (−৬)১০ = ১১১১১০১০

————————————————————————————————————

(৩৬)১০                    = ০০১০০১০০

অতিরিক্ত ক্যারি বিট বিবেচনা করা হয় না।

জলিলের জমির ফসল নষ্টের পরিমাণ =(৩৬)১০

উত্তরঃ

উদ্দীপকের জামিলের মোট জমি ক্ষতি হয়েছে-

(২৫৩.২)হেক্টর .

বা, (১৭১.২৫)১০ হেক্টর

আবার,

হাসিবের মোট জমি ক্ষতি হয়েছে

(E৩.২)১৬ হেক্টর

বা, (২২৭.১২৫)১০ হেক্টর

জামিলের চেয়ে হাসিবের জমির ক্ষতি হয়েছে

=(২২৭.১২৫−১৭১.২৫)১০

=(৫৫.৮৭৫)১০

রাফ :

(২৫৩.২) =২×৮+৫×৮+৩×৮+২×৮-১

= ২ × ৬৪+৫×৮+৩×১+ ×২/৮

= ১২৮+৪০+৩+০.২৫

=(১৭১.২৫)১০

(E৩.২)১৬=

F ×১৬+৩×১৬+২×১৬-১

= ১৪×১৬+৩×১ + ২/১৬

= ২২৪+৩+০.২৫

= (২২৭.১২৫)১০

 

সুতরাং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে জামিলের থেকে হাসিবের (৫৫.৮৭৫)১০ হেক্টর জমি বেশি ক্ষতি হয়েছে।

Question 4

উত্তরঃ

রেজিস্টার হলো মাইক্রো প্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত উচ্চ গতিসম্পন্ন মেমোরি যা কতকগুলো বিট ধারণ করে থাকে।

উত্তরঃ

যৌক্তিক পূরণের ক্ষেত্রে Output হয় Input এর যৌক্তিক বিপরীত। অর্থাৎ Input এ যে মান দেওয়া হয় Output এ তার ঠিক বিপরীত মান পাওয়া যায়। 0 এবং 1 একটি অপরটির পূরক। তাই

Input 0 (মিথ্যা) হলে, Output 1 (সত্য) হবে। আবার Input 1 (সত্য) হলে, Output 0 (মিথ্যা) হবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ১-নং গেইটটি হল NOR গেইট। NOR গেট দিয়ে মৌলিক গেইট গুলো বাস্তবায়ন সম্ভব। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো –

Question 5

উত্তরঃ

মডেম হলো একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস যা তথ্যকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছে দেয় ।

উত্তরঃ

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা করা হয়। এই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে। এ ক্যাবলের বিশেষত্ব হলো এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে । এর মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা প্রেরণ সম্ভব।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এর ওয়েবসাইট কাঠামোটি হলো হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামো।

ওয়েবসাইট কাঠামোর মধ্যে হায়ারারকিক্যালই সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় ও যুক্তিপূর্ণ। বেশিরভাগ অনলাইন সিস্টেমই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এ ধরনের কাঠামোতে মূল Topics এর লিস্ট অথবা মেনু তৈরি করা থাকে এবং মূল Topics থেকে Sub-Topics তৈরি করা থাকে। প্রতিটি Sub-Topics এ নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা থাকে। এ ধরনের কাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী অতিরিক্ত স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। লিঙ্কের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই ওয়েবের এক পেইজ থেকে আর এক পেইজে অনায়াসে যেতে পারেন এবং ওয়েব পেইজটির কোন অংশে তিনি অবস্থান করছেন তা জানা তার পক্ষে সহজসাধ্য হয়। হায়ারারকিক্যাল কাঠামোর হোমপেইজটিতে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য লিঙ্ক ব্যবহার করে হোম পেইজ থেকে অন্যান্য পেইজে যাওয়া যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ কে ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য HTML এর প্রয়োজনীয় কোডসমূহ নিচে তৈরি করা হলো-

< html >
< body >
< table border=”1″ >
< tr >
    < th > Roll < /th >
    <th> Subject < /th >
< /tr >
< tr >
    < td >201 < \td >
    < td > Bangla < /td >
< /tr >
< tr >
    < td > 202 < /td >
    < td > English < /td >
< /tr >
< tr >
    < td >203< /td >
    < td > ICT < /td >
< /tr >
< /table >
< /body >
< /html >

Question 6

22+42+62+……+802

উত্তরঃ

যে প্রোগ্রাম উৎস প্রোগ্রামকে মেশিনের ভাষা বা যন্ত্র ভাষায় অনুবাদ করে বস্তু প্রোগ্রামে রূপান্তরিত করে সে প্রোগ্রামই হলো অনুবাদক প্রোগ্রাম ।

উত্তরঃ

কম্পাইলারের সীমাবদ্ধতার কারণে চলকের নামকরণের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন—

১. চলকের প্রথম বর্ণটি অবশ্যই আলফাবেটিক বর্ণ (a…….Z, A … Z) হতে হবে ।

২. একই ফাংশনে একই নামে একাধিক চলক ঘোষণা করা যাবে না।

৩. চলকের নামের মাঝে কোনো ফাকা স্থান থাকতে পারে না।

৪. চলকের মান সংখ্যা বা ডিজিট দিয়ে শুরু হতে পারে না ইত্যাদি ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ব্যবহৃত সিরিজটির ফ্লোচার্ট নিচে আঁকা হলো-

উত্তরঃ

উদ্দীপকে যে সিরিজটি উল্লেখ আছে তার প্রোগ্রাম রচনার ক্ষেত্রে For এবং do while লুপ ব্যবহারের পার্থক্য রয়েছে। নিচে দুটি লুপের মাধ্যমে সিরিজটির প্রোগ্রাম রচনা করে এদের মধ্যে সার্বিক পার্থক্য তুলে ধরা হলো-

  1. For লুপ ব্যবহার :

#include <stdio.h>

#include<conio.h>

main ()

{

int n = 80, S,i;

S = 0;

for (i= 2; i<80; i = i +2)

{

S=S+ i*i;

}

printf(“sum-%d”, S);

getch ( );

}.

 

 

  1. do while লুপ ব্যবহার :

#include <stdio.h>

#include <conio.h>

main ()

{

int n = 80, S, i;

S = 0;

i=2;

do

{

S=S+i*i;

i = i +2;

}

while (i < 80);

printf(“sum-%d”, S);

getch ( );

}

Question 7

রহিম ও করিম প্রোগ্রামার। দু’জনের প্রোগ্রাম তৈরির পদ্ধতি দু’ধরনের। রহিমের প্রোগ্রাম ভুল সংশোধন করে সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম পড়ার পর আর করিমের প্রোগ্রাম ভুল সংশোধন করে প্রতিটি লাইন পৃথক পৃথকভাবে । অপরদিকে কাব্য প্রোগ্রাম লেখার জন্য ইংরেজি শব্দ বহার করে ।

উত্তরঃ

কম্পিউটার সিস্টেমে প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যবহৃত শব্দ, বর্ণ, অঙ্ক, সংকেত এবং এগুলোর বিন্যাসের নিয়মগুলোকে একত্রে প্রোগ্রামের ভাষা বলে । মূলত কম্পিউটারকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য তৈরি ভাষাই হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা ।

উত্তরঃ

মেশিন ভাষায় শব্দ ছাড়াই শুধুমাত্র সংখ্যার মাধ্যমে ভাষা প্রকাশ সম্ভব। মেশিন ভাষায় বাইনারি অঙ্ক বা 0 এবং 1 ব্যবহার করে সকল নির্দেশ দেওয়া হয় কম্পিউটারকে। নির্দিষ্ট নির্দেশ এর জন্য বাইনারি সংখ্যার নির্দিষ্ট বিট ব্যবহার করা হয়। তাই কোনো শব্দ ছাড়াই সংখ্যার মাধ্যমে ভাষা প্রকাশ করা সম্ভব।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্ণনা মতে কাব্যের প্রোগ্রাম লেখার ভাষা হলো উচ্চ স্তরের ভাষা বা হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ। মেশিন ও অ্যাসেম্বলি ভাষায় এক কম্পিউটারের জন্য রচিত প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না। তাছাড়া লো লেভেল ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা কষ্টকর ও সময়সাধ্য ব্যাপার। কম্পিউটার এর পক্ষে লো লেভেল ভাষা বোঝা সহজ হলেও মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন। এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য উচ্চতর ভাষার উদ্ভব হয়। মানুষের কাছাকাছি ভাষা হলো হাই লেভেল ভাষা। হাই লেভেল ভাষা মানুষ সহজেই লিখতে, পড়তে ও বুঝতে পারে। এটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়। যেমন- C++, BASIC, PASCAL ইত্যাদি উচ্চস্তরের ভাষা ।

উদ্দীপকের কাব্য যে প্রোগ্রামটি লিখেছে তাও ইংরেজি ভাষায় । তাই এটি স্পষ্ট যে, কাব্যের প্রোগ্রাম লেখার ভাষা উচ্চস্তরের ভাষা ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের রহিম এবং করিমের প্রোগ্রাম নির্বাহের ক্ষেত্রে রহিমের প্রোগ্রামটি দ্রুত গতিসম্পন্ন ।

রহিম প্রোগ্রাম নির্বাহের ক্ষেত্রে যে অনুবাদক প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে তা হলো কম্পাইলার। আর করিম এর অনুবাদক প্রোগ্রামটি হলো ইন্টারপ্রেটার। কম্পাইলার সম্পূর্ণ উৎস প্রোগ্রামটিকে একসাথে পড়ে এবং সবগুলো ভুল একসাথেই প্রদর্শন করে। ফলে প্রোগ্রামের কম্পিউটারের সমস্ত ভুল একসাথে জানতে পারে এবং একই সাথে সবগুলো ভুল ঠিক করতে পারে বলে সময় অনেক কম লাগে ।

কিন্তু ইন্টারপ্রেটার প্রোগ্রামের এক লাইন করে পড়ে এবং ঐ লাইনের ভুল প্রদর্শন করে। লাইনটি শেষ করে পরবর্তী লাইনে যায়। এভাবে প্রতিটি লাইনের কাজ করতে বা নির্বাহে প্রচুর সময় লাগে তাই বলা যায় যে, প্রোগ্রাম নির্বাহের ক্ষেত্রে রহিমের প্রোগ্রামটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ।

Question 8

উত্তরঃ

ডেটা সিকিউরিটির জন্য ডেটাকে এনক্রিপ্ট করা হয় অর্থাৎ নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোড ব্যবহার করা হয়। অননুমোদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার থেকে ডেটাকে নিরাপদ রাখাই ডেটা এনক্রিপশন।

উত্তরঃ

অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

অ্যালগরিদম

ফ্লোচার্ট

১.
সম্যা সমাধানের ধাপসমূহের লিখিত উপায়কে অ্যালগরিদম বলে

১.
চিত্র বা সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ধাপসমূহকে ফ্লোচার্ট বলে

২.
অ্যালগরিদম বর্ণনা নির্ভর।

২.
ফ্লোচার্ট ‍চিত্র নির্ভর

৩.
প্রোগ্রামের ভুর ত্রুটি দূর করা কঠিন।

৩.
প্রোগ্রামের ভুলত্রুটি দূর করা সহজ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে উল্লিখিত Students Information table এর তথ্য খোঁজার জন্য Roll কী ফিল্ড ব্যবহার করব। কারণ এখানে Roll ফিল্ড হচ্ছে প্রাইমারি কী। ফাইল বা ডেটাবেজের রেকর্ড খুঁজে বের করার জন্য যে অদ্বিতীয় ফিল্ড ব্যবহার করা হয়, তাকে কী ফিল্ড বলে। আর যে অদ্বিতীয় কী ফিন্ডের সাহায্যে কোনো ভেটাবেজ ফাইল বা টেবিলের রেকর্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় তাকে প্রাইমারি কী বলে। এ জাতীয় ফিল্ডের প্রতিটি ডেটা ভিন্ন হতে হয় অর্থাৎ কোনো ডুপ্লিকেট ডেটা থাকতে পারে না, তাই Students Information table এর তথ্য খোঁজার জন্য রোল নং (Roll) ফিল্ডটি প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। Name বা Address কে প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। সুতরাং Roll ফিল্ড দিয়ে সহজে students Information Table এর যে কোনো তথ্য খুঁজে বের করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে ব্যবহৃত টেবিলদ্বয়ের মধ্যে one to one রিলেশনশীপ তৈরি করা সম্ভব। কারণ Student Information Table এবং Result Sheet Table 4 Common field Roll one to one রিলেশনের ভেটা টেবিলের একটি রেকর্ডের জন্য অন্য ডেটা টেবিলে কেবল একটি রেকর্ডের সম্পর্ক থাকে যা Student Information এবং Result sheet table এর মধ্যে রয়েছে। এর ফলে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকে টেবিল দুটির মধ্যে one to one রিলেশন বিদ্যমান। Student Information table Result Sheet table one to one রিলেশনশীপ টেবিলের মাধ্যমে দেখানো হলো-