তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৭

সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

Question 1

নির্বাচন কমিশন ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মুখমণ্ডলের ছবি, আঙুলের ছাপ এবং সিগনেচার সংগ্রহ করে একটি চমৎকার ডাটাবেজ তৈরি করেছে। ইদানীং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে উক্ত ডাটাবেজের সাহায্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরি করেছে। কিছু অসৎ ব্যক্তি নকল পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য উক্ত ডাটাবেজ হ্যাক করার চেষ্টা করে এবং পরিশেষে ব্যর্থ হয় 

উত্তরঃ

কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক ভৌগোলিক অবস্থানে অডিও এবং ভিডিও এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে।

উত্তরঃ

বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব এবং এ প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের ‘অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম। ফলে ব্যবহারকারী যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশের ৩৬০ ডিগ্রি দর্শন লাভ করেন এবং কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে মগ্ন থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ লাভ করেন ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন ডাটাবেজ তৈরিতে যে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল তা হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক “কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ বা শনাক্তকরণ করা যায়। বায়োমেট্রিক্স আইডেন্টিফায়ার স্বাতন্ত্র্যসূচক ও নিরূপণযোগ্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা প্রতিটি মানুষকে ভিন্ন ভিন্নভাবে শনাক্ত ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে থাকে। উদ্দীপকে নির্বাচন কমিশন ডেটাবেজ তৈরিতে মুখমণ্ডলের ছবি, আঙুলের ছাপ এবং সিগনেচার সংগ্রহ করার কাজটি নিম্নরূপে সম্পন্ন করেছিলেন—

১. মুখমন্ডলের ছবি : এ ক্ষেত্রে পূর্ব হতে রক্ষিত স্যাম্পল মানের সাথে যার মুখমণ্ডলের আকৃতি তুলনা করা হবে তার ছবি ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে দুই চোখের মধ্যবর্তী দূরত্ব, নাকের দৈর্ঘ্য এবং ব্যাস, চোয়ালের কৌণিক পরিমাণ ইত্যাদি পরিমাপ করে তুলনা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত আলোর তীব্রতার উপর শনাক্তকরণ সূক্ষ্মতা নির্ভর করে ।

 

২. আঙুলের ছাপ : এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আঙুলের ছাপ পূর্ব হতেই আঙুলের ছাপ পড়তে পারে এমন মেশিনের (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার) সাহায্যে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে যখন একই ব্যক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে আঙুল রাখে তখন যে আঙুলের ছাপের ছবি তৈরি হয় তা পূর্বে ডেটাবেজে রক্ষিত ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয় । এ ক্ষেত্রে মেশিনটি আঙুলের রেখার বিন্যাস, ত্বকের টিস্যু এবং রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে ত্বকের নিচের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপচিত্র তৈরি করে।

 

৩. সিগনেচার : এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের আকার, ধরন, লেখার গতি সময়, লেখার মাধ্যমে (যেমন- কলম, পেন্সিল) চাপকে যাচাই করে শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকে কিছু অসৎ ব্যক্তির নকল পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য উক্ত ডাটাবেজ হ্যাক করার চেষ্টা করে এবং পরিশেষে ব্যর্থ হয়। এ হতে বুঝা যায় যে, তাদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব ছিল। কম্পিউটার নৈতিকতা হচ্ছে নৈতিকতার একটি ধারণা, যা কম্পিউটার ব্যবহারে নৈতিকতার বিষয়, সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিরোধ করাকে বুঝায়। ১৯৯৩ সালে “কম্পিউটার ইথিকস ইনস্টিটিউট” নৈতিকতার বিষয়ে যে ১০টি নির্দেশনা তৈরি করেন তা নিচে উপস্থাপন করা হলো-

১. অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা।

২. অন্য ব্যক্তির কম্পিউটারের কাজের ওপর হস্তক্ষেপ না করা ।

৩. অন্য ব্যক্তির ফাইলসমূহ হতে গোপনে তথ্য সংগ্রহ না করা।

৪. চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা।

৫. মিথ্যা সাক্ষ্য প্রমাণ বহনের জন্য কম্পিউটারকে ব্যবহার না করা।

৬. যেসব সফটওয়্যারের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়নি সেগুলো ব্যবহার বা কপি না করা।

৭. অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা।

৮. অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফলকে আত্মসাৎ না করা।

৯. প্রোগ্রাম লিখার পূর্বে সমাজের ওপর তা কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করা।

১০. কম্পিউটারকে ওইসব উপায়ে ব্যবহার করা যেন ত বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।

Question 2

টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে রাহাত তার বন্ধুর বাড়িতে যায়। খেলাশেষে ফেরার পথে সে দেখল রাস্তায় একটি ট্রাক এক্সিডেন্ট করেছে। ট্রাকের সামনে একজন পুলিশ অফিসার দাঁড়িয়ে মোবাইল সদৃশ একটি ডিভাইস ব্যবহার করে থেমে থেমে কথা বলছিলেন । এমন সময় রাহাতের বন্ধু রেজা মোবাইল ফোনে জানতে চাইল খেলায় কোন দেশ জিতেছে? রাহাত উত্তর দিল জার্মানি । 

উত্তরঃ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে তথ্য আদান-প্রদান বা রিসোর্স শেয়ার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকে বুঝায় ।

উত্তরঃ

ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। এটি কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে উপাত্ত বা ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। কোর, ক্লাডিং, জ্যাকেট এই তিনটি অংশ নিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল গঠিত হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের পুলিশ অফিসারের ডিভাইসটিতে ডেটা আদান- প্রদানের জন্য যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হচ্ছিল তা হলো হাফ ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড

হাফ ডুপ্লেক্স হলো একটি একমুখী ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয় দিক থেকেই ডেটা প্রেরণ করা যায়, তবে একই সময়ে তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের কোনো প্রান্ত একই সময়ে শুধু ডেটা গ্ৰহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু ডেটা গ্রহণ ও প্রেরণ একই সময় করতে পারে না।

উদ্দীপকের পুলিশ যে ডিভাইসটি দিয়ে থেমে থেমে কথা বলছিল তা হলো ওয়াকিটকির উদাহরণ এবং ওয়াকিটকি-তে-হাফ ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহৃত হয় ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের রাহাতের টেলিভিশনে খেলা দেখার ক্ষেত্রে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো সিমপ্লেক্স মোড এবং খেলার ফলাফল তার বন্ধুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো ফুল-ডুপ্লের মোড। সিমপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে। ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটার একদিকের প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক পয়েন্ট বা কম্পিউটার সব সময় অন্য পয়েন্ট বা কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। কিন্তু প্রাপক কম্পিউটার বা পয়েন্ট কখনোই প্রেরক কম্পিউটার বা পয়েন্টে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না। উদ্দীপকের রাহাতের টেলিভিশনে খেলা দেখার উদাহরণটি সিমপ্লেক্স মোড এর । কারণ এখানে সার্ভার সব সময় খেলা সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু রাহাত কখনোই সার্ভারে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে না ।

 

অপরপক্ষে, ফুল-ডুপ্লেক্স হলো একটি দ্বিমুখী মোড। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক একই সময় ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। উদ্দীপকের রাহাত খেলার ফলাফল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বন্ধুকে জানানোর ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে একই সময় কথা বলা সম্ভব। তাই এটি একটি ফুল-ডুপ্লেক্স মোড ।

Question 3

উত্তরঃ

যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম বা ট্রান্সমিশন সিস্টেম বা যন্ত্রের মাধ্যমে মডুলেশন ও ডিমডুলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রেরক ও প্রাপক কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে সাহায্য করে তাই মডেম ।

উত্তরঃ

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ হলো দুটি ক্যারেক্টারের মাঝখানে অসমান বিরতি। অর্থাৎ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলে সময় বেশি লাগে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের টপোলজির E ডিভাইসটি নষ্ট হলে টপোলজিতে আর ডেটা ট্রান্সমিট করা যাবে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অচল হয়ে পড়বে।

 

উদ্দীপকে যে টপোলজিটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলো একটি হাইব্রিড টপোলজি। স্টার, রিং, বাস ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক টপোলজি গঠিত হয়, তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে। ইন্টারনেট হলো হাইব্রিড টপোলজির একটি উদাহরণ। কেননা ইন্টারনেট হলো একটি বৃহৎ পরিসরের নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়। এ পদ্ধতিতে একটি কেন্দ্রিয় কন্ডাক্টরের সাথে দুই বা ততোধিক টপোলজি যুক্ত করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টরটি নষ্ট হয়ে গেলে ডেটা চলাচল বন্ধ থাকবে ।

 

উদ্দীপকে একটি কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টর (E) এর সাহায্যে রিং এবং স্টার টপোলজি সংযুক্ত করে একটি হাইব্রিড টপোলজি তৈরি করা হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টর তথা E ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে গেলে টপোলজির ডেটা ট্রান্সমিশন বন্ধ থাকবে।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের শুধুমাত্র A, B, C ও D এই চারটি ডিভাইসকে মেশ টপোলজির মাধ্যমে সংযুক্ত করলে ডেটা চলাচলের গতি সবচেয়ে বেশি হবে। যদি কোনো নেটওয়ার্কে ডিভাইস বা পিসিসমূহের মধ্যে অতিরিক্ত সংযোগ থাকে তাহলে তাকে মেশ টপোলজি বলে। মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক এর অধীনস্থ প্রতিটা কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার সরাসরি যে কোন কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এ ধরনের নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট টু পয়েন্ট বলে। যে কোনো দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ থাকার কারণে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। এছাড়াও ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি অনেক বেশি নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং যেকোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না ।

 

উদ্দীপকের A, B, C, D নেটওয়ার্ক এর ডেটা ট্রান্সমিশন গতি সর্বাধিক করার জন্য নিচে উল্লেখিত পদ্ধতির টপোলজি বাস্তবায়ন করতে হবে-

Question 4

অস্ত্রবিদ জিসান সাহেবের কক্ষটি খুবই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রাখতে হয়। তাই তার রুমে ঢোকার জন্য ২টি দরজা পার হতে হয় । প্রথম দরজায় ২টি সুইচের মধ্যে যে কেনো একটি অন করলে দরজা খুলে যায়। যদি ২টি সুইচ একসাথে অন বা অফ করা হয়, তবে খোলে না। কিন্তু দ্বিতীয় দরজার ক্ষেত্রে প্রথম দরজার বিপরীত ব্যবস্থা নিতে হয় ।

উত্তরঃ

লজিক গেইট হলো এক প্রকার ডিজিটাল সার্কিট যা যুক্তিমূলক সংকেতের প্রবাহ নির্বাহ করে ।

উত্তরঃ

ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ কারণ এর মাধ্যমে বিশ্বের সকল ভাষা ব্যবহার করেই কম্পিউটারে প্রসেস বা প্রক্রিয়াকরণ করা যায়। তাই একে ইউনিভার্সাল কোড বা ইউনিকোড বলা হয় । ইউনিকোড হলো ১৬ বিটের কোড। অর্থাৎ এই কোডের মাধ্যমে  ২১৬১৬=৬৫৫৩৬টি ভিন্ন অক্ষর প্রকাশ করা যায়।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের প্রথম দরজাটি X-OR গেইটকে নির্দেশ করে। উদ্দীপকে ২টি সুইচের কথা বলা হয়েছে। এ ২টি সুইচের ইনপুট সংকেত A ও B এবং আউটপুট সংকেত X হলে-

উত্তরঃ

উদ্দীপকে দ্বিতীয় দরজার ক্ষেত্রে প্রথম দরজার বিপরীত ব্যবস্থা নিতে হয়। অর্থাৎ X-OR গেইটে বিপরীত X-NOR গেইট নির্দেশ করে। দুটি সুইচের ইনপুট সংকেত A ও B এবং আউটপুট সংকেত X হলে বুলিয়ান সমীকরণ হবে-

X-NOR গেইটের দুই বা ততোধিক ইনপুট থাকে এবং একটি মাত্র আউটপুটের থাকে। 2 ইনপুট X-NOR গেইটের ক্ষেত্রে বিজোড় সংখ্যক 1 হলে আউটপুট 0 হবে অন্যথায় আউটপুট 1 হবে। যা উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রথম দরজার বিপরীত অর্থাৎ X-NOR গেইটের সত্যক সারণিকে সমর্থন করে।

Question 5

দিদার Test পরীক্ষার ফলাফল প্রদর্শনের জন্য নিচের ওয়েবপেইজটি তৈরি করে এবং test.html নামে সেভ করে রাখে :

                           Test Result

 

 

 

image.

  jpg

Roll

Group

  Name

  Result

101

 Hum.

   Raza

     A+

102

 Hum.

    Eva

     B

103

 Hum.

   Jaber

     A-

104

 Hum.

    Joni

     C

উত্তরঃ

ইন্টারনেটের সাথে যথাযথ সংযুক্ত কোন কম্পিউটারের বরাদ্দকৃত স্পেস বা লোকেশন যাতে এক বা একাধিক ওয়েব পেইজ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাকে ওয়েবসাইট বলা হয় ।

উত্তরঃ

HTML বা Hyper Text Markup Language হলো ওয়েব পেইজ লেখার একটি স্বতন্ত্র ভাষা। HTML ব্যবহারের বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। যেমন :

১. HTML ভাষা শেখা ও ফরমেটিং করা সহজ।

২. প্রায় সব ধরনের ব্রাউজার সমর্থন করে।

৩. এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা নেই এমন ব্যক্তিও সহজে শিখতে পারে।

৪. HTML-এ তৈরি করা যে কোনো ফাইল/সাইটকে রক্ষণাবেক্ষণ ও আপডেট করা যায়

৫. HTML-এ তৈরি করা ফাইল লোড করতে সময়ও কম লাগে ।

উত্তরঃ

উদ্দীপকের test.html ফাইলটি তৈরির জন্য HTML কোড

< html >
< body >
< table border=”1″ >
< tr > 
    < th colspan=”4″ align=”center” > Test Result  < /th >
    < td rowspan=”6″ >  < img src=”image.jpg” > < /td >
< /tr >
< tr >
    td > Roll < /td >
    td > Group < /td >
    < td > Name < /td >
    < td > Result < /td >
< /tr >
< tr >
    < td > 101 < /td >
    < td > Hum </td >
   < td > Raza </td >
    < td > A- </td >
< /tr >
< tr >
    < td > 102 < /td >
    < td > Hum < /td >
    < td > Eva < /td >
    < td > B < /td >
< /tr >
< tr >
    < td > 103 < /td >
    < td > Hum < /td >
    < td > Jaber < /td >
    < td > A- < /td >
< /tr >
< tr >

    < td > 104 < td >
    < td > Hum </td >
    < td > Joni < /td >
    < td >C < /td >
< /tr >
< /table >
< /body >
< /html >

উত্তরঃ

image.jpg এর উপর ক্লিক করলে www.moedu.gov.bd ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করার জন্য এদের মধ্যে লিঙ্ক করতে হবে। লিঙ্ক করার জন্য হাইপারলিঙ্ক অ্যাট্রিবিউট বা < a href = “URL”> Link text < /a > ব্যবহার করতে হবে-

< html >
< body >
< a href=”http://www.moedu.gov.bd” >
        < img src=”imag.jpg” width=”100″ height=”50″ >
< a >
< /body >
< /html >

এখানে < a > ও < img > ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। HTML ফাইলে লিংক সমূহ < a > ট্যাগ দ্বারা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এর শুরু হয় < a > ট্যাগ দিয়ে এবং শেষ হয় < /a > ট্যাগ দিয়ে। হাইপারলিংক ব্যবহার করে একই ডকুমেন্ট এর বিভিন্ন পেজে অথবা এক ডকুমেন্ট থেকে একই অবস্থানের অথবা ভিন্ন কোনো অবস্থানের ভিন্ন কোনো ডকুমেন্ট এর পেইজে সহজে গমন করা যায়।

HTML পেজে ইমেজ যুক্ত করার জন্য < img > ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। < img > ট্যাগ এর দুটি এট্রিবিউট হলো- src এবং alt । < img > ট্যাগটি এম্পটি অর্থাৎ এটি কেবল অ্যাট্রিবিউট বহন করে এবং এর কোনো ক্লোজিং ট্যাগ নেই। ওয়েব পেইজে কোনো ইমেজ প্রদর্শন করতে চাইলে < img > ট্যাগ এর সাথে src অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে।

Question 6

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট খেলায় টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথম ‘ব্যাট করে। বাংলাদেশের ব্যাটিং-এর পর দেখা গেল সাবেরের রান সংখ্যা a. মনিরের রান সংখ্যা b এবং মিজানের রান c। সকলেই আশা করে বাংলাদেশ জিতবে।

উত্তরঃ

কম্পাইলার হলো এক ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম যা উচ্চস্তরের উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে রূপান্তর করে ।

উত্তরঃ

16 bit বা 2 byte এর উপরে যে কোনো পূর্ণসংখ্যার ক্ষেত্রে integer এর পরিবর্তে long integer ব্যবহার করতে হয়। integer শুধু 2 byte বা 16 bit এর মধ্যে যে কোনো পূর্ণসংখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। উদাহরণ সি প্রোগ্রামে পূর্ণসংখ্যা integer এর ক্ষেত্রে ভেরিয়েবলের রেঞ্জ হচ্ছে -32768 →32767। এই রেঞ্জের উপরে গেলে long integer ব্যবহার করতে হয়।

উত্তরঃ

উদ্দীপক থেকে দেখা যায় যে, সাবেরের রানের সংখ্যা a, মনিরের b এবং মিজানের c। তাদের তিন জনের রানের গড় নির্ণয় করার জন্য  নির্দিষ্ট ফ্লোচার্ট নিচে তৈরি করা হলো :