তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বরিশাল বোর্ড ২০২৩
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
উত্তরঃ
একই প্রটোকল ভুক্ত দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার।
উত্তরঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং তথ্যের জগতে বিশাল নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। #1 এই সার্ভিসে আপলোড করা তথ্য কোথাও সংরক্ষিত হয় এবং কোথাও প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, তা ব্যবহারকারী জানতে পারেনা। সেই তথ্য বা ডেটার ওপর এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর ওপর ব্যবহারকারীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। অর্থাৎ তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম। #2
উত্তরঃ
চিত্র-৩ যে টপোলজির কথা বলা হয়েছে সেটি একটি হাইব্রিড টপোলজি।#1
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যেমন: স্টার, রিং, বাস, ট্রি ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে টপোলজি গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড টোপোলজি বলে। ইন্টারনেট হল হাইব্রিড টপোলজির একটি উদাহরণ কেননা এতে প্রায় সব ধরনের টপোলজি নেটওয়ার্ক যুক্ত হয়েছে।#2
এ ধরনের টপোলজি বড় আকারের নেটওয়ার্কের জন্য সুবিধাজনক এবং এ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের সমস্যা নির্ণয় করা সহজ। এ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক স্থাপন করার জটিল ও ব্যয়বহুল। যেহেতু এটি মিশ্র টপোলজি তাই এতে ব্যবহৃত টপ কলেজে কোন সুবিধা ও অসুবিধা গুলো এতে অন্তর্নিহিত থাকে।#3
উত্তরঃ
চিত্র-১ হলো মেশ টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো স্টার টপোলজি। এদের মধ্যে স্টার টপোলজি ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক।#1
যে টপোলজিতে প্রতিটি নোড সরাসরি একটি হাব, সুইচ বা সার্ভার এর মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত ডাটা নির্দিষ্ট ডিভাইসে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মধ্য দিয়ে যায় তাকে স্টার টপোলজি বলে। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয়। সংকেত প্রবাহ দ্বি-মুখী হয়। হাব বা সুইট বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কের কোন সমস্যা দেখা দিলে তার শনাক্ত করার সহজ হয়। #2
পক্ষান্তরে, যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভুক্ত অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, ফলে যে কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যুক্ত অন্য যে কোন কম্পিউটারের সাথে সরাসরি দ্রুত ডেটা আদান প্রদান করতে পারে তাই মেশ টপোলজি। এ ধরনের সংগঠনের network ভুক্ত কম্পিউটার গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পিয়ার টু পিয়ার লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। প্রচুর পরিমাণে তারের প্রয়োজন হওয়ায় এই টপোলজি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এবং জটিল কনফিগারেশনের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় না।
উপরের আলোচনায় বলা যায়, মেশ টপোলজির তুলনায় স্টার টপোলজি অধিক সুবিধা জনক। #4
Question 2
মি. এক্স গবেষণা করার উদ্দেশ্যে ‘ক‘ দেশে পৌছে বিমান থেকে নেমে ড্রাইভারবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চড়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে এমন একটি বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়, যার সব কিছুই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।
উত্তরঃ
আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ সম্মিলিতভাবে সম্পাদন করাকে ই-কমার্স বলে। (#1)
উত্তরঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোন কিছু তৈরি করা ও ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো টেকনোলজি অনু-পরমাণু পর্যায়ে অতি ক্ষুদ্র ও সূক্ষ যন্ত্র তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্য উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও হালকা হয়।(#1)
এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামীতে দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি, প্রতিরক্ষায় ন্যানো রোবট, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকরী ও সস্তায় শক্তি উৎপাদন সহ পানি ও বায়ু দূষণ কমানোর সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তাই বলা যায়, আগামী বিশ্ব হবে ন্যানো টেকনোলজির বিশ্ব। (#2)
উত্তরঃ
উল্লেখিত ড্রাইভারবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরির প্রযুক্তিটি হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। (#1)
এ ধরনের গাড়ির সামনে ড্রাইভারের আসনটি খালি থাকে। গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল একা একা ঘুরতে থাকে। গাড়ির ক্যামেরা, লেজার রশ্মির লিডার সিস্টেম এবং রাডার থেকে পাওয়া ডাটা ব্যবহার করে গাড়িটি চালায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
মানুষ যেভাবে চিন্তা ভাবনা করে কৃত্তিম উপায়ে কম্পিউটারে সেভাবে চিন্তা ভাবনার রূপদান করাকে Artificial Intelligence বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বস্তুত পক্ষে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তাকে বোঝায়। (#2)
অর্থাৎ কোন মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা। যেখানে কতগুলো সমষ্টিগত গুণ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুসরণকৃত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য কম্পিউটারে বিশেষ প্রোগ্রাম ও ডেটা ঢুকানো হয়। সমস্যার সমাধানের জন্য কম্পিউটারের মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্য ও উপাত্তর বিশ্লেষণ করে কম্পিউটার জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে। (#3)
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লেখিত বাড়ি বলতে স্মার্টহোমকে বোঝানো হয়েছে। (#1)
স্মার্টহোম হলো এক ধরনের ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্টের মত, যেখানে বসবাসরত সকল উপযোজন পাওয়া যায় এবং গ্রাহককে ব্যবহার্য দ্রবাদের গুণগত মান নিশ্চিত করে এ সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা যায়। নানাবিথ সুবিধার কারণে স্মার্টহোমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টহোমের উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা হল-
১. বাড়ির সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ থাকে হাতের মুঠোয়।
২. আধুনিক সুরক্ষা সিস্টেম থাকায় বাড়িতে থাকে সুরক্ষিত।(#2)
৩. বাড়ির মালিক দূরবর্তী স্থানে থেকেও বাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
৪. বাড়ির ভিতরে আবহাওয়া গত উপাদান নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
৫. বাড়ির সকল ডিভাইস এক জায়গা থেকেই পরিচালনার সুযোগ পাওয়া যায়। (#3)
৬. শরীরের অনুভূতির ওপর নির্ভর করে লাইটিং সিস্টেম কাজ করে।
৭. বাড়িতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া যায়।
উপরে বর্ণিত সুবিধাগুলো আরো অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ থাকায় সাধারণ বাড়ির তুলনায় স্মার্ট হোম এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। (#4)
Question 3
ডাঃ ‘ক’ চিকিৎসায় ক্রায়োজেনিক এজেন্ট ব্যবহার করে নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর ওটিতে প্রবেশের জন্য একটি ডিভাইসে আঙুল স্পর্শ করান। অন্যদিকে গবেষক ‘খ’ তাঁর কক্ষে প্রবেশ করার জন্য কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন।
উত্তরঃ
স্মার্ট হোম হলো এক ধরনের ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্টের মত, যেখানে বসবাসের জন্য সকল উপযোজন পাওয়া যায় এবং গ্রাহককে ব্যবহার্য দ্রব্যাদির গুণগত মান নিশ্চিত করে এ সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা যায়। →#1
উত্তরঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হল টেলিমেডিসিন।→#1
এ পদ্ধতিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। এছাড়া, ইন্টারনেট ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসক অন্য দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই অনলাইন যোগাযোগ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে।
অর্থাৎ, সেলিব্রেশানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যথাযথ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পাওয়া যায় বলে এটি অবশ্যই এক ধরনের সেবা।→#2
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ “ক” সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।→#1
ক্রায়োসার্জারি এমন এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে তত্ত্বের অস্বাভাবিক বা অপ্রকাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু বাতোক ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি চিকিৎসায় প্রথমে সিমুলেটর সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর অবস্থান এবং সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত গোষ্ঠীতে আলট্রাথিনস যুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১থেকে -১৯৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট) নির্বাচিত টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে ওই নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন-তরল নাইট্রোজেন আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।→#2
অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা ও রক্তপাত অথবা অপারেশন জড়িত কাঁটা ছেড়ার জটিলতা নেই।
রোগীকে কোন পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্ত রোগীকে নিতে হয় না।→#3
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডাঃ “ক” এর ওটিতে প্রবেশ করার প্রযুক্তিটি হল ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং গবেষক “খ” এর কক্ষে প্রবেশ করার প্রযুক্তিটি হল ভয়েস রিকগনিশন বা বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।→#1
বায়োমেট্রিক্স হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা যায়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভয়েস রিগকনিশন বায়োমেট্রিক্স এর দুটি শাখা।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট হচ্ছে বহুল পরিচিত একটি বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব হতে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ এর সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ খুবই কম।
শনাক্তকরণে সময় কম লাগে এবং সফলতার হার প্রায় শতভাগ।→#2
অন্যদিকে ভয়েস রিকিগনিশন পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরকে ডেটাবেজে সংরক্ষিত ওই ভয়েস ফাইলের সাথে ব্যবহারকারীর ভয়েজের তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতি সহজ ও কম খরচে গ্রহণযোগ্য হলেও এর সূক্ষ্মতা তুলনামূলকভাবে কম।
ভয়েস নকল করে সহজে ধোকা দেওয়া যায়।→#3
উপরোক্ত বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ভয়েজের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিটি বেশি উত্তম।→#4
Question 4
উত্তরঃ
আইপি অ্যাড্রেস হলো ইন্টারনেটের একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রের ঠিকানা। (#1)
উত্তরঃ
যে সকল এলিমেন্টের ওপেনিং ট্যাগ থাকলেও কোনো কনটেন্ট বা ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না তাকে এম্পটি এলিমেন্ট বলে। (#1)
img একটি এম্পটি এলিমেন্ট যার কোনো ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না। ওয়েব পেইজে ইমেইজ বা চিত্র যুক্ত কারা জন্য
<𝑖𝑚𝑔>
<img> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো কনটেন্ট থাকে না। তবে src অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হয় যা ইমেজটির Source নির্দেশ করে। এর প্রয়োজনীয় সিনট্যাক্সটি হলো <𝑖𝑚𝑔 𝑠𝑟𝑐=′𝑢𝑟𝑙′> । (#২)
উত্তরঃ
দৃশ্যকল্প-১ ব্যবহার করে দৃশ্যকল্প-২ পাওয়ার জন্য HTML কোড নিচে লিখা হলো:
<!DOCTYPE html>
<html>
<body>
<ul>
<li type=”disc”>Bangladesh</li>
<li type=”circle”>Dhaka</li>
<li type=”circle”>Rajshahi</li>
<li type=”circle”>Sylhet</li>
<li type=”circle”>Khulna</li>
</ul>
</body>
</html>
উত্তরঃ
দৃশ্যকল্প-২ ও দৃশ্যকল্প-৩ ব্যবহার করে নতুন একটি ওয়েব পেজ তৈরি করার জন্য HTML কোড নিচে লিখা হলো:
<!DOCTYPE html>
<html>
<body>
<ul>
<li type=”disc”>Bangladesh</li>
<li type=”circle”>Dhaka</li>
<li type=”circle”>Rajshahi</li>
<li type=”circle”>Sylhet</li>
<li type=”circle”>Khulna</li>
</ul>
<p><a href=”ABcollege.edu.bd”>AB College</a></p>
<img src=”image.jpg”>
</body>
</html>
Question 5
# include <stdio.h>
main ()
{
int K, S = 0;
for (K=10; K<=100; K=K+10)
S=S+K;
Printf (“summation % d”, S);
}
উত্তরঃ
অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করার জন্য যে অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাসেম্বলার বলে। (#1)
উত্তরঃ
সি ভাষায় হেডার ফাইল ব্যবহার করা হয়। কারণ- হেডার ফাইলে লাইব্রেরি ফাংশন গুলোর প্রোটোটাইপ আগে থেকেই তৈরি করা থাকে।(#1) সি প্রোগ্রামে একটি হেডার ফাইল ইনক্লুড করলে ঐ হেডার ফাইলের ভেতরে যেসব ফাংশন তৈরি করে দেওয়া থাকে সেগুলো ব্যবহার করা যায়। ফলে প্রোগ্রামাররা সরাসরি ফাংশন ব্যবহার করতে পারে এবং প্রোগ্রামের আকার ও ছোট হয়।(#2)
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির ফ্লোচার্ট নিচে অঙ্কন করা হলো:
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি Do-while ব্যবহার করে নিচে লেখা হলো –
#include
main( )
{
int K=10, S=0;
do
{
S= S+K;
K=K+10;
}
while(K<=100);
printf(“Summation=%d”,S);
return 0;
}
Question 6
উত্তরঃ
ফ্লিপ ফ্লপ এক ধরনের সার্কিট যেখানে একটি ইনপুট দিয়ে সেই ইনপুট এর মান সংরক্ষণ করা যায়। (#1)
উত্তরঃ
যেসব গেট দিয়ে মৌলিক গেইট বাস্তবায়ন করা যায় সেসব গেইটকে সার্বজনীন গেইট বলা হয়। (#1)
NAND গেইট- NOT এবং AND গেইটের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এ গেইট দিয়ে মৌলিক গেইট বাস্তবায়ন করা হয় বিধায় এ গেইটকে সার্বজনীন গেইট বলে। (#2)
উত্তরঃ
চিত্র-১ এর আউটপুটের জন্য সত্যক সারণি নিচে দেওয়া হলো:
y’—>(#1)
xy’—>(#2)
(xy’+xy)’—>(#3)
উত্তরঃ
উদ্দীপকের চিত্র-২ একটি হাফ অ্যাডার এর লজিক সার্কিট এবং চিত্র-৩ একটি ফুল অ্যাডার এর ব্লক ডায়াগ্রাম।(#1)
যে অ্যাডার দুটি বিট যোগ করে যোগফল ও হাতে থাকা অঙ্ক বা ক্যারি বের করতে পারে তাকে হাফ অ্যাডার বলে। দুটি বিটের যোগফল এবং ক্যারি বের করার জন্য হাফ অ্যাডার ব্যবহার করা হয়। এতে যদি ক্যারি বিট আসে তাহলে তা বাদ দেওয়া হয়। ফলে ক্যালকুলেশন অসম্পূর্ণ থাকে।(#2)
অপরদিকে যে বর্তনীতে তিনটি বাইনারি বিট যোগ করার পর দুটি আউটপুট সংকেত যার একটি যোগফল S এবং ক্যারি C0 পাওয়া যায় তাকে ফুল অ্যাডার বা পূর্ণ যোগের বর্তনী বলে। তিনটি বিটের যোগের যোগ করাকে ফুল অ্যাডার বলে।(#3)
একটি সংখ্যা যোগ করার জন্য ফুল অ্যাডার বেশি উপযোগী, কারণ এটি তিনটি বিট (A, B, এবং Carry In) যোগ করতে পারে এবং তাই দীর্ঘ সংখ্যার বা একাধিক বিটের যোগফল সঠিকভাবে গণনা করতে পারে, যেখানে প্রতিটি বিটের ক্যারি আউট পরবর্তী বিটের ক্যারি ইন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান যে চিত্র-৩ বা ফুল অ্যাডার যোগ করার জন্য বেশি উপযোগী।
(#4)
Question 7
উত্তরঃ
এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসের ডাটা বিটের বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় হল ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড। (#1)
উত্তরঃ
হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডাটা আদান প্রদান করা হয় তাকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বলে। (#1)সাইবার অপটিক ক্যাবলের আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্ম ব্যবহার করে আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়।
এ ক্যাবল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় প্রভাব মুক্ত এবং প্রতিকূল পরিবেশে থেকে ডেটা নিরাপত্তার রক্ষা পায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর ১৩০০-১৫০০mm অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভিতর সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্ব নেওয়া যায়। (#2)
উত্তরঃ
উদ্দীপকে চিত্র-১ এর ডেটা ট্রান্সমিশনের সিমপ্লেক্স মোডকে বুঝানো হয়েছে।(#1)
যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধু একদিকে প্রেরণ করা যায় তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে শুধু একদিকে যেটা পাঠানো সম্ভব হয়, প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করে এবং গ্রাহক শুধু ডেটা গ্রহণ করে।(#2)
অর্থাৎ, প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে কিন্তু প্রাপক প্রেরক এর কাছে ডেটা পাঠাতে পারবে না। উদাহরণ: রেডিও ও টেলিভিশন ইত্যাদি।
একইভাবে কি-বোর্ড থেকে কম্পিউটারের ডেটা পাঠানো সিমপ্লেক্স মোডের অন্তর্গত। তাছাড়া মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া এ মোডের মধ্যে পড়ে। (#3)
উত্তরঃ
উদ্দীপকে চিত্র-২ এর ডেটা ট্রান্সমিশনটি হলো হাফ ডুপ্লেক্স মোড। (#1)এ পদ্ধতিতে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরকের ডেটা পাঠানো সম্পন্ন হলে প্রাপক ডেটা পাঠাতে পারবে। (#2)
অপরদিকে চিত্র-৩ এর ডেটা ট্রান্সমিশনটি হলো ফুল ডুপ্লেক্স মোড। এ পদ্ধতিতে ডাটা একই সাথে উভয় দিকে আদান প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক একই সাথে যেটা আদান প্রদান করতে পারে। আমরা স্বাচ্ছন্দে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি সেগুলো প্রায় সবগুলো ফুল ডুপ্লেক্স যেমন: ল্যান্ড ফোন ও মোবাইল ফোন প্রভৃতি।(#3)
উদ্দীপকে চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ এর মধ্যে চিত্র-৩ বা ফুল ডুপ্লেক্স মোড বেশি উপযোগী, এ মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা একই সাথে আদান-প্রদান করা যায়। (#4)
Question 8
সম্প্রতি ‘লাল’ ও ‘সবুজ’ দলের মধ্যে একটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। ‘লাল’ দল প্রথম ইনিংসে করে (1101010)2 রান। সবুজ দল প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে করে (347)10 রান। লাল দল দ্বিতীয় ইনিংসে (C3)16রান ।
উত্তরঃ
কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি সংখ্যা বোঝানোর জন্য সর্বমোট যতগুলো চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়, সেটিই হচ্ছে ঐই সংগঠনের ভিত্তি।
উত্তরঃ
পৃথিবীর সব মাতৃভাষার বর্ণকে Unicode কম্পিউটারের বর্ণ পরিবর্তিত করেছে। Unicode কনসর্টিয়াম নামে একটি সংগঠন রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ২০২০ সালের ইউনিকোডের ১৩টি সংস্করণে ১৫৪ টি ভাষা স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ ইউনিকোডের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রত্যেকটা বর্ণের জন্য 000016 থেকে শুরু করে (10FFFF)16 এর ভেতরে একটি সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে. ইউনিকোডে প্রতিটি ভাষার জন্য ৬৫,৫৩৬ স্থান সংরক্ষণ করা আছে। #1 প্রাচীন মিশরীয় হ্যালোগ্রাফিক ভাষা থেকে শুরু করে বর্তমানে ইমোজিকেও ইউনিকোডের আওতায় আনা হয়েছে।
তাই বলা যায়, পৃথিবীর সব মাতৃভাষার বর্ণকে ইউনিকোড কম্পিউটারের বর্ণের পরিবর্তন করেছে।
উত্তরঃ
সবুজ দলের ১ম ইনিংসের রান (347)10। নিচে রানটি হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হলো:
উত্তরঃ
লাল দলের দুই ইনিংসের রানের যোগফল সবুজ দলের প্রথম ইনিংসের চেয়ে কম না বেশি তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
লাল দলের প্রথম ইনিংসের রান (1101010)2=(?)10
(1101010)2= 1 ×26 + 1×25 + 0×24 + 1×23 + 0×22 + 1×21 + 0×20
= 64 + 32 + 0 + 8 + 2 + 0
= 106. #1
সুতরাং (1101010)2=(106)10.
এখন,
লাল দলের দ্বিতীয় ইনিংসের রান = (C3)16=(?)10
(C3)16= C×161 + 3×160
= 12 × 16 + 3 × 1
= 192+ 3
= (195)10
সুতরাং লাল দলের ২ ইনিংসের মোট রান (106+195)10 = (301)10 এবং সবুজ দলের প্রথম ইনিংসের রান (347)10.(#3)
সুতরাং লাল দলের দুই ইনিংসের রানের যোগফল সবুজ দলের প্রথম ইনিংসের চেয়ে কম।