তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বরিশাল বোর্ড ২০১৯
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
মি. আরিফ তার বহুতলবিশিষ্ট ভবনে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে তৈরি মাধ্যম দিয়ে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন ১০ কি. মি. দূরে অবস্থিত অন্য একটি ভবনের সাথে তথ্য আদান- প্রদানের জন্য তিনি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডবিশিষ্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন।
উত্তরঃ
নেটওয়ার্কের কোন একটি নোড থেকে ডাটা প্রেরণ করলে তা যদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে কিন্তু নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোড গ্রহণ করতে পারে না, তাকে মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন বলে।(#1)
উত্তরঃ
ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।(#1)
ক্লাউড কম্পিউটিং এর নিরাপত্তা কম। কারণ তথ্য ক্লাউডে পাঠানোর পর তা কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে, কিভাবে প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার কোন ধরনের উপায় থাকে না। ওয়েবসাইটের কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তখন সার্ভিস পাওয়া যায় না। ক্লাউডের ব্যবহৃত ডাটার ওপর ব্যবহারকারীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এটি ব্যবহারের জরুরী ফলপত্র হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
এতসব অসুবিধার কারণে ফ্লাইট কমপিউটিং এর নিরাপত্তা কম।(#2)
উত্তরঃ
বহুতল ভবনে মাল্টিকম্পনেন্ট কাঁচ দিয়ে তৈরি মাধ্যমটি হল অপটিক্যাল ফাইবার ক্যবল। (#1)
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তৈরির উপাদান গুলো হল সোডা বোরো সিলিকেট, সোডারলাইভ সিলিকেট, সোডা অ্যালুমিনিয়া সিলিকেট, মাল্টি কম্পনেন্ট কাজ ইত্যাদি। এটি প্লাস্টিক বা অন্যান্য পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি একটি আবরণ, যা ফাইবারকে আদ্রতা, ঘর্ষণ, মচকানো এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। (#2)
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দিয়ে অনেক দূরত্বে কোন সময়ে আলোর গতিতে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। আবার ফাইবারের ক্ল্যাডিং হিসেবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা:
কোর : ভিতরের তাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৪ থেকে 100 মাইক্রোন হয়ে থাকে।
ক্ল্যাডিং : কেন্দ্রের অপটিক্যাল ফাইবারকে আচ্ছাদিত করে আছে ক্ল্যাডিং (cladding) বা কেভলার (kevlar) যা এমন এক পদার্থ দিয়ে তৈরি যে আলোক প্রতিফলন করতে পারে। এর ফলে আলোক সংকেত ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মধ্য দিয়ে বাঁকা পথে যেতে পারে।
জ্যাকেট: আবরণ হিসেবে কাজ করে। (#3)
উত্তরঃ
মিস্টার আরিফ এর সিদ্ধান্তটি ছিল IEEE 802.16 স্টান্ডার্ড। এটি WiMax প্রযুক্তি।(#1)
যে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, micromax তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যাপক এলাকায় ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সুবিধার দেয় তাকে WiMax বলে। (#2)
এটি একটি তেলে যোগাযোগ প্রযুক্তি, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ মোবাইল, সেলুলার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তারবিহীন ব্যবস্থায় তথ্য আদান প্রদান করা। বর্তমানে WiMax এর স্পিড হল 70mbps যা 1Gbps এ বৃদ্ধি করা যায়। WiMax প্রযুক্তিটির উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো
১. এটি IEEE 802.16 স্টানডার্রড এর WMAN.
২. সাধারণত 2GHz-66GHzপর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে।
৩. এটি সাধারনত ১০কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।(#3)
৪. নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপনে ক্যাবলের তুলনা সহজ অসুবিধা জনক
৫. এটি সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়।
৬. কোয়ালিটি অফ সার্ভিস এর নিশ্চয়তা দেয়।
৭. একই সাথে মাল্টি ফাংশনাল সুবিধার প্রদান করে।
৮. ফুল ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়
৯. নয়েজ সর্বোচ্চ 7db.
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে মিস্টার আরিফের সিদ্ধান্তটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক।
(#4)
Question 2
ডঃ খলিল দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অধিক ফসল উৎপাদনকারী বীজ আবিষ্কারের জন্য একটি প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যসমূহ তাঁর সহকারী অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটার থেকে নেয়ার চেষ্টা করে ।
উত্তরঃ
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি হল বায়োমেট্রিক্স। #1
উত্তরঃ
ঘরের মধ্যেই ড্রাইভিং শেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরের মধ্যেই মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।#1
এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিমুলেশন এর মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ এর জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মান্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশেপাশের রাস্তার পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে সহজে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব হচ্ছে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ডক্টর খলিলের গবেষণা প্রযুক্তিতে হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।#1
জীবদেহে জিনোম কে প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে কিংবা একাধিক জীবের জিনোম কে জোড়া লাগিয়ে নতুন জীব সৃষ্টির কৌশলই হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।#2
একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক হচ্ছে জিন। অন্যদিকে জিনম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যের নকশা বা বিন্যাস। কোন উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে চাইলে উক্ত উদ্ভিদের জিনোমের কোন একটি জিনকে পরিবর্তন করে দিতে হয়। যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ-র অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরীতে ডিএনএ-র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্যপ্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়। এর ফলে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কাঙ্খিত উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় ডক্টর খলিল অধিক ফসল উৎপাদনকারী বীজ আবিষ্কারের জন্য উপরের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ নির্দিষ্ট জিনকে কেটে আলাদা করে সেখানে সুনির্দিষ্ট জিনকে জোড়া লাগিয়ে নতুন প্রজাতির অধিক ফসল উৎপাদনকারী বীজ আবিষ্কার করেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের তথ্য মতে ICT এর ভাষায় ডক্টর খলিলের সহকারীর কর্মকাণ্ডটির নৈতিকতা বহির্ভূত।#1 কারণ কারো অনুমতি ব্যতীত তার কোন তথ্য ব্যবহার করা বা সেগুলো দেখা বা কম্পিউটার থেকে নেওয়া নৈতিকতা বিরোধী। একে এক প্রকার চুরি বলা হয়। #2সহকারী ডক্টর খলিলের কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমতি গ্রহণ করেননি। এমনকি সরকারি তার সামনে কম্পিউটারের তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেননি। বরং তিনি চলে যাবার পর তার অবর্তমানে সেখানে কম্পিউটার থেকে তথ্য নেন। যা চরমভাবে নৈতিকতা পরিপন্থী#3। আর ICT এর নীতিমালা অনুসারে এই কর্মকান্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
তাই বলা যায় যে, ICT এর ভাষায় উদ্দীপকে উল্লেখিত কর্মকাণ্ড টি ICT নীতিমালার আলোকে বেআইনি ও নৈতিকতা পরিপন্থী।
Question 3
উত্তরঃ
কম্পিউটারে বর্ণ, অক্ষর, শব্দ বা চিহ্নকে বাইনারিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কোড। #১
উত্তরঃ
FF একটি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা যা ২৫৫ (decimal) এর সমান।
যখন FF (২৫৫) এর পরবর্তী সংখ্যা নির্ণয় করা হয়, তখন এটি ১০০ হয়।
এটি আমরা নিচের ধাপে বুঝতে পারি:
- FF (hex) এর পরের সংখ্যা হল 100 (hex).
- FF (hex) = 15*16 + 15 = 240 + 15 = 255 (decimal)
- 100 (hex) = 1*16^2 + 0*16^1 + 0*16^0 = 256 (decimal)
অতএব, FF এর পরের সংখ্যা হচ্ছে 100 (hex), যা decimal সিস্টেমে ২৫৬ এর সমতুল্য। #২
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে,
উত্তরঃ
আউটপুট F কে শুধুমাত্র “A” চিহ্নিত গেইট অর্থাৎ NOR গেইট দিয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
Question 4
মি. দিদারের অফিসের পত্রাদি অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। তার অফিসের সহকর্মীরা WCDMA স্ট্যান্ডার্ডের মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাট করে থাকেন।
উত্তরঃ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো দুই বা তথ্য ঠিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থা →#1
উত্তরঃ
মেশ টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডাটা আদান প্রদান করতে পারে।
এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না।→ #1
এই নেটওয়ার্ক ভুক্ত কম্পিউটার গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ কে পয়েন্ট টু পয়েন্ট লিংক বলা হয়। প্রতিটি কম্পিউটার আন্তঃ সংযুক্ত থাকার কারণে মেশ টপোলজিতে পরস্পর দ্রুত গতিতে ডাটা আদান প্রদানের সক্ষম। → #2
উত্তরঃ
উদ্দীপকে পত্র পাঠানোর ট্রাসমিশন মোড হলো মাল্টিকাস্ট মোড। → #1
মাল্টিকাস্ট মোড: নেটওয়ার্কের কোন একটি নোড থেকে ডাটা প্রেরণ করলে তা যদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে কিন্তু নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোড গ্রহণ করতে পারেনা তাকে মাল্টিকাস্ট মোড বলে। → #2
অর্থাৎ মাল্টি কাস্ট মোড নেটওয়ার্কের কোন একটি নেড থেকে ডাটা প্রেম করলে তার নেটওয়ার্কের অধীনে সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সদস্যরা গ্রহণ করতে পারে। যেমন -ভিডিও কনফারেন্সিং এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাদের অনুমতি থাকবে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।এটি হাফ ডুপ্লেক্স বা ফুল ডুপ্লেক্স হয়ে থাকে ।
-ওয়াকি টকি, কম্পিউটারে টেক্স বা ভিডিও চ্যাটিং।→ #3
উত্তরঃ
উদ্দীপকে WCDMA মোবাইল এর প্রজন্ম হলো তৃতীয় প্রজন্ম (3G) . → #1
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এর সংজ্ঞা অনুসারে, তৃতীয় প্রজন্ম হচ্ছে এমন এক ধরনের মোবাইল স্ট্যান্ডার্ড যাতে GSM, EDGE, UMTS এবং CDMA 2000 প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমে প্যাকেট সুইচ পদ্ধতি পরিবর্তিত হওয়া এটি দ্রুত শব্দ ও ছবি আদান প্রদান করা যায়। FOMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং, ই কমার্স, email এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিস প্রদান করা হয়। → #2
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভয়েস এবং ডেটা স্থানান্তর হয়। এ ব্যবস্থায় সিগন্যাল চারদিকে সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। এস এম এস, ভয়েস কল, মোবাইল টিভি ও ভিডিও কলের প্রচলন শুরু হয়। তৃতীয় প্রজন্মে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সুবিধা প্রচলন হয়। উঁচুগতির সিগনাল ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে দ্রুত ডেটা পারাপার সম্ভব। → #3
ল্যাপটপে মোবাইল মডেম বা ওয়ারলেস মডেম এর ব্যবহার লক্ষণীয়। ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা রয়েছে, WiFi, WiMax ও WAP প্রটোকল ব্যবহার করা যায়।→ #4
Question 5
উত্তরঃ
আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এক ধরনের ডেটাবেজ সফটওয়ার ব্যবহার করে। সেই ডেটাবেজকে কর্পোরেট ডেটাবেজ বলে।
উত্তরঃ
RDBMS এ ছবি ইনসার্ট করার জন্য OLE Object ডেটা টাইপ ব্যবহার করা হয়। এ ডেটা টাইপের সাহায্যে MS Word, MS Excel, Photoshop ইত্যাদি প্রোগ্রামের কোনো অবজেক্ট (যেমনঃ টেক্সট, ছবি, গ্রাফ) ইত্যাদি ডেটাবেজে সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট ডেটা টাইপকে OLE (Object Linking and Embedding) হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের দুটি টেবিলের মধ্যে Many to Many রিলেশন তৈরি করতে হলে তৃতীয় আর একটি টেবিলের প্রয়োজন হয় । উদ্দীপকে, Product Table ও Sale Table মিলে Order Table তৈরি হয়েছে। উক্ত টেবিলে Printer নামের Product Name এর Product ID হলো 50001। এটি Sale Emp-id 10001, 100032 এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
Product এর সাথে Sale এর রিলেশন সংক্ষেপে বুঝানোর জন্য তৃতীয় একটি টেবিলের প্রয়োজন হয়। যেমন- Sale Table থেকে সহজে বোঝা যায় যে, কোন ব্যক্তি কোন Product Order করেছে। উপরোক্ত যুক্তি দ্বারা বোঝা যায় যে, দুটি টেবিলের মধ্যে Many to Many রিলেশন তৈরি করা সম্ভব।
উত্তরঃ
মালিকের ব্যবহৃত রেকর্ড সাজানোর পদ্ধতি হলো ইনডেক্সিং।
ডেটাবেজে টেবিলের রেকর্ডসমূহের অ্যাড্রেসকে কোনো লজিক্যাল অর্ডারে সাজানোকে ইনডেক্সিং বলে।
নিচে ইনডেক্সিং এর সুবিধা বিশ্লেষণ করা হলো-
- ডেটাবেজ থেকে সহজে তথ্য খুঁজে বের করা যায়।
- এক বা একাধিক ফিল্ডের উপর ইনডেক্সিং করে বর্ণ বা সংখ্যা অনুসারে সাজানো যায় ।
- ইনডেক্সিং করলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় ।
- অনেক বড় বড় ফাইলে ইনডেক্সিং করলে দ্রুত কাজ করে।
- সার্চিং, ক্যুয়েরি প্রভৃতি কাজ ইনডেক্সিং এ সহজে করা যায়।
- একাধিক ফিল্ডের সমন্বয়ে এক্সপ্রেশন হিসেবেও ব্যবহার করা যায় ।
- ইনডেক্স করার পরে ডেটাবেজ ফাইলে নতুন কোনো রেকর্ড ইনপুট করা হলেও ইনডেক্স ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়।
Question 6
ইলা ও আনজুম দুই বান্ধবী মিলে HTML দিয়ে First, Last, Next. Previous লিংকবিশিষ্ট একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। ওয়েবসাইটটি দ্রুত ব্রাউজ করা গেলেও তথ্য নিয়মিত আপডেট করতে সমস্যা হওয়ায় তারা PHP, MySQL ইত্যাদি টুলস দিয়ে ওয়েবসাইটটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় ।
উত্তরঃ
এক পেইজের সঙ্গে অন্য পেইজের বা একই পেজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ করার পদ্ধতিটি যখন হাইপারটেক্সটে থাকে তখন তাকে বলা হয় হাইপারলিংক।
উত্তরঃ
ইন্টারনেটে ওয়েবের ফাইলগুলো কোন সার্ভারে রাখাকে ওয়েব হোস্টিং বলা হয়। #1
হোস্টিং হলো স্থান (অর্থাৎ সার্ভার স্পেস) যেখানে টেক্সট,গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও সংবলিত ওয়েব পেজে রাখা হয়। উবের পোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হয় না তাই ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তরঃ
ইলা ও আনজুম দুই বান্ধবী মিলে HTML দিয়েছে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটা লিনিয়ার স্ট্রাকচার।(#1)
নিচের লিনিয়ার স্ট্রাকচারটি ব্যাখ্যা করা হলো-
যে ওয়েবসাইটের পেজ গুলো একটি নির্দিষ্ট অনুক্রমে (একের পর এক) সাজানো থাকে এবং কোন পেজের পরও কোন কোন পেজ আসবে তার নির্দেশিত থাকে তাকে লিনিয়ার কাঠামো বা সিকোয়েন্সিয়াল সংগঠন বলে। যখন কোন ওয়েবসাইটের পেজ গুলো ক্রমানুসারে দেখার প্রয়োজন পড়ে তখন লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। পেজের সংখ্যা কম হলে এ ধরনের কাঠামো উপযোগী। #2
এ ধরনের কাঠামোতে মূল পেইজ থেকে শুরু হয়ে ডকুমেন্টের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করে। এ ধরনের পেজগুলোতে সাধারণত Next, previous, fast, last ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলের সহজে পেজ আপলোড করা যায় এবং দ্রুত পেজ ব্রাউজ করা যায়। উদাহরণ : www.youtube.com
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত সিদ্ধান্তটি হল ডায়নামিক ওয়েবসাইট।#1
এ সিদ্ধান্তটির যৌক্তিক কারণ, এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন হয়ে প্রদর্শিত হয়। বর্তমানে ডায়নামিক ওয়েবসাইট এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ওয়ান টাইম এর সময় পেজের ডিজাইন বা কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে। ডাটাবেজ কুয়েরির মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবর্তনশীল কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। ব্যবহারকারীদের নিকট হতে ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। অনেক বেশি তথ্যবহুল হয়। তাছাড়া আকর্ষণীয় ইন্টারেক্টিভ লেআউট তৈরি করা যায় ওয়েব পেজ তৈরি করতে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হিসেবে javascript, PHP,Net,ASP ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। #2
ডাটাবেজের সাথে ওয়েবসাইট যুক্ত করার জন্য MS access my SQL (my structured query language) ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে, পূর্ব থেকে তোর লিখিত কিছু তথ্য প্রদর্শন করা থাকে এবং প্রতিবারই একই তথ্য প্রদান করে। একমাত্র যখন ওয়েব ডেভলপার ফাইলে পরিবর্তন করেন তখনই পরিবর্তন দেখায়। এই ওয়েব পেজে সব ব্যবহারকারীর কাছে একই তথ্য প্রদর্শিত হয়।#3
এ ধরনের পেজ তৈরি করার সহজ কিন্তু আপডেট করা কঠিন। ছোট ধরনের কোম্পানি তাদের তথ্য প্রদর্শনের জন্য সাধারণত স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।
সুতরাং ইলা ও আনজুম দুই বান্ধবীর স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের পরিবর্তে ডায়নামিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। #4
Question 7
ICT শিক্ষক শ্রেণিতে সংখ্যা পদ্ধতি পড়াচ্ছিলেন। এক ছাত্রকে রোল নম্বর জিজ্ঞাসা করায় সে (375)16উত্তর দিল। শিক্ষক ছাত্রের রোল’ নম্বরটিকে ৮টি মৌলিক চিহ্নবিশিষ্ট সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করে দেখালেন। ছাত্রটির গত বছরের রোল নম্বর (17C)16জানতে পেরে শিক্ষক তার শেষ পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে মন্তব্য করলেন।
উত্তরঃ
যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে যোগের কাজ করা হয় তাকে অ্যাডার বলে।
উত্তরঃ
একটি কাউন্টার প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে আবার প্রথম ধাপে ফিরে আসতে যতগুলো ধাপ প্রয়োজন হয় তাকে ঐ কাউন্টারের মোড নম্বর বলে।
কাউন্টারে nটি ফ্লিপ ফ্লপ থাকলে তার মডিউলাস 2n টি হবে। সাধারণত একটি কাউন্টারের মোড নম্বর 2n । কাউন্টারে 4টি ফ্লিপ ফ্লপ থাকলে তার মডিউলাস 2n =24 = 16টি হবে ।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে ,
(375)10=(?)8
উত্তরঃ
ছাত্রটির বর্তমান রোল নম্বর =(375)10
(375)10=(?)2
∴(375)10=(101110111)2
ছাত্রটির গত বছরের রোল নম্বর =(17C)16=(380)10
∴(17C)16=(380)10=(?)2
∴(380)10=(101111100)2
যোগের মাধ্যমে অর্থাৎ ২ এর পরিপূরক পদ্ধতিতে নম্বরদ্বয়ের পার্থক্য নির্ণয় :
শেষের ক্যারি বিবেচিত হয় না । অর্থাৎ ছাত্রটির বর্তমান রোল নম্বরদ্বয়ের পার্থক্য হচ্ছে ১ এবং শিক্ষক ছাত্রের শেষ পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক।
Question 8
#include<stdio.h>
void main()
{
int i,s=0;
for (i=7; i<=70; i=i+7)
s = s+i;
printf(“%d”, s);
}
উত্তরঃ
অনুবাদক প্রোগ্রাম হল বিভিন্ন ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন করে রুপান্তর করার জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম।
উত্তরঃ
প্রোগ্রামের ধরন এবং কার্যপ্রণালী সমন্বিত কিছু নির্দেশ বাই স্টেটমেন্ট এর সমাবেশকে সুডোকোড বলা হয়। সুডোকোডের মাধ্যমে একটি প্রোগ্রামকে এমন ভাবে উপস্থাপনা করা হয় যেন সকলে তার সহজে বুঝতে পারে। সুন্দর ও সহজ ইংরেজি ভাষায় সমস্যার সমাধানের প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করা থাকে। প্রোগ্রাম রচনা সময় যাতে বারবার বাধাপ্রাপ্ত না হতে হয় ভূল ত্রুটি যাতে না হয় সেজন্য প্রোগ্রাম তৈরির পূর্বেই সুডোকোড রচনা করতে হয়। তাই সুডোকোড প্রোগ্রামিং ভাষা নির্ভর নয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের আলোকে ধারাটি হবে 7+14+21+……+70ধারার যোগফল নির্ণয়ের ফ্লোচার্ট :
উত্তরঃ
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি do…while লোভ দিয়ে এমন ভাবে রচনা করা হলো যাতে i- এর সর্বোচ্চ তুলনীয় মান ইচ্ছামত দিতে পারবে।
#include
int main ()
{
int i=7, s, N;
printf(“Enter the largest numbers:”);
scanf(“%d”,&N);
do
{
s=s+i;
i=i+7;
}
while (i<=N);
printf(“%d”, s);
return 0;
}