তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বরিশাল বোর্ড ২০১৭
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Question 1
ড. জামিল একজন কৃষি গবেষক। তাঁর আবিষ্কৃত বীজ চাষ করে একজন কৃষক পূর্বের ফসলের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলল। ড. জামিল একদিন তাঁর বন্ধু চিকিৎসকের নিকট গালের আঁচিল অপারেশনের জন্য -20° C তাপমাত্রায় রক্তপাতহীন গেলেন। বন্ধু তাকে স্বল্প সময়ে অপারেশন করলেন । তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে এলেন ।
উত্তরঃ
রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির এমন একটি শাখা যেখানে রোবটের নকশা বা ডিজাইন, গঠন, পরিচালন প্রক্রিয়া, কাজ ও প্রয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
উত্তরঃ
ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি। বায়োমেট্রিক্স হলো মানুষের আচরণগত বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে মানুষের কোথাও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি। এটা পর্যবেক্ষণকালীন একক বা গ্রুপ অনুযায়ী কাজ করে থাকে। বায়োমেট্রিক্স এক ধরনের কৌশল যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শনাক্ত করা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে ড. জামিলের গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশলের আভিধানিক অর্থ বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে কোনো জৈবিক অঙ্গের জেনোম (জিন) বিশ্লেষণ করে সরাসরি উন্নত মানসম্পন্ন জৈব যৌগ তৈরি করার কৌশল। এতে নতুন ডিএনএ কোনো মূল জিনে সংযোজন করে বা অবাঞ্ছিত ডিএনএ বাদ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তুর জিন তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে জৈব পারমাণবিক ক্লোনিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কোনো জৈব যৌগ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগে পরিবর্তিত হলে তাকে genetically modified organism (GMO) বলে। ড. জমিল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল পদ্ধতি ব্যবহার করে ‘উন্নত জাতের ধান বীজ উৎপাদন করেছেন।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী ড. জামিলের বন্ধুর গালের আচিল -20° C তাপমাত্রায় স্বল্পসময়ে রক্তপাতহীনভাবে অপারেশন করা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিকে ক্রায়োসার্জারি বলা হয়। মূলত বরফ শীতল তাপমাত্রায় কোষকলা ধ্বংস করার ক্ষমতাকে ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরে বলের আকৃতিবিশিষ্ট ছোট ছোট বরফের কৃষ্টাল তৈরি হয়ে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষকলার ওপর তুলা জড়ানো শলাকা বা স্প্রে করার কোনো যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি প্রযুক্তিটির সাফল্যজনক ব্যবহার লক্ষণীয়। বিশেষত ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেমন- ত্বকের তিল, আঁচিল, মেছতা, বিভিন্ন ধরনের টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, স্বল্প সময়ে, রক্তপাতহীনভাবে- আচিল চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারী খুবই কার্যকর একটি কৌশল। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িও ফিরে যাওয়া সম্ভব। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় ড. জামিলের বন্ধু আচিল চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা যথাযথ হয়েছে।
Question 2
আইসিটি নির্ভর জ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে। আরিফ ICT বিষয়ে পড়াশুনা করে এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে জানতে পারল যেখানে শব্দের পাশাপাশি চলমান ছবিও পাঠানো যায়। তবে এ মাধ্যমে ডেটা বাঁকা পথে চলাচল করতে পারে না বিধায় উঁচু ভবনের উপর টাওয়ার বসানোর প্রয়োজন হয় যার ফ্রিকোয়েন্সি 300 MHz হতে 300 GHz পরবর্তীতে নতুন উদ্ভাবিত একটি প্রযুক্তির সাথে সম্মিলন ঘটানো হয় যা সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে এক মহাদেশকে অন্য মহাদেশের সাথে যুক্ত করেছে।
উত্তরঃ
একাধিক ল্যানের ভেতর সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে ব্রিজ বলে।
উত্তরঃ
ওয়াকিটকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়। যুগপৎ কথা বলা হলো হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরকের ডেটা পাঠানো সম্পন্ন হলে প্রাপক ডেটা পাঠাতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াকিটকি একটি হাফ-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। আমরা দুটি ওয়াকিটকি দ্বারা কথা বলার সময় এক পক্ষের কথা শেষ হলে অপর পক্ষ কথা শুরু করতে পারে। একসাথে উভয় পক্ষের কথা বলা অর্থাৎ যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম মাধ্যমটি হলো মাইক্রোওয়েভ। মাইক্রোওয়েভ হলো উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও সিগন্যাল। মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের গিগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। এর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ 300 MHz – 300 GHz। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেকে এর দূরত্ব বেশি হওয়ায় এর দক্ষতা ও গতি অনেক বেশি। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটি ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করে। দুটি ট্রান্সসিভার এর মাঝে মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা থাকে। যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এবং পথিমধ্যে কোনো বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এর সাহায্যে যেকোনো প্রান্তে খুব তাড়াতাড়ি কম খরচে যোগাযোগ করা যায়। এমনকি মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবস্থায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিডিও কলিং, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ইত্যাদি সেবা পাওয়া যায়। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেমে ব্যবহৃত অ্যান্টিনা বড় কোনো ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বাধাহীনভাবে বেশি দূরত্বে পাঠানো যায়। (বর্তমানে বিশ্বে বিভিন্ন দেশে মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হচ্ছে) বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচার, প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান এবং আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ব্যহার রা হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম মাধ্যমটি অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভ থেকে ২য় মাধ্যম বেশি সুবিধাজনক। কারণ ২য় মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হলো অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাচের তন্তু। ডাই-ইলেকট্রনিক অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি কাচের তন্তুর মধ্যে দিয়ে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল অত্যন্ত দ্রুত ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে থাকে।
পৃথিবী থেকে ভিস্যাটের মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহে অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভে সিগন্যাল পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ সিগন্যালটি রিসিভ করে সেটিকে নতুন করে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু • অপটিক্যাল ফাইবার প্রথমে বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে আলোক সিগন্যালে পরিণত করে আলোর গতিতে ফাইবারের মাধ্যমে ট্রান্সমিট হয় অপর প্রান্তে আলোক সিগন্যালকে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে পরিণত করা হয়। এভাবে প্রেরক থেকে সরাসরি গ্রাহকের নিকট সিগন্যাল পরিবাহিত হয়। এ ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে-অন্যের সাথে সংযুক্ত হয়ে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব। এতে এক সাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ থেকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে সিগন্যালকে খুব তাড়াতাড়ি পাঠানো যায়। কারণ তখন প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমটার দূরের স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এ সিগন্যালটি গিয়ে আবার ফিরে আসতে হয় না। অপরদিক সমুদ্রর তলদেশ দিয়ে মাত্র আঠারো থেকে বিশ হাজার কিলোমটারেই চলে যেতে পারে। অতএব উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, মাইক্রোওয়েভ থেকে অপটিক্যাল ফাইবার মাধ্যমটি অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক।
Question 3
আতিক সাহেব তার শয়ন কক্ষে ফ্যান চালানোর জন্য বেড সুইচ ব্যবহার করেন। ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় তিনি বেড সুইচটি অফ করলেন। ফলে ফ্যানটি বন্ধ হয়ে গেল। ফ্যানের একটি সুইচ খোলা থাকা সত্ত্বেও ফ্যানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি চিন্তা করলেন এটি কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ
যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিণত করা হয় তাই এনকোডার।
উত্তরঃ
OR একটি মৌলিক গেইট। OR গেইট দুই বা ততোধিক বাইনারি সংখ্যার লজিক্যাল যোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। পক্ষান্তরে, XOR গেইট বিশেষ গেইট। X-OR গেইটের মাধ্যমে বিভিন্ন বিট তুলনা করে আউটপুট সংকেত পাওয়া যায়। সার্কিট ছোট করার কাজে X-OR গেইট ব্যবহৃত হয়। XOR গেইট দুই বা ততোধিক বাইনারি সংখ্যার যোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এজন্য OR গেইটের তুলনায় -XOR গেইটের সুবিধা বেশি।
উত্তরঃ
আতিক সাহেবের শয়ন কক্ষের ফ্যানের মূল সুইচের পাশাপাশি বেড সুইচ ছিল, তিনি বেড সুইচ অফ করলে ফ্যানটিও বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বর্তনীতে সুইচদ্বয় শ্রেণি বা সিরিজে যুক্ত ছিল, যা AND গেইটকে নির্দেশ করে। AND গেইটকে দুই বা ততোধিক ইনপুট দিলে একটি আউটপুট পাওয়া যায়। AND গেইটে সকল ইনপুট । হলে কেবল আউটপুট । হবে। অন্যথায় আউটপুট হবে। দুইটি ইনপুট A ও B হলে আউটপুট Y = AB হবে।
চিত্রে AND গেইটের সমকক্ষ একটি সার্কিট দেখানো হলো। এ সার্কিটে সুইচ দুটি A ও B এর যেকোনো একটি সুইচ অফ করলে ফ্যানটি বন্ধ হয়ে যাবে। কেবলমাত্র দুটি সুইচ অন করলে ফ্যান চলবে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকের সার্কিটটির যে পরিবর্তন করলে একটি সুইচ বন্ধ করলেও ফ্যানটি বন্ধ হবে না তা নিচে বর্ণনা করা হলো:
উদ্দীপকের সার্কিটটি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, এটি একটি OR গেইটের সার্কিট। OR গেইটে যেকোনো একটি ইনপুট 1 হলে আউটপুট । হবে। চিত্রের সার্কিটে যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে তখন সুইচ বন্ধ পেলে আরেকটি সুইচ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে। তখন B সুইচটি On পেলে ফ্যানটি চলবে।
উদ্দীপকের আলোকে আতিক সাহেবের শয়ন কক্ষের ফ্যানে AND গেইটের সার্কিটের পরিবর্তে OR গেইটের সার্কিট ব্যবহার করলে যে কোনো একটি সুইচ বন্ধ করলেও ফ্যানটি বন্ধ হবে না।
Question 4
দুই বন্ধু আনিস এবং ইকবাল ওয়েবপেইজ তৈরির প্রশিক্ষণ নেয়। আনিস চিত্র-১ এবং ইকবাল চিত্র-২ এর কাঠামো বেছে নিয়ে ওয়েবপেইজ তৈরি করে।
উত্তরঃ
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য একটি পরিচিতি বা আইডেন্টিটি থাকে যা IP অ্যাড্রেস নাম পরিচিত।
উত্তরঃ
ওয়েব পেইজ হলো এক ধরনের ওয়েব ডকুমেন্ট যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ও ইন্টারনেট ব্রাউজারে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টরনেটে ওয়েব পেইজ প্রদর্শনের কাজ করে। পথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ওয়েব পেইজ ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। তাই ওয়েব পেইজ ও ব্রাউজার একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।
উত্তরঃ
ইকবালের ওয়েব পেইজটি হলো লিনিয়ার কাঠামো। যখন কোনো ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ক্রমানুসারে দেখার প্রয়োজন পড়ে তখন লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। পেইজের সংখ্যা কম হলে এ ধরনের কাঠামো উপযোগী। এ ধরনের কাঠামোতে মূল পেইজ থেকে শুরু হয়ে ডকুমেন্টের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করে। এ ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, Fast, Last ইত্যাদি লিঙ্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে চিত্র-১ এর স্ট্রাকচারটি হলো ট্রি বা হায়ারার্কিক্যাল স্ট্রাকচার এবং চিত্র-২ এর স্ট্রাকচারটি হলো লিনিয়ার স্ট্রাকচার। এ দুটি স্ট্রাকচারের মধ্যে চিত্র-১ অর্থাৎ ট্রি বা হায়ারার্কিক্যাল স্ট্রাকচারটি ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। এ কাঠামোতে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য হোম পেইজে লিঙ্ক ব্যবহার করে পরবর্তী পেইজগুলোতে যাওয়া যায়। ওয়েবসাইটের কাঠামোর মধ্যে হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়। বেশির ভাগ অনলাইন সিস্টেমে এ ধরনের কাঠামো ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কাঠামোতে মূল বিষয়ের তালিকা বা মেনু তৈরি করে সাব- মেনু তৈরি করা হয়ে থাকে।
Question 5
নাফিজা ম্যাডাম ICT ক্লাসে প্রোগ্রামের ভাষা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বললেন অনেক আগে 0 ও 1 ব্যবহারে করে প্রোগ্রাম লেখা হতো। বর্তমানে C প্রোগামিং ভাষাটি খুবই জনপ্রিয়। তিনি C ভাষার উপর বিশদ ক্লাস নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের 6 এবং 12 সংখ্যা দুটির ল.সা.গু. নির্ণয়ের জন্য C ভাষায় একটি প্রোগ্রাম লিখতে বললেন ।
উত্তরঃ
4GL এর পূর্ণরূপ 4th Generation Language। যা অতি উচ্চস্তরের মুক্ত প্রকৃতির ভাষা।
উত্তরঃ
যে ফাইলে লাইব্রেরি ফাংশনগুলোর প্রোটোটাইপ বর্ণিত থাকে তাকে C প্রোগ্রামিং ভাষায় ফাংশনের হেডার ফাইল বলে। C ভাষায় হেডার ফাইল প্রোগ্রামের আবশ্যকীয় অংশ। এজন্য C প্রোগ্রামে সি প্রোগ্রাম কোনো লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করলে প্রোগ্রামের শুরুতেই include প্রিপ্রসেসিং ডিরেক্টিভ এর সাহায্যে সংশ্লিষ্ট হেডার ফাইল সংযুক্ত করতে হয়।
উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম ভাষাটি হচ্ছে মেশিন ভাষা। কম্পিউটার মেশিনের নিজস্ব ভাষাকে মেশিন ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয়। সাধারণত মেশিন ভাষা ০ ও । এ দুই বাইনারি অঙ্ক দিয়ে লিখতে হয়। বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজকে বিট। এবং লো ভোল্টেজকে বিট ০ দিয়ে নির্দেশ করে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম লেখার পদ্ধতিকে মেশিনের ভাষায় প্রোগ্রাম বলা হয়। কম্পিউটার একমাত্র যন্ত্র ভাষাই বুঝতে পারে, অন্য ভাষায় প্রোগ্রাম করলে কম্পিউটার আগে উপযুক্ত অনুবাদকের সাহায্যে তাকে যন্ত্রভাষায় পরিণত করে নেয়। মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে অবজেক্ট প্রোগ্রামও বলা হয়। এ ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটারের বর্তনীর ভুলত্রুটি সংশোধন করা যায়। মেশিন ভাষায় বিট, বাইট ও মেমোরি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
6 এবং 12 সংখ্যা দুটির ল.সা.গু নির্ণয়ের জন্য C ভাষায় প্রোগ্রামটি নিচে দেওয়া হলো-
Question 6
#include<stdio.h>
main ()
{
int SUM, N;
printf (“Enter the last number”);
scanf (“%d”, % N);
SUM = 0;
for (i=1; i ≤ N; i=i+3)
{
SUM = SUM + i;
}
printf(“Result : %d,” SUM);
}
উত্তরঃ
গ্রিক শব্দ সুডো (Pseudo) মানে মিথ্যা বা ছদ্ম। অর্থাৎ যা সত্য নয়। সুডোকোড হচ্ছে সেই কোড যা কোনো কোড নয়, কিন্তু প্রোগ্রাম রচনার সময় প্রোগ্রামকে বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ
অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী এর কারণ নিম্নরূপ:
১.কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম এক সাথে অনুবাদ করে ফলে প্রোগ্রাম নির্বাহের গতি দ্রুত হয়।
২. কম্পাইলারের মাধ্যমে রূপান্তরিত প্রোগ্রাম সম্পূর্ণরূপে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত হয়। ফলে একবার প্রোগ্রাম কম্পাইল করা হলে পরবর্তিতে আর কম্পাইল করার কোনো প্রয়োজন হয় না।
৩. প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে তা মনিটরে একসাথে প্রদর্শন করে। ভুল সংশোধন করার পর প্রোগ্রাম নির্বাহে কম সময় লাগে।
উত্তরঃ
নিম্নে উদ্দীপকটির ফ্লোচার্ট অঙ্কন করা হল-
উত্তরঃ
উদ্দীপকের কোডটিকে do….while লুপের সাহায্যে করতে হলে কোডের যে পরিবর্তন করতে হবে তা নিচে লেখা হলো
Question 7
আসিফের বাবা ICT বিষয়ের শিক্ষক। তিনি আসিফের কাজে ICT বিষয়ের প্রাপ্ত ফলাফল জানতে চাইলে সে বলল অর্ধ-বার্ষিক (112)8 এবং বার্ষিক পরীক্ষায় (7F)16 নম্বর পেয়েছে।
উত্তরঃ
রেজিস্টার হলো মাইক্রো প্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ গতিসম্পন্ন সার্কিট যা অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে।
উত্তরঃ
(14)10 এর সমকক্ষ BCD সংখ্যা হচ্ছে:
(14)10 =(00010100)
(14)10 এর সমকক্ষ বাইনারি সংখ্যা হচ্ছে:
(14)10= (1110)2
অর্থাৎ বলা যায় যে, BCD কোড এবং বাইনারি সংখ্যার মধ্যে BCD তে বেশি বিট লাগে।
উত্তরঃ
আসিফের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (112)88 হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় প্রকাশ করা হলো-(112)8= (?)16